অবরোধবাসিনী বেগম রোকেয়ার লিখিত একটি বইয়ের নাম। যেখানে তিনি অবরোধবাসিনী নামে প্রায় ৪৭টি গল্প লিখেছিলেন। যে গল্পগুলোর কিছু হাস্যরসাত্মক, কিছু বেদনাদায়ক ও কিছু অবিশ্বাস্যও বটে। এই গল্পগুলোর মাধ্যমে তিনি তৎকালীন বাংলার নারীদের পর্দাপ্রথাকে অবরোধের সাথে তুলনা করেছেন এবং যারা এই পর্দা পালন করত সেই সমস্ত নারীদেরকে তিনি অবরোধবাসিনী বলে অভিহিত করেছেন। তার প্রতিটি গল্পের মূল ভাবার্থ হচ্ছে পর্দা রক্ষা করতে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিড়ম্বনা ও কষ্ট স্বীকার করার কাহিনী। অবরোধবাসিনী গল্পে মূলত নারীসমাজকেই বুঝানো হয়েছে যে তারা তাদের পিতা, স্বামী, ভাই ও সমাজের নিকট থেকে ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত। কিন্তু মুসলিম নারীগণ কি আসলেই অবরোধবাসিনী? বেগম রোকেয়ার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি পর্দার বিধান ফরয করায় তারা হলো বন্দিনী। আসলে কি তাই? না, তা কখনোই না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমানের রচিত “কেন হব অবরোধবাসিনী” বইটি। যেখানে লেখিকা খুব চমৎকারভাবে বেগম রোকেয়ার লিখিত অবরোধবাসিনী বইয়ের চমৎকারভাবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জবাব দিয়েছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নানী, দাদীরা জানত না যে, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এগুলো কি? কারন তারা কখনো বাড়ির বাহিরে যেতেন না। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে পালকি, সাওয়ারী ও গরুর গাড়িতে কাপড় দ্বারা ঘিরে যেতেন। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরও বড় বড় ঘোমটা থাকত। কিন্তু সমঅধিকারের নামে বর্তমানে নারী সমাজের যে করুন অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। যারা সমঅধিকারের দিকে তাদেরকে ডাক দিয়েছে, তারা নারীদের কতটুকু মর্যাদা ও অধিকার দিতে পেরেছে? পেরেছে শুধু নগ্ন করতে। সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস ও কুলষিত করতে। আর নারীদের নগ্ন করে ঈমানদারের ঈনান হরন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল হয়েছে। সমঅধিকারের নামে তারা নারীদেরকে ঘর থেকে টেনে বের করে পুরুষদের বানিয়েছে উন্মাদ, ইভটিজার, আর নারীদের বানিয়েছে বাজারের পন্য, বিজ্ঞাপনের মডেল, ভোগের সামগ্রী। অথচ তারা যদি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতো, তার সংসার গুছিয়ে রাখত, মা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনে ব্যাপৃত থাকত, তাহলে তারা মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন থাকতো। কিন্তু আজ তারা সেই ইযযত-সম্মান, আদর স্নেহের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার। আর পুরুষদের জন্য হয়েছে পাপের দিশারি। মনে রাখতে হবে নারী হলো ঘরের রানী। আল্লাহর বিধাননের উপর কোনোকিছু টিকতে পারে না। তেমনি আল্লাহ যে মর্যাদা দেন তার চেয়ে বেশি অধিকার-মর্যাদা কেউ দিতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামকে উল্টিয়ে কেউ টিকতে পারেনা, যার দৃষ্টান্ত বর্তমানের নারীবাদীদের দিকে তাকালেই দেখতে পারি। নারীবাদীদের নাস্তিকতা মূলক সকল যুক্তি খন্ডন করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে “সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই” বইটিতে। আমি মনে করি এই বইটি নারী পুরুষ সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়লে সবাই তাদের মূর্খতা গুলো বুজতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বই থেকে কিছু উক্তিঃ দেশনেত্রী নয়, স্বামীর সংসারের নেত্রী হতে চাই। যৌতুক নয়, মহর চাই। পতিতা নয়, স্বামীর স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।