ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ‘তাযকিয়া’ বা আত্মশুদ্ধি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীগণের জীবন থেকে আমরা দেখতে পাই যে, ফরয ইবাদত পালনের পরে সদাসর্বদা নফল ইবাদত পালনে রত থেকে, বিশেষত সদা সর্বদা জিহ্বা ও অন্তরকে আল্লাহর যিকিরে রত রেখে তাঁরা তাযকিয়া ও বেলায়াতের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছেন। সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে তাঁদের পালিত এ সকল নফল ইবাদত ও যিকিরের মধ্য থেকে কিছু বেছে নিয়ে এই মাসনূন (সুন্নাত-সম্মত) ‘ওযীফাটি’ রচনা করা হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন তরীকার ওযীফা ছাড়াও অনেক প্রকারের ওযীফার বই বাজারে প্রচলিত। তবে সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে মাসনূন বা সুন্নাতি ওযীফার বই তেমন পাওয়া যায় না। এ লক্ষ্যেই স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) রচনা করেছেন “সহীহ মাসনূন ওযীফা” নামক চমৎকার এই বইটি। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামের অন্যতম ফরয আইন ও পাঁচ স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে যাকাত। যাকাত বিধানের অন্যতম দিক হলো ফল-ফসল বা কৃষি উৎপাদনের যাকাত প্রদান। আমাদের দেশে ইসলামের এই অন্যতম ফরয ইবাদত ও রুকনটি অবহেলিত। পালন তো দূরের কথা বরং এর গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কেও অধিকাংশ ধার্মিক মুসলিম অসচেতন। সমাজের ইসলাম বিরোধী চিন্তা চেতনা ও কর্মকাণ্ড দূর করা ও পরিপূর্ণ ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই আলেম সমাজের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই কর্তব্যবোধের প্রেরণা থেকেই ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) এই বইটি রচনা করেছেন। এই বইয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উশর বা ফসলের যাকাত প্রদানের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, নিয়ম ও বিধিবিধান বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত যাকাতের অন্যান্য সাধারণ কিছু বিধিবিধানও আলোচনা করেছেন। আশা করি মহান আল্লাহ দয়া করে তাঁর এই প্রচেষ্টা কবুল করবেন এবং এই বইটির ওসীলায় বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে এই অবহেলিত বা মৃতপ্রায় ফরয ইবাদতটি পুনরুজ্জীবিত ও প্রতিষ্ঠিত করবেন। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
এই বইটি রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র মদীনায় মসজিদে নববীর লাইব্রেরীতে বসে লিখা। প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্রসহ যারা উছূলে হাদীছ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করতে চান, এই বইটি তাদের পথপ্রদর্শক ও দিশারীর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষার নামে যে ভাবে শির্ক, কুফর, নাস্তিকতা, অশ্লীলতা, অহেতুক কিচ্ছা কাহিনি পড়ানো হচ্ছে সেই চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মুসলিম শিশুদের কিভাবে ইসলাম থেকে দূরে রাখা যায় এবং অসৎ, অপদার্থ, অধর্ম বানানো যায় সেই ষড়যন্ত্রের নীলনকশাগুলোও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে বইটিতে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চির বহাল থাক; শিক্ষার গুরুত্ব; শিক্ষা কি ও কেন? শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য; শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের মধ্যে পার্থক্য; শিক্ষিত বনাম জাহেল; প্রকৃত শিক্ষা কি? এবং কারা শিক্ষিত? এবং বিভিন্ন শিক্ষানীতি সম্পর্কে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
হজ্জ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা কষ্টকর দীর্ঘ সফরের মধ্য দিয়ে পালন করতে হয়। হাদিছে এসেছে এই ইবাদত কবুল হলে মানুষ সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। এই ইবাদতে ফযিলতের বহু কাজ থাকা সত্ত্বেও না জানার কারণে মানুষ সেসব ফযিলত হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি অনেকেই আবার দলীল-প্রমাণহীন জাল-যঈফ হাদিছ মিশ্রিত বই পড়ে সহজেই শিরক-বিদআতে জড়িয়ে পড়ছে। অপরদিকে মানুষ মক্কা-মদীনায় যেতে পারবে, এ কারণে মনের ভিতর প্রচণ্ড আবেগ কাজ করে। মানুষের এই আবেগের সুযোগ নিয়ে বর্তমান বাজারে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে হজ্জ-উমরা সম্পর্কে লিখিত বহু দলীল-প্রমাণহীন বই দেখা যায়। এসব বই পড়ে হজ্জ-উমরা পালন করলে তা বিশুদ্ধ পদ্ধতিতে আদায় হবে বলে আশা করা যায় না। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত মানুষ যেন সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করে কাঙ্খিত প্রতিদান লাভ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সম্পূর্ণ কুরআন ও ছহীহ হাদিছের আলোকে রচনা করেছেন “হজ্জ ও উমরা” নামক এই বইটি। বইটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা পালন করা ফরজ। পবিত্র কুরআনে নারী-পুরুষ উভয়কেই পর্দা পালনের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাআলা বলেনঃ- “(হে নবি! আপনি) মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে, এটা তাদের জন্য অধিকতর পবিত্র। তারা যা কিছু করে আল্লাহ সে বিষয়ে অবগত। এবং আপনি ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নিচু রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তাছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে; এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত দাসি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সুরা নূর: আয়াত ৩০-৩১)। সুতরাং নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পর্দা পালন করা সমভাবে প্রযোজ্য। এজন্য পর্দা কিভাবে করতে হবে? নারী পুরুষের ইসলামিক পোশাক কেমন হওয়া উচিৎ, পরিপূর্ণ পর্দা কিভাবে করতে হবে এসকল বিষয়ের উপর বিস্তারতি জানতে সংগ্রহ করতে পারেন স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) এর কুরআন-সুন্নাহর আলোকে রচিত “পোশাক, পর্দা ও দেহ-সজ্জা” বইটি। বইটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
শুধুমাত্র ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে দিনে দিনে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অসংখ্য নারী রয়েছে যারা তাদের স্বামীর হক্ব, পরিবারের হক্ব সম্পর্কে একেবারেই গাফেল। এ সমস্ত কারনে প্রতিটি মুসলিম নারীকে অবশ্যই ইসলামের আদর্শে একজন আদর্শবান নারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা জরুরী প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন একটা সঠিক গাইডলাইন। আর গাইডলাইন হিসেবে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “আদর্শ নারী” বইটি হতে পারে চমৎকার একটি বই। বইটিতে একজন নারীর জান্নাতি হওয়ার গুণাবলীগুলো কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য এমন একটি বই অপরিহার্য। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বইটি ইমাম আবু হানিফা (রাহি:) জীবন ও কর্ম সম্পর্কে লিখিত। তবে বইটিতে ইমাম আবু হানিফা (রাহি:) সম্পর্কে যেসমস্ত ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলোর সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফার রচিত অনেকগুলো গ্রন্থের মধ্যে কিতাবুল আসার ও আল ফিকহুল আকবার প্রধানতম। বইটি অর্ডার করুণ…।
“সালাত, দু’আ ও যিকর” এ বইটি মূলত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “রাহে বেলায়াত” বইটির একটি অধ্যায়ের বর্ধিত সংস্করণ। “রাহে বেলায়াত” বইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের নাম হল “সালাত ও বেলায়াত”। যেখানে লেখক সালাত সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু “রাহে বেলায়াত” বইটির মূল্যের কারণে এই বইটির পরিবর্তে অনেক আগ্রহী মানুষ ছোট এবং স্বল্প মূল্যের শুধুমাত্র সালাত শিক্ষার জন্য বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই অগণিত পাঠকের চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র সালাতের বই হিসেবে “রাহে বেলায়াত” বইটির সালাত ও বেলায়াত নামক অধ্যায়টি আলাদা একটি বই আকারে “সালাত, দুআ’ ও যিকর” নামে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বইটিতে খুতবাতুল ইসলাম এবং মুসলমানী নেসাব বই থেকে কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।