Shop - HatBazar365.com

Shop

  • কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম

    01

    ⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

    ⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স

    ⦿ বিষয়: তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম এডিশন-২০১৮খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৮০ পৃষ্ঠা


    ১৯৭৮ খৃস্টাব্দে আমেরিকার কলরাডো (Colorado) রাষ্ট্রের কলরাডো ¯প্রীংস (Colorado springs) শহরে (north American conference on muslim evangelization): ‘মুসলিমদের খৃস্টান বানানো বিষয়ে উত্তর আমেরিকান সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মিশনাারিগণ পরবর্তী অর্ধশতকের মধ্যে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশকে খৃস্টান-প্রধান দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নেন। তারা প্রচার-পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। নিজেদেরকে মুসলমান, ঈসায়ী তরীকার মুসলমান বলে পরিচয় দেওয়া, ধর্মান্তরিতদের নামায-রোযা, ঈদ-মীলাদ বহাল রাখতে বলা.. ইত্যাদি। সেই সম্মেলনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারিদের প্রচার পদ্ধতি গতানুগতিক প্রচার পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এরা দেখেছে এদেশের বেশিরভাগ মুসলিমই নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই, এরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলমান দাবি করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে এবং খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। এরা নিজেদের বাইবেলকেও দিয়েছে ইসলামি নাম – ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’। এই বইটিকে তারা তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের শিক্ষার সম্মিলিত রুপ দাবি করে ইসলামের ওপর কালিমা লেপন করছে এবং মুসলিমদের করছে বিভ্রান্ত। ৫০ বৎসর আগে বাংলাদেশে কয়েক হাজার খৃস্টান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিম খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। ইসলামের ওপর খ্রিস্টান মিশনারীদের এসব অপতৎপরতার জবাব দিতে এবং মুসলিমদেরকে তথাকথিত ‘ঈসায়ী মুসলমান’দের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যার রচনা করেছেন “কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে সংক্ষিপ্ত আকারে মোট উনিশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ প্রথমেই স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা লিখেছেন। এরপর প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন, ঈসা মাসিহের ধর্মে মিথ্যার অনুপ্রবেশ নিয়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে প্রচলিত ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’ এর সাথে তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের তূলনামূলক আলোচনা। এরপর ধাপে ধাপে স্যার রাহিমাহুল্লাহ এনেছেন ইঞ্জিলের বিকৃত হওয়ার ইতিহাস, সাধু পলের আবির্ভাব, সাধু পলের প্রচারিত ধর্মের সাথে ঈসা আ. এর ধর্মের বৈপরীত্য, খৃষ্টানদের ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ আরো নানান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা৷ প্রত্যেক অধ্যায়ে স্যার রাহিমাহুল্লাহ দেখিয়েছেন খৃষ্টান ধর্মের ভিত কতটা নড়বড়ে। ইসলাম নিয়ে তাদের আপত্তিগুলো যে কতটা দুর্বল ও অযৌক্তিক সেটা বোঝা যাবে বইটি পড়লেই। এছাড়া খ্রিস্টান মিশনারীরা ঈসায়ী তরিকার দাওয়াত দিতে আসলে কিভাবে তার জবাব দিতে হবে ও মোকাবেলা করতে হবে এ বিষয়েও বিভিন্ন কৌশল ও উদাহরণ দেখিয়েছেন তিনি। সর্বেশষ অধ্যায়ে স্যার রাহি. মুসলিমদের প্রতি একটি নিবেদন রেখেছেন। সেখানে তিনি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থামিয়ে মিশনারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন করেছেন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • কুরবানী ও জাবীহুল্লাহ

    01

    ⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

    ⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স

    ⦿ বিষয়: কুরবানী

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম এডিশন-২০১০খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৫৬ পৃষ্ঠা


    গত আগস্ট-২০১০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম সপ্তাহে কুরবানীর বিশুদ্ধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেব নারায়ণ মহেশ্বর। তিনি দাবি করেন যে, তাওরাত, যাবূর ও ইঞ্জিল বা “বাইবেলের” বক্তব্যের আলোকে ইসহাকই জাবীহুল্লাহ ছিলেন। কাজেই ইসমাঈলকে জাবীহুল্লাহ বলে যারা প্রচার করেন তারা সকলেই কাফির, জালিম ও ফাসিক। তিনি আইন করে এ বিষয়টিকে সংশোধন করার দাবি করেন। এ বিষয়ে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যার রচনা করেছেন “কুরবানী ও জাবীহুল্লাহ” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • হজ্জ্বের আধ্যাত্মিক শিক্ষা

    01

    ⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

    ⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স

    ⦿ বিষয়: হজ্জ এবং উমরাহ

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম এডিশন-২০১৮খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৪৮ পৃষ্ঠা


    হজ্জ সম্পর্কিত বাজারে বইয়ের কোন অভাব নাই। হজ্জ সম্পর্কিত প্রতিটি বইয়েই প্রায় হজ্জের নিয়ম কানুন অর্থাৎ হজ্জ কীভাবে করতে হবে? হজ্জে কি কি কাজ করতে হবে? কখন কোন দুয়া পড়তে হবে? এসব বিষয় নিয়ে লিখা হয়। কিন্তু ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “হজ্জ্বের আধ্যাত্মিক শিক্ষা” বইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের একটি বই। বইটিতে হজ্জের মূল শিক্ষা, কেন আমরা হজ্জ করব, হজ্জের উপকার কী এবং হজ্জের আধ্যত্মিক শিক্ষা কি কি, এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু বেসিক পরামর্শ, টিপসও দেয়া আছে বইটিতে, যা অন্য বইতে পাওয়া যায় না। বইটি দুটি ভাগ ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে হজ্জের গুরুত্ব, হজ্জ করার প্রয়োজনীয়তা, হজ্জের প্রয়োজনীয় উপকরন সংগ্রহ, হজ্জের প্রতিদান হিসাবে আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগে আত্মনিয়ন্ত্রনের বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে। আলোচিত হয়েছে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলের নানান উপকারিতা এবং দিক। নিজেকে অহংকারমুক্ত করা, অন্যের ভুল ক্ষমা করা, কষ্ট না দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দুআ করা এবং খুব বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এত বড় মাপের একজন আলেমের এমন সহজ সরল ভাষায় লেখা বইটি আসলেই প্রশংসার দাবীদার। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • ঈদে মিলাদুন্নবী

    01

    ⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

    ⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স

    ⦿ বিষয়: ঈদে মিলাদুন্নবী

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম এডিশন-২০১৮খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৪৮ পৃষ্ঠা


    আমাদের সমাজে যে সকল বিষয় নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে তার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী অন্যতম। আর এই দ্বন্দ এত প্রকট হয়েছে যে যার ফলে মুসলমান এখন দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর উম্মতের এই ক্রান্তিলগ্নে এই রকম একটি বই খুবই জরুরী। আশাকরা যায় বইটি অধ্যয়ন করলে উম্মতের মধ্যে যে দ্বন্দ রয়েছে তা নিরসন হবে। ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয়, তাহলে তাতে আমরা অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলো প্রতি সোমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানো। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমাদেরকে এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলো, সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাতে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন নবী ছিলেন, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল আলাইহিস সালাম এর বংশ, আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সোমবার দিন রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করা। যাইহোক, ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • শবে বরাত ফযিলত ও আমল

    01

    ⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

    ⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স

    ⦿ বিষয়: লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ২য় এডিশন-২০১৭খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৬৪ পৃষ্ঠা


    ফার্সী ভাষায় ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত বা রজনী। বরাত শব্দটি আরবী থেকে গৃহীত। বাংলায় ‘বরাত’ শব্দটি ‘ভাগ্য’ বা ‘সৌভাগ্য’ অর্থে ব্যবহৃত হলেও আরবীতে এ শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। আরবীতে ‘বারাআত’ শব্দটির অর্থ বিমুক্তি, সম্পর্কচ্ছিন্নতা, মুক্ত হওয়া, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া ইত্যাদি। ফার্সী ‘শবে বরাত’, আরবী ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘বিমুক্তির রজনী’ বলতে আরবী পঞ্জিকার ৮ম মাস, শা‘বান মাসের মধ্যম রজনী বুঝানো হয়। কুরআন ও হাদীসে কোথাও ‘লাইলাতুল বারাআত’ পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়নি। সাহাবী-তাবিয়ীগণের যুগেও এ পরিভাষাটির ব্যবহার জানা যায় না। এ রাতটিকে হাদীস শরীফে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান’ বা ‘মধ্য-শা‘বানের রজনী’ বলা হয়েছে। এই শবে বরাত বা “মধ্য-শা’বানের রাত”-এর মর্যাদা সম্পর্কে অনেক কথাই আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মুসলিমগণ এ রাতে বিশেষ ইবাদতে মগ্ন হয়ে পড়েন। মীলাদমাহফিল, ওয়ায-নসীহত, বিশেষ মুনাজাত, তাবারুক বিতরণ, কবর যিয়ারত ও বিশেষ সালাতে মুসল্লীরা মগ্ন থাকেন এ রাতে। কিন্তু এ রাতের ফযীলতে কথিত এ সকল বক্তব্য কতটুকু নির্ভরযোগ্য এবং এ রাতের বিশেষ ইবাদত কুরআনসুন্নাহর আলোকে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা গুরুত্বের দাবীদার তা নিয়ে আলিম সমাজে বিভিন্ন বক্তব্য ও মতভেদ রয়েছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে মুসলমানরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন এবং অনেক সময় গালাগালি ও শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। এ সকল মতভেদ ও মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ রাতের মর্যাদা ও এ রাতের করণীয় নির্ধারণ করা এ পুস্তিকাটি উদ্দেশ্য। পুস্তিকাটিতে মধ্য-শাবানের রাত্রির ফযীলত ও এ রাত্রে বা পরের দিনে পালনীয় বিশেষ ইবাদত সম্পর্কে উদ্ধৃত কুরআনের আয়াত ও মুফসিরগণের বক্তব্য আলোচনা করা হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে বর্ণিত ও প্রচলিত সকল হাদীস উদ্ধৃত করে সেগুলির গ্রহণযোগ্যতা, বিশুদ্ধতা বা অশুদ্ধতার বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের মতামত পর্যালোচনাও করা হয়েছে। এভাবে বইটি থেকে সামগ্রিক ভাবে এ রাতে মুসলিমের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলির সম্পর্কে সঠিক সীদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • মুমূর্ষু হতে কবর পর্যন্ত

    01

    ⦿ লেখক: উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান

    ⦿ প্রকাশনী: নিবরাস প্রকাশনী

    ⦿ বিষয়: পরকালের প্রস্তুতি

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম সংস্করণ-২০২০ খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৭৯ পৃষ্ঠা


    মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া সকল মুসলিম নর নারীর জন্য জরূরী। মৃত্যু হতে মানুষ পলায়ন করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যেখানেই থাক না কেন মরণ তোমাদের ধরবেই। (আন নিসাঃ ৭৮)। সুতরাং যার জন্ম আছে তার মৃত্যু নিশ্চিত এটা চিরন্তন সত্য। এ কথাটাকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু কেউ এটাকে মনে প্রনে বিশ্বাস করতে পারে না সে এখনই মারা যেতে পারে। এই কারণে সবাই মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারেনা। কিন্তু আমাদের উচিত সবসময় মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে থাকা। এ লক্ষ্যেই উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান রচনা করেছেন “মুমূর্ষু হতে কবর পর্যন্ত” নামক চমৎকার এই গ্রন্থটি। কিভাবে আমরা মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারবো তার বিস্তারিত আলোচনায় করা হয়েছে বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই

    01

    ⦿ লেখক: উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান

    ⦿ প্রকাশনী: নিবরাস প্রকাশনী

    ⦿ বিষয়: ইসলামে নারীর মর্যাদা

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ৩য় সংস্করণ-২০১৮ খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৪৮ পৃষ্ঠা


    আমাদের নানী, দাদীরা জানত না যে, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এগুলো কি? কারন তারা কখনো বাড়ির বাহিরে যেতেন না। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে পালকি, সাওয়ারী ও গরুর গাড়িতে কাপড় দ্বারা ঘিরে যেতেন। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরও বড় বড় ঘোমটা থাকত। কিন্তু সমঅধিকারের নামে বর্তমানে নারী সমাজের যে করুন অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। যারা সমঅধিকারের দিকে তাদেরকে ডাক দিয়েছে, তারা নারীদের কতটুকু মর্যাদা ও অধিকার দিতে পেরেছে? পেরেছে শুধু নগ্ন করতে। সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস ও কুলষিত করতে। আর নারীদের নগ্ন করে ঈমানদারের ঈনান হরন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল হয়েছে। সমঅধিকারের নামে তারা নারীদেরকে ঘর থেকে টেনে বের করে পুরুষদের বানিয়েছে উন্মাদ, ইভটিজার, আর নারীদের বানিয়েছে বাজারের পন্য, বিজ্ঞাপনের মডেল, ভোগের সামগ্রী। অথচ তারা যদি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতো, তার সংসার গুছিয়ে রাখত, মা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনে ব্যাপৃত থাকত, তাহলে তারা মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন থাকতো। কিন্তু আজ তারা সেই ইযযত-সম্মান, আদর স্নেহের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার। আর পুরুষদের জন্য হয়েছে পাপের দিশারি। মনে রাখতে হবে নারী হলো ঘরের রানী। আল্লাহর বিধাননের উপর কোনোকিছু টিকতে পারে না। তেমনি আল্লাহ যে মর্যাদা দেন তার চেয়ে বেশি অধিকার-মর্যাদা কেউ দিতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামকে উল্টিয়ে কেউ টিকতে পারেনা, যার দৃষ্টান্ত বর্তমানের নারীবাদীদের দিকে তাকালেই দেখতে পারি। নারীবাদীদের নাস্তিকতা মূলক সকল যুক্তি খন্ডন করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে “সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই” বইটিতে। আমি মনে করি এই বইটি নারী পুরুষ সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়লে সবাই তাদের মূর্খতা গুলো বুজতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বই থেকে কিছু উক্তিঃ দেশনেত্রী নয়, স্বামীর সংসারের নেত্রী হতে চাই। যৌতুক নয়, মহর চাই। পতিতা নয়, স্বামীর স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • মুহাম্মাদ (ছাঃ) ই সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল

    01

    ⦿ লেখক: আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক

    ⦿ প্রকাশনী: নিবরাস প্রকাশনী

    ⦿ বিষয়: সীরাতে রাসুল (ছাঃ)

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম সংস্করণ-২০১৬ খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ৪৮ পৃষ্ঠা


    মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই যে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল, তা এই বইটিতে কুরআন ও সহি হাদিছের মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ শাফায়াতে কুবরা; সকল নবীর ইমামতি; সালাফে ছালেহীন-এর ঐক্যমত; ইমাম আলবানী (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ)-এর মন্তব্য এবং শায়খ ছালেহ আল-উছাইমীন (রহঃ)-এর মন্তব্য। শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ-এর ফাতওয়া; ইমাম নববী (রহঃ)-এর ফাতওয়া; ইমাম রাযী (রহঃ)-এর বক্তব্য; শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু বায (রহঃ)-এর বক্তব্য ইত্যাদি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

  • কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জামাআত ও ঐক্য

    01

    ⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর

    ⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স

    ⦿ বিষয়: তাবলীগের সুন্নাহ পদ্ধতি

    ⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি

    ⦿ সংস্করণ: ১ম এডিশন-২০১৭খ্রি.

    ⦿ পৃষ্ঠা: ১৬ পৃষ্ঠা


    ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জামাআত ও ঐক্য” বইটিতে তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতিরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী বলতে হয়, “ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি।” তিনি আরও বলেছেন, “ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলোর সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলোর অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়।” তাঁর এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনো ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলোতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাঁদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনো বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন, এমন দৃষ্টান্ত কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহ) ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার তো দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালোবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তাঁর ছাত্র শাফে‘ঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফে‘ঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাঁদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিরাক তথা অনৈক্যের কারণগুলো খুঁজে সেগুলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারি। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা‘আলার কাছে দো‘আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরি করে দেন। আমীন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।

Main Menu