আরবী, ফারসী, উর্দু, বাংলা ও বিভিন্ন ভাষায় অনেক তাফসীর গ্রন্থ ইতিপূর্বে প্রকাশ পেয়েছে। যার পর তাফসীর গ্রন্থ লেখার আর তেমন কোন প্রয়োজন নেই বললেই চলে। এর পরেও কেন “তাওযীহুল কুরআন” নামক এই তাফসীর গ্রন্থটি লেখার প্রয়োজন হলো? এর মূল কারণ হলো অনেক তাফসীর গ্রন্থ ইতিপূর্বে প্রকাশ পেলেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রকাশিত এসব তাফসীর গ্রন্থের মধ্যে অনেক তাফসীর গ্রন্থই রয়েছে যা কুরআন ও ছহীহ-যঈফ হাদিছ যাচাই বাছাই ছাড়াই লেখা হয়েছে। প্রায় সব তাফসীর গ্রন্থের মধ্যেই জাল ও যঈফ হাদিছ এবং মিথ্যা বানোওয়াট কাহিনী থেকেই গেছে। এজন্য ছহীহ ও যঈফ যাচাই-বাছাই করা একটা তাফসীর গ্রন্থের একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সাধারন মানুষ এখন আর পিছিয়ে নেই, তাদের মধ্যেও কুরআনের অনুবাদ, কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানার ব্যাপক প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, কোন তাফসীর গ্রন্থটি কিনলে সবচেয়ে ভাল হবে? তাদের জন্যই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “তাওযীহুল কুরআন” নামক এই তাফসীর গ্রন্থটি। এই তাফসীর গ্রন্থটির মাধ্যমে উপকৃত হবে ছাত্র, শিক্ষক, বক্তা এবং সাধারন জনগণসহ সকলেই। ছাত্র-শিক্ষকের জন্য থাকবে শব্দ বিশ্লেষণ, বাক্য বিশ্লেষণ, আয়াতের মাধ্যমে তাফসীর এবং ছহীহ হাদিছের মাধ্যমে তাফসীর। আর সাধারণ জনগণের জন্য থাকবে আয়াতের মাধ্যমে তাফসীর এবং ছহীহ হাদিছের মাধ্যমে তাফসীর। তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে যাদের কুরআনিক আরবী গ্রামার নিয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে, তারাও এই গ্রন্থের শব্দ বিশ্লেষণ এবং বাক্য বিশ্লেষণ থেকে অনেক উপকৃত হবেন। ইনশাআল্লাহ। এর পাশাপাশি যঈফ হাদিছ সম্পর্কে অবগত হয়ে তা থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য এই তাফসীর গ্রন্থটির মধ্যে যঈফ হাদিছের একটা অংশও সংযুক্ত রয়েছে। আর সকলের জন্য রয়েছে মৌলিক লক্ষ্য হিসাবে একটি অবগতি। এই অবগতির মধ্যে রয়েছে কোন শব্দের পরিচয় অথবা আলোচনার মূল অংশ অথবা কোন মুফাসসীরের বিশেষ কোন আলোচনা। কুরআন বুঝার জন্য এই অবগতি অনেক কাজে আসবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি তাফসীর গ্রন্থ সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের সহি জ্ঞান শিক্ষা করা আমাদের সকলের জন্য ফরয। একমাত্র দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমেই নিজের ঈমান আমলকে পরিপক্ক করা সম্ভব। অন্যথায় যে যত বড়ই ডিগ্রী অর্জন করুক না কেন, তা দিয়ে কোন ক্রমেই নিজের ঈমান আমলকে পরিপক্ক করা সম্ভব নয়। আসলে আমাদের সমাজে এমন দ্বীনের জ্ঞান বিহীন বড় বড় সার্টিফিকেট ধারী শিক্ষিত মূর্খ লোকের কোন অভাব নেই। আল্লাহ হেফাজত করুক। আমিন। একজন মানুষ প্রকৃত শিক্ষিত হয় তখন, যখন সে সাধারন শিক্ষার সাথে সাথে কুরআন ও সহি সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করে। দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করার জন্য প্রয়োজন কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক বই পুস্তক। কিন্তু আমাদের সমাজে দ্বীনের জ্ঞানের নামে এখন যেসব বই পুস্তক পাওয়া যায় তার বেশিরভাগই মিথ্যা, জাল জয়িফ হাদিস ও কুরআনের মিথ্যা তাফসীরে পরিপূর্ণ। একারনে প্রয়োজন কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক বই পুস্তক। আর শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “উপদেশ” বইটি ঠিক তেমনি কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে দলীল সহ দ্বীনের জ্ঞানের একটা ভাণ্ডার। যা প্রকৃত জ্ঞান লাভের জন্য বিরাট ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য এমন একটি বই অপরিহার্য। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
‘স্টোরি অব বিগিনিং’ বইটা অসাধারণ একটি বই। পৃথিবী সৃষ্টির আগে গোটা জগত কেমন ছিল? এর সূচনা কীভাবে হলো? সৃষ্টির শুরুতে আমরা কোথায় ছিলাম? আদম আ.-এর সৃষ্টির আগে পৃথিবীটাই-বা কেমন ছিল? ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে জনপ্রিয় দা’ঈ ইলাল্লাহ ওমর সুলেইমান ‘The Beginning and The Ending’ শিরোনামে ৭০ পর্বের একটি সিরিজ বক্তব্য প্রদান করেন। ইবনে কাসিরের বিখ্যাত ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে এই সিরিজ বক্তব্য তিনি এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রাথমিকভাবে সৃষ্টির ইতিহাস প্রসঙ্গে আমরা যা জানি এবং এর বাইরে আরও যেসব বার্তা আছে, সেগুলোও ধারবাহিকভাবে আলোচনায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ করে হাশরের দিন, হাশরের দিন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, জান্নাত, জাহান্নামের বিষয়গুলো খুবই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কীভাবে মানুষ, বিশাল পৃথিবী, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল, ফেরেশতা, জিন, প্রাণিকুল সৃষ্টি হলো, সে প্রসঙ্গে অত্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়েছে। রাসূল ﷺ-এর জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে অনুপম ভঙ্গিতে। রাসূল ﷺ-এর ওফাতপরবর্তী শতাব্দীগুলোতে ঘটে যাওয়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; বিশেষত সেই শতাব্দীতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহের সাথে ইসলামের ইতিহাস কীভাবে আবর্তিত হলো, তাও আলোচিত হয়েছে। তার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে খুবই সাবলীল ভাষায় বর্তমান সময়টাকেও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম পরিমহলে “সালাফ” বলতে বোঝানো হয়, ইসলামের প্রথম তিন যুগের অনুসৃত ব্যক্তিগণকে। তাঁরা হলেন সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবিয়ী। স্বয়ং নবিজী ﷺ তাদেরকে সফলতার মানদন্ড হিসেবে নির্ধারন করবে দিয়েছেন। তাই দ্বীনের যে কোনো বিষয় শেখার জন্য আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে সালাফদের জীবনের আঙিনায়। সেই আঙিনায় গিয়ে, তাদের রঙে রাঙাতে হবে নিজের জীবনকে। সেইসব সালাফগণের চমকপ্রদ কিছু ঘটনাবলি দিয়েই সাজানো হয়েছে “সালাফদের জীবনকথা” নামের এই বইটি। মূল বইটির নাম “আইনা নাহনু মিন আখলাকিস সালাফ”। লেখক হলেন শাইখ আব্দুল আযীয এবং শাইখ বাহাউদ্দীন উকাইল। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন–মাসউদ আলিমী। বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে — সালাফগণ কীভাবে কথা বলতেন, কীভাবে হাসতেন, কীভাবে অপর ভাইয়ের ভুল শুধরে দিতেন। বইটিতে উঠে এসেছে- তাঁদের তাকওয়া ও তাযকিয়া, যুহুদ ও জিহাদ, ইলম ও আমল, আচার ও আখলাক, ধৈর্য,নেতৃত্ব ও আনুগত্য, ফিতনার মোকাবেলা ও সময়ের গুরুত্ব। আরও উঠে এসেছে তাদের সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, মুনাজাত ও ইবাদতের ধরন, মায়ের সেবা, রাজদরবারে প্রতি অনীহা, ভারসাম্যপূর্ন রসিকতা, ফাতওয়া প্রদানে সতর্কতাসহ গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয়। এরকম গুরুত্বপূর্ন মোট ২৬ টি শিরোনামে ২৯৩টি বাস্তব ঘটনা বইটিতে স্থান পেয়েছে। মোট কথা সালাফগণের সার্বিক জীবনপদ্ধতি কেমন ছিল- তার সারনির্যাস তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবনের সাথে কুরআনের সম্পর্কের বুনন তৈরির একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফসল এই বই। কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় আমাদের জীবনের অনুষঙ্গে, কীসব রত্নের আকর কুরআন আমাদের সামনে তুলে ধরে— সেসবের এক জীবনঘনিষ্ঠ রচনা। একটা গ্রন্থ গোটা একটা সভ্যতাকে বদলে দিয়েছে— এমন ঘটনা দুনিয়ায় আর একটাও নেই। কী আছে সেই কুরআনে যার স্পর্শে এলে মানুষেরা পাগলপারা হয়ে যায়? কী তার শক্তি যা আমূল বদলে দেয় মানুষের চিন্তাধারা, জীবনপদ্ধতিকে? কী আশ্চর্য তার ক্ষমতা যা শুনবার জন্যে চরম শত্রুরাও রাতের অন্ধকারে কান পেতে রাখতো? আগাগোড়া পাপে জর্জরিত একটা সভ্যতা এই কুরআনের সংস্পর্শে হয়ে উঠেছে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য। ব্যক্তিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়— সবখানে এই কুরআন ছিলো নিউক্লিয়াসের ভূমিকায়। অন্ধকারে ডুবে থাকা একটা সমাজকে এই কুরআন বানিয়েছে আলোর উৎস। পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে, দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে গেছে এই আলোর ঝলকানি। কুরআনের সাথে আমাদের জীবনের সম্পর্কটা সু-প্রাচীন। অবতীর্ণের প্রথম দিন থেকে কুরআন মানবজীবনে যতোখানি প্রাসঙ্গিক ছিলো, পৃথিবীর শেষ দিনটাতেও তা ততোখানিই প্রাসঙ্গিক থাকবে। মানবজীবনের সকল অনুষঙ্গ নিয়ে কুরআন কথা বলে, পথ দেখায়। কিন্তু, যে কুরআন একদা বদলে দিয়েছে পৃথিবীর গতিপথ, সেই কুরআন আজ কী নিদারুন অযত্নে পড়ে থাকে আমাদের শেলফের কোণায়। তার গায়ে ধুলোয় জমাট আস্তরন। যে কুরআন পাহাড়ে অবতীর্ণ হলে পাহাড় ধ্বসে যেতো, সেই কুরআন নিয়ে আজ আমাদের কী অবর্ণনীয় অবহেলা। আজ জীবনে আমরা সবকিছুকে স্থান দিয়েছি, সময় বের করেছি ছোট-বড় সমস্ত অনুষঙ্গের জন্যে, কিন্তু জীবনের জন্য যে কুরআনের আগমন, তার জন্যে আমাদের কোন ‘সময়’ নেই। কুরআনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মণি-মুক্তো। সেই মণি-মুক্তোর আকর থেকে কীভাবে আমরা তুলে আনবো প্রয়োজনীয় রসদ, কীভাবে ভাবনায় আনবো সমৃদ্ধি, চিন্তায় প্রখরতা এবং উপলব্ধিকে কীভাবে করে তুলবো মসৃণ আর জীবনোপোযোগি তার খানিকটা আভাস হাজির করার চেষ্টা করা হয়েছে ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইতে, আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
“পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আরবী, ফারসী, উর্দু, বাংলা ও বিভিন্ন ভাষায় অনেক তাফসীর গ্রন্থ ইতিপূর্বে প্রকাশ পেয়েছে। যার পর তাফসীর গ্রন্থ লেখার আর তেমন কোন প্রয়োজন নেই বললেই চলে। এর পরেও কেন “তাওযীহুল কুরআন” নামক এই তাফসীর গ্রন্থটি লেখার প্রয়োজন হলো? এর মূল কারণ হলো অনেক তাফসীর গ্রন্থ ইতিপূর্বে প্রকাশ পেলেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে, প্রকাশিত এসব তাফসীর গ্রন্থের মধ্যে অনেক তাফসীর গ্রন্থই রয়েছে যা কুরআন ও ছহীহ-যঈফ হাদিছ যাচাই বাছাই ছাড়াই লেখা হয়েছে। প্রায় সব তাফসীর গ্রন্থের মধ্যেই জাল ও যঈফ হাদিছ এবং মিথ্যা বানোওয়াট কাহিনী থেকেই গেছে। এজন্য ছহীহ ও যঈফ যাচাই-বাছাই করা একটা তাফসীর গ্রন্থের একান্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সাধারন মানুষ এখন আর পিছিয়ে নেই, তাদের মধ্যেও কুরআনের অনুবাদ, কুরআনের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানার ব্যাপক প্রবণতা সৃষ্টি হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা প্রশ্ন করে থাকেন যে, কোন তাফসীর গ্রন্থটি কিনলে সবচেয়ে ভাল হবে? তাদের জন্যই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “তাওযীহুল কুরআন” নামক এই তাফসীর গ্রন্থটি। এই তাফসীর গ্রন্থটির মাধ্যমে উপকৃত হবে ছাত্র, শিক্ষক, বক্তা এবং সাধারন জনগণসহ সকলেই। ছাত্র-শিক্ষকের জন্য থাকবে শব্দ বিশ্লেষণ, বাক্য বিশ্লেষণ, আয়াতের মাধ্যমে তাফসীর এবং ছহীহ হাদিছের মাধ্যমে তাফসীর। আর সাধারণ জনগণের জন্য থাকবে আয়াতের মাধ্যমে তাফসীর এবং ছহীহ হাদিছের মাধ্যমে তাফসীর। তবে সাধারণ জনগণের মধ্যে যাদের কুরআনিক আরবী গ্রামার নিয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে, তারাও এই গ্রন্থের শব্দ বিশ্লেষণ এবং বাক্য বিশ্লেষণ থেকে অনেক উপকৃত হবেন। ইনশাআল্লাহ। এর পাশাপাশি যঈফ হাদিছ সম্পর্কে অবগত হয়ে তা থেকে সতর্ক হওয়ার জন্য এই তাফসীর গ্রন্থটির মধ্যে যঈফ হাদিছের একটা অংশও সংযুক্ত রয়েছে। আর সকলের জন্য রয়েছে মৌলিক লক্ষ্য হিসাবে একটি অবগতি। এই অবগতির মধ্যে রয়েছে কোন শব্দের পরিচয় অথবা আলোচনার মূল অংশ অথবা কোন মুফাসসীরের বিশেষ কোন আলোচনা। কুরআন বুঝার জন্য এই অবগতি অনেক কাজে আসবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি তাফসীর গ্রন্থ সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
নাস্তিকদের বহু অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা সবাই। নাস্তিকরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ইসলামকে মিথ্যা বানানোর অপচেস্টা করে। আর নাস্তিকদের সেই সকল অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আলোকে গুছিয়ে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” নামক ব্যাপক জনপ্রিয় এই বইটি। কে এই সাজিদ? সাজিদ আরিফ আজাদের অনন্য এক সৃষ্টি। অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার কালো অন্ধকার থেকে যুক্তির আলোয় এক আলোকিত সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে যার জন্ম। যুক্তিতে মুক্তির সন্ধানকারী কিছু মুক্তমনারা এতটাই মুক্তমনার অধিকারী হয়ে যায় যে তাদের সেই মুক্তমনার নামে কালো পর্দা তাদের মনকে ছেয়ে যায়, অসীম এক সত্তার বাণী নিয়েই এই পর্দা ফুঁড়ে আলোকিত করার প্রয়াসেই সাজিদের সৃষ্টি। “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” বইটিতে অমুসলিম, নাস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে তাদের অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে প্রমানিত করা হয়েছে এবং দলিলের ভিত্তিতে সকল প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বইটি পড়লে আপনি যেই মতবাদে বিশ্বাসী হন না কেন, এক ভিন্ন স্বাদ পাবেন। গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাবও দেয়া হয়েছে এই বইটিতে। তাই সকল নাস্তিক, আস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের এই বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
রাসুল (সঃ) তার অন্তিম সময়েও যে বিষয়টির কথা বলেছেন তা হচ্ছে ছালাত। এ থেকেই বুঝা যায় যে একজন মুসলিম হিসবে সহি শুদ্ধভাবে ছালাত আদায় করার গুরুত্ব কত বেশি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আজকের মুসলিমরা যারা ছালাত আদায় করছে না তাদের কথা বাদই দিলাম, যারা নিয়মিত ছালাত আদায় করছেন তারাও ছালাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে অজ্ঞাত। বলতে গেলে রাসুল (সঃ) এর দেখানো পদ্ধতি অনুযায়ী ছালাত আদায় করা আমাদের সমাজ থেকে বিলুপ্তপ্রায়। সাধারণ মানুষের কাছে রাসুল (সঃ) এর সুন্নতি তরিকা অনুযায়ী ছালাত আদায়ের জ্ঞান না থাকার কারণে যে যার ইচ্ছেমত অথবা তাদের বাপ-দাদার আমল থেকে প্রচলিত ছালাতই আদায় করে যাচ্ছে। এর উপর আবার বাজারে আজকাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে জাল-যইফ হাদিস ভিত্তিক পাঞ্জেগানা ছালাত শিক্ষার অগনিত বই। যা অধ্যয়ন মুসলিমদের জন্য সঠিক দ্বীনি শিক্ষার ব্যাপারে আরও বেশি ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। মনে রাখতে হবে কিয়ামতের ময়দানে সর্বপ্রথম সালাতের হিসাব নেওয়া হবে। যার সালাত ঠিক থাকবে তার বাকি সব কিছুই ঠিক থাকবে, আর যার সালাত ঠিক থাকবে না তার কোন কিছুই ঠিক থাকবে না। সুতরাং এই ছালাত হতে হবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য এবং সম্পূর্ণরূপে রাসুল (সঃ) এর দেখানো তরীকা অনুযায়ী। তাহলে আশা করা যায় এই ছালাত কিয়ামতের ময়দানে আমাদের উপকার বয়ে আনবে। এজন্য বিশুদ্ধ ছালাত আদায় শিক্ষা করা আমাদের খুবই জরুরী। আর এই বিশুদ্ধ ছালাত আদায় শিক্ষার জন্য শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “রাসুল (সাঃ) এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত” বইটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ। বইটিতে পবিত্রতা থেকে শুরু করে ছালাতের যাবতীয় খুটিনাটি কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। সর্বমোট ১১টি অধ্যায় রয়েছে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ পবিত্রতার গুরত্ব, গোসল, পেশাব-পায়খানা থেকে পবিত্রতা, ওযুর সকল পদ্ধতি, তায়াম্মুমের সকল বিষয়ে আলোচনা, মসজিদ এর সকল বিষয়ে আলোচনা, রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত সম্পর্কে আলোচনা, পাঁচ ওয়াক্ত ছলাতের সুন্নাত ছালাতের বিবরণ, অন্যান্য সুন্নত ছালাতের বিবরণ যেমন- ইশরাক্বের ছালাত, তাহ্যিয়াতুল মসজিদ এর সলাত ইত্যাদি, তাহাজ্জুদ, তারাবী এবং বিতর সালাতের বিবরণ, সফরের সালাত আদায় এর বিবরণ, জুমআর ছালাতের বিস্তারিত আলোচনা, সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের সালাত সম্পর্কে আলোচনা, দুই ঈদের সালাতের বিবরণ এবং সর্বশেষ রয়েছে জানাযার ছালাত সংক্রান্ত সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য এমন একটি বই অপরিহার্য। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
“নবীজি ﷺ যেমন ছিলেন তিনি” বইটি গতানুগতিক কোনো সীরাতগ্রন্থ নয়। বইটিতে গৎবাঁধা স্টাইলে নবীজির জীবনের বর্ণনা দেয়া হয়নি । নবীজির জীবনের বিভিন্ন দিক সুন্দর, সহজবোধ্য, সুখপাঠ্য এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা হয়েছে। ড. আয়েয আল-কারনীর অতুলনীয় লেখনশৈলীর ফলেই বইটা হয়ে উঠেছে অনন্য ও অসাধারণ! বইটিতে স্থান পেয়েছে নবীজির ব্যক্তিজীবন। তার ধৈর্যধারণের পদ্ধতি, সহনশীলতা, বিনয়, আত্নত্যাগ, দয়ার পরিধি, বীরত্ব, একান্ত ইবাদাত, হাসি-কান্না ইত্যাদি। মোটকথা, বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে নবীজির সকাল-সন্ধ্যার ব্যক্তিজীবনের এক অন্যরকম উপাখ্যান। আমাদের নবীজি ছিলেন জীবন্ত কুরআন। কুরআনে যে বিষয়গুলো থিওরি আকারে আছে, নবীজির জীবনের দিকে তাকালে সেটাই জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ বইটিতে নবীজির ব্যক্তিজীবনের সেই অমূল্য দিকগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। নবীজির জীবনিকে নিজের জন্য ‘পাঠশালা’ বানিয়ে নিতে চাইলে অবশ্যই এই বইটা পড়তে হবে। বইটি যেকোনো সীরাত প্রেমিক পাঠকের হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করবে। আর বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুরসালিন নিলয়। বাংলা ভাষায় নবীজিকে নিয়ে এ বইটি একটি নতুন সংযোজন। সম্পূর্ন ভিন্ন ধাঁচের একটি বই। নবীজিকে একদম শুরু থেকে কেউ জানতে চাইলে, চিনতে চাইলে এ বইটা অবশ্যই পড়া উচিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইতিপূর্বেই “পড়ো” সিরিজের “পড়ো-১” এবং “পড়ো-২” পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার প্রকাশিত হলো এই সিরিজের ৩য় খন্ড “পড়ো-৩”। আগের খণ্ডগুলো যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ৩য় খণ্ড আরও চমৎকার হবে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” সিরিজের প্রথম খন্ড যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ২য় খণ্ড আরও চমৎকার হবে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবন যেখানে যেমন বইটি নিরেট গল্পের একটি বই। তবে কেবল গল্পের বই বলে একে মূল্যায়নের কোন সুযোগ নেই। কারণ গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক তার পাঠকদের জন্য রেখে গিয়েছেন চিন্তার কিছু খোরাক। পাঠকের ভাবুক মন যদি সেগুলোয় নিবিষ্ট হয়, তবে আমরা আশা করতে পারি যে, গল্পের পাশাপাশি তারা জীবনের কিছু উপকারী পাঠ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনীশক্তির মুন্সিয়ানায় গল্পগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এ কারণে প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে সুখপাঠের এক বিশাল আধার। এ বইতে পাঠকসমাজ নতুন এক আরিফ আজাদকে আবিষ্কার করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। জীবন যেখানে যেমন বইটি এমন কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ গল্প শোনাবে, যা আপনার আমার সবার জীবনের গল্প। কিন্তু অবচেতন মনে সেগুলো আমরা এড়িয়ে চলি। গল্পগুলো আমাদের ভাবাবে। জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। উদ্বুদ্ধ করবে জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলো নতুন করে গড়তে। জাগতিক ব্যস্ততার জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া হৃদয়ে ঘটাবে নতুন জীবনের সঞ্চার। এমন কিছু গল্পও এবার থাকবে, যেগুলো আমরা চাই না কারও জীবনে আসুক। তবে প্রতিটি গল্পই আমাদের বাধ্য করবে থমকে দাঁড়াতে, কতোবার যে চোখযুগল ঝাপসা হয়ে আসবে ইয়াত্তা নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধান প্রতিপালনের জন্য ওহির দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ হাদীস ও সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। বস্তুত ইসলামি শরীআতের খুঁটিনাটি বিধান জানার ক্ষেত্রে কুরআনের চেয়ে হাদীস বা সুন্নাহর উপরেই আমাদের নির্ভরতা বেশি। কুরআনে সাধারণত মূলনীতি বা মূল নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিশদ বিবরণ ও বিস্তারিত বিধানাবলি জানার জন্য হাদীসের উপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো গতি নেই। এই গুরুত্ব বিবেচনায় মুসলিম মনীষীগণ বিভিন্ন বিন্যাসে হাদীস ও সুন্নাহর বিভিন্ন সংকলন প্রস্তুত করেছেন। আল্লামা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান (রহিমাহুল্লাহ) সেসব মূল কিতাব থেকে হাদীস চয়ন করে দীনের মূলনীতি, শাখাগত বিধিবিধান, উৎসাহপ্রদান ও সতর্কীকরণ, তাযকিয়া-ইহসান এবং দুআ ও যিকির ইত্যাদি বিষয়ে ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার নামে সুবিন্যাস্ত মূল্যবান এই সংকলনটি তিনি রচনা করেছেন। “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থটি মূলত তারই রচিত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস সংকলন। হাদীসভিত্তিক ফিকহি এই গ্রন্থে লেখক মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের ইসলামি বিধানসমূহ সংকলন ও উপস্থাপন করেছেন সহীহ হাদীসের দলীলসহ। ফলে ফিকহি মাসআলা সংক্রান্ত হাদীস খুঁজতে এ গ্রন্থটি খুবই সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। মুফতি সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারাকাতি (রহিমাহুল্লাহ) ছিলেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সর্বপ্রথম খতীব (১৯৬৪-১৯৭৪) ও বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ ও মুফতি এবং বহু উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী গ্রন্থের রচিয়তা ও সংকলক। লেখক ১৯৬৪ সালে জাতীয় বাইতুল মুকাররম প্রতিষ্ঠার পর মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে তিনি সেই মসজিদের খতীব হিসেবে নিযুক্ত হন ও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সেই খেদমতে বহাল থাকেন। তার লেখনী থেকে জানা যায়, তিনি কমপক্ষে পঁচিশবার সহীহ বুখারি কিতাবটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠদান করেছেন। ইসলামী সেবায় ও দাওয়াতি কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে তাকে মরণোত্তর স্বর্ণপদক ও সনদ দান করেন। যাইহোক, বাঙালি পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ উপস্থাপন করেছেন স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তিনি কিছু টীকাও এতে উল্লেখ করেছেন। কিতাবটির রয়েছে সর্বমোট তিনটি খন্ড এবং ৪৬টি অধ্যায়। তৃতীয় বা শেষ খণ্ডে আলোচিত হয়েছে জিহাদ, খিলাফাত, ব্যবসা, মুদারাবা, কুরবানী, ইহসান ইত্যাদি বিষয়ক সর্বমোট ৮৪৮ টা হাদীস (১৮৬২ থেকে ২৭১০ পর্যন্ত)। আমরা আশা করি, বাংলাভাষায় হাদীসচর্চা, হাদীসভিত্তিক তুলনামূলক ফিকহ ও হানাফি ফিকহের দালিলিক চর্চায় গ্রন্থটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধান প্রতিপালনের জন্য ওহির দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ হাদীস ও সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। বস্তুত ইসলামি শরীআতের খুঁটিনাটি বিধান জানার ক্ষেত্রে কুরআনের চেয়ে হাদীস বা সুন্নাহর উপরেই আমাদের নির্ভরতা বেশি। কুরআনে সাধারণত মূলনীতি বা মূল নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিশদ বিবরণ ও বিস্তারিত বিধানাবলি জানার জন্য হাদীসের উপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো গতি নেই। এই গুরুত্ব বিবেচনায় মুসলিম মনীষীগণ বিভিন্ন বিন্যাসে হাদীস ও সুন্নাহর বিভিন্ন সংকলন প্রস্তুত করেছেন। আল্লামা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান (রহিমাহুল্লাহ) সেসব মূল কিতাব থেকে হাদীস চয়ন করে দীনের মূলনীতি, শাখাগত বিধিবিধান, উৎসাহপ্রদান ও সতর্কীকরণ, তাযকিয়া-ইহসান এবং দুআ ও যিকির ইত্যাদি বিষয়ে ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার নামে সুবিন্যাস্ত মূল্যবান এই সংকলনটি তিনি রচনা করেছেন। “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থটি মূলত তারই রচিত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস সংকলন। হাদীসভিত্তিক ফিকহি এই গ্রন্থে লেখক মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের ইসলামি বিধানসমূহ সংকলন ও উপস্থাপন করেছেন সহীহ হাদীসের দলীলসহ। ফলে ফিকহি মাসআলা সংক্রান্ত হাদীস খুঁজতে এ গ্রন্থটি খুবই সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। মুফতি সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারাকাতি (রহিমাহুল্লাহ) ছিলেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সর্বপ্রথম খতীব (১৯৬৪-১৯৭৪) ও বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ ও মুফতি এবং বহু উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী গ্রন্থের রচিয়তা ও সংকলক। লেখক ১৯৬৪ সালে জাতীয় বাইতুল মুকাররম প্রতিষ্ঠার পর মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে তিনি সেই মসজিদের খতীব হিসেবে নিযুক্ত হন ও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সেই খেদমতে বহাল থাকেন। তার লেখনী থেকে জানা যায়, তিনি কমপক্ষে পঁচিশবার সহীহ বুখারি কিতাবটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠদান করেছেন। ইসলামী সেবায় ও দাওয়াতি কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে তাকে মরণোত্তর স্বর্ণপদক ও সনদ দান করেন। যাইহোক, বাঙালি পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ উপস্থাপন করেছেন স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তিনি কিছু টীকাও এতে উল্লেখ করেছেন। কিতাবটির রয়েছে সর্বমোট তিনটি খন্ড এবং ৪৬টি অধ্যায়। দ্বিতীয় খণ্ডে আলোচিত হয়েছে সালাতুল জুমআ, দুই ঈদের সালাত,সূর্য গ্রহণের সালাত, বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত, ভীতিকালীন সালাত, অসুস্থ ব্যক্তির সালাত, চিকিৎসা ও ঝাড়ফুক, মৃত্যু ও জানায, যাকাত, হজ্জ বিষয়ক সর্বমোট ৯১৪ টা হাদীস (৯৪৭ থেকে ১৮৬১ পর্যন্ত)। আমরা আশা করি, বাংলাভাষায় হাদীসচর্চা, হাদীসভিত্তিক তুলনামূলক ফিকহ ও হানাফি ফিকহের দালিলিক চর্চায় গ্রন্থটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“সবর” বইটি অসাধারণ। লেখক সমগ্র বইতেই যেন নিজের অসামান্য ইলমি যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। যখন সবরের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য নিয়ে লিখেছেন তখন মনে হয়েছে সবর এর চেয়ে উত্তম আর কোন আমলই হতে পারেনা। আবার, যখন শোকরের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আলোকপাত করেছেন তখন মনে হয়েছে সবকিছুই তো শোকরের উপর নির্ভরশীল। যখন সমন্বয় করেছেন, তখন আলোচ্য বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে। লেখক যখন সবরের বিভিন্ন ধরন, উত্তম সবর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছেন তখন এত স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলোচ্য বিষয়ের অবতারণা করেছেন যে সব শ্রেণীর পাঠকেরই উক্ত বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা এসে যাবে। ইনশাআল্লাহ। ঠিক তেমনিভাবে শোকর নিয়ে যখন আলোচনা করেছেন তখনও পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছেন। কুরআন হাদিস থেকে এত এত দলীল এত প্রামাণ্যভাবে লেখক উপস্থাপন করতে পারঙ্গম যে পাঠকমাত্রই বিমোহিত হবেন। বইয়ের দুইটি কোতূহলীদ্দীপক আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে। একটি হচ্ছেঃ কে বেশি শ্রেষ্ঠ, ধৈর্যশীল গরীব নাকি কৃতজ্ঞ ধনী – এই বিতর্ক নিয়ে আলোচনা। দ্বিপাক্ষিক বিতর্কের স্টাইলে করা এসব আলোচনার মাধ্যমে আবারও লেখক নিজের পান্ডিত্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। যখন ধৈর্যশীল গরীব লোকের শ্রেষ্টত্বের কথা আলোচনা করেছেন তখন এত এত দলীল এনেছেন যে আমি ভেবেছি দ্বিতীয় দলের শ্রেষ্ঠ হওয়ার কোন সুযোগই নেই। আবার যখন কৃতজ্ঞ ধনী ব্যক্তির শ্রেষ্টত্বের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন তখন মনে হয়েছে তারাইতো শ্রেষ্ঠ। কুরআন, হাদিসের পাশাপাশি সালাফদের আমলও বাদ যায়নি লেখকের বিস্তারিত আলোচনা থেকে। শেষমেষ লেখক এই আলোচনার শিক্ষা টেনে অসম্ভব সুন্দরভাবে আলোচনার সমাপ্তি টেনেছেন। ঠিক তেমনিভাবে, সবর নাকি শোকর কোনটা উত্তম এ বিতর্কেরও পর্দা টেনেছেন লেখক এই বইয়ে। সবর এবং শোকর দুটিই তো আল্লাহর পছন্দনীয় গুণ। কিন্তু, উত্তম কোনটা? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
এই বইয়ে নবীজীর নবুওয়াতের পূর্ববর্তী জীবনের এমন এমন তথ্য আছে, সেগুলো হয়তো আমরা জানতাম না। এমন বই আমাদের দেশে খুবই কম। তরুন নবীজীর সততা, কর্মে মুগ্ধ হয়ে মক্কাবাসী তাকে “আল আমিন” (বিশ্বস্ত, সত্যবাদী) উপাধিতে ভূষিত করেন, তখন তিনি নবী ছিলেন না। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “রাসূলের মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য ভালো ভালো উদাহরন”। তিনি শিশু ছিলেন, খেলাধুলা করেছেন, মরুভূমিতে দৌড়াদৌড়ি করেছেন-শিশুরা যেনো এটা কল্পনাই করতে পারে না। তিনি কিশোর ছিলেন, সততার সাহায্যে চাচার সাথে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ব্যবসা করেছেন, নিন্দনীয়-খারাপ কাজ থেকে ছেটোথেকেই বিরত ছিলেন, তার পূর্বপুরুষদের মতো সমাজে নিজের কর্মের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছোটথেকেই স্মার্ট হয়ে ওঠার সুনিপুণ গল্পগুলো লেখক এই বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আধুনিক যুগের বিশ্বাসী মানুষরা কীভাবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের সাথে হৃদয়ের কথা উপস্থাপন করে? কীভাবে আমরা একটা সৌহাদ্যপূর্ণ, পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তুলতে পারি? আজকের দিনে উম্মাহ যেসব বড়ো বড়ো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সেগুলোকে কীভাবে আমরা সামলিয়ে নিতে পারি? এসব প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুঁজে পাব- উস্তাদ নুমান আলী খানের এই সংকলিত গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ্। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে এমনসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে যা মুমিন চরিত্র সংশোধনের জন্য সহায়ক। কিছু না কিছু নাসিহার মাধ্যমে মুমিন হৃদয়ে নিভতে থাকা ঈমানের প্রদীপ শিখাকে পুনরায় জ্বালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কুরআনকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে লক্ষ লক্ষ বই। যে বইগুলোর মাধ্যমে পবিত্র কুরআনকে আরো বেশি উপলব্ধি করা যায়, কুরআনের দিকে ছুটে যেতে আরো অনুপ্রেরনা যোগায়, কুরআনের সাথে হৃদয়ের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। তেমনই একটা বই হচ্ছে শাইখ ইবরাহীম আস সাকরান রচিত “কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা”। বইটিতে কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান বের করার প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করা উচিত, কুরআনের কথা থেকে কিভাবে শিক্ষা নেয়া উচিত এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে বইটিতে। ঈমানের অর্থ, আখিরাতের স্মরণ, আল্লাহর ভয়, হৃদয়ের কাঠিন্য, পার্থিব পেশা, ফজরের সালাতের গুরুত্ব, সালাতকে জীবনে প্রতিষ্ঠা, তাহাজ্জুদ নিয়ে হৃদয় বিগলিত আলোচনা, নিফাকের পরিচয়, আল্লাহর পরিচয়, তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব, শক্তিমান বান্দা হওয়ার উপায়, ঈমানের সর্বোচ্চ স্তরে আরোহনের উপায় ও সবশেষে অন্যের গুনাহের দায়ভার গ্রহনের কারন সম্পর্কে হৃদয়গ্রাহী আলোচনা রয়েছে বইটিতে। মোটকথা লেখক তার চিন্তা গবেষনার সার নির্যাস তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। বইটি পাঠকের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে; কুরআনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছে – আব্দুল্লাহ মজুমদার। তার অনুবাদের হাত বরাবরই প্রশংসনীয়, সাবলীল এবং প্রাঞ্জল। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কে এই আরজ আলী? আরজ আলী হচ্ছে বাংলাদেশের নাস্তিকতা-জগতে একটি পরম শ্রদ্ধেয়, উচ্চারিত এবং বহুলপ্রচারিত নাম। যার পূর্ণ নাম “আরজ আলী মাতুব্বর”। যিনি জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে কোন শিক্ষা তার না থাকলেও নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানা যায়। লোকমুখে শুনা যায় ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন ধর্মের বিরুদ্ধে। এই বিতৃষ্ণা থেকে উনি ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি, প্রশ্ন এবং সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন, যেগুলো নাস্তিকসমাজেও বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। উনি প্রশ্ন করেছেন ধর্ম নিয়ে, ঈশ্বর নিয়ে, আত্মা, পরকাল, প্রকৃতি নিয়ে। ধর্মের সাথে দর্শন আর বিজ্ঞানের অসামঞ্জস্য নিয়েও করেছেন বিস্তর আলোচনা। বাংলা নাস্তিকসমাজের পুরোধা এই লোকের লিখিত বইয়ের জবাব হিসেবে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “আরজ আলী সমীপে” বইটি। যেখানে তিনি আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিয়েছেনই, সাথে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্নও। এই বইয়ের ‘বিবিধ’ অংশটা লেখক আরিফ আজাদ অতি যত্নসহকারে লিখেছেন। বিবর্তনবাদ নিয়ে যে কেউ পড়াশুনা করতে গেলে এই অধ্যায়টা তার জন্য বেশ কাজে দেবে। কত ভুলভাল জল্পনা-কল্পনা আর জগাখিচুরির মিশেলে যে বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন, আর করে যাচ্ছেন; আর কত অসৎ উপায় যে অবলম্বন করে চলেছেন – ব্যাপারগুলো সত্যি শিউরে ওঠার মতো। আরজ আলী সাহেব সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার কে মূল ইসলামভেবে প্রশ্ন করেছেন। অথচ অধিকাংশ প্রচলিত কুসংস্কারের সাথে কুরআন হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই। লেখক আরিফ আজাদ আসলে অতি ভদ্র ভাষায় ধবলধোলাই করেছেন আরজ আলীকে। নাস্তিকতার বিপক্ষে, আস্তিকতার পক্ষে বইটি একটি শক্তিশালী দলিল হিসেবেই কাজ করবে। আরজ আলী সাহেব কী ভুল করেছেন, উনার প্রশ্নের সোর্স কতটুকু সত্য? উনি কি আদতে সত্যের সন্ধান করেছেন? তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর মিলবে “আরজ আলী সমীপে” বইটি থেকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“মা, মা, মা, এবং বাবা” বইটি টুকরো টুকরো কিছু গল্প দিয়ে সাজানো। গল্পগুলো আমাদের সমাজ থেকেই উঠে আসা। গল্পগুলোর উদ্দেশ্য হলো, বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। যেসব সন্তান বাবা মায়ের প্রতি উদাসীন, বয়স্ক বাবা মায়ের প্রতি যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছে, আমার মনে হয় – বইটি যদি তারা একবার পড়ে, তাহলে বাবা মায়ের প্রতি তারা এমন অনুগত হয়ে যাবে, যা তারা কখনো কল্পনাও করেনি। যেসব সন্তানদের অন্তর বাবা মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসায় পরিপূর্ন, তাদের বইটি সেই সুসংবাদ ও জানিয়ে দিবে, যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জানিয়েছেন। জন্মের পরপর প্রত্যেকটি মানবশিশু থাকে খুবই অসহায়। সেই অসহায় অবস্থায় আমাদের লালন পালন করে বড় করে তোলেন আমাদের বাবা মা, জীবনের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আমাদেরকে আগলে রাখেন তারা। আমাদের জন্ম, শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের গল্পে তারাই থাকেন মূল ভুমিকায়। কিন্তু, বড় হওয়ার সাথে সাথে কিছু সন্তান হয়ে ওঠে অকৃতজ্ঞ, যারা দুনিয়ার লোভে পড়ে বাবা মাকে ভুলে যায়। আবার এমন কিছু সৌভাগ্যবান সন্তান ও আছে, যারা সবকিছুর বিনিময়ে বাবা মাকে আগলে রাখে, ভালবাসে, যেভাবে শৈশবে তাদেরকে আগলে রেখেছিলেন তাদের পিতা মাতা। বইটিতে আছে কিছু সৌভাগ্যবান সন্তানের গল্প, আরো আছে কিছু অবাধ্য সন্তানের গল্প। অবাধ্য সন্তানদের পরিণতি কেমন হয় তাও আছে এই বইতে। বইটির শেষে আছে কুরআন ও হাদীস থেকে নেয়া কিছু ঘটনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বক্ষ্যমাণ এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনামূলক একটি গ্রন্থ। এতে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। সাথে কয়েকটি সুমধুর কবিতাংশ ও হৃদয়গ্রাহী বেশকিছু বাণী সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই বইটি রচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বইটি ইমাম আবু হানিফা (রাহি:) জীবন ও কর্ম সম্পর্কে লিখিত। তবে বইটিতে ইমাম আবু হানিফা (রাহি:) সম্পর্কে যেসমস্ত ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলোর সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফার রচিত অনেকগুলো গ্রন্থের মধ্যে কিতাবুল আসার ও আল ফিকহুল আকবার প্রধানতম। বইটি অর্ডার করুণ…।
“পড়ো” অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ। ইতিপূর্বেই এই সিরিজটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার প্রকাশিত হলো এই সিরিজের ৪র্থ খন্ড “পড়ো-৪”। আগের খণ্ডগুলো যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ৪র্থ খণ্ড আরও চমৎকার হবে। মূলত “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ইসলামে যারা প্রত্যার্বতন করে তাদের গল্পগুলো সবসময়ই চাঞ্চল্যকর! সবার আগে তারা লড়াই করে নিজ সত্তার সাথে। নিজের সাথে সকল বোঝাপড়া সেরে যখন সে সত্যকে আলিঙ্গনের জন্য অগ্রসর হয়, তখন তার সামনে পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার, সমাজ, পরিবেশ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সকলেই। সকল বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে একদিন সে আশ্রয় নেয় শাশ্বত সেই সত্যের বুকে। তার এই সংগ্রাম, এই ত্যাগ আর তিতিক্ষার উপাখ্যানগুলোকে যদি কাছ থেকে উপলব্ধি করা না যায়, তবে সেগুলোকে আমাদের কাছে মনে হবে যেন নিছক একটা রূপকথা। হ্যাঁ সেগুলো রূপকথাই বটে, তবে সত্যের চাদরে মোড়ানো এক চিরবাস্তব রূপকথা, যেখানে নেই কোন মিথ্যার ছিটেফোঁটা। ‘প্রত্যার্বতন’ সিরিজের প্রথম বইটিতে মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা কিন্তু ব্যক্তিজীবনে নিজের দ্বীন ইসলাম সর্ম্পকে উদাসীন হয়ে পড়া এমন মানুষদের দ্বীনে ফিরে আসার গল্প নিয়ে সংকলিত হয়েছিল। কীভাবে তারা নিজেদের জীবনে আবার দ্বীনের গুরুত্ব, আল্লাহর দিকে নিজেকে মেলে ধরার তাড়না অনুভব করেছেন সেই গল্পগুলোই প্রাধান্য পেয়েছিল বইটিতে। বইটির গল্পগুলো অনেক মানুষের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আলহামদুলিল্লাহ। সেই ধারাবাহিকতায় সংকলন করা হয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় বই “প্রত্যাবর্তন-২”। “প্রত্যাবর্তন” বইটির সাথে “প্রত্যাবর্তন-২”-বইটির পার্থক্য হচ্ছেঃ “প্রত্যাবর্তন” বইটিতে মুসলিম পরিবারে বড় হওয়া কিন্তু একপর্যায়ে দ্বীনবিমুখ হয়ে পড়া মানুষগুলোর গল্প সংকলন করা হয়েছে। আর “প্রত্যাবর্তন-২” বইটিতে এমন কিছু সাহসী মানুষের গল্প সংকলন করা হয়েছে, যারা সর্ম্পূণ ভিন্ন একটা র্ধম অর্থাৎ খ্রষ্টির্ধম থেকে কীভাবে ইসলামের আলো খুঁজে পেলেন, কীভাবে গির্জার ঘণ্টা ছেড়ে তারা আপন করে নিলেন আযানের ধ্বনি। একটা ভিন্ন র্ধম থেকে অন্য একটা র্ধমে নিজেকে নিয়ে আসাটা বরাবরই চ্যালেঞ্জের। কীভাবে সেই চ্যালঞ্জেকে বুক পেতে নিয়েছিলেন এই মানুষগুলো— তাদের সেই মহান ঘটনাবলিই সংকলিত হয়েছে “প্রত্যাবর্তন-২” বইটিতে। বইটিতে দ্বীনে ফেরা’র গল্প রয়েছে যাদের, তারা হচ্ছেন: ১। ফিলিপাইনের এক সম্ভ্রান্ত মিশনারি, প্রফেসর খাদিজা ওয়াটসনের ২। মিউজিক মিনিস্টার ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারক, চ্যাপলেইন ইউসুফ এস্টেসের ৩। আফ্রিকান খ্রিষ্টান মিশনারি ও মিশরীয় যাজক, ইসহাক হেলাল মাসিহার ৪। পাইয়োনিয়ার মিনিস্টার, জিহোভা’স উইটনেস, রাফায়েল নারবেজের ৫। মিশনারি আর্চবিশপ, রেভারেন্ড ডেভিড বেনজামিন কেলডানির ৬। ইউনাইটেড মেথোডিস্ট চার্চ মিনিস্টার, ড. জেরাল্ড এফ ডার্কসের ৭। শ্রীলঙ্কান ক্যাথোলিক যাজক, ফাদার জর্জ অ্যান্থনির ৮। মিশরীয় কপটিক যাজক, ইবরাহিম খলিল আহমাদের ৯। রাশান আর্চপ্রিস্ট, ভিয়াচাস্লাভ পোলোসিনের ১০। লুথারান আর্চবিশপ, তানজানিয়া, মারটিন জন মুয়াইপোপোর ১১। ডাচ বংশোদ্ভূত ইন্দোনেশিয়ান যাজক, রহমত পূর্ণোমোর ১২। ফরাসি যাজক, জিন ম্যারি ডাচম্যানের ১৩। ঘানার এক প্রাক্তন মিশনারি ও যাজকের ১৪। মিশরীয় ডিকন বা উপ-যাজক, ডক্টর ওয়াদি আহমাদের ১৫। জার্মান কূটনীতিবিদ ও সমাজকর্মী, মুহাম্মাদ আমান হোবমের। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কুরআনুল কারিমের অন্যতম একটি সূরা, কালজয়ী উপাখ্যান, সর্বশ্রেষ্ঠ গল্প- সূরা ইউসুফের সহজ-সরল মর্মবাণী, সংক্ষিপ্ত তাফসির ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা নিয়ে লেখক মিজানুর রহমান আজহারি রচনা করেছেন “রিফ্লেকশন ফ্রম সূরা ইউসুফ” নামক বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘিরে ফ্রান্স সরকারের দৃষ্টতা এবং নগ্ন আচরণের বিরুদ্ধে পুরো মুসলিম উম্মাহ প্রতিবাদমুখর হয়েছিল। যারা চক্রান্ত করে এই উম্মাহকে নবী-জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়, তাদের জন্য “নবী জীবনের গল্প” বইটি আরিফ আজাদের এক লিখিত প্রতিবাদ। বইটিতে তিনি ২১টি গল্পের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী তুলে ধরেছেন। নবী জীবনের প্রতিটি পঙক্তি মধুময় হয়ে আছে নানা ঘটনার মাধূর্যে। বড় অমূল্য সেই মুহূর্তগুলো। লেখক আরিফ আজাদ তার নিপুণ গল্পশৈলির মাধ্যমে গল্পে গল্পে তিনি দেখিয়েছেন- ঘরে-বাইরে, মসজিদ-মজলিসে, সাহাবিদের সাথে, মক্কা-মদিনার অলিগলিতে, সাহাবিদের ঘরদোরে, শক্ত চাটাইয়ে, প্রিয়তমা স্ত্রীদের সাথে এবং নিশি জাগরণে রবের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কেমন ছিলেন মুসলিম উম্মাহর নয়নের মনি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বইটিতে জন্ম থেকে শুরু করে শারীরিক গড়ন, জীবন গঠনের দিকনির্দেশনাবলি- সবকিছুই স্বমহিমায় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন প্রিয় লেখক। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামের অন্যতম ফরয আইন ও পাঁচ স্তম্ভের তৃতীয় স্তম্ভ হচ্ছে যাকাত। যাকাত বিধানের অন্যতম দিক হলো ফল-ফসল বা কৃষি উৎপাদনের যাকাত প্রদান। আমাদের দেশে ইসলামের এই অন্যতম ফরয ইবাদত ও রুকনটি অবহেলিত। পালন তো দূরের কথা বরং এর গুরুত্ব ও বিধান সম্পর্কেও অধিকাংশ ধার্মিক মুসলিম অসচেতন। সমাজের ইসলাম বিরোধী চিন্তা চেতনা ও কর্মকাণ্ড দূর করা ও পরিপূর্ণ ইসলামী অনুশাসন প্রতিষ্ঠা করাই আলেম সমাজের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। এই কর্তব্যবোধের প্রেরণা থেকেই ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) এই বইটি রচনা করেছেন। এই বইয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উশর বা ফসলের যাকাত প্রদানের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, নিয়ম ও বিধিবিধান বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছেন। প্রসঙ্গত যাকাতের অন্যান্য সাধারণ কিছু বিধিবিধানও আলোচনা করেছেন। আশা করি মহান আল্লাহ দয়া করে তাঁর এই প্রচেষ্টা কবুল করবেন এবং এই বইটির ওসীলায় বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে এই অবহেলিত বা মৃতপ্রায় ফরয ইবাদতটি পুনরুজ্জীবিত ও প্রতিষ্ঠিত করবেন। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) ছিলেন সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন এবং বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তার উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনুল কারীমের আয়াত ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস দিয়ে উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে কখনোই কাউকে আক্রমণ করতেন না এবং ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রেখে যাওয়া প্রশ্নোত্তর, যা এক অমূল্য সম্পদ। এই অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আর “জিজ্ঞাসা ও জবাব” গ্রন্থটি তেমনি একটা সংরক্ষিত গ্রন্থ যাতে রয়েছে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের কাছে জিজ্ঞাসিত জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। যে প্রশ্নের উত্তরগুলো একজন মুসলিম হিসেবে যেনে রাখা অতীব জরুরী প্রয়োজন। গ্রন্থটি সর্বমোট ৫টি খন্ডে বিভক্ত। ২য় খন্ড থেকে কয়েকটি প্রশ্ন এখানে উল্লেখ করা হলোঃ-
নং
২য় খন্ডে উল্লেখিত কিছু প্রশ্ন
১
রিযক, জন্ম, মৃত্যু এবং বিয়ে এগুলো কি নির্ধারিত থাকে?
২
তাবীয দেওয়াতে কোন পাপ হবে কি না?
৩
মাযারে সিজদা করা জায়েজ আছে কিনা?
৪
পানির ব্যবস্থা থাকলে কুলুখ ব্যাবহার করার প্রয়োজন আছে কি?
৫
ওজু ছাড়া জিকর করলে গুনাহ হবে কি?
৬
নামায না পড়লে কি জান্নাতে যাওয়া সম্ভব?
৭
নামাযের সময় শার্টের হাতা গুটিয়ে রাখা যাবে কিনা?
৮
নামায শেষে হাত তুলে মুনাজাত করা যাবে কিনা?
৯
তাহাজ্জুদের নামাযের দুয়াগুলো বাংলায় বলা যাবে কিনা?
১০
জানাজার নামাযে কি জুতা খুলে দাঁড়াতে হবে, নাকি জুতা পড়ে?
এমন গুরুত্বপূর্ণ সর্বমোট ১৯৩টি জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্নোত্তর সংরক্ষিত রয়েছে “জিজ্ঞাসা ও জবাব” ২য় খন্ড গ্রন্থটিতে। এমন মূল্যবান একটি গ্রন্থ সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। টেবিলে উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে এবং সেই সাথে আরও ১৯৩টি জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্নোত্তর জানতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
প্রতিটি মুসলিম পুরুষেরই উচিত নিজেকে ইসলামের আদর্শে একজন আদর্শবান পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটা সঠিক গাইডলাইন। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “আদর্শ পুরুষ” বইটি হতে পারে এমনি একটা চমৎকার গাইডলাইন। একজন পুরুষ কিভাবে তার নিজেকে আদর্শবান পুরুষ হিসেবে গড়ে তুলবে তা শাইখ কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এই বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ্ তাআলা জ্বীন জাতিকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানব জাতির আবাসের পূর্ব থেকেই পৃথিবী এই জাতিকে আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন। তথাপি এই জ্বীন জাতির সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির মিথ্যুক কবিরাজরা মানুষদের ক্ষতি করে থাকে। ব্লাক ম্যাজিক করে। এই দুনিয়ায় মানুষ সবচেয়ে বেশি অসহায় যে রোগের ব্যাপারে, তা হচ্ছে এই জ্বীন কেন্দ্রিক অসুস্থতা। কুরআন হাদীস জুড়ে এর অসংখ্য চিকিৎসা বাতলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞতা এবং ভণ্ড কবিরাজদের ছয়লাভের কারণে সুন্নাহ সম্মত সেই চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা অজ্ঞই থেকে যাই। বক্ষ্যমাণ এই গ্রন্থটি সেই দিককে আলোকপাত করেই রচিত। কীভাবে জ্বীন কেন্দ্রিক অসুস্থতা থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি, এবং ভণ্ড কবিরাজদের ছোবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি কুরআন হাদীসের আলোকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিল ও দ্বীনি প্রোগ্রামে ওয়াজ-নসীহতের পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে আমৃত্যু ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমুআর খুতবা প্রদান করেছেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড হত। সেখান থেকে আটটি জীবনঘনিষ্ট বিষয় অনুলিখন করে সংকলন করা হয়েছে। জুমুআর সালাতপূর্ব তাঁর আলোচনার এ সংকলন উম্মাহর জন্য উপকারী হবে বলে আমরা মনে করি। কেননা বক্তৃতায় তিনি এমন অনেক সমাজ-সংলগ্ন ও জীবনঘনিষ্ট বিষয় আলোচনা করেছেন, সঙ্গত কারণেই যা লেখনীতে আসেনি। তিনি খুতবার আগে প্রায় এক ঘন্টা দ্বীনি আলোচনা করতেন এবং সালাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে চলত কুরআনের তাফসীর ও প্রশ্নোত্তর। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসতেন তাঁর আলোচনা শোনার জন্য। তিনি আযানের আগেই মসজিদে চলে যেতেন। আযান শেষ হলে আলোচনা শুরু করতেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে তিনি আলোচনা করতেন ইসলামের মৌলিক বিষয় ও জীবনঘনিষ্ঠ দিকগুলো নিয়ে। তাওহীদ, শিরক, সুন্নাত, বিদআত, সৎকর্মে উৎসাহ, অসৎকর্মে অনুৎসাহ, হুকুকুল্লাহ, হুকুকুল ইবাদত ইত্যাদি ছিল তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। এর পাশাপাশি তিনি তাঁর আলোচনায় সামাজিক অবক্ষয়, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা ও যুবসমস্যা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে নসিহত করতেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড করা হত। বর্তমান জটিল জীবনধারায় জুমুআর খুতবায় তাঁর প্রদত্ত জীবনমুখী আলোচনাগুলো মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলোর পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। এলক্ষ্যেই তাঁর এই অডিও খুতবাগুলো সংকলন করে ‘মিম্বারের আহবান-২’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ। সিরিজ-২ এর খুতবার বিষয়: সীরাতের আলোকে জীবন গঠন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
“সালাত, দু’আ ও যিকর” এ বইটি মূলত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “রাহে বেলায়াত” বইটির একটি অধ্যায়ের বর্ধিত সংস্করণ। “রাহে বেলায়াত” বইটির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের নাম হল “সালাত ও বেলায়াত”। যেখানে লেখক সালাত সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। কিন্তু “রাহে বেলায়াত” বইটির মূল্যের কারণে এই বইটির পরিবর্তে অনেক আগ্রহী মানুষ ছোট এবং স্বল্প মূল্যের শুধুমাত্র সালাত শিক্ষার জন্য বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাই অগণিত পাঠকের চাহিদা মেটাতে শুধুমাত্র সালাতের বই হিসেবে “রাহে বেলায়াত” বইটির সালাত ও বেলায়াত নামক অধ্যায়টি আলাদা একটি বই আকারে “সালাত, দুআ’ ও যিকর” নামে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে বইটিতে খুতবাতুল ইসলাম এবং মুসলমানী নেসাব বই থেকে কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
যে কোনো বৃহৎ সমাজে দু-চারটি বিভ্রান্ত বা বিপথগামী দল বা ব্যক্তি থাকতে পারে। কোনো রাষ্ট্র বা সমাজ থেকেই এদেরকে একেবারে নির্মুল করা যায় না। তবে এইরূপ বিপথগামীরা যেন কোনোভাবেই সমাজের মধ্যে তাদের বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে এবং সমাজের জন্য দুষ্টক্ষতে পরিণত না হয় সে জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। বাংলাদেশের মত সুশৃঙ্খল সমাজে জঙ্গিবাদের উত্থান অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বিষয়। পাকিস্তান বা অন্য অনেক দেশে শিয়া-সুন্নি, ওহাবী-রেজবী ইত্যাদি ধর্মীয় দল-উপদলের মধ্যে সহিংসতা অনেক আগে থেকেই বিদ্যমান। পক্ষান্তরে বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক ‘ভায়োলেন্স’ বা সহিংসতা কখনোই ছিল না। আমাদের দেশে এরূপ সহিংসতার মধ্যে হাজার হাজার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারা কোনো ক্রমেই ছোট করে দেখার মত বিষয় নয়। এর সঠিক কারণ নির্ণয় ও প্রতিকারে সচেষ্ট হওয়া অত্যন্ত জরুরী। বর্তমান ইসলামের নামে যে সকল জঙ্গি কার্যক্রম শুরু হয়েছে, তা কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। বরং ইসলামের নামে যে সকল জঙ্গি কার্যক্রম করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ইসলাম বহির্ভূত কাজ। এসকল বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত, “ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ” নামক চমৎকার এই বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমরা আখিরাতের জীবনকে ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মিছে সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে চরম ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছি। কে বড় ক্ষতিগ্রস্থ? সেই ব্যক্তিই বড় ক্ষতিগ্রস্ত যে ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত পরিত্যাগ করে। ছালাত এমন একটি ইবাদত যা ত্যাগ করলে মানুষের আর কেনো ইবাদত গ্রহণ করা হবে না। ছালাত ত্যাগ করলে মানুষ মুসলিম থাকে না। ছালাত ত্যাগ কারীর ঠিকানা হবে জাহান্নাম। সেই ব্যক্তিই বড় ক্ষতিগ্রস্ত যে বিদ্যান বিদ্যা অনুযায়ী আমল করে না, মৃত্যুর পর ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাদের মাথা কে পাথর দ্বারা ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ করা হবে। আর যারা শুধু দূনিয়া লাভের উদ্দেশ্য বিদ্যা অর্জন করবে, তারা জান্নাত লাভে ব্যর্থ হবে। সেই ব্যক্তিই বড় ক্ষতিগ্রস্ত যে শরীয়তের মধ্যে কোনো নতুন কিছুর উদ্ভব করে অর্থাৎ বিদআত করে। সেই ব্যক্তিই বড় ক্ষতিগ্রস্ত যে যাচাই বাছাই ছাড়াই হাদিস বর্ননা করে, জনসমাজে সুনাম অর্জনের জন্য অথবা মানুষকে আকৃষ্ট করার জন্য জাল জয়িফ হাদিস বা মিথ্যা ঘটনা বর্ণনা করে, তাদের থাকার জায়গা জাহান্নাম। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত” বইটিতে কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে এভাবে চমৎকার ভাবে ছোট বড় সকল পাপ কাজ এর বিশদ আলোচনা করা হয়ছে। বইটি অধ্যয়নের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইটি পড়া। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চায় তাদের জন্য বইটি খুবই উপকারী হবে ইনশাআল্লাহ। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
আমরা সকলেই দুনিয়ার এই জীবনে সফল আর লাভবান হতে চাই। আর এই সফলতা আর লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার কোন শেষ থাকে না। যদিও দুনিয়ার জীবনের সফলতা আর লাভবান হওয়া আখিরাতের তুলনায় একেবারেই তুচ্ছ। তবুও আখিরাতের জীবনের স্থায়ী সফলতা আর লাভবান হওয়ার প্রবণতা থেকে দুনিয়ার জীবনের এই অস্থায়ী তুচ্ছ সফলতা আর লাভবান হওয়ার প্রবণতা আমাদের অনেক অনেক গুণ বেশি হয়ে থাকে। এটার কারন মূলত আমাদের অজ্ঞতা। আসলে আমরা জানিও না যে প্রকৃত সফলতা আর প্রকৃত লাভাবন বলতে কাদের বুঝায়! দূনিয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে একদিন মালাকূল মাওত ঠিকই চলে আসবে। সেদিন এই দুনিয়ার যশ, খ্যাতি, ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী কিছুই সাথে নিয়ে যাওয়া যাবে না। পরপারের সেই অনন্ত কালের যাত্রায় আমার আপনার সাথে একমাত্র আমাদের সৎ আমলই যেতে পারবে। আর এই পরকালে লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের কি কি আমল করা প্রয়োজন তা কুরআন ও ছহীহ হাদিসের আলোকে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “কে বড় লাভবান” বইটিতে চমৎকার ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য এমন একটি বই অপরিহার্য। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বইটির শিরোনাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে বইটি আসলে কি বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। তবুও কিছু কথা না বল্লেই নয়। আমাদের সকলকেই একদিন মৃত্যুবরন করতে হবে এবং পরকালের দীর্ঘ সফর অতিবাহিত করতে হবে। এই চিরন্তন সত্যটি আমরা সকলেই জানি এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করি। কিন্তু আমরা কতজন আছি যারা পরকালের এই দীর্ঘ সফরের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি! আসলে বলতে গেলে আমরা কোন প্রস্তুতিই গ্রহণ করছি না। অথচ জীবিত থাকতেই আমাদের মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা উচিত, না হলে মৃত্যুর পর আফসোস ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। বইটি পড়লে মৃত্যুটাকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করা যাবে। বইটিতে কুরআন হাদীস এর আলোকে মৃত্যু নিয়ে এক অথেনটিক আলোচনা করা হয়েছে যা মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেবে। যে কোনো কঠিন হৃদয়ের ব্যক্তিও বইটি পড়লে তার গা শিউরে উঠবে। এছাড়া আমাদের বাস্তব জীবন কিরুপ হওয়া উচিত এবং মৃত্যুর জন্য আমাদের কি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। সুতরাং আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “আদর্শ পরিবার” বইটি ইতিপূর্বেই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শাইখের লেখা বিপুল পরিমানে বিক্রি হওয়া বইগুলোর মধ্যে “আদর্শ পরিবার” বইটি অন্যতম একটি বই। বইটিতে ইসলামিক আদর্শে একটি পরিবার গঠন করতে বিবাহ থেকে শুরু করে সন্তান প্রতিপালন পর্যন্ত যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। কেউ একজন মানুষের পেট থেকে জন্ম নিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে প্রকৃত মানুষ হয়ে যায় না। তাকে মানুষ করতে হয়, বা মানুষ বানাতে হয়। আদর্শ পরিবারের মাধ্যমে সন্তানকে গড়ে না তুললে তারা মানুষ হতে পারে না। হাত পা চোখ ওয়ালা এক অমানুষে পরিনত হয়। পরিবার হলো সমাজের মূল ভিত্তি। পরিবার ইসলামি ধাচে গড়ে উঠলে সন্তান, সমাজ ও রাষ্ট্রও ইসলামী ভাবধারায় গড়ে উঠবে। কিন্তু বর্তমানে অপসংস্কৃতির ভয়াল ছোবলে পরিবারে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এ সমস্যা মুক্তির লক্ষ্যে “আদর্শ পরিবার” বইটি বিশেষ ভুমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ। একটি আদর্শ পরিবার গঠন করার জন্য যে যে জ্ঞান গুলো মানুষের অর্জন করা প্রয়োজন তা অতি সুক্ষভাবে কুরআন ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে সূনিপূন আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে প্রথমে আছে ভুমিকা তারপর নারী ও পুরুষের আদর্শ আলোচনা করা হয়েছে। একটা আদর্শ পরিবার গঠন এর সূচনায় বিবাহ। বইটিতে বিবাহ এবং তার গুরুত্ব, কনের গুনাবলী, বিবাহের প্রস্তাব অর্থাৎ বিবাহ সম্পর্কিত সকল বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। এরপরে রয়েছে স্বামী- স্ত্রী একান্ত মূহুর্ত এই বিষয়ের ১২ টি পয়েন্ট এর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। অলীমা সক্রান্ত সকল বিষয়ের ১২ টি পয়েন্ট এর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। বিবাহে অনৈসলামিক কার্যকলাপ এটা আমাদের সমাজে ব্যাপক চালু রয়েছে এর অপকার এবং এর কর্মফল সম্পর্কে আলোচনা করে এ থেকে বিরত থাাকার কথা বলা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব কর্তব্য যা একটা পরিবার গঠন করায় ব্যাপক ভুমিকা পালন করে এই বিষয়ে পরিপূর্ণ আলোচনা রয়েছে। আর সর্বশেষ বিষয় হলো পিতা-মাতা ও সন্তানের পরস্পরের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে। এক কথায় বইটিতে একটি পরিবার কিভাবে রাসুল (সঃ) এর পরিবারের মতো সর্বযুগের পরিবার হতে পারে তার যথাযথ নমুনা পেশ করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।