“নবীজি ﷺ যেমন ছিলেন তিনি” বইটি গতানুগতিক কোনো সীরাতগ্রন্থ নয়। বইটিতে গৎবাঁধা স্টাইলে নবীজির জীবনের বর্ণনা দেয়া হয়নি । নবীজির জীবনের বিভিন্ন দিক সুন্দর, সহজবোধ্য, সুখপাঠ্য এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা হয়েছে। ড. আয়েয আল-কারনীর অতুলনীয় লেখনশৈলীর ফলেই বইটা হয়ে উঠেছে অনন্য ও অসাধারণ! বইটিতে স্থান পেয়েছে নবীজির ব্যক্তিজীবন। তার ধৈর্যধারণের পদ্ধতি, সহনশীলতা, বিনয়, আত্নত্যাগ, দয়ার পরিধি, বীরত্ব, একান্ত ইবাদাত, হাসি-কান্না ইত্যাদি। মোটকথা, বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে নবীজির সকাল-সন্ধ্যার ব্যক্তিজীবনের এক অন্যরকম উপাখ্যান। আমাদের নবীজি ছিলেন জীবন্ত কুরআন। কুরআনে যে বিষয়গুলো থিওরি আকারে আছে, নবীজির জীবনের দিকে তাকালে সেটাই জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ বইটিতে নবীজির ব্যক্তিজীবনের সেই অমূল্য দিকগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। নবীজির জীবনিকে নিজের জন্য ‘পাঠশালা’ বানিয়ে নিতে চাইলে অবশ্যই এই বইটা পড়তে হবে। বইটি যেকোনো সীরাত প্রেমিক পাঠকের হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করবে। আর বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুরসালিন নিলয়। বাংলা ভাষায় নবীজিকে নিয়ে এ বইটি একটি নতুন সংযোজন। সম্পূর্ন ভিন্ন ধাঁচের একটি বই। নবীজিকে একদম শুরু থেকে কেউ জানতে চাইলে, চিনতে চাইলে এ বইটা অবশ্যই পড়া উচিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমরা যদি সালাতের মজা বুঝতাম তাহলে কখনোই সালাত ছেড়ে উঠে আসতে চাইতাম না। সালাতের সাথে মুমিনের রুহের সম্পর্ক জীবের জন্য অক্সিজেনের মত কিংবা তৃষ্ণার্তের জন্য পানির মত। বুলেটের গতির ন্যায় যারা সালাত পড়ে বেসিক্যালি তারা সালাতের কিছুই বুঝেনি। এইধরনের খুশূহীন সালাত মস্তকহীন মানবদেহের ন্যায়। তাছাড়া যে রুহ মদ্যপায়ী সে রুহে সালাতের নিয়ামাহ প্রবেশ করতে পারেনা। বাজনা আর সালাত পরস্পর বিপরীত পিঠ। আল্লাহর প্রশংসা থাকলেই সে বাজনা হালাল হয়ে যায়না। বইটিতে এই বিষয়গুলোকে ইমাম ইবনুল কাইয়ুম আল-জাওযিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) এমন এমন চমৎকার উপমার সাহায্যে বুঝিয়েছেন যা বইটি পড়লেই জানা যাবে। বইটিকে মোট ৫ টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। ১ম অধ্যায়ে সালাতের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষন করে তার মূলভাব, উপকারিতা বোঝানো হয়েছে। যার ফলে সালাতের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। এটাই বইয়ের সবচাইতে আকর্ষনীয় ও ইফেকটিভ পার্ট বলেই মনে হয়। ২য় অধ্যায়ে সালাতে মনোযোগের উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে। ৩ টি ধাপ অবলম্বনের কথা এখানে বর্নিত হয়েছে যা পালন করলে ইন শা আল্লাহ উপকার পাওয়া যাবে। মূলত ১ম ও ২য় অধ্যায়ই বইটির মূল অংশ। ৩য় অধ্যায়টা একটু ব্যতিক্রমী। অনেকে গান বাজনার মধ্যে আকর্ষন পায় কিন্তু সালাতের মধ্যে পায় না। এর কারন ও স্বরূপ উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন লেখক। পরের দুই অধ্যায়ও এই বিষয়টিকে ঘিরেই লেখা হয়েছে। ৪র্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে ভাল মানুষ, সফল মানুষদের রুচিবোধের বিষয়ে। সাধারন অর্থহীন বা অসংলগ্ন অর্থের গান বাজনার চাইতে সালাতের শব্দ, কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ তাদের কাছে গ্রহনীয় ছিল এবং গান বাজনা পরিত্যাজ্য ছিল। ৫ম অধ্যায়ে গান বাজনার অকার্যকারিতা ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে হৃদয় প্রশান্তিকারক হিসাবে সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খুব দক্ষতার সাথে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” সিরিজটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ। ইতিপূর্বেই সিরিজটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই “পড়ো” সিরিজটির সূচনা হয়েছে। তবে এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার একটি সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। ইতিপূর্বেই “পড়ো” সিরিজের ৪টি খন্ড প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকদের সুবিধার্থে এবং সুলভ মূল্যে যেন বইগুলো সংগ্রহ করা যায়, সে লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে “পড়ো” সিরিজের (১ম থেকে ৪র্থ খন্ড পর্যন্ত সকল খণ্ডের) এক্সক্লুসিভ এই কম্বো প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ৪টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (৩০৫+২৮০+২৮০+২৬৮) = ১১৩৩ টাকা। কিন্তু ৪টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ৮০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৩৩৩ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম এবিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
“পড়ো” অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ। ইতিপূর্বেই এই সিরিজটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার প্রকাশিত হলো এই সিরিজের ৪র্থ খন্ড “পড়ো-৪”। আগের খণ্ডগুলো যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ৪র্থ খণ্ড আরও চমৎকার হবে। মূলত “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ইতিপূর্বেই “পড়ো” সিরিজের “পড়ো-১” এবং “পড়ো-২” পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার প্রকাশিত হলো এই সিরিজের ৩য় খন্ড “পড়ো-৩”। আগের খণ্ডগুলো যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ৩য় খণ্ড আরও চমৎকার হবে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” সিরিজের প্রথম খন্ড যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ২য় খণ্ড আরও চমৎকার হবে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আরিফ আজাদ যিনি একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা। তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন। আরিফ আজাদ এতটাই জনপ্রিয় একজন লেখক যে, তার বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের মধ্যে আরিফ আজাদ একজন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদের বইসমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ প্রকাশিত হয় এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদের বই সমগ্রতে আছে আরও কিছু তুমুল জনপ্রিয় বই। পাঠক যেন তার লেখা সকল বই সূলভমূল্যে আর খুব সহজেই পেতে পারেন এই লক্ষ্যে হাটবাজার৩৬৫.কম নিয়ে এসেছে আরিফ আজাদের সকল বইয়ের এই প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১২টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (২২৫+৩৯০+৩৩৫+৩৪০+৩৫০+২৬০+২৭৫+২৪৫+২৬০+৩৩০+৩১৫+৩৫০) = ৩৬৭৫ টাকা। কিন্তু ১২টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৭০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৯৭৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
কে এই আরজ আলী? আরজ আলী হচ্ছে বাংলাদেশের নাস্তিকতা-জগতে একটি পরম শ্রদ্ধেয়, উচ্চারিত এবং বহুলপ্রচারিত নাম। যার পূর্ণ নাম “আরজ আলী মাতুব্বর”। যিনি জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে কোন শিক্ষা তার না থাকলেও নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানা যায়। লোকমুখে শুনা যায় ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন ধর্মের বিরুদ্ধে। এই বিতৃষ্ণা থেকে উনি ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি, প্রশ্ন এবং সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন, যেগুলো নাস্তিকসমাজেও বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। উনি প্রশ্ন করেছেন ধর্ম নিয়ে, ঈশ্বর নিয়ে, আত্মা, পরকাল, প্রকৃতি নিয়ে। ধর্মের সাথে দর্শন আর বিজ্ঞানের অসামঞ্জস্য নিয়েও করেছেন বিস্তর আলোচনা। বাংলা নাস্তিকসমাজের পুরোধা এই লোকের লিখিত বইয়ের জবাব হিসেবে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “আরজ আলী সমীপে” বইটি। যেখানে তিনি আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিয়েছেনই, সাথে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্নও। এই বইয়ের ‘বিবিধ’ অংশটা লেখক আরিফ আজাদ অতি যত্নসহকারে লিখেছেন। বিবর্তনবাদ নিয়ে যে কেউ পড়াশুনা করতে গেলে এই অধ্যায়টা তার জন্য বেশ কাজে দেবে। কত ভুলভাল জল্পনা-কল্পনা আর জগাখিচুরির মিশেলে যে বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন, আর করে যাচ্ছেন; আর কত অসৎ উপায় যে অবলম্বন করে চলেছেন – ব্যাপারগুলো সত্যি শিউরে ওঠার মতো। আরজ আলী সাহেব সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার কে মূল ইসলামভেবে প্রশ্ন করেছেন। অথচ অধিকাংশ প্রচলিত কুসংস্কারের সাথে কুরআন হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই। লেখক আরিফ আজাদ আসলে অতি ভদ্র ভাষায় ধবলধোলাই করেছেন আরজ আলীকে। নাস্তিকতার বিপক্ষে, আস্তিকতার পক্ষে বইটি একটি শক্তিশালী দলিল হিসেবেই কাজ করবে। আরজ আলী সাহেব কী ভুল করেছেন, উনার প্রশ্নের সোর্স কতটুকু সত্য? উনি কি আদতে সত্যের সন্ধান করেছেন? তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর মিলবে “আরজ আলী সমীপে” বইটি থেকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
যারা সত্য ও সাহসের কথা বলে, আমরা তাদের নিয়ে গল্প লিখি। তারা হয়ে ওঠে আমাদের গল্পের উপজীব্য। তাদের জীবনাচার থেকে ঘটনাগুলো তুলে এনে আমরা গল্পের রূপ দিই। রুপকথার গল্প নয়, তখন সত্যিকারের সুপারস্টারদের গল্পগুলোই হয়ে ওঠে অন্যরকম। এই গল্পগুলো অচেনা, কিন্তু দরকারি। মনে হবে নতুন, কিন্তু ভীষণ ভাবনার উদ্রেককারী। তখন গল্পগুলো নিছক আর গল্প থাকে না, সেগুলো হয়ে ওঠে আমাদের জীবন পরিবর্তনের নিয়ামক। এমনই কিছু অন্যরকম গল্পের সমন্বয়ে সংকলিত হয়েছে “গল্পগুলো অন্যরকম” বইটি। সেই অন্যরকম গল্পগুলো পড়ে পাঠকদের মনে ভাবোদয় ঘটবে, তাদের হৃদয়ে বইবে পরিবর্তনের বাসন্তী-বাতাস, তারাও হয়ে উঠবে এরকম গল্পের উপাদান। “গল্পগুলো অন্যরকম” বইটিতে স্থান পেয়েছে বেশকিছু নবীন-প্রবীণ লেখকদের গল্প। অনেক পরিচিতমুখ আছেন সেই তালিকায়। তাদের গল্পে কখনও তারা হয়েছেন গল্পের উপাদান, কখনও বা গল্প-কথক। তারা লিখেছেন দুঃখ-ব্যথার কথা, সীমাহীন সুখের কথা। গল্পগুলোয় তুলে এনেছেন সমাজের অনিয়ম, অসুন্দর এবং অনাচারের কথা। তাদের এই গল্পগুলো পাঠকদের হৃদয়ে জাগরণ সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবনের জাগরণে সিরিজের প্রথম বই ছিলো “বেলা ফুরাবার আগে”। “এবার ভিন্নি কিছু হোক” বইটি মূলত “বেলা ফুরাবার আগে” বইয়ের পরের কিস্তি। দুটো বই-ই প্রায় একই ধাঁচে লেখা। বটিতে রয়েছে অনেক সমস্যার সমাধান এবং আশার আলো। ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের বেলা ফুরাবার আগে টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা। “এবার ভিন্নি কিছু হোক” বইটি মূলত নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমান যে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক বই হতে পারে এটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামে যারা প্রত্যার্বতন করে তাদের গল্পগুলো সবসময়ই চাঞ্চল্যকর! সবার আগে তারা লড়াই করে নিজ সত্তার সাথে। নিজের সাথে সকল বোঝাপড়া সেরে যখন সে সত্যকে আলিঙ্গনের জন্য অগ্রসর হয়, তখন তার সামনে পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার, সমাজ, পরিবেশ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সকলেই। সকল বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে একদিন সে আশ্রয় নেয় শাশ্বত সেই সত্যের বুকে। তার এই সংগ্রাম, এই ত্যাগ আর তিতিক্ষার উপাখ্যানগুলোকে যদি কাছ থেকে উপলব্ধি করা না যায়, তবে সেগুলোকে আমাদের কাছে মনে হবে যেন নিছক একটা রূপকথা। হ্যাঁ সেগুলো রূপকথাই বটে, তবে সত্যের চাদরে মোড়ানো এক চিরবাস্তব রূপকথা, যেখানে নেই কোন মিথ্যার ছিটেফোঁটা। ‘প্রত্যার্বতন’ সিরিজের প্রথম বইটিতে মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা কিন্তু ব্যক্তিজীবনে নিজের দ্বীন ইসলাম সর্ম্পকে উদাসীন হয়ে পড়া এমন মানুষদের দ্বীনে ফিরে আসার গল্প নিয়ে সংকলিত হয়েছিল। কীভাবে তারা নিজেদের জীবনে আবার দ্বীনের গুরুত্ব, আল্লাহর দিকে নিজেকে মেলে ধরার তাড়না অনুভব করেছেন সেই গল্পগুলোই প্রাধান্য পেয়েছিল বইটিতে। বইটির গল্পগুলো অনেক মানুষের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আলহামদুলিল্লাহ। সেই ধারাবাহিকতায় সংকলন করা হয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় বই “প্রত্যাবর্তন-২”। “প্রত্যাবর্তন” বইটির সাথে “প্রত্যাবর্তন-২”-বইটির পার্থক্য হচ্ছেঃ “প্রত্যাবর্তন” বইটিতে মুসলিম পরিবারে বড় হওয়া কিন্তু একপর্যায়ে দ্বীনবিমুখ হয়ে পড়া মানুষগুলোর গল্প সংকলন করা হয়েছে। আর “প্রত্যাবর্তন-২” বইটিতে এমন কিছু সাহসী মানুষের গল্প সংকলন করা হয়েছে, যারা সর্ম্পূণ ভিন্ন একটা র্ধম অর্থাৎ খ্রষ্টির্ধম থেকে কীভাবে ইসলামের আলো খুঁজে পেলেন, কীভাবে গির্জার ঘণ্টা ছেড়ে তারা আপন করে নিলেন আযানের ধ্বনি। একটা ভিন্ন র্ধম থেকে অন্য একটা র্ধমে নিজেকে নিয়ে আসাটা বরাবরই চ্যালেঞ্জের। কীভাবে সেই চ্যালঞ্জেকে বুক পেতে নিয়েছিলেন এই মানুষগুলো— তাদের সেই মহান ঘটনাবলিই সংকলিত হয়েছে “প্রত্যাবর্তন-২” বইটিতে। বইটিতে দ্বীনে ফেরা’র গল্প রয়েছে যাদের, তারা হচ্ছেন: ১। ফিলিপাইনের এক সম্ভ্রান্ত মিশনারি, প্রফেসর খাদিজা ওয়াটসনের ২। মিউজিক মিনিস্টার ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারক, চ্যাপলেইন ইউসুফ এস্টেসের ৩। আফ্রিকান খ্রিষ্টান মিশনারি ও মিশরীয় যাজক, ইসহাক হেলাল মাসিহার ৪। পাইয়োনিয়ার মিনিস্টার, জিহোভা’স উইটনেস, রাফায়েল নারবেজের ৫। মিশনারি আর্চবিশপ, রেভারেন্ড ডেভিড বেনজামিন কেলডানির ৬। ইউনাইটেড মেথোডিস্ট চার্চ মিনিস্টার, ড. জেরাল্ড এফ ডার্কসের ৭। শ্রীলঙ্কান ক্যাথোলিক যাজক, ফাদার জর্জ অ্যান্থনির ৮। মিশরীয় কপটিক যাজক, ইবরাহিম খলিল আহমাদের ৯। রাশান আর্চপ্রিস্ট, ভিয়াচাস্লাভ পোলোসিনের ১০। লুথারান আর্চবিশপ, তানজানিয়া, মারটিন জন মুয়াইপোপোর ১১। ডাচ বংশোদ্ভূত ইন্দোনেশিয়ান যাজক, রহমত পূর্ণোমোর ১২। ফরাসি যাজক, জিন ম্যারি ডাচম্যানের ১৩। ঘানার এক প্রাক্তন মিশনারি ও যাজকের ১৪। মিশরীয় ডিকন বা উপ-যাজক, ডক্টর ওয়াদি আহমাদের ১৫। জার্মান কূটনীতিবিদ ও সমাজকর্মী, মুহাম্মাদ আমান হোবমের। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম হয়েও কতো হাজার হাজার মুসলিম যুবক-যুবতী আজ নিজেদের পথ ভুলে গেছে। হারানো সেই পথ থেকে কেউ ফিরে আসে, আবার কেউ হারিয়ে যায় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? জাহিলিয়্যাত থেকে দ্বীনের পথে ফিরে আসা সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ তরুণ ভাই-বোনদের গল্প নিয়েই সংকলিত হয়েছে “প্রত্যাবর্তন” বইটি। দেশের শীর্ষ মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আমাদের এক ঝাঁক তরুণ ভাই-বোনদের দ্বীনে ফিরে আসার গল্প রয়েছে এই বইটিতে। এদের কেউই মাদ্রাসায় পড়েন নি। বড় হয়েছেন সেক্যুলার অথবা গতানুগতিক মুসলিম পরিবারে। এরপরেও তাদের এই প্রত্যাবর্তনের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে কোন জিনিসটি? সেসব গল্প নিয়েই “প্রত্যাবর্তন”। বইটিতে শুধু নন-প্র্যাকটিসিং থেকে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়া ভাই-বোনদের গল্পই নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলামে ফিরে আসা কিছু ভাই-বোনদের গল্পও। বইটিতে দ্বীনে ফেরা’র গল্প রয়েছে যাদের, তারা হচ্ছেন: ১। ‘পড়ো’ সিরিজের লেখকের ২। ‘আল কুরআনের ভাষা’ বইয়ের লেখক এবং আল-কুরআনের শব্দসমূহ এর সম্পাদকের। ৩। ‘নট ফর সেল‘, বিয়ে‘, জীবনের সহজ পাঠ‘ ‘ওপারে‘ বইয়ের লেখিকার ৪। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এবং কষ্টিপাথর বইয়ের লেখকের ৫। আর্গুমেন্টস অফ আরজু এবং প্রদীপ্ত কুটির বইয়ের লেখকের ৬। বিশ্বাসের যৌক্তিকতা বইয়ের লেখকের ৭। অন্ধকার থেকে আলোতে বইয়ের লেখকের ৮। অ্যান্টিডোট বইয়ের লেখকের ৯। ‘সংবিৎ‘ এবং ভ্রান্তিবিলাস বইয়ের লেখকের ১০। উমার ইবন আল-খাত্তাব রা. ১ম খণ্ড, মনের ওপর লাগাম বইয়ের অনুবাদক ও সম্পাদকের। এছাড়াও রয়েছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে মলিকুলার বায়োলজি নিয়ে পিএইচডি রত শ্রদ্ধেয় সাইফুর রহমান ভাইয়ের গল্প, আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবদুল্লাহ সাঈদ খান ভাই, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিশাত তামিম আপু, বুয়েটের কবির আনোয়ার ভাই, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের রুহুল আমিন ভাই, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহাব আহমেদ তুহিন ভাই, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী মাহমুদুর রহমান ভাই, আরমান ইবনে সোলায়মান ভাই, বুটেক্সের ফয়সাল বিন ইউসুফ ভাইসহ আরও অনেকের দ্বীনে ফেরা’র গল্প এবং রয়েছে কলকাতার কিছু রিভার্টেড ভাইদের ইসলামে আসার গল্পও। আশা করছি বইটি উঠতি জেনারেশন, যারা দ্বীন থেকে দূরে আছে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইন শা আল্লাহ্। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘিরে ফ্রান্স সরকারের দৃষ্টতা এবং নগ্ন আচরণের বিরুদ্ধে পুরো মুসলিম উম্মাহ প্রতিবাদমুখর হয়েছিল। যারা চক্রান্ত করে এই উম্মাহকে নবী-জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়, তাদের জন্য “নবী জীবনের গল্প” বইটি আরিফ আজাদের এক লিখিত প্রতিবাদ। বইটিতে তিনি ২১টি গল্পের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী তুলে ধরেছেন। নবী জীবনের প্রতিটি পঙক্তি মধুময় হয়ে আছে নানা ঘটনার মাধূর্যে। বড় অমূল্য সেই মুহূর্তগুলো। লেখক আরিফ আজাদ তার নিপুণ গল্পশৈলির মাধ্যমে গল্পে গল্পে তিনি দেখিয়েছেন- ঘরে-বাইরে, মসজিদ-মজলিসে, সাহাবিদের সাথে, মক্কা-মদিনার অলিগলিতে, সাহাবিদের ঘরদোরে, শক্ত চাটাইয়ে, প্রিয়তমা স্ত্রীদের সাথে এবং নিশি জাগরণে রবের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কেমন ছিলেন মুসলিম উম্মাহর নয়নের মনি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বইটিতে জন্ম থেকে শুরু করে শারীরিক গড়ন, জীবন গঠনের দিকনির্দেশনাবলি- সবকিছুই স্বমহিমায় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন প্রিয় লেখক। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“মা, মা, মা, এবং বাবা” বইটি টুকরো টুকরো কিছু গল্প দিয়ে সাজানো। গল্পগুলো আমাদের সমাজ থেকেই উঠে আসা। গল্পগুলোর উদ্দেশ্য হলো, বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। যেসব সন্তান বাবা মায়ের প্রতি উদাসীন, বয়স্ক বাবা মায়ের প্রতি যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছে, আমার মনে হয় – বইটি যদি তারা একবার পড়ে, তাহলে বাবা মায়ের প্রতি তারা এমন অনুগত হয়ে যাবে, যা তারা কখনো কল্পনাও করেনি। যেসব সন্তানদের অন্তর বাবা মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসায় পরিপূর্ন, তাদের বইটি সেই সুসংবাদ ও জানিয়ে দিবে, যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জানিয়েছেন। জন্মের পরপর প্রত্যেকটি মানবশিশু থাকে খুবই অসহায়। সেই অসহায় অবস্থায় আমাদের লালন পালন করে বড় করে তোলেন আমাদের বাবা মা, জীবনের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আমাদেরকে আগলে রাখেন তারা। আমাদের জন্ম, শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের গল্পে তারাই থাকেন মূল ভুমিকায়। কিন্তু, বড় হওয়ার সাথে সাথে কিছু সন্তান হয়ে ওঠে অকৃতজ্ঞ, যারা দুনিয়ার লোভে পড়ে বাবা মাকে ভুলে যায়। আবার এমন কিছু সৌভাগ্যবান সন্তান ও আছে, যারা সবকিছুর বিনিময়ে বাবা মাকে আগলে রাখে, ভালবাসে, যেভাবে শৈশবে তাদেরকে আগলে রেখেছিলেন তাদের পিতা মাতা। বইটিতে আছে কিছু সৌভাগ্যবান সন্তানের গল্প, আরো আছে কিছু অবাধ্য সন্তানের গল্প। অবাধ্য সন্তানদের পরিণতি কেমন হয় তাও আছে এই বইতে। বইটির শেষে আছে কুরআন ও হাদীস থেকে নেয়া কিছু ঘটনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবন যেখানে যেমন বইটি নিরেট গল্পের একটি বই। তবে কেবল গল্পের বই বলে একে মূল্যায়নের কোন সুযোগ নেই। কারণ গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক তার পাঠকদের জন্য রেখে গিয়েছেন চিন্তার কিছু খোরাক। পাঠকের ভাবুক মন যদি সেগুলোয় নিবিষ্ট হয়, তবে আমরা আশা করতে পারি যে, গল্পের পাশাপাশি তারা জীবনের কিছু উপকারী পাঠ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনীশক্তির মুন্সিয়ানায় গল্পগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এ কারণে প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে সুখপাঠের এক বিশাল আধার। এ বইতে পাঠকসমাজ নতুন এক আরিফ আজাদকে আবিষ্কার করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। জীবন যেখানে যেমন বইটি এমন কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ গল্প শোনাবে, যা আপনার আমার সবার জীবনের গল্প। কিন্তু অবচেতন মনে সেগুলো আমরা এড়িয়ে চলি। গল্পগুলো আমাদের ভাবাবে। জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। উদ্বুদ্ধ করবে জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলো নতুন করে গড়তে। জাগতিক ব্যস্ততার জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া হৃদয়ে ঘটাবে নতুন জীবনের সঞ্চার। এমন কিছু গল্পও এবার থাকবে, যেগুলো আমরা চাই না কারও জীবনে আসুক। তবে প্রতিটি গল্পই আমাদের বাধ্য করবে থমকে দাঁড়াতে, কতোবার যে চোখযুগল ঝাপসা হয়ে আসবে ইয়াত্তা নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবনের সাথে কুরআনের সম্পর্কের বুনন তৈরির একটা ক্ষুদ্র প্রচেষ্টার ফসল এই বই। কুরআন কীভাবে আমাদের জীবনের কথা বলে, কীভাবে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে যায় আমাদের জীবনের অনুষঙ্গে, কীসব রত্নের আকর কুরআন আমাদের সামনে তুলে ধরে— সেসবের এক জীবনঘনিষ্ঠ রচনা। একটা গ্রন্থ গোটা একটা সভ্যতাকে বদলে দিয়েছে— এমন ঘটনা দুনিয়ায় আর একটাও নেই। কী আছে সেই কুরআনে যার স্পর্শে এলে মানুষেরা পাগলপারা হয়ে যায়? কী তার শক্তি যা আমূল বদলে দেয় মানুষের চিন্তাধারা, জীবনপদ্ধতিকে? কী আশ্চর্য তার ক্ষমতা যা শুনবার জন্যে চরম শত্রুরাও রাতের অন্ধকারে কান পেতে রাখতো? আগাগোড়া পাপে জর্জরিত একটা সভ্যতা এই কুরআনের সংস্পর্শে হয়ে উঠেছে অজেয়, অপ্রতিরোধ্য। ব্যক্তিক, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়— সবখানে এই কুরআন ছিলো নিউক্লিয়াসের ভূমিকায়। অন্ধকারে ডুবে থাকা একটা সমাজকে এই কুরআন বানিয়েছে আলোর উৎস। পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে, দিগন্ত থেকে দিগন্তে ছড়িয়ে গেছে এই আলোর ঝলকানি। কুরআনের সাথে আমাদের জীবনের সম্পর্কটা সু-প্রাচীন। অবতীর্ণের প্রথম দিন থেকে কুরআন মানবজীবনে যতোখানি প্রাসঙ্গিক ছিলো, পৃথিবীর শেষ দিনটাতেও তা ততোখানিই প্রাসঙ্গিক থাকবে। মানবজীবনের সকল অনুষঙ্গ নিয়ে কুরআন কথা বলে, পথ দেখায়। কিন্তু, যে কুরআন একদা বদলে দিয়েছে পৃথিবীর গতিপথ, সেই কুরআন আজ কী নিদারুন অযত্নে পড়ে থাকে আমাদের শেলফের কোণায়। তার গায়ে ধুলোয় জমাট আস্তরন। যে কুরআন পাহাড়ে অবতীর্ণ হলে পাহাড় ধ্বসে যেতো, সেই কুরআন নিয়ে আজ আমাদের কী অবর্ণনীয় অবহেলা। আজ জীবনে আমরা সবকিছুকে স্থান দিয়েছি, সময় বের করেছি ছোট-বড় সমস্ত অনুষঙ্গের জন্যে, কিন্তু জীবনের জন্য যে কুরআনের আগমন, তার জন্যে আমাদের কোন ‘সময়’ নেই। কুরআনের পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে মণি-মুক্তো। সেই মণি-মুক্তোর আকর থেকে কীভাবে আমরা তুলে আনবো প্রয়োজনীয় রসদ, কীভাবে ভাবনায় আনবো সমৃদ্ধি, চিন্তায় প্রখরতা এবং উপলব্ধিকে কীভাবে করে তুলবো মসৃণ আর জীবনোপোযোগি তার খানিকটা আভাস হাজির করার চেষ্টা করা হয়েছে ‘কুরআন থেকে নেওয়া জীবনের পাঠ’ বইতে, আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের বেলা ফুরাবার আগে টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা। “বেলা ফুরাবার আগে” বইটি মূলত নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমান যে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক বই হতে পারে এটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” পার্ট-১ পড়ে পাঠকরা যখন অনেক বেশী আশাবাদী হয়ে “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” পার্ট-২ তে যাবেন তখন কেউ যেন নিরাশ না হন সেইদিকে লেখক খুব ভালই নজর দিয়েছেন। বইটি পড়ার পর অনায়াসেই বলা যায় পার্ট-১ থেকে পার্ট-২ এর প্রেজেন্টেশন এবং রিসার্চ দুটোই অনেক বেশী ডেভেলপ করা হয়েছে। বইটিতে অতিরিক্ত পন্ডিত নাস্তিক গর্ধবগুলোকে আবার আস্তিকে রুপান্তরিত করতে খুবই হাই কোয়ালিটির লজিক এবং রেফারেন্সসহ ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ। অনেক সময় নাস্তিকদের বহু অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা সবাই। নাস্তিকরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ইসলামকে মিথ্যা বানানোর অপচেস্টা করে। আর নাস্তিকদের সেই সকল অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আলোকে গুছিয়ে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” নামক ব্যাপক জনপ্রিয় এই বইটি। কে এই সাজিদ? সাজিদ আরিফ আজাদের অনন্য এক সৃষ্টি। অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার কালো অন্ধকার থেকে যুক্তির আলোয় এক আলোকিত সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে যার জন্ম। যুক্তিতে মুক্তির সন্ধানকারী কিছু মুক্তমনারা এতটাই মুক্তমনার অধিকারী হয়ে যায় যে তাদের সেই মুক্তমনার নামে কালো পর্দা তাদের মনকে ছেয়ে যায়, অসীম এক সত্তার বাণী নিয়েই এই পর্দা ফুঁড়ে আলোকিত করার প্রয়াসেই সাজিদের সৃষ্টি। “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” বইটিতে অমুসলিম, নাস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে তাদের অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে প্রমানিত করা হয়েছে এবং দলিলের ভিত্তিতে সকল প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বইটি পড়লে আপনি যেই মতবাদে বিশ্বাসী হন না কেন, এক ভিন্ন স্বাদ পাবেন। গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে বইটিতে। তাই সকল নাস্তিক, আস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের এই বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
নাস্তিকদের বহু অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা সবাই। নাস্তিকরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ইসলামকে মিথ্যা বানানোর অপচেস্টা করে। আর নাস্তিকদের সেই সকল অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আলোকে গুছিয়ে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” নামক ব্যাপক জনপ্রিয় এই বইটি। কে এই সাজিদ? সাজিদ আরিফ আজাদের অনন্য এক সৃষ্টি। অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার কালো অন্ধকার থেকে যুক্তির আলোয় এক আলোকিত সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে যার জন্ম। যুক্তিতে মুক্তির সন্ধানকারী কিছু মুক্তমনারা এতটাই মুক্তমনার অধিকারী হয়ে যায় যে তাদের সেই মুক্তমনার নামে কালো পর্দা তাদের মনকে ছেয়ে যায়, অসীম এক সত্তার বাণী নিয়েই এই পর্দা ফুঁড়ে আলোকিত করার প্রয়াসেই সাজিদের সৃষ্টি। “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” বইটিতে অমুসলিম, নাস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে তাদের অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে প্রমানিত করা হয়েছে এবং দলিলের ভিত্তিতে সকল প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বইটি পড়লে আপনি যেই মতবাদে বিশ্বাসী হন না কেন, এক ভিন্ন স্বাদ পাবেন। গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাবও দেয়া হয়েছে এই বইটিতে। তাই সকল নাস্তিক, আস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের এই বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
১৭৫৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের বেদনাদায়ক অবসানের পর থেকে ইংরেজ শাসন শুরু হয়। আর এ বিদেশী শাসক গোষ্ঠীর ছত্রচ্ছায়ায় খ্রিস্টান মিশনারিরা এ উপমহাদেশে তাদের মিশনারি কার্যক্রম জোরদার করে। মিশনারিদের এই অপতৎপরতা উপমহাদেশে ব্যাপকভাবে শুরু হয়; যার ফলে দুর্বল ঈমানের মুসলমানদের পক্ষে ঈমান রক্ষা করা এবং ঈমানের ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। মুসলমানদের এ চরম দুর্দিনে আল্লামা রাহমাতুল্লাহ ইবন খলীলুল রহমান কীরানবি রাহিমাহুল্লাহ যেন মহান আল্লাহর রহমত হিসেবে আবির্ভূত হন। বক্তৃতা, বির্তক ও লেখনীর মাধ্যমে তিনি ইসলামের শাশ্বত বাণীকে জনসমক্ষে তুলে ধরেন এবং খ্রিস্টান মিশনারিদের অপপ্রচারের বেশির ভাগ জবাব তিনি তাদের ধর্মগ্রন্থ বাইবেলের উদ্ধৃতির মাধ্যমে উপস্থাপন করে বিস্ময়করভাবে মিশনারি অপতৎপরতা প্রতিহত করেন। প্রসঙ্গত, ১৮২৯ সালে খ্রিস্ট ধর্মীয় প্রচারক মি: কার্ল গোটালেব ফান্ডার খ্রিস্টান পাদরিদের গতানুগতিক মিথ্যাচার, বিকৃতি, অপপ্রচার ও বিষেদাগার সম্বলিত “মীযানুল হক” (Scale of Truth) নামক একটি পুস্তক রচনা করেন। মূল পুস্তকটি জার্মান ভাষায় রচিত হলেও তা উর্দূ ও ফারসী ভাষায় অনুবাদ করে এ উপমহাদেশের মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়। এমনকি তারা এটাও দাবি করতে থাকে যে, এ পুস্তকের যুক্তিগুলো খণ্ডন করার সাধ্য কোন মুসলমান আলিমের নেই। এমতাবস্থায় আল্লামা রাহমাতুল্লাহ কিরানবী মিশনারিদের এই অপতৎপরতার জবাবে এগিয়ে আসেন। তিনি “মীযানুল হক” এর জবাবে “ইযহারুল হক” তথা “সত্যের বিজয়” শীর্ষক আরবী ভাষায় এই মূল্যবান গ্রন্থটি রচনা করেন। গ্রন্থটি প্রকাশিত হবার কিছুদিন পরেই লন্ডন টাইমস পত্রিকায় বলা হয়, “মানুষ যদি এ গ্রন্থটি পড়া অব্যাহত রাখে, তবে দুনিয়ায় খ্রিস্টধর্মের উন্নতি ও প্রসার বন্ধ হয়ে যাবে”। মূল্যবান এই গ্রন্থটি পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কালজয়ী এই গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন বিশিষ্ট আলিম ও পণ্ডিত স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রাহিমাহুল্লাহ)। গ্রন্থটি সর্বমোট তিন খণ্ডে সমাপ্ত হয়েছে। ঈসায়িয়্যাত নিয়ে কাজ করা লেখক, গবেষক, দায়ীদের জন্য বইটা উত্তম পাথেয় হবে বলে আমরা মনে করি। তাছাড়া একজন মুসলিম হিসেবে নিজের ঈমান রক্ষা করতে এ বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করাও অপরিহার্য। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে “ইযহারুল হক” গ্রন্থের ১ম থেকে ৩য় খন্ড পর্যন্ত একত্রে ৩টি বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ৩টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (৪৩০+৪৩০+৪৩০) = ১২৯০ টাকা। কিন্তু ৩টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ৮৫০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৪৪০ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম এবিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে সাবধান করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
বাস্তব জীবনে আল্লাহর বিধান প্রতিপালনের জন্য ওহির দ্বিতীয় প্রকার অর্থাৎ হাদীস ও সুন্নাহর গুরুত্ব অপরিসীম। বস্তুত ইসলামি শরীআতের খুঁটিনাটি বিধান জানার ক্ষেত্রে কুরআনের চেয়ে হাদীস বা সুন্নাহর উপরেই আমাদের নির্ভরতা বেশি। কুরআনে সাধারণত মূলনীতি বা মূল নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। বিশদ বিবরণ ও বিস্তারিত বিধানাবলি জানার জন্য হাদীসের উপর নির্ভর করা ছাড়া কোনো গতি নেই। এই গুরুত্ব বিবেচনায় মুসলিম মনীষীগণ বিভিন্ন বিন্যাসে হাদীস ও সুন্নাহর বিভিন্ন সংকলন প্রস্তুত করেছেন। আল্লামা সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান (রহিমাহুল্লাহ) সেসব মূল কিতাব থেকে হাদীস চয়ন করে দীনের মূলনীতি, শাখাগত বিধিবিধান, উৎসাহপ্রদান ও সতর্কীকরণ, তাযকিয়া-ইহসান এবং দুআ ও যিকির ইত্যাদি বিষয়ে ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার নামে সুবিন্যাস্ত মূল্যবান এই সংকলনটি তিনি রচনা করেছেন। “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থটি মূলত তারই রচিত গুরুত্বপূর্ণ একটি হাদীস সংকলন। হাদীসভিত্তিক ফিকহি এই গ্রন্থে লেখক মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় কাজকর্মের ইসলামি বিধানসমূহ সংকলন ও উপস্থাপন করেছেন সহীহ হাদীসের দলীলসহ। ফলে ফিকহি মাসআলা সংক্রান্ত হাদীস খুঁজতে এ গ্রন্থটি খুবই সহায়ক হবে। ইনশাআল্লাহ। মুফতি সাইয়িদ মুহাম্মাদ আমীমুল ইহসান বারাকাতি (রহিমাহুল্লাহ) ছিলেন বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সর্বপ্রথম খতীব (১৯৬৪-১৯৭৪) ও বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একাধারে মুফাসসির, মুহাদ্দিস, ফকীহ ও মুফতি এবং বহু উচ্চ মানসম্পন্ন ইসলামী গ্রন্থের রচিয়তা ও সংকলক। লেখক ১৯৬৪ সালে জাতীয় বাইতুল মুকাররম প্রতিষ্ঠার পর মসজিদ কমিটির সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে তিনি সেই মসজিদের খতীব হিসেবে নিযুক্ত হন ও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সেই খেদমতে বহাল থাকেন। তার লেখনী থেকে জানা যায়, তিনি কমপক্ষে পঁচিশবার সহীহ বুখারি কিতাবটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পাঠদান করেছেন। ইসলামী সেবায় ও দাওয়াতি কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ১৯৮৪ সালে তাকে মরণোত্তর স্বর্ণপদক ও সনদ দান করেন। যাইহোক, বাঙালি পাঠকদের কথা বিবেচনা করে এই “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থটির বঙ্গানুবাদ উপস্থাপন করেছেন স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে তিনি কিছু টীকাও এতে উল্লেখ করেছেন। কিতাবটির রয়েছে সর্বমোট তিনটি খন্ড এবং ৪৬টি অধ্যায়। প্রথম খণ্ডে আলোচিত হয়েছে, সামগ্রিক মূলনীতিসমূহ, পবিত্রতা এবং সালাত (মুসাফিরের সালাত অধ্যায় পর্যন্ত) নিয়ে সর্বমোট ৯৪৬ টি হাদীস। দ্বিতীয় খণ্ডে আলোচিত হয়েছে সালাতুল জুমআ, দুই ঈদের সালাত,সূর্য গ্রহণের সালাত, বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত, ভীতিকালীন সালাত, অসুস্থ ব্যক্তির সালাত, চিকিৎসা ও ঝাড়ফুক, মৃত্যু ও জানায, যাকাত, হজ্জ বিষয়ক সর্বমোট ৯১৪ টা হাদীস (৯৪৭ থেকে ১৮৬১ পর্যন্ত)। আর তৃতীয় বা শেষ খণ্ডে আলোচিত হয়েছে জিহাদ, খিলাফাত, ব্যবসা, মুদারাবা, কুরবানী, ইহসান ইত্যাদি বিষয়ক সর্বমোট ৮৪৮ টা হাদীস (১৮৬২ থেকে ২৭১০ পর্যন্ত)। আমরা আশা করি, বাংলাভাষায় হাদীসচর্চা, হাদীসভিত্তিক তুলনামূলক ফিকহ ও হানাফি ফিকহের দালিলিক চর্চায় গ্রন্থটি বিরাট ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের এই সকল সহি জ্ঞান অর্জন করাও অপরিহার্য। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে “ফিকহুস সুনানি ওয়াল আসার” গ্রন্থের ১ম থেকে ৩য় খন্ড পর্যন্ত একত্রে ৩টি বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ৩টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (৩৬০+৩০০+৩০০) = ৯৬০ টাকা। কিন্তু ৩টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ৬৫০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৩১০ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) যিনি ছিলেন একাধারে একজন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, টিভি আলোচক, অনুবাদক, ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ। তিনি ইসলামিক টিভি, এনটিভি, পিস টিভি, এটিএন বাংলা, চ্যানেল নাইন ইত্যাদি টিভি চ্যানেলে ও অন্যান্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এমনকি তিনি আইটিভি ইউএস (মার্কিন ইসলামি টেলিভিশন চ্যানেল)-এর উপদেষ্টা এবং কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন তার অধীনে ১২ জন পিএইচডি এবং ৩০ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল পাশ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া থেকে হাদিস বিভাগে কেন্দ্রীয় কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশের মধ্যে ৮ম স্থান অর্জন করেন। মাদ্রাসায় অধ্যয়নের পাশাপাশি ১৯৮০ সালে মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে যশোর বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং পুরস্কারস্বরূপ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে নৌভ্রমণের সুযোগ পান। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে আরবি বিভাগে অনার্স এবং ১৯৯২ সালে উসুলে হাদিস বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে কাওয়ায়েদুল লুগাতিল কোরআন বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমান বিন আব্দুল আজিজের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৯৬% নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের মধ্যে আরবি ব্যাকরণ বিষয়ে তিনিই প্রথম ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। তিনি সৌদি আরবের কুল্লিয়াতুল লুগাতিল আরাবিয়া -তে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উত্তর রিয়াদ ইসলামিক সেন্টারে দাঈ, অনুবাদক ও দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের পাশাপাশি কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০১৬ সালের ১১ মে, ৫৮ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঝিনাইদহ হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে একটি মালবাহী ভ্যানের সাথে তার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুণ। আমিন। যাইহোক সমাজ সংস্কার, শিক্ষা, আল ফিকহ, আল হাদিস, তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা, ইসলামি ঐক্য প্রভৃতি বিষয়ের উপর ৫০টির অধিক গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে তার লেখা বইয়ের কোন বিকল্প হয় না। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে তার লেখা ৮টি বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ৮টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (৫৫০+৫৫০+৫৪০+৫৪০+৪৮০+৩৪০+৩৬০+৬০) = ৩৪২০ টাকা। কিন্তু ৮টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২২০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ১২২০ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিল ও দ্বীনি প্রোগ্রামে ওয়াজ-নসীহতের পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে আমৃত্যু ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমুআর খুতবা প্রদান করেছেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড হত। সেখান থেকে আটটি জীবনঘনিষ্ট বিষয় অনুলিখন করে সংকলন করা হয়েছে। জুমুআর সালাতপূর্ব তাঁর আলোচনার এ সংকলন উম্মাহর জন্য উপকারী হবে বলে আমরা মনে করি। কেননা বক্তৃতায় তিনি এমন অনেক সমাজ-সংলগ্ন ও জীবনঘনিষ্ট বিষয় আলোচনা করেছেন, সঙ্গত কারণেই যা লেখনীতে আসেনি। তিনি খুতবার আগে প্রায় এক ঘন্টা দ্বীনি আলোচনা করতেন এবং সালাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে চলত কুরআনের তাফসীর ও প্রশ্নোত্তর। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসতেন তাঁর আলোচনা শোনার জন্য। তিনি আযানের আগেই মসজিদে চলে যেতেন। আযান শেষ হলে আলোচনা শুরু করতেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে তিনি আলোচনা করতেন ইসলামের মৌলিক বিষয় ও জীবনঘনিষ্ঠ দিকগুলো নিয়ে। তাওহীদ, শিরক, সুন্নাত, বিদআত, সৎকর্মে উৎসাহ, অসৎকর্মে অনুৎসাহ, হুকুকুল্লাহ, হুকুকুল ইবাদত ইত্যাদি ছিল তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। এর পাশাপাশি তিনি তাঁর আলোচনায় সামাজিক অবক্ষয়, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা ও যুবসমস্যা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে নসিহত করতেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড করা হত। বর্তমান জটিল জীবনধারায় জুমুআর খুতবায় তাঁর প্রদত্ত জীবনমুখী আলোচনাগুলো মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলোর পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। এলক্ষ্যেই তাঁর এই অডিও খুতবাগুলো সংকলন করে ‘মিম্বারের আহবান-২’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ। সিরিজ-২ এর খুতবার বিষয়: সীরাতের আলোকে জীবন গঠন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিল ও দ্বীনি প্রোগ্রামে ওয়াজ-নসীহতের পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে আমৃত্যু ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমুআর খুতবা প্রদান করেছেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড হত। সেখান থেকে আটটি জীবনঘনিষ্ট বিষয় অনুলিখন করে সংকলন করা হয়েছে। জুমুআর সালাতপূর্ব তাঁর আলোচনার এ সংকলন উম্মাহর জন্য উপকারী হবে বলে আমরা মনে করি। কেননা বক্তৃতায় তিনি এমন অনেক সমাজ-সংলগ্ন ও জীবনঘনিষ্ট বিষয় আলোচনা করেছেন, সঙ্গত কারণেই যা লেখনীতে আসেনি। তিনি খুতবার আগে প্রায় এক ঘন্টা দ্বীনি আলোচনা করতেন এবং সালাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে চলত কুরআনের তাফসীর ও প্রশ্নোত্তর। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসতেন তাঁর আলোচনা শোনার জন্য। তিনি আযানের আগেই মসজিদে চলে যেতেন। আযান শেষ হলে আলোচনা শুরু করতেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে তিনি আলোচনা করতেন ইসলামের মৌলিক বিষয় ও জীবনঘনিষ্ঠ দিকগুলো নিয়ে। তাওহীদ, শিরক, সুন্নাত, বিদআত, সৎকর্মে উৎসাহ, অসৎকর্মে অনুৎসাহ, হুকুকুল্লাহ, হুকুকুল ইবাদত ইত্যাদি ছিল তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। এর পাশাপাশি তিনি তাঁর আলোচনায় সামাজিক অবক্ষয়, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা ও যুবসমস্যা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে নসিহত করতেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড করা হত। বর্তমান জটিল জীবনধারায় জুমুআর খুতবায় তাঁর প্রদত্ত জীবনমুখী আলোচনাগুলো মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলোর পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। এলক্ষ্যেই তাঁর এই অডিও খুতবাগুলো সংকলন করে ‘মিম্বারের আহবান-১’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ। সিরিজ-১ এর খুতবার বিষয়: সমাজ সংস্কারের দিক নির্দেশনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
উম্মাহর দরদি অভিভাবক মুহিউস সুন্নাহ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) -এর ইন্তিকালের পাঁচ বছর পর তাঁর এই জীবনী গ্রন্থটি লিখেছেন আবাসে–প্রবাসে তাঁর দীর্ঘদিনের সান্নিধ্য ধন্য জনাব আব্দুর রহমান। যারা দীর্ঘদিন স্যার রাহ.কে খুব নিকট থেকে দেখেছেন জনাব আব্দুর রহমান ছিলেন তাদের অন্যতম। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে তার স্মৃতিগুলো, তার বলবার কথাগুলো দুই মলাটের মাঝে সংরক্ষণ করেছেন তিনি। কেননা আমাদের কার কখন দুনিয়ার সফর শেষ হয়ে যায় কারোরই জানা নেই। পরবর্তীতে স্যার রাহ.-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী রচনায় মূল উৎস হিসাবে বইটি ব্যবহৃত হবে। ইনশাআল্লাহ। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান দুর্দিনে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.-এর জীবন চর্চা এবং তাঁর চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির আলোচনা অনেক দরকারী ও উপকারী যা কুয়াশাভরা সন্ধ্যায় আমাদের চলার পথে আলো ফেলবে। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) যিনি কোনো ঘরানায় প্রবেশ না করেও, শুধু বিশুদ্ধ সুন্নাহ আর সমগ্র উম্মাহর পক্ষে থেকেও আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। স্যার রাহ.-এর চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির চর্চা অতিশয় প্রাসঙ্গিক। তিনিই দেখিয়েছেন, কীভাবে বিভক্তির পথে না গিয়ে, কেবল সুন্নাহ ও উম্মাহর পক্ষে থেকেও উম্মাহর হৃদয়জয় করে এক প্লাটফর্মে আনা যায়। জনাব আব্দুর রহমান সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ) স্যার রাহ.-এর জীবন চর্চার জানালাটা খুলে দিলেন। এখন অনেকেই হয়ত দরজা খুলে বাইরে আসবেন; তাঁর জীবন চর্চা ব্যাপক আকারে শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জামাআত ও ঐক্য” বইটিতে তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতিরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী বলতে হয়, “ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি।” তিনি আরও বলেছেন, “ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলোর সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলোর অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়।” তাঁর এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনো ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলোতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাঁদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনো বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন, এমন দৃষ্টান্ত কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহ) ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার তো দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালোবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তাঁর ছাত্র শাফে‘ঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফে‘ঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাঁদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিরাক তথা অনৈক্যের কারণগুলো খুঁজে সেগুলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারি। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা‘আলার কাছে দো‘আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরি করে দেন। আমীন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “A Woman From Desert” (মরুভূমি থেকে এক মহিলা) বইটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন সাহাবা উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আনহার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য, সাহসীকতা এবং অগ্রগামীতার বিষয়টি অত্যন্ত বলিষ্ঠ্যভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান (রাদিয়াল্লাহু আনহা) নামের এই বুদ্ধিমতি মহীয়সী নারী সত্যিই খুব অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। যার মনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা ছিলো অসীম। অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন যত্নবান ধৈর্যশীল মা। বইটি আকারে ছোট হলেও এর জ্ঞানের আলো অতুলনীয়। যারা হেদায়াতের পথে চলতে চায় তাদেরকে এই বইটি অনুপ্রাণিত এবং উদ্বুদ্ধ করবে, বিশেষ করে নারীদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
১৯৭৮ খৃস্টাব্দে আমেরিকার কলরাডো (Colorado) রাষ্ট্রের কলরাডো ¯প্রীংস (Colorado springs) শহরে (north American conference on muslim evangelization): ‘মুসলিমদের খৃস্টান বানানো বিষয়ে উত্তর আমেরিকান সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মিশনাারিগণ পরবর্তী অর্ধশতকের মধ্যে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশকে খৃস্টান-প্রধান দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নেন। তারা প্রচার-পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। নিজেদেরকে মুসলমান, ঈসায়ী তরীকার মুসলমান বলে পরিচয় দেওয়া, ধর্মান্তরিতদের নামায-রোযা, ঈদ-মীলাদ বহাল রাখতে বলা.. ইত্যাদি। সেই সম্মেলনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারিদের প্রচার পদ্ধতি গতানুগতিক প্রচার পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এরা দেখেছে এদেশের বেশিরভাগ মুসলিমই নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই, এরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলমান দাবি করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে এবং খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। এরা নিজেদের বাইবেলকেও দিয়েছে ইসলামি নাম – ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’। এই বইটিকে তারা তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের শিক্ষার সম্মিলিত রুপ দাবি করে ইসলামের ওপর কালিমা লেপন করছে এবং মুসলিমদের করছে বিভ্রান্ত। ৫০ বৎসর আগে বাংলাদেশে কয়েক হাজার খৃস্টান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিম খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। ইসলামের ওপর খ্রিস্টান মিশনারীদের এসব অপতৎপরতার জবাব দিতে এবং মুসলিমদেরকে তথাকথিত ‘ঈসায়ী মুসলমান’দের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যার রচনা করেছেন “কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে সংক্ষিপ্ত আকারে মোট উনিশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ প্রথমেই স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা লিখেছেন। এরপর প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন, ঈসা মাসিহের ধর্মে মিথ্যার অনুপ্রবেশ নিয়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে প্রচলিত ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’ এর সাথে তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের তূলনামূলক আলোচনা। এরপর ধাপে ধাপে স্যার রাহিমাহুল্লাহ এনেছেন ইঞ্জিলের বিকৃত হওয়ার ইতিহাস, সাধু পলের আবির্ভাব, সাধু পলের প্রচারিত ধর্মের সাথে ঈসা আ. এর ধর্মের বৈপরীত্য, খৃষ্টানদের ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ আরো নানান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা৷ প্রত্যেক অধ্যায়ে স্যার রাহিমাহুল্লাহ দেখিয়েছেন খৃষ্টান ধর্মের ভিত কতটা নড়বড়ে। ইসলাম নিয়ে তাদের আপত্তিগুলো যে কতটা দুর্বল ও অযৌক্তিক সেটা বোঝা যাবে বইটি পড়লেই। এছাড়া খ্রিস্টান মিশনারীরা ঈসায়ী তরিকার দাওয়াত দিতে আসলে কিভাবে তার জবাব দিতে হবে ও মোকাবেলা করতে হবে এ বিষয়েও বিভিন্ন কৌশল ও উদাহরণ দেখিয়েছেন তিনি। সর্বেশষ অধ্যায়ে স্যার রাহি. মুসলিমদের প্রতি একটি নিবেদন রেখেছেন। সেখানে তিনি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থামিয়ে মিশনারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন করেছেন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
গত আগস্ট-২০১০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম সপ্তাহে কুরবানীর বিশুদ্ধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেব নারায়ণ মহেশ্বর। তিনি দাবি করেন যে, তাওরাত, যাবূর ও ইঞ্জিল বা “বাইবেলের” বক্তব্যের আলোকে ইসহাকই জাবীহুল্লাহ ছিলেন। কাজেই ইসমাঈলকে জাবীহুল্লাহ বলে যারা প্রচার করেন তারা সকলেই কাফির, জালিম ও ফাসিক। তিনি আইন করে এ বিষয়টিকে সংশোধন করার দাবি করেন। এ বিষয়ে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যার রচনা করেছেন “কুরবানী ও জাবীহুল্লাহ” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
হজ্জ সম্পর্কিত বাজারে বইয়ের কোন অভাব নাই। হজ্জ সম্পর্কিত প্রতিটি বইয়েই প্রায় হজ্জের নিয়ম কানুন অর্থাৎ হজ্জ কীভাবে করতে হবে? হজ্জে কি কি কাজ করতে হবে? কখন কোন দুয়া পড়তে হবে? এসব বিষয় নিয়ে লিখা হয়। কিন্তু ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “হজ্জ্বের আধ্যাত্মিক শিক্ষা” বইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের একটি বই। বইটিতে হজ্জের মূল শিক্ষা, কেন আমরা হজ্জ করব, হজ্জের উপকার কী এবং হজ্জের আধ্যত্মিক শিক্ষা কি কি, এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু বেসিক পরামর্শ, টিপসও দেয়া আছে বইটিতে, যা অন্য বইতে পাওয়া যায় না। বইটি দুটি ভাগ ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে হজ্জের গুরুত্ব, হজ্জ করার প্রয়োজনীয়তা, হজ্জের প্রয়োজনীয় উপকরন সংগ্রহ, হজ্জের প্রতিদান হিসাবে আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগে আত্মনিয়ন্ত্রনের বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে। আলোচিত হয়েছে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলের নানান উপকারিতা এবং দিক। নিজেকে অহংকারমুক্ত করা, অন্যের ভুল ক্ষমা করা, কষ্ট না দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দুআ করা এবং খুব বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এত বড় মাপের একজন আলেমের এমন সহজ সরল ভাষায় লেখা বইটি আসলেই প্রশংসার দাবীদার। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের সমাজে যে সকল বিষয় নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে তার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী অন্যতম। আর এই দ্বন্দ এত প্রকট হয়েছে যে যার ফলে মুসলমান এখন দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর উম্মতের এই ক্রান্তিলগ্নে এই রকম একটি বই খুবই জরুরী। আশাকরা যায় বইটি অধ্যয়ন করলে উম্মতের মধ্যে যে দ্বন্দ রয়েছে তা নিরসন হবে। ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয়, তাহলে তাতে আমরা অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলো প্রতি সোমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানো। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমাদেরকে এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলো, সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাতে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন নবী ছিলেন, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল আলাইহিস সালাম এর বংশ, আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সোমবার দিন রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করা। যাইহোক, ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ফার্সী ভাষায় ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত বা রজনী। বরাত শব্দটি আরবী থেকে গৃহীত। বাংলায় ‘বরাত’ শব্দটি ‘ভাগ্য’ বা ‘সৌভাগ্য’ অর্থে ব্যবহৃত হলেও আরবীতে এ শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। আরবীতে ‘বারাআত’ শব্দটির অর্থ বিমুক্তি, সম্পর্কচ্ছিন্নতা, মুক্ত হওয়া, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া ইত্যাদি। ফার্সী ‘শবে বরাত’, আরবী ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘বিমুক্তির রজনী’ বলতে আরবী পঞ্জিকার ৮ম মাস, শা‘বান মাসের মধ্যম রজনী বুঝানো হয়। কুরআন ও হাদীসে কোথাও ‘লাইলাতুল বারাআত’ পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়নি। সাহাবী-তাবিয়ীগণের যুগেও এ পরিভাষাটির ব্যবহার জানা যায় না। এ রাতটিকে হাদীস শরীফে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান’ বা ‘মধ্য-শা‘বানের রজনী’ বলা হয়েছে। এই শবে বরাত বা “মধ্য-শা’বানের রাত”-এর মর্যাদা সম্পর্কে অনেক কথাই আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মুসলিমগণ এ রাতে বিশেষ ইবাদতে মগ্ন হয়ে পড়েন। মীলাদমাহফিল, ওয়ায-নসীহত, বিশেষ মুনাজাত, তাবারুক বিতরণ, কবর যিয়ারত ও বিশেষ সালাতে মুসল্লীরা মগ্ন থাকেন এ রাতে। কিন্তু এ রাতের ফযীলতে কথিত এ সকল বক্তব্য কতটুকু নির্ভরযোগ্য এবং এ রাতের বিশেষ ইবাদত কুরআনসুন্নাহর আলোকে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা গুরুত্বের দাবীদার তা নিয়ে আলিম সমাজে বিভিন্ন বক্তব্য ও মতভেদ রয়েছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে মুসলমানরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন এবং অনেক সময় গালাগালি ও শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। এ সকল মতভেদ ও মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ রাতের মর্যাদা ও এ রাতের করণীয় নির্ধারণ করা এ পুস্তিকাটি উদ্দেশ্য। পুস্তিকাটিতে মধ্য-শাবানের রাত্রির ফযীলত ও এ রাত্রে বা পরের দিনে পালনীয় বিশেষ ইবাদত সম্পর্কে উদ্ধৃত কুরআনের আয়াত ও মুফসিরগণের বক্তব্য আলোচনা করা হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে বর্ণিত ও প্রচলিত সকল হাদীস উদ্ধৃত করে সেগুলির গ্রহণযোগ্যতা, বিশুদ্ধতা বা অশুদ্ধতার বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের মতামত পর্যালোচনাও করা হয়েছে। এভাবে বইটি থেকে সামগ্রিক ভাবে এ রাতে মুসলিমের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলির সম্পর্কে সঠিক সীদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম-এর আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দাওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দাওয়াত, কখনো সৎকার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত্ব, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী এসকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা‘ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দাওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয়েও পুস্তিকাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথাও আলোচনা করা হয়েছে পুস্তিকাটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
নামাযের মধ্যে ও নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল দু‘আ ও মুনাজাত পালন করেছেন এবং করতে শিক্ষা দিয়েছেন সেগুলো নিয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) “মুনাজাত ও নামায” শীর্ষক এই পুস্তিকাটি রচনা করেছেন। দু‘আ ও মুনাজাতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাতকে জীবিত করতে পুস্তিকাটি বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করছি। মুনাজাতের গুরুত্ব আমরা কমবেশি জানি। তবে এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আচরিত ও শেখানো মুনাজাতগুলি সম্পর্কে আমাদের দেশের অধিকাংশ দ্বীনদার মুসলিম অবগত নন। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ধার্মিক মুসলিম ও আলিম এ বিষয়ে আগ্রহীও নন। বিষয়টি দুঃখজনক। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক শেখানো মুনাজাতগুলি পালনের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সাওয়াব, মর্যাদা, বরকত ও কবুলিয়্যত। এ ব্যাপারে সকলেরই আগ্রহী হওয়া দরকার। এই পুস্তিকাটিতে নামাযের মধ্যে ও নামাযের পরে পালনীয় প্রায় অর্ধ শত মাসনূন মুনাজাত সহীহ হাদীসের আলোকে সংকলন করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে কিছু মুনাজাতের নির্ধারিত সময় বা স্থানও হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। আর কোনো কোনো মুনাজাত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, যেগুলিকে আমরা সকল স্থানে ও সময়ে ব্যবহার করতে পারি। যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে পালন করা যেতে পারে। নামাযের পরে পালনের জন্য শেখানো মুনাজাত সাজদার মধ্যে, কুনুতে বা সালামের আগে বলা যাবে, কুনুতের মধ্যে পালনের জন্য শেখানো দু‘আ সাজদায়, সালামের আগে বা সালামের পরে বলা যাবে। তবে এ সকল মুনাজাতের ক্ষেত্রে যে সময় বা স্থান হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলির দিকে লক্ষ্য রাখতে পারলে আরো ভালো। এতে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুবহু অনুকরণের অতিরিক্ত সাওয়াব ও ফযীলত অর্জিত হবে। এছাড়া নামাযের বাইরে সকল সময়ে, স্থানে ও অবস্থায় মুমিন সর্বদা আল্লাহর কাছে দু‘আ করবেন এবং সকল দু‘আ-মুনাজাতের ক্ষেত্রেই এ সকল মাসনূন বাক্য ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। মুনাজাতের বাক্য যেমন সুন্নাতসম্মত হওয়া উত্তম, তেমনি মুনাজাত আদায়ের পদ্ধতিও সুন্নাতসম্মত হওয়া উত্তম। এজন্য মুনাজাত আদায়ের মাসনূন পদ্ধতিও বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
“রামাদানের সওগাত” বইটি মূলত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “খুতবাতুল ইসলাম” বই থেকে রমাদানের অধ্যায়গুলোকে আলাদা করে সন্নিবেশ করা একটি বই। “খুতবাতুল ইসলাম” বইটির মাঝে তিনি জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী সম্মন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। যাতে করে খতিব সাহেবগণ জুমআর সালাতে এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সবার সম্মুখে উপস্থান করতে পারেন। কিন্তু “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি বেশ বড় আর দামের দিক থেকেও একটু বেশি হওয়ায়, শুধুমাত্র রমাদানের অংশগুলোকে বেঁছে নিয়ে ছোট্ট আকারে এই “রামাদানের সওগাত” বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ‘তাযকিয়া’ বা আত্মশুদ্ধি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীগণের জীবন থেকে আমরা দেখতে পাই যে, ফরয ইবাদত পালনের পরে সদাসর্বদা নফল ইবাদত পালনে রত থেকে, বিশেষত সদা সর্বদা জিহ্বা ও অন্তরকে আল্লাহর যিকিরে রত রেখে তাঁরা তাযকিয়া ও বেলায়াতের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছেন। সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে তাঁদের পালিত এ সকল নফল ইবাদত ও যিকিরের মধ্য থেকে কিছু বেছে নিয়ে এই মাসনূন (সুন্নাত-সম্মত) ‘ওযীফাটি’ রচনা করা হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন তরীকার ওযীফা ছাড়াও অনেক প্রকারের ওযীফার বই বাজারে প্রচলিত। তবে সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে মাসনূন বা সুন্নাতি ওযীফার বই তেমন পাওয়া যায় না। এ লক্ষ্যেই স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) রচনা করেছেন “সহীহ মাসনূন ওযীফা” নামক চমৎকার এই বইটি। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা” বইটির নাম থেকেই বুঝা যায় যে বইটি কি বিষয়ের উপর লেখা। বর্তমান বাংলাদেশে তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা নিয়ে তর্কাতর্কির কোন শেষ নেই। কেউ বলছে ৮ রাকাত, আবার কেউ বলছে ২০ রাকাত। আসলে কোনটি সহি সুন্নাহ সম্মত? এ বিষয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা” নামক ছোট্ট এই পুস্তিকাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুস্তিকাটিতে উক্ত বিষয়ের উপর আলোচনার পাশাপাশি কিয়ামুল লাইল বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।