তাফসীর তাইসীরুল কুরআনের এই অনুবাদটি সহজ সরল ভাষায় চলিত ভাষায় লিখিত। কুরআনের আরবী ফন্ট তুলনামূলক বেশী সহজ ও স্পষ্ট। সহীহ আক্বীদা ও মানহাজ অনুসরণ করে অনুবাদ যুক্ত করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন আলিমগণ দ্বারা সম্পাদিত। বিশেষ করে আল্লাহর সিফাত সম্পর্কিত আয়াতগুলোর অর্থ অবিকৃত রাখা হয়েছে। বিশেষ বিশেষ আয়াতের ক্ষেত্রে বুঝার জন্য হাদীস পেশ করা হয়েছে। হাদীসগুলোর নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। আল-কুরআনুল কারীমের বিষয়ভিত্তিক ধারাবাহিক সূচীপত্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে প্রায় আড়াই হাজার বিষয়ে প্রথমে সূরা নম্বর ও পরে আয়াত নম্বর উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলা বিষয়সূচীর সাথে সাথে আরবী ভাষাতেও বিষয়গুলোকে উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরবী বাক্যের হারাকাত দিয়ে সর্বসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের পাঠোপোযোগী করা হয়েছে। বিষয়সূচীর বিন্যাস পদ্ধতি: ১। আল-কুরআনুল কারীমের বিষয়গুলোকে ১৪টি পর্বে ভাগ করা হয়েছে। ২। প্রতিটি পর্বে একাধিক অধ্যায় রয়েছে। ৩। প্রতিটি অধ্যায়ে একাধিক অনুচ্ছেদ রয়েছে। ৪। অধিকাংশ অনুচ্ছেদ ১।, ২। ৩। এভাবে একাধিক ধারা রয়েছে। ৫। অধিকাংশ ধারায় /১, /২ এভাবে একাধিক উপ-ধারা রয়েছে। যেমন ১। ধারায় ১/১, ১/২, ১/৩ ইত্যাদি। ৬। অধিকাংশ উপ-ধারায় রয়েছে ক), খ), গ), ঘ) এভাবে বর্ণধারা। ৭। কোন কোন বর্ণধারাকে বন্ধনীর মাধ্যমে পুনরায় (১), (২), (৩) এভাবে সাজানো হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত পাঠক! নাজাতপ্রাপ্ত দলের আকীদাহ বইটি আকইদাহ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ একটি বই। আক্বীদা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একজন মুসলিম জীবনে জার প্রয়োজন সদা-সর্বদা। একজন মানুষের জীবনে নিঃশ্বাস গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা যেমন, আক্বীদার প্রয়োজনীয়তা তার চেয়ে কম নয়। সকল আমলের অশুদ্ধতা-বিশুদ্ধতা আক্বীদার উপরই নির্ভর করে। আক্বীদার শিক্ষা একজন মানুষকে সর্বাপেক্ষা বড় পাপ শিরক থেকে বাঁচাতে পারে। পক্ষান্তরে, এর মৌলিক বিষয়াবলি বিশুদ্ধ না হলে একজন মানুষের অন্যান্য আমল নষ্ট হয়ে যায়। বিশুদ্ধ আক্বীদাই হচ্ছে একজন মুসলিমের মূলধন। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আজ বিশুদ্ধ আক্বীদা থেকে বহু দূরে। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা তো বটেই, এমনকি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার কোন বন্দোবস্ত রাখা হয় নাই। এদিকে হানাফী ক্বওমী শিক্ষা ব্যবস্থায় আক্বীদা শিক্ষার নামে অনেক ক্ষেত্রে আশ’আরী-মাতুরীদী আক্বীদা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। কারণ আমাদের হানাফী ভাইয়েরা ইমাম আবু হানীফা (রহিঃ) এর প্রতি অতিভক্তি দেখালেও তার আক্বীদা তারা গ্রহণ করতে পারেনি। বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার এত বেশি গুরুত্ব থাকার সত্ত্বেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলা ভাষায় এবিষয়ের উপর সার্বজনীন তেমন কোন বই প্রকাশিত হয়নি। এ লক্ষ্যেই সম্মানিত লেখক হাফেয বিন আহমাদ আল-হাকামী রচনা করেছেন “নাজাতপ্রাপ্ত দলের আকীদাহ” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে একদিকে যেমন আক্বীদার মৌলিক বিশয়াবলি তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি বিষয়গুলোকে প্রশ্নোত্তর আকারে খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটির প্রত্যেকটি বক্তব্য কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ দারা প্রমানিত এবং সলফে ছলেহীন কর্তৃক সমর্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে হলে আকীদা সম্পর্কে জানতেই হবে। আর তার জন্য “নাজাতপ্রাপ্ত দলের আকীদাহ” চমৎকার একটি সহায়িকা। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ্ তাআলা জ্বীন জাতিকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। মানব জাতির আবাসের পূর্ব থেকেই পৃথিবী এই জাতিকে আল্লাহ্ পাঠিয়েছেন। তথাপি এই জ্বীন জাতির সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির মিথ্যুক কবিরাজরা মানুষদের ক্ষতি করে থাকে। ব্লাক ম্যাজিক করে। এই দুনিয়ায় মানুষ সবচেয়ে বেশি অসহায় যে রোগের ব্যাপারে, তা হচ্ছে এই জ্বীন কেন্দ্রিক অসুস্থতা। কুরআন হাদীস জুড়ে এর অসংখ্য চিকিৎসা বাতলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু অজ্ঞতা এবং ভণ্ড কবিরাজদের ছয়লাভের কারণে সুন্নাহ সম্মত সেই চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা অজ্ঞই থেকে যাই। বক্ষ্যমাণ এই গ্রন্থটি সেই দিককে আলোকপাত করেই রচিত। কীভাবে জ্বীন কেন্দ্রিক অসুস্থতা থেকে আমরা রেহাই পেতে পারি, এবং ভণ্ড কবিরাজদের ছোবল থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারি কুরআন হাদীসের আলোকে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সহীহ সুন্নাহ বা হাদীস দ্বারা শুদ্ধ আমল ও ইবাদত করতে বাংলার মুসলিম সমাজকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে সহীহ দু’আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর বইটি রচনা করা হয়েছে। যেহেতু সন্দিগ্ধ দঈফ হাদীসকে ভিত্তি করে কোন আমল করার চেয়ে সহীহ হাদীসকেই ভিত্তি করে নিঃসন্দেহে নিশ্চিতরূপে আমল করাটাই উত্তম। কারণ দঈফ হাদীস দ্বারা আমল বিদআত বলে পরিগণিত। বাংলা ভাষায় হাদীস থেকে দুয়া ও যিকর সংকলিত হয়েছে। যার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে বিশুদ্ধ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ দুয়াগুলো অত্র পুস্তিকায় সংকলন করা হয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত আল্লাহ তায়ালার স্মরণ চান এবং তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্ভেজাল অনুসরণ চান তারা অত্র পুস্তিকা দ্বারা প্রভূত উপকৃত হবেন, এতে কোন সন্ধেহ নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
এই বইয়ে নবীজীর নবুওয়াতের পূর্ববর্তী জীবনের এমন এমন তথ্য আছে, সেগুলো হয়তো আমরা জানতাম না। এমন বই আমাদের দেশে খুবই কম। তরুন নবীজীর সততা, কর্মে মুগ্ধ হয়ে মক্কাবাসী তাকে “আল আমিন” (বিশ্বস্ত, সত্যবাদী) উপাধিতে ভূষিত করেন, তখন তিনি নবী ছিলেন না। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “রাসূলের মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য ভালো ভালো উদাহরন”। তিনি শিশু ছিলেন, খেলাধুলা করেছেন, মরুভূমিতে দৌড়াদৌড়ি করেছেন-শিশুরা যেনো এটা কল্পনাই করতে পারে না। তিনি কিশোর ছিলেন, সততার সাহায্যে চাচার সাথে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ব্যবসা করেছেন, নিন্দনীয়-খারাপ কাজ থেকে ছেটোথেকেই বিরত ছিলেন, তার পূর্বপুরুষদের মতো সমাজে নিজের কর্মের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছোটথেকেই স্মার্ট হয়ে ওঠার সুনিপুণ গল্পগুলো লেখক এই বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আধুনিক যুগের বিশ্বাসী মানুষরা কীভাবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের সাথে হৃদয়ের কথা উপস্থাপন করে? কীভাবে আমরা একটা সৌহাদ্যপূর্ণ, পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তুলতে পারি? আজকের দিনে উম্মাহ যেসব বড়ো বড়ো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সেগুলোকে কীভাবে আমরা সামলিয়ে নিতে পারি? এসব প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুঁজে পাব- উস্তাদ নুমান আলী খানের এই সংকলিত গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ্। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে এমনসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে যা মুমিন চরিত্র সংশোধনের জন্য সহায়ক। কিছু না কিছু নাসিহার মাধ্যমে মুমিন হৃদয়ে নিভতে থাকা ঈমানের প্রদীপ শিখাকে পুনরায় জ্বালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ্, দুনিয়াব্যাপী রাসূল ﷺ এর সীরাত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, লেখালিখি হচ্ছে, প্রবন্ধ হচ্ছে, গ্রন্থ রচিত হচ্ছে। বাংলা সাহিত্যেও সীরাত নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে। অনেক সম্মানিত শায়েখ ও ওলামায়ে কিরাম সীরাত গ্রন্থ লিখেছেন। পৃথিবীর সেরা সীরাত গ্রন্থগুলোর বাংলা অনুবাদও হয়েছে। বিভিন্ন মুহতারাম শায়েখবৃন্দ রাসূলের জীবনীর ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটকে সামনে এনে লিখেছেন। প্রত্যেকটি প্রেক্ষাপটে লিখা সীরাত গ্রন্থ উম্মাহর জন্য অতি মূল্যবান হীরকখণ্ড। সীরাত নিয়ে শত কাজের ভিড়ে ‘প্রশ্নোত্তরে সীরাতুন্নবী ﷺ’ গ্রন্থটি একটি নতুন সংযোজন। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে রাসূল ﷺ -এর জীবনী অধ্যয়নের এই ভিন্ন ধাঁচের গ্রন্থ সীরাতপ্রেমী মানুষদের হৃদয়ে নতুন করে দোলা দিবে ইনশাআল্লাহ। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
দুআ নিয়ে সকল অজ্ঞতা এবং ভ্রান্তি নিরসন করে, দুআর গুরুত্ব এবং মাহাত্ম সম্পর্কে আমাদের সচেতন করার চমৎকার একটা প্রয়াস ড. ইয়াসীর ক্বাদীর ‘Dua: The Weapon of Believers’ বইয়ের অনুবাদ ‘দুআ বিশ্বাসীদের হাতিয়ার’ নামক বইটি। প্রচলিত অন্য সব দুআর বই থেকে ভিন্ন বইটি দুআর কোন সংকলন নয়। দুআর মর্যাদা, নিয়ম এবং কবুলের আদবকেতার প্রামাণ্য গ্রন্থ এটি। দুআর গুরুত্ব, মাহাত্ম, প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা সময়ে লেখা আলীমদের বইয়ের সারনির্যাসকে নিজের ভাষায় সহজ করে গুছিয়ে লিখেছেন ড. ক্বাদী। ইংরেজি থেকে বইটির অনুবাদ করেছেন মাসুদ শরীফ। বইটিতে পাঠকদের বোঝার সুবিধার্তে পুরো বইটাকে বিভিন্ন শিরোনাম, উপ-শিরোনামে ভাগ করে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমেই রয়েছে কিছু বুনিয়াদি বিষয় শিরোনামে আলোচনা। দুআ কি, ইবাদাত হিসেবে দুআ, দুআর সাথে ঈমাণের সম্পর্ক, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে দুআ করা যাবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বলা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে দুআর ধরন নিয়ে। তৃতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম দুআর মর্যাদা ও ফায়দা। এখানে দুআর মর্যাদা, গুরুত্ব, প্রয়োজনীতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অন্যসব ইবাদাতের মত দুআর জন্যও রয়েছে কতগুলো অবশ্য পালনীয় শর্ত, যেগুলো পূরন না করলে দুআ কবুল হয় না। এসব নিয়েই তৃতীয় অধ্যায় দুআর কিছু শর্ত। দুআ কবুলের জন্য দুআ করার সময় কিছু কাজ করতে হয়। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে দুআর আদবকেতা শিরোনামে চতুর্থ অধ্যায়ে। দুআর সাথে বেমানান এবং আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে দুআর সময় যা করা ঠিক নয় শিরোনামে। দুআ করার সুবর্ণ সময়। কিছু বিশেষ সময় আছে যখন দুআ কবুল হয়। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে এ সময়গুলোর কথা। সেই সময়গুলো নিয়েই এই অধ্যায়ের আলোচনা। মুমিনের জীবনে এমন কিছু পরিস্থিতি আসে যখন আল্লাহ তার দুআ কবুল করে নেন। দুআ কবুলের সম্ভাবনাময় পরিস্থতি-তে এসেছে তারই বর্ণনা। দুআ কবুল না হওয়ার কারণগুলো গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ‘দুআ কবুল হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা’ শিরোনামে। ‘দুআ কবুলে দেরি হওয়ার কারণ’ শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে যেসব কারণে দুআ কুবল হতে দেরি হয় সে সমস্ত কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও দুআর কিছু অনুমোদিত বিষয়, উসিলা, দুআর সাথে তাকদীরের সম্পর্ক, দুআর বিবিধ বিষয়াবলি, দুআর মাঝে বিদআত, দুআ সংক্রান্ত কিছু দুর্বল হাদীস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
পার্থিব জীবনে আমরা মুসলমান হিসেবে বিক্ষিপ্তভাবে অনেক চরিত্রকে অবলোকন করেছি। আদর্শ মুসলমানের চরিত্র কেমন হবে, তা না জানার চেষ্টা করেছি, আর জেনে থাকলেও না তা বাস্তবায়ন করেছি। আর সেই সাথে আমরা হারিয়েছি নৈতিক মূল্যবোধ। লেখক এই দূর্বলতা দূর করতেই এই বইটিতে আদর্শ মুসলমানের চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। ইসলামে চরিত্র ও কর্ম নামক শব্দটির গুরুত্ব অনেক বেশি। চরিত্র ও কর্ম হলো কথা অনুযায়ী কাজ। একজন মুসলমান হিসেবে আমরা আমাদের আদর্শ চরিত্রকে অবলীলাক্রমে ভুলে যাচ্ছি। নৈতিক চরিত্র ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হতে পারে না। যার চরিত্র যত সুন্দর তার ঈমানও তাতটাই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক। আমরা নৈতিক চরিত্রের দূর্বলতা দূর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাব না। একজন মুসলমান হয়ে আমরা অধিকাংশই গড়পড়তা চরিত্র নিয়ে চলি। এ কারণেই আমরা সালাত, সিয়াম পালন শেষেও নানাবিধ দূরাচারে লিপ্ত। আমানত খেয়াতন করি। ওয়াদা পালন করতে পারিনা। সর্বদা কাজে -কর্মে নিজেকে বাটপার, প্রতারক, ধান্দাবাজ প্রমাণ করি। এই বইটি পড়লে চরিত্র সংশোধন করে উজ্জ্বল এবং আদর্শ চরিত্রের অধিকারী হওয়া সম্ভব। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
‘স্টোরি অব বিগিনিং’ বইটা অসাধারণ একটি বই। পৃথিবী সৃষ্টির আগে গোটা জগত কেমন ছিল? এর সূচনা কীভাবে হলো? সৃষ্টির শুরুতে আমরা কোথায় ছিলাম? আদম আ.-এর সৃষ্টির আগে পৃথিবীটাই-বা কেমন ছিল? ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে জনপ্রিয় দা’ঈ ইলাল্লাহ ওমর সুলেইমান ‘The Beginning and The Ending’ শিরোনামে ৭০ পর্বের একটি সিরিজ বক্তব্য প্রদান করেন। ইবনে কাসিরের বিখ্যাত ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে এই সিরিজ বক্তব্য তিনি এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রাথমিকভাবে সৃষ্টির ইতিহাস প্রসঙ্গে আমরা যা জানি এবং এর বাইরে আরও যেসব বার্তা আছে, সেগুলোও ধারবাহিকভাবে আলোচনায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ করে হাশরের দিন, হাশরের দিন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, জান্নাত, জাহান্নামের বিষয়গুলো খুবই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কীভাবে মানুষ, বিশাল পৃথিবী, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল, ফেরেশতা, জিন, প্রাণিকুল সৃষ্টি হলো, সে প্রসঙ্গে অত্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়েছে। রাসূল ﷺ-এর জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে অনুপম ভঙ্গিতে। রাসূল ﷺ-এর ওফাতপরবর্তী শতাব্দীগুলোতে ঘটে যাওয়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; বিশেষত সেই শতাব্দীতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহের সাথে ইসলামের ইতিহাস কীভাবে আবর্তিত হলো, তাও আলোচিত হয়েছে। তার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে খুবই সাবলীল ভাষায় বর্তমান সময়টাকেও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামে কি বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ অবশ্যই আছে। তবে কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিগত কামনার চরিতার্থে বিনোদনকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিশেষ করে বর্তমান আধুনিক এ যুগে বিনোদন শিল্প এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। বিনোদনের এত এত সব উপকরণ ছড়িয়ে আছে যে, কেউ চাইলে সারাজীবন শুধু বিনোদনের মধ্যে থেকেই কাটিয়ে দিতে পারবে। দিন দিন মানুষ সেদিকেই যাচ্ছে। মানুষ আজ টাকা আর বিনোদনকে তার উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে পূজা করছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না-হয়, ফোটানো না-হয়, তাহলেই সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতি। এই বইতে একটা ফিল্টার দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে আপনি ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন নিজেই। পরিশেষে, মুসলিম হিসেবে বিনোদনই আমাদের শেষ কথা নয়। এটা আল্লাহর দেওয়া একটা অনুগ্রহ মাত্র। জীবনের অর্থ আরও ব্যাপক, উদ্দেশ্য আরও মহৎ। আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থেকে মানুষ তার চাহিদা বৈধভাবে পূরণ করতে পারে। বিনোদন তেমনই একটি চাহিদা। তাই আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে। আর এটার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই “হালাল বিনোদন” বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কুরআনুল কারিমের অন্যতম একটি সূরা, কালজয়ী উপাখ্যান, সর্বশ্রেষ্ঠ গল্প- সূরা ইউসুফের সহজ-সরল মর্মবাণী, সংক্ষিপ্ত তাফসির ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা নিয়ে লেখক মিজানুর রহমান আজহারি রচনা করেছেন “রিফ্লেকশন ফ্রম সূরা ইউসুফ” নামক বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আহ্বান বইটি রচনা করেছেন মিজানুর রহমান আজহারি। মূলত এটি একটি আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণামূলক বই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বইয়ের কভার পেজেই লিখা আছে you have 12 unread messages এই বাক্যটাই পাঠককে আকৃষ্ট করবে। ১২ টি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা তরুণদেরকে নিরবে পৌছে দিতে ‘ম্যাসেজ’ বইটি খুবই কার্যকরী হবে। কেননা এতে যেমন আছে জ্ঞান তেমনি আছে রোল মডেল ও আবার আছে করণীয়। এই বইটির বিশেষত্ব হলো এতে জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সকল দিকনির্দেশনা সংক্ষেপে বর্ণিত আছে। এতে যেমন আছে শুরুতে জ্ঞানের কথা, তেমনি পরই আছে কি করতে হবে, কোনটি শিষ্টাচার আর কোনটি তা নয়। এতে প্রতিটি বিষয়ই কুরআন – হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এতে তরুণদের মসজিদমুখী করবার জন্যও অনেক বিষয় উল্লেখ আছে। আবার আদর্শ পেরেন্ট হিসেবে কি কি করণীয়, তাও আছে। পরিশেষে এতে তরুণদের বোধোদয় করবার জন্য একটি টুইস্ট আছে। সর্বোপরি শিশু থেকে তরুণদের লক্ষ্যেই বইয়ের অধিকাংশ বাক্য ব্যয় করেছেন লেখক। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) যিনি ছিলেন একাধারে একজন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, টিভি আলোচক, অনুবাদক, ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ। তিনি ইসলামিক টিভি, এনটিভি, পিস টিভি, এটিএন বাংলা, চ্যানেল নাইন ইত্যাদি টিভি চ্যানেলে ও অন্যান্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এমনকি তিনি আইটিভি ইউএস (মার্কিন ইসলামি টেলিভিশন চ্যানেল)-এর উপদেষ্টা এবং কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন তার অধীনে ১২ জন পিএইচডি এবং ৩০ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল পাশ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া থেকে হাদিস বিভাগে কেন্দ্রীয় কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশের মধ্যে ৮ম স্থান অর্জন করেন। মাদ্রাসায় অধ্যয়নের পাশাপাশি ১৯৮০ সালে মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে যশোর বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং পুরস্কারস্বরূপ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে নৌভ্রমণের সুযোগ পান। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে আরবি বিভাগে অনার্স এবং ১৯৯২ সালে উসুলে হাদিস বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে কাওয়ায়েদুল লুগাতিল কোরআন বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমান বিন আব্দুল আজিজের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৯৬% নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের মধ্যে আরবি ব্যাকরণ বিষয়ে তিনিই প্রথম ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। তিনি সৌদি আরবের কুল্লিয়াতুল লুগাতিল আরাবিয়া -তে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উত্তর রিয়াদ ইসলামিক সেন্টারে দাঈ, অনুবাদক ও দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের পাশাপাশি কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০১৬ সালের ১১ মে, ৫৮ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঝিনাইদহ হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে একটি মালবাহী ভ্যানের সাথে তার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুণ। আমিন। যাইহোক সমাজ সংস্কার, শিক্ষা, আল ফিকহ, আল হাদিস, তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা, ইসলামি ঐক্য প্রভৃতি বিষয়ের উপর প্রচুর গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে তার লেখা বইয়ের কোন বিকল্প হয় না। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে তার লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ যিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, আলেম-ওলামার মাটি দেবী নগরে মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে ১৯৬০ সালে একটি সম্ভ্রান্ত ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদ্রাসায় ১৯৭৫ থেকে ৭৯৮২ ইং পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সেখানে হাদিসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইলমের কেন্দ্র বলে খ্যাত ভারতের উত্তর প্রদেশ গমন করেন এবং উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম মাউনাথভাঞ্জান থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে দাওরা হাদিস শেষ করেন। ২০ আগস্ট ১৯৮৮ ইং সালে আল-মারকাযুল ইসলামী, জান্নাতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ও গাইবান্ধায় মুহাদ্দিস হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি কলকাতা আলিয়া বোর্ড এবং ঢাকা আলিয়া বোর্ড থেকেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বক্তব্যের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজেও অবদান রাখা শুরু করেন। আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাযহাব-মাসলাক নির্বিশেষে আপামর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসিহত মূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে প্রচলিত বিদআত, জান্নাত-জাহান্নাম, আদর্শ পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। তিনি পিস টিভিতেও নিয়মিত আলোচনা করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিশর, ভারত ও নেপালে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইও রচনা করেছেন। যে বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম। যাতে করে একজন পাঠক খুব সহজেই এবং সুলভ মূল্যে এসকল বই সংগ্রহ করতে পারেন এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১৭টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (১৬০ + ৯০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ২৫০ + ২২০ + ১০০ + ১৩০ + ৫০ + ৭৫ + ৯০ + ৩০০ + ২৩০ + ২৫০ + ৫০০) = ৩০৪৫ টাকা। কিন্তু ১৭টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৮৫০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে আপনার সেভ হবে ১৯৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
শাইখ আলী জাবির আল ফাইফী রচিত “তিনিই আমার প্রাণের নবি (সা.)” বইটির পরতে পরতে পাঠক নবীজিকে নতুন ভাবে চিনবেন। দেখবেন, তিনি এসেছেন মহানুভুবতা, ভালোবাসা আর বিশ্বস্ততার প্রতীক হয়ে। জানবেন, তার শুভামন ঘটেছে মহান রবের পক্ষ থেকে এক আলো-ঝলমলে বার্তা নিয়ে, যে আলোয় ভেসে যায় সমস্ত অনাচার, মুছে যায় সব মিথ্যে উপাস্যের ঠুনকো অস্তিত্ব। তিনি জানেন ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে। তিনি জানেন সকলের মাঝে ভালোবাসার বীজ বুনে দিতে। বইটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নবী (সা.) ও তার সাহাবিদের জীবন থেকে নেওয়া কাহিনী নিয়ে লেখা। বইটিতে রয়েছে মহানবী (সা.) আমদের পথপ্রদর্শক ও সারাধণ মানুষ থেকে মহান মানুষ হয়ে উঠার গল্প। কিভাবে তার সাহাবিদের ইসলামের পথে আটুট থাকতে হয়ে তা শিখিয়েছেন৷ তার গুণাবলি সাহাবিদের মাঝে কিভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা বর্ণনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
অন্তর কাঁপানোর মত বই এটি। বইটির নাম “কে উনি?” অবশ্য ওখানে প্রশ্নবোধক চিহ্নের মাঝে আরবি “م (মীম)” হরফটির ব্যাবহার করা হয়েছে। আর “মীম” দিয়ে সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নামকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। অর্থাৎ কে উনি মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। মানে পুরো বইটি ওনার পরিচয়, কে উনি সেই সম্পর্কেই লেখা। বইটি গল্পের মতো করে লেখা হয়েছে। তবে, বইটিতে ইতিহাস থেকে উল্লেখিত প্রতিটি ঘটনাই সম্পূর্ণ বাস্তব ও সত্য। তবে মূল গল্পে বর্ণিত নাম এবং চরিত্রগুলো পুরোপুরি বাস্তব নয়, আবার সম্পূর্ণ অবাস্তবও নয়। হৃদয় কুমার নামের এক অনুসন্ধিৎসু অমুসলিম ছেলে সত্যকে খুঁজে বেড়াচ্ছে, সত্যকে জানার চেষ্টা করছে। আর নিজের মধ্যেই নিজের মনের দুই প্রান্তকে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে যুক্তি পাল্টা যুক্তি দিয়ে নিজের সাথে এক তর্কযুদ্ধে লড়াই করছে। নিজের সাথে নিজের সেই যুদ্ধের বিষয়গুলো আবার বিস্তারিত নোট করে রাখছে। আর তাকে সাহায্য করছে একজন ভাই। হৃদয় কুমার ইতোমধ্যে স্রষ্টার অস্তিত্বের এবং একত্বের বিষয়ে পড়াশোনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছে। এখন তার মাথায় স্রষ্টার দেখানো পথ কোনটা, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত এবং এই উত্তর খুঁজতে গিয়ে মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পথ সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছে। তার আগে মুহাম্মদ লোকটিকে নিয়ে পড়াশোনা করছে এবং ওনার পরিচয়, ওনি আসলেই সত্য নবী ছিলেন কিনা, সেটার উত্তর খুজতেছে। শেষ পর্যন্ত উত্তর পেয়েও যায়, খুব ভালো করেই শক্ত প্রমাণাদি সহ উত্তর পেয়ে সত্যের সিদ্ধান্তে পৌঁছায়। বইটি পড়ে পাঠক-পাঠিকা গালে হাত দিয়ে ভাবনার অতলে তলিয়ে যাবে। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনির পাতায় পাতায়, কুরআনের পরতে পরতে তাঁর নবুওয়াতের সত্যতা দেখে নিতে, ভেবে বের করে শেখার চেষ্টা করবে নিজে নিজে। উনাকে অস্বীকার করার আর কোনো ভিত্তিই খুঁজে পাবে না নিজের ভিতরে। মুখে অস্বীকার করলেও, ভেতর থেকে ঠিকই জেনে যাবে, উনি নবী, সত্য নবী। বইটি সহজ ভঙ্গিমায়, সহজ আবেদন এর মাধ্যমে লেখা হয়েছে। বইটি পড়ার সময় মনে হবে নিজের খুব আপন কেউ, বিশাল এক আগুনের কুন্ডলী থেকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ আবেদন জানাচ্ছে, হৃদয়কে নিংড়ে আমাকে বাঁচানোর জন্য আকুতি মিনতি করছে। দাওয়াহ এর উদ্দেশ্যে লেখা বইয়ে এমন আবেদন খুব প্রয়োজন, যেহেতু অমুসলিম ভাইদেরও জন্যও বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য হামিদা মুবাশ্বেরার রচিত “শিকড়ের সন্ধানে” বইটি সত্যিই অসাধারণ একটি বই। এটি কেবল স্রেফ একটা বই নয়, বরং কুরআনীয় ঘটনাগুলোর একটি নির্মোহ বিশ্লেষণ। বইটিতে কুরআনে বিবৃত বনি ইসরাইলের ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হয়েছে। দেখানো হয়েছে– একটি উম্মাহ থেকে কীভাবে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও মুসলিম —এই তিনটি জাতির উদ্ভব হয়েছে। বইটির পাতায় পাতায় রয়েছে প্রচুর শিক্ষনীয় বিষয়। ইহুদি, খ্রিষ্টানদের সাথে আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও জীবনাচারের পার্থক্যটা কোথায় তা তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন বিকৃত আকিদাকে রদ করে বিশুদ্ধ ইসলামি আকিদার শ্রেষ্ঠত্বও তুলে ধরা হয়েছে। বইটি আমাদেরকে নিয়ে গেছে অতীতে —একেবারে গোড়ায়, যেখান থেকে আমাদের আত্মপরিচিতির শুরু। কত হাওয়া বদল করে, কত বাঁক পেরিয়ে, কত সময় পার করে আমরা আমাদের শেষ পরিচয়, ‘মুসলমান’ —এ এসে ঠেকেছি। সেই মহাযাত্রার রহস্যপানে লেখিকা পাঠকদেরকে ভ্রমণ করিয়েছেন। বইটি কুরআনের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। সেই সাথে কেবল জ্ঞানের পরিধিকেই সমৃদ্ধ করবে না বরং পাশাপাশি ঈমানের স্তর বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে। ইনশাআল্লাহ। সাবলীল ভাষা এবং নান্দনিক উপস্থাপনায় মুখর হয়ে উঠেছে বইটি। প্রচুর তথ্যসমৃদ্ধ একটি বই। ইলম অন্বেষণকারী প্রত্যেক পাঠকের একবার হলেও বইটি পড়া উচিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
উপহার! শব্দটা শুনতেই একটা ভাল লাগা কাজ করে। আর সেই উপহার যদি হয় আরশের অধিপতির দেয়া, তবে সেই অনুভূতি কেমন হতে পারে- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মহান রব আমাদের জন্য জিলহজের এই ১০টি দিনকে উপহার হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন। আর এই ১০টি দিনে কিভাবে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি, তা নিয়েই ড. খালিদ আবু শাদি রচনা করেছেন “জিলহজের উপহার” নামক এই বইটি। বইটিতে জিলহজ মাসের ফজিলত, গুরুত্ব ও মাহাত্ন্য সম্পর্কে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি গুনাহগার হৃদয়কে আমলের প্রতি আগ্রহী করারও চেষ্টা করা হয়েছে। জিলহজের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর কর্ম পরিকল্পনাকে ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি আমলের জন্য নিয়ত ও ইবাদতের মান কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিদিনের আমল-বিষয়ক “হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ্”-গুলোকে কিভাবে নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠা করা যায় সে আলোচনাও উঠে এসেছে। আরো আছে হৃদয়গ্রাহী নাসিহা। যেটার শিরোনাম করা হয়েছে নাসিহার চাবুক নামে। সর্বোপরি একজন আমলদার ব্যক্তির জন্য এই বইটি হতে পারে একটি গাইডলাইন। বইটি পড়তে গিয়ে একজন গাফিল বান্দা সংবিৎ ফিরে পাবে। তাই বছরের এই শ্রেষ্ঠ ১০টি দিনকে অবহেলা আর অলসতায় কাটাতে না চাইলে বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। কিভাবে এই ১০টি দিনকে প্রোডাক্টিভ করতে পারেন, আমল আর ইবাদতের চাঁদরে মুড়ে কিভাবে অনন্য উচ্চতায় পৌছতে পারেন সে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবেন। জিলহজ মাসের নির্দিষ্ট আমল, রীতিনীতি এবং সাওয়াবগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাঠকদের জন্য বইটির পাতায় পাতায় লেখক একরাশ অনুপ্রেরণার বীজ বুনেছেন। মোটকথা, এই মাসটা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠকরা এই বইটা পড়ে তা উপলব্ধি করতে পারবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সালাতে গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কিত খুবই চমৎকার একটি বই “হাইয়া আলাস সালাহ”। অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বইটি উপস্থাপনা করা হয়েছে। এটি এমন একটি বই, যা পড়ে মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্য মসজিদমুখী হবে, সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“সবর” বইটি অসাধারণ। লেখক সমগ্র বইতেই যেন নিজের অসামান্য ইলমি যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। যখন সবরের গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য নিয়ে লিখেছেন তখন মনে হয়েছে সবর এর চেয়ে উত্তম আর কোন আমলই হতে পারেনা। আবার, যখন শোকরের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে আলোকপাত করেছেন তখন মনে হয়েছে সবকিছুই তো শোকরের উপর নির্ভরশীল। যখন সমন্বয় করেছেন, তখন আলোচ্য বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেছে। লেখক যখন সবরের বিভিন্ন ধরন, উত্তম সবর ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করেছেন তখন এত স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলোচ্য বিষয়ের অবতারণা করেছেন যে সব শ্রেণীর পাঠকেরই উক্ত বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা এসে যাবে। ইনশাআল্লাহ। ঠিক তেমনিভাবে শোকর নিয়ে যখন আলোচনা করেছেন তখনও পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করেছেন। কুরআন হাদিস থেকে এত এত দলীল এত প্রামাণ্যভাবে লেখক উপস্থাপন করতে পারঙ্গম যে পাঠকমাত্রই বিমোহিত হবেন। বইয়ের দুইটি কোতূহলীদ্দীপক আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে। একটি হচ্ছেঃ কে বেশি শ্রেষ্ঠ, ধৈর্যশীল গরীব নাকি কৃতজ্ঞ ধনী – এই বিতর্ক নিয়ে আলোচনা। দ্বিপাক্ষিক বিতর্কের স্টাইলে করা এসব আলোচনার মাধ্যমে আবারও লেখক নিজের পান্ডিত্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। যখন ধৈর্যশীল গরীব লোকের শ্রেষ্টত্বের কথা আলোচনা করেছেন তখন এত এত দলীল এনেছেন যে আমি ভেবেছি দ্বিতীয় দলের শ্রেষ্ঠ হওয়ার কোন সুযোগই নেই। আবার যখন কৃতজ্ঞ ধনী ব্যক্তির শ্রেষ্টত্বের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন তখন মনে হয়েছে তারাইতো শ্রেষ্ঠ। কুরআন, হাদিসের পাশাপাশি সালাফদের আমলও বাদ যায়নি লেখকের বিস্তারিত আলোচনা থেকে। শেষমেষ লেখক এই আলোচনার শিক্ষা টেনে অসম্ভব সুন্দরভাবে আলোচনার সমাপ্তি টেনেছেন। ঠিক তেমনিভাবে, সবর নাকি শোকর কোনটা উত্তম এ বিতর্কেরও পর্দা টেনেছেন লেখক এই বইয়ে। সবর এবং শোকর দুটিই তো আল্লাহর পছন্দনীয় গুণ। কিন্তু, উত্তম কোনটা? জানতে হলে বইটি পড়তে হবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বক্ষ্যমাণ এই গ্রন্থখানি রামাদানে সিয়াম পালনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনামূলক একটি গ্রন্থ। এতে অপেক্ষাকৃত কার্যকরী বহু আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীসের মাধ্যমে রামাদানের বিভিন্ন আমলের ব্যাপারে নির্ভুল দিক-নির্দেশনা প্রদানের চেষ্টা করা হয়েছে। সাথে কয়েকটি সুমধুর কবিতাংশ ও হৃদয়গ্রাহী বেশকিছু বাণী সন্নিবেশিত করা হয়েছে। পাঠকগণ যেন তাদের রামাদানকে উত্তমরূপে কাজে লাগাতে পারেন সে-উদ্দেশ্যেই বইটি রচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম পরিমহলে “সালাফ” বলতে বোঝানো হয়, ইসলামের প্রথম তিন যুগের অনুসৃত ব্যক্তিগণকে। তাঁরা হলেন সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবিয়ী। স্বয়ং নবিজী ﷺ তাদেরকে সফলতার মানদন্ড হিসেবে নির্ধারন করবে দিয়েছেন। তাই দ্বীনের যে কোনো বিষয় শেখার জন্য আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে সালাফদের জীবনের আঙিনায়। সেই আঙিনায় গিয়ে, তাদের রঙে রাঙাতে হবে নিজের জীবনকে। সেইসব সালাফগণের চমকপ্রদ কিছু ঘটনাবলি দিয়েই সাজানো হয়েছে “সালাফদের জীবনকথা” নামের এই বইটি। মূল বইটির নাম “আইনা নাহনু মিন আখলাকিস সালাফ”। লেখক হলেন শাইখ আব্দুল আযীয এবং শাইখ বাহাউদ্দীন উকাইল। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন–মাসউদ আলিমী। বইটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে — সালাফগণ কীভাবে কথা বলতেন, কীভাবে হাসতেন, কীভাবে অপর ভাইয়ের ভুল শুধরে দিতেন। বইটিতে উঠে এসেছে- তাঁদের তাকওয়া ও তাযকিয়া, যুহুদ ও জিহাদ, ইলম ও আমল, আচার ও আখলাক, ধৈর্য,নেতৃত্ব ও আনুগত্য, ফিতনার মোকাবেলা ও সময়ের গুরুত্ব। আরও উঠে এসেছে তাদের সালাত, কুরআন তিলাওয়াত, মুনাজাত ও ইবাদতের ধরন, মায়ের সেবা, রাজদরবারে প্রতি অনীহা, ভারসাম্যপূর্ন রসিকতা, ফাতওয়া প্রদানে সতর্কতাসহ গুরুত্বপূর্ন কিছু বিষয়। এরকম গুরুত্বপূর্ন মোট ২৬ টি শিরোনামে ২৯৩টি বাস্তব ঘটনা বইটিতে স্থান পেয়েছে। মোট কথা সালাফগণের সার্বিক জীবনপদ্ধতি কেমন ছিল- তার সারনির্যাস তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কুরআনকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে লক্ষ লক্ষ বই। যে বইগুলোর মাধ্যমে পবিত্র কুরআনকে আরো বেশি উপলব্ধি করা যায়, কুরআনের দিকে ছুটে যেতে আরো অনুপ্রেরনা যোগায়, কুরআনের সাথে হৃদয়ের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়। তেমনই একটা বই হচ্ছে শাইখ ইবরাহীম আস সাকরান রচিত “কুরআনের সাথে হৃদয়ের কথা”। বইটিতে কুরআনের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে জীবনের সমস্যাগুলোর সমাধান বের করার প্রচেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে। কিভাবে কুরআন নিয়ে তাদাব্বুর করা উচিত, কুরআনের কথা থেকে কিভাবে শিক্ষা নেয়া উচিত এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে বইটিতে। ঈমানের অর্থ, আখিরাতের স্মরণ, আল্লাহর ভয়, হৃদয়ের কাঠিন্য, পার্থিব পেশা, ফজরের সালাতের গুরুত্ব, সালাতকে জীবনে প্রতিষ্ঠা, তাহাজ্জুদ নিয়ে হৃদয় বিগলিত আলোচনা, নিফাকের পরিচয়, আল্লাহর পরিচয়, তাওয়াক্কুলের গুরুত্ব, শক্তিমান বান্দা হওয়ার উপায়, ঈমানের সর্বোচ্চ স্তরে আরোহনের উপায় ও সবশেষে অন্যের গুনাহের দায়ভার গ্রহনের কারন সম্পর্কে হৃদয়গ্রাহী আলোচনা রয়েছে বইটিতে। মোটকথা লেখক তার চিন্তা গবেষনার সার নির্যাস তুলে ধরেছেন এই বইটিতে। বইটি পাঠকের চিন্তার জগতে আলোড়ন সৃষ্টি করবে; কুরআনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করবে এবং সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে জীবনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে। বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছে – আব্দুল্লাহ মজুমদার। তার অনুবাদের হাত বরাবরই প্রশংসনীয়, সাবলীল এবং প্রাঞ্জল। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“নবীজি ﷺ যেমন ছিলেন তিনি” বইটি গতানুগতিক কোনো সীরাতগ্রন্থ নয়। বইটিতে গৎবাঁধা স্টাইলে নবীজির জীবনের বর্ণনা দেয়া হয়নি । নবীজির জীবনের বিভিন্ন দিক সুন্দর, সহজবোধ্য, সুখপাঠ্য এবং হৃদয়গ্রাহী করে তুলে ধরা হয়েছে। ড. আয়েয আল-কারনীর অতুলনীয় লেখনশৈলীর ফলেই বইটা হয়ে উঠেছে অনন্য ও অসাধারণ! বইটিতে স্থান পেয়েছে নবীজির ব্যক্তিজীবন। তার ধৈর্যধারণের পদ্ধতি, সহনশীলতা, বিনয়, আত্নত্যাগ, দয়ার পরিধি, বীরত্ব, একান্ত ইবাদাত, হাসি-কান্না ইত্যাদি। মোটকথা, বইটির পাতায় পাতায় মুখর হয়ে উঠেছে নবীজির সকাল-সন্ধ্যার ব্যক্তিজীবনের এক অন্যরকম উপাখ্যান। আমাদের নবীজি ছিলেন জীবন্ত কুরআন। কুরআনে যে বিষয়গুলো থিওরি আকারে আছে, নবীজির জীবনের দিকে তাকালে সেটাই জীবন্ত হয়ে ওঠে। এ বইটিতে নবীজির ব্যক্তিজীবনের সেই অমূল্য দিকগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে। নবীজির জীবনিকে নিজের জন্য ‘পাঠশালা’ বানিয়ে নিতে চাইলে অবশ্যই এই বইটা পড়তে হবে। বইটি যেকোনো সীরাত প্রেমিক পাঠকের হৃদয়ের তৃষ্ণা নিবারণ করতে সাহায্য করবে। আর বইটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুরসালিন নিলয়। বাংলা ভাষায় নবীজিকে নিয়ে এ বইটি একটি নতুন সংযোজন। সম্পূর্ন ভিন্ন ধাঁচের একটি বই। নবীজিকে একদম শুরু থেকে কেউ জানতে চাইলে, চিনতে চাইলে এ বইটা অবশ্যই পড়া উচিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমরা যদি সালাতের মজা বুঝতাম তাহলে কখনোই সালাত ছেড়ে উঠে আসতে চাইতাম না। সালাতের সাথে মুমিনের রুহের সম্পর্ক জীবের জন্য অক্সিজেনের মত কিংবা তৃষ্ণার্তের জন্য পানির মত। বুলেটের গতির ন্যায় যারা সালাত পড়ে বেসিক্যালি তারা সালাতের কিছুই বুঝেনি। এইধরনের খুশূহীন সালাত মস্তকহীন মানবদেহের ন্যায়। তাছাড়া যে রুহ মদ্যপায়ী সে রুহে সালাতের নিয়ামাহ প্রবেশ করতে পারেনা। বাজনা আর সালাত পরস্পর বিপরীত পিঠ। আল্লাহর প্রশংসা থাকলেই সে বাজনা হালাল হয়ে যায়না। বইটিতে এই বিষয়গুলোকে ইমাম ইবনুল কাইয়ুম আল-জাওযিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) এমন এমন চমৎকার উপমার সাহায্যে বুঝিয়েছেন যা বইটি পড়লেই জানা যাবে। বইটিকে মোট ৫ টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। ১ম অধ্যায়ে সালাতের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষন করে তার মূলভাব, উপকারিতা বোঝানো হয়েছে। যার ফলে সালাতের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। এটাই বইয়ের সবচাইতে আকর্ষনীয় ও ইফেকটিভ পার্ট বলেই মনে হয়। ২য় অধ্যায়ে সালাতে মনোযোগের উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে। ৩ টি ধাপ অবলম্বনের কথা এখানে বর্নিত হয়েছে যা পালন করলে ইন শা আল্লাহ উপকার পাওয়া যাবে। মূলত ১ম ও ২য় অধ্যায়ই বইটির মূল অংশ। ৩য় অধ্যায়টা একটু ব্যতিক্রমী। অনেকে গান বাজনার মধ্যে আকর্ষন পায় কিন্তু সালাতের মধ্যে পায় না। এর কারন ও স্বরূপ উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন লেখক। পরের দুই অধ্যায়ও এই বিষয়টিকে ঘিরেই লেখা হয়েছে। ৪র্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে ভাল মানুষ, সফল মানুষদের রুচিবোধের বিষয়ে। সাধারন অর্থহীন বা অসংলগ্ন অর্থের গান বাজনার চাইতে সালাতের শব্দ, কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ তাদের কাছে গ্রহনীয় ছিল এবং গান বাজনা পরিত্যাজ্য ছিল। ৫ম অধ্যায়ে গান বাজনার অকার্যকারিতা ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে হৃদয় প্রশান্তিকারক হিসাবে সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খুব দক্ষতার সাথে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” সিরিজটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ। ইতিপূর্বেই সিরিজটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই “পড়ো” সিরিজটির সূচনা হয়েছে। তবে এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার একটি সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। ইতিপূর্বেই “পড়ো” সিরিজের ৪টি খন্ড প্রকাশিত হয়েছে। পাঠকদের সুবিধার্থে এবং সুলভ মূল্যে যেন বইগুলো সংগ্রহ করা যায়, সে লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে “পড়ো” সিরিজের (১ম থেকে ৪র্থ খন্ড পর্যন্ত সকল খণ্ডের) এক্সক্লুসিভ এই কম্বো প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ৪টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (৩০৫+২৮০+২৮০+২৬৮) = ১১৩৩ টাকা। কিন্তু ৪টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ৮০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৩৩৩ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম এবিষয়ের উপর সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
“পড়ো” অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সিরিজ। ইতিপূর্বেই এই সিরিজটি পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার প্রকাশিত হলো এই সিরিজের ৪র্থ খন্ড “পড়ো-৪”। আগের খণ্ডগুলো যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ৪র্থ খণ্ড আরও চমৎকার হবে। মূলত “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ইতিপূর্বেই “পড়ো” সিরিজের “পড়ো-১” এবং “পড়ো-২” পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। এবার প্রকাশিত হলো এই সিরিজের ৩য় খন্ড “পড়ো-৩”। আগের খণ্ডগুলো যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ৩য় খণ্ড আরও চমৎকার হবে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” সিরিজের প্রথম খন্ড যারা পড়েছেন, তাদের জন্য ২য় খণ্ড আরও চমৎকার হবে। “পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। যাহোক, “পড়ো” বইটির উপস্থাপনা প্রাণবন্ত, হৃদয়গ্রাহী। জীবনঘনিষ্ঠ পারিবারিক সামাজিক বিষয়গুলোর সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে বহু প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে এতে। যেন মনে হবে এটাই তো আমরা জানতে চেয়েছিলাম। বহু গ্রন্থ মন্থন, প্রচুর পড়াশোনা এবং জীবনের বাস্তব পরিক্রমায় লব্ধ তথ্য-উপাত্ত সমৃদ্ধ করে বইটিকে সাজানো হয়েছে। পাঠক বইটি থেকে খুঁজে পাবেন অনাবিল প্রশান্তির এক ঝরনাধারা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“পড়ো” বইটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়। আধুনিক যুগের মানুষের জন্য কুরআনের আয়াতগুলোকে বৈজ্ঞানিক এবং যৌক্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা এবং সমসাময়িক প্রশ্ন, দ্বন্দ্ব ও ঘটনাগুলোর উপর প্রাসঙ্গিক আলোচনা মাত্র। আমাদের অনেকেরই কুরআন অর্থসহ পড়ার সময় মনে প্রশ্ন আসে, এই আয়াতে আমার শেখার কি আছে? বা এর সাথে আজকের যুগের সম্পর্ক কি? অনেকেই কুরআন পড়ে বুঝতে পারেন না যে কুরআনের আয়াত কীভাবে তার জীবনে কাজে লাগবে, বিশেষ করে আজকের যুগের প্রেক্ষাপটে। আধুনিক মানুষ ইসলামকে নিয়ে যেসব দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন এবং অমুসলিম মিডিয়ার ব্যাপক অপপ্রভাবের কারণে ইসলামকে মনে-প্রাণে মেনে নিতে পারেন না, তাদের কাছে ইসলামের সঠিক ভাবমূর্তি এবং কুরআনের অসাধারণ বাণী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এ লেখাগুলোর সূচনা। এটি কোন তাফসীর গ্রন্থ নয়, বরং প্রসিদ্ধ তাফসীরগুলো থেকে উল্লেখযোগ্য এবং আজকের যুগের জন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনার সংকলন। এখানে কুরআনের আয়াতের বাণীকে অল্প কথায়, সমসাময়িক জীবন থেকে উদাহরণ দিয়ে, সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক আলোচনাসহ যথাসম্ভব আধুনিক বাংলায় তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটিতে ব্যক্তিগত মতামত দেওয়া থেকে যথাসাধ্য দূরে থাকার চেষ্টা করা হয়েছে। কুরআনের আয়াতের অনুবাদগুলো একাধিক প্রসিদ্ধ অনুবাদ, তাফসীর এবং কুরআনের উপর বিভিন্ন আলীমের লেকচার থেকে নেওয়া হয়েছে। বৈজ্ঞানিক, নৃতাত্ত্বিক তথ্যগুলো যেখান থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে, তার যথাযথ উৎস যথেষ্ট যাচাই করেই নেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় সমকালীন মানুষেরা তাদের জীবনের সাথে কুরআনকে মেলাতে পারবেন। আমরা যারা পবিত্র কুর’আনকে সহজে বুঝতে চাই, জানতে চাই, তাদের জন্য “পড়ো” বইটি নিঃসন্দেহে অনন্য একটি বই। তবে মনে রাখতে হবে, কুরআনের আয়াতগুলোর সরাসরি বাংলা অনুবাদ পড়ে আয়াতের মর্ম খুব কমই বোঝা যায়; কারণ, আরবী থেকে বাংলা অনুবাদ করার সময় অনেক আরবী শব্দের প্রকৃত অর্থ, অর্থের ব্যাপকতা এবং প্রেক্ষাপট হারিয়ে যায়। তাই কুরআনকে সত্যিকারভাবে চিনতে আরবী শেখার কোন বিকল্প নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আরিফ আজাদ যিনি একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা। তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন। আরিফ আজাদ এতটাই জনপ্রিয় একজন লেখক যে, তার বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের মধ্যে আরিফ আজাদ একজন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদের বইসমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ প্রকাশিত হয় এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদের বই সমগ্রতে আছে আরও কিছু তুমুল জনপ্রিয় বই। পাঠক যেন তার লেখা সকল বই সূলভমূল্যে আর খুব সহজেই পেতে পারেন এই লক্ষ্যে হাটবাজার৩৬৫.কম নিয়ে এসেছে আরিফ আজাদের সকল বইয়ের এই প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১২টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (২২৫+৩৯০+৩৩৫+৩৪০+৩৫০+২৬০+২৭৫+২৪৫+২৬০+৩৩০+৩১৫+৩৫০) = ৩৬৭৫ টাকা। কিন্তু ১২টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৭০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৯৭৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
কে এই আরজ আলী? আরজ আলী হচ্ছে বাংলাদেশের নাস্তিকতা-জগতে একটি পরম শ্রদ্ধেয়, উচ্চারিত এবং বহুলপ্রচারিত নাম। যার পূর্ণ নাম “আরজ আলী মাতুব্বর”। যিনি জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে কোন শিক্ষা তার না থাকলেও নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানা যায়। লোকমুখে শুনা যায় ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন ধর্মের বিরুদ্ধে। এই বিতৃষ্ণা থেকে উনি ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি, প্রশ্ন এবং সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন, যেগুলো নাস্তিকসমাজেও বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। উনি প্রশ্ন করেছেন ধর্ম নিয়ে, ঈশ্বর নিয়ে, আত্মা, পরকাল, প্রকৃতি নিয়ে। ধর্মের সাথে দর্শন আর বিজ্ঞানের অসামঞ্জস্য নিয়েও করেছেন বিস্তর আলোচনা। বাংলা নাস্তিকসমাজের পুরোধা এই লোকের লিখিত বইয়ের জবাব হিসেবে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “আরজ আলী সমীপে” বইটি। যেখানে তিনি আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিয়েছেনই, সাথে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্নও। এই বইয়ের ‘বিবিধ’ অংশটা লেখক আরিফ আজাদ অতি যত্নসহকারে লিখেছেন। বিবর্তনবাদ নিয়ে যে কেউ পড়াশুনা করতে গেলে এই অধ্যায়টা তার জন্য বেশ কাজে দেবে। কত ভুলভাল জল্পনা-কল্পনা আর জগাখিচুরির মিশেলে যে বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন, আর করে যাচ্ছেন; আর কত অসৎ উপায় যে অবলম্বন করে চলেছেন – ব্যাপারগুলো সত্যি শিউরে ওঠার মতো। আরজ আলী সাহেব সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার কে মূল ইসলামভেবে প্রশ্ন করেছেন। অথচ অধিকাংশ প্রচলিত কুসংস্কারের সাথে কুরআন হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই। লেখক আরিফ আজাদ আসলে অতি ভদ্র ভাষায় ধবলধোলাই করেছেন আরজ আলীকে। নাস্তিকতার বিপক্ষে, আস্তিকতার পক্ষে বইটি একটি শক্তিশালী দলিল হিসেবেই কাজ করবে। আরজ আলী সাহেব কী ভুল করেছেন, উনার প্রশ্নের সোর্স কতটুকু সত্য? উনি কি আদতে সত্যের সন্ধান করেছেন? তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর মিলবে “আরজ আলী সমীপে” বইটি থেকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
যারা সত্য ও সাহসের কথা বলে, আমরা তাদের নিয়ে গল্প লিখি। তারা হয়ে ওঠে আমাদের গল্পের উপজীব্য। তাদের জীবনাচার থেকে ঘটনাগুলো তুলে এনে আমরা গল্পের রূপ দিই। রুপকথার গল্প নয়, তখন সত্যিকারের সুপারস্টারদের গল্পগুলোই হয়ে ওঠে অন্যরকম। এই গল্পগুলো অচেনা, কিন্তু দরকারি। মনে হবে নতুন, কিন্তু ভীষণ ভাবনার উদ্রেককারী। তখন গল্পগুলো নিছক আর গল্প থাকে না, সেগুলো হয়ে ওঠে আমাদের জীবন পরিবর্তনের নিয়ামক। এমনই কিছু অন্যরকম গল্পের সমন্বয়ে সংকলিত হয়েছে “গল্পগুলো অন্যরকম” বইটি। সেই অন্যরকম গল্পগুলো পড়ে পাঠকদের মনে ভাবোদয় ঘটবে, তাদের হৃদয়ে বইবে পরিবর্তনের বাসন্তী-বাতাস, তারাও হয়ে উঠবে এরকম গল্পের উপাদান। “গল্পগুলো অন্যরকম” বইটিতে স্থান পেয়েছে বেশকিছু নবীন-প্রবীণ লেখকদের গল্প। অনেক পরিচিতমুখ আছেন সেই তালিকায়। তাদের গল্পে কখনও তারা হয়েছেন গল্পের উপাদান, কখনও বা গল্প-কথক। তারা লিখেছেন দুঃখ-ব্যথার কথা, সীমাহীন সুখের কথা। গল্পগুলোয় তুলে এনেছেন সমাজের অনিয়ম, অসুন্দর এবং অনাচারের কথা। তাদের এই গল্পগুলো পাঠকদের হৃদয়ে জাগরণ সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবনের জাগরণে সিরিজের প্রথম বই ছিলো “বেলা ফুরাবার আগে”। “এবার ভিন্নি কিছু হোক” বইটি মূলত “বেলা ফুরাবার আগে” বইয়ের পরের কিস্তি। দুটো বই-ই প্রায় একই ধাঁচে লেখা। বটিতে রয়েছে অনেক সমস্যার সমাধান এবং আশার আলো। ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের বেলা ফুরাবার আগে টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা। “এবার ভিন্নি কিছু হোক” বইটি মূলত নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমান যে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক বই হতে পারে এটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামে যারা প্রত্যার্বতন করে তাদের গল্পগুলো সবসময়ই চাঞ্চল্যকর! সবার আগে তারা লড়াই করে নিজ সত্তার সাথে। নিজের সাথে সকল বোঝাপড়া সেরে যখন সে সত্যকে আলিঙ্গনের জন্য অগ্রসর হয়, তখন তার সামনে পাহাড়সম বাধা হয়ে দাঁড়ায় তার পরিবার, সমাজ, পরিবেশ, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ সকলেই। সকল বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে একদিন সে আশ্রয় নেয় শাশ্বত সেই সত্যের বুকে। তার এই সংগ্রাম, এই ত্যাগ আর তিতিক্ষার উপাখ্যানগুলোকে যদি কাছ থেকে উপলব্ধি করা না যায়, তবে সেগুলোকে আমাদের কাছে মনে হবে যেন নিছক একটা রূপকথা। হ্যাঁ সেগুলো রূপকথাই বটে, তবে সত্যের চাদরে মোড়ানো এক চিরবাস্তব রূপকথা, যেখানে নেই কোন মিথ্যার ছিটেফোঁটা। ‘প্রত্যার্বতন’ সিরিজের প্রথম বইটিতে মুসলিম পরিবারে বেড়ে ওঠা কিন্তু ব্যক্তিজীবনে নিজের দ্বীন ইসলাম সর্ম্পকে উদাসীন হয়ে পড়া এমন মানুষদের দ্বীনে ফিরে আসার গল্প নিয়ে সংকলিত হয়েছিল। কীভাবে তারা নিজেদের জীবনে আবার দ্বীনের গুরুত্ব, আল্লাহর দিকে নিজেকে মেলে ধরার তাড়না অনুভব করেছেন সেই গল্পগুলোই প্রাধান্য পেয়েছিল বইটিতে। বইটির গল্পগুলো অনেক মানুষের জীবন পরিবর্তনের মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আলহামদুলিল্লাহ। সেই ধারাবাহিকতায় সংকলন করা হয়েছে এই সিরিজের দ্বিতীয় বই “প্রত্যাবর্তন-২”। “প্রত্যাবর্তন” বইটির সাথে “প্রত্যাবর্তন-২”-বইটির পার্থক্য হচ্ছেঃ “প্রত্যাবর্তন” বইটিতে মুসলিম পরিবারে বড় হওয়া কিন্তু একপর্যায়ে দ্বীনবিমুখ হয়ে পড়া মানুষগুলোর গল্প সংকলন করা হয়েছে। আর “প্রত্যাবর্তন-২” বইটিতে এমন কিছু সাহসী মানুষের গল্প সংকলন করা হয়েছে, যারা সর্ম্পূণ ভিন্ন একটা র্ধম অর্থাৎ খ্রষ্টির্ধম থেকে কীভাবে ইসলামের আলো খুঁজে পেলেন, কীভাবে গির্জার ঘণ্টা ছেড়ে তারা আপন করে নিলেন আযানের ধ্বনি। একটা ভিন্ন র্ধম থেকে অন্য একটা র্ধমে নিজেকে নিয়ে আসাটা বরাবরই চ্যালেঞ্জের। কীভাবে সেই চ্যালঞ্জেকে বুক পেতে নিয়েছিলেন এই মানুষগুলো— তাদের সেই মহান ঘটনাবলিই সংকলিত হয়েছে “প্রত্যাবর্তন-২” বইটিতে। বইটিতে দ্বীনে ফেরা’র গল্প রয়েছে যাদের, তারা হচ্ছেন: ১। ফিলিপাইনের এক সম্ভ্রান্ত মিশনারি, প্রফেসর খাদিজা ওয়াটসনের ২। মিউজিক মিনিস্টার ও খ্রিস্টধর্ম প্রচারক, চ্যাপলেইন ইউসুফ এস্টেসের ৩। আফ্রিকান খ্রিষ্টান মিশনারি ও মিশরীয় যাজক, ইসহাক হেলাল মাসিহার ৪। পাইয়োনিয়ার মিনিস্টার, জিহোভা’স উইটনেস, রাফায়েল নারবেজের ৫। মিশনারি আর্চবিশপ, রেভারেন্ড ডেভিড বেনজামিন কেলডানির ৬। ইউনাইটেড মেথোডিস্ট চার্চ মিনিস্টার, ড. জেরাল্ড এফ ডার্কসের ৭। শ্রীলঙ্কান ক্যাথোলিক যাজক, ফাদার জর্জ অ্যান্থনির ৮। মিশরীয় কপটিক যাজক, ইবরাহিম খলিল আহমাদের ৯। রাশান আর্চপ্রিস্ট, ভিয়াচাস্লাভ পোলোসিনের ১০। লুথারান আর্চবিশপ, তানজানিয়া, মারটিন জন মুয়াইপোপোর ১১। ডাচ বংশোদ্ভূত ইন্দোনেশিয়ান যাজক, রহমত পূর্ণোমোর ১২। ফরাসি যাজক, জিন ম্যারি ডাচম্যানের ১৩। ঘানার এক প্রাক্তন মিশনারি ও যাজকের ১৪। মিশরীয় ডিকন বা উপ-যাজক, ডক্টর ওয়াদি আহমাদের ১৫। জার্মান কূটনীতিবিদ ও সমাজকর্মী, মুহাম্মাদ আমান হোবমের। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।