এই বইয়ে নবীজীর নবুওয়াতের পূর্ববর্তী জীবনের এমন এমন তথ্য আছে, সেগুলো হয়তো আমরা জানতাম না। এমন বই আমাদের দেশে খুবই কম। তরুন নবীজীর সততা, কর্মে মুগ্ধ হয়ে মক্কাবাসী তাকে “আল আমিন” (বিশ্বস্ত, সত্যবাদী) উপাধিতে ভূষিত করেন, তখন তিনি নবী ছিলেন না। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “রাসূলের মাঝে রয়েছে তোমাদের জন্য ভালো ভালো উদাহরন”। তিনি শিশু ছিলেন, খেলাধুলা করেছেন, মরুভূমিতে দৌড়াদৌড়ি করেছেন-শিশুরা যেনো এটা কল্পনাই করতে পারে না। তিনি কিশোর ছিলেন, সততার সাহায্যে চাচার সাথে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ব্যবসা করেছেন, নিন্দনীয়-খারাপ কাজ থেকে ছেটোথেকেই বিরত ছিলেন, তার পূর্বপুরুষদের মতো সমাজে নিজের কর্মের প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ছোটথেকেই স্মার্ট হয়ে ওঠার সুনিপুণ গল্পগুলো লেখক এই বইয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আধুনিক যুগের বিশ্বাসী মানুষরা কীভাবে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের সাথে হৃদয়ের কথা উপস্থাপন করে? কীভাবে আমরা একটা সৌহাদ্যপূর্ণ, পারস্পরিক সহযোগিতা মনোভাবাপন্ন সমাজ গড়ে তুলতে পারি? আজকের দিনে উম্মাহ যেসব বড়ো বড়ো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে, সেগুলোকে কীভাবে আমরা সামলিয়ে নিতে পারি? এসব প্রশ্ন এবং তার উত্তর খুঁজে পাব- উস্তাদ নুমান আলী খানের এই সংকলিত গ্রন্থে ইনশাআল্লাহ্। বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে এমনসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে যা মুমিন চরিত্র সংশোধনের জন্য সহায়ক। কিছু না কিছু নাসিহার মাধ্যমে মুমিন হৃদয়ে নিভতে থাকা ঈমানের প্রদীপ শিখাকে পুনরায় জ্বালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ্, দুনিয়াব্যাপী রাসূল ﷺ এর সীরাত নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, লেখালিখি হচ্ছে, প্রবন্ধ হচ্ছে, গ্রন্থ রচিত হচ্ছে। বাংলা সাহিত্যেও সীরাত নিয়ে প্রচুর কাজ হয়েছে। অনেক সম্মানিত শায়েখ ও ওলামায়ে কিরাম সীরাত গ্রন্থ লিখেছেন। পৃথিবীর সেরা সীরাত গ্রন্থগুলোর বাংলা অনুবাদও হয়েছে। বিভিন্ন মুহতারাম শায়েখবৃন্দ রাসূলের জীবনীর ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটকে সামনে এনে লিখেছেন। প্রত্যেকটি প্রেক্ষাপটে লিখা সীরাত গ্রন্থ উম্মাহর জন্য অতি মূল্যবান হীরকখণ্ড। সীরাত নিয়ে শত কাজের ভিড়ে ‘প্রশ্নোত্তরে সীরাতুন্নবী ﷺ’ গ্রন্থটি একটি নতুন সংযোজন। প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে রাসূল ﷺ -এর জীবনী অধ্যয়নের এই ভিন্ন ধাঁচের গ্রন্থ সীরাতপ্রেমী মানুষদের হৃদয়ে নতুন করে দোলা দিবে ইনশাআল্লাহ। নবিজির পুরো জীবনকে এই গ্রন্থে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থাপন করার প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
দুআ নিয়ে সকল অজ্ঞতা এবং ভ্রান্তি নিরসন করে, দুআর গুরুত্ব এবং মাহাত্ম সম্পর্কে আমাদের সচেতন করার চমৎকার একটা প্রয়াস ড. ইয়াসীর ক্বাদীর ‘Dua: The Weapon of Believers’ বইয়ের অনুবাদ ‘দুআ বিশ্বাসীদের হাতিয়ার’ নামক বইটি। প্রচলিত অন্য সব দুআর বই থেকে ভিন্ন বইটি দুআর কোন সংকলন নয়। দুআর মর্যাদা, নিয়ম এবং কবুলের আদবকেতার প্রামাণ্য গ্রন্থ এটি। দুআর গুরুত্ব, মাহাত্ম, প্রয়োজনীয়তা নিয়ে নানা সময়ে লেখা আলীমদের বইয়ের সারনির্যাসকে নিজের ভাষায় সহজ করে গুছিয়ে লিখেছেন ড. ক্বাদী। ইংরেজি থেকে বইটির অনুবাদ করেছেন মাসুদ শরীফ। বইটিতে পাঠকদের বোঝার সুবিধার্তে পুরো বইটাকে বিভিন্ন শিরোনাম, উপ-শিরোনামে ভাগ করে আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমেই রয়েছে কিছু বুনিয়াদি বিষয় শিরোনামে আলোচনা। দুআ কি, ইবাদাত হিসেবে দুআ, দুআর সাথে ঈমাণের সম্পর্ক, আল্লাহ ছাড়া আর কারো কাছে দুআ করা যাবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ে বলা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে দুআর ধরন নিয়ে। তৃতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম দুআর মর্যাদা ও ফায়দা। এখানে দুআর মর্যাদা, গুরুত্ব, প্রয়োজনীতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। অন্যসব ইবাদাতের মত দুআর জন্যও রয়েছে কতগুলো অবশ্য পালনীয় শর্ত, যেগুলো পূরন না করলে দুআ কবুল হয় না। এসব নিয়েই তৃতীয় অধ্যায় দুআর কিছু শর্ত। দুআ কবুলের জন্য দুআ করার সময় কিছু কাজ করতে হয়। সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে দুআর আদবকেতা শিরোনামে চতুর্থ অধ্যায়ে। দুআর সাথে বেমানান এবং আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে দুআর সময় যা করা ঠিক নয় শিরোনামে। দুআ করার সুবর্ণ সময়। কিছু বিশেষ সময় আছে যখন দুআ কবুল হয়। হাদীসে বর্ণিত হয়েছে এ সময়গুলোর কথা। সেই সময়গুলো নিয়েই এই অধ্যায়ের আলোচনা। মুমিনের জীবনে এমন কিছু পরিস্থিতি আসে যখন আল্লাহ তার দুআ কবুল করে নেন। দুআ কবুলের সম্ভাবনাময় পরিস্থতি-তে এসেছে তারই বর্ণনা। দুআ কবুল না হওয়ার কারণগুলো গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ‘দুআ কবুল হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা’ শিরোনামে। ‘দুআ কবুলে দেরি হওয়ার কারণ’ শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে যেসব কারণে দুআ কুবল হতে দেরি হয় সে সমস্ত কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও দুআর কিছু অনুমোদিত বিষয়, উসিলা, দুআর সাথে তাকদীরের সম্পর্ক, দুআর বিবিধ বিষয়াবলি, দুআর মাঝে বিদআত, দুআ সংক্রান্ত কিছু দুর্বল হাদীস প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
পার্থিব জীবনে আমরা মুসলমান হিসেবে বিক্ষিপ্তভাবে অনেক চরিত্রকে অবলোকন করেছি। আদর্শ মুসলমানের চরিত্র কেমন হবে, তা না জানার চেষ্টা করেছি, আর জেনে থাকলেও না তা বাস্তবায়ন করেছি। আর সেই সাথে আমরা হারিয়েছি নৈতিক মূল্যবোধ। লেখক এই দূর্বলতা দূর করতেই এই বইটিতে আদর্শ মুসলমানের চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলেছেন। ইসলামে চরিত্র ও কর্ম নামক শব্দটির গুরুত্ব অনেক বেশি। চরিত্র ও কর্ম হলো কথা অনুযায়ী কাজ। একজন মুসলমান হিসেবে আমরা আমাদের আদর্শ চরিত্রকে অবলীলাক্রমে ভুলে যাচ্ছি। নৈতিক চরিত্র ছাড়া ঈমান পরিপূর্ণ হতে পারে না। যার চরিত্র যত সুন্দর তার ঈমানও তাতটাই পূর্ণাঙ্গ এবং পরিপক্ক। আমরা নৈতিক চরিত্রের দূর্বলতা দূর করতে না পারলে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পাব না। একজন মুসলমান হয়ে আমরা অধিকাংশই গড়পড়তা চরিত্র নিয়ে চলি। এ কারণেই আমরা সালাত, সিয়াম পালন শেষেও নানাবিধ দূরাচারে লিপ্ত। আমানত খেয়াতন করি। ওয়াদা পালন করতে পারিনা। সর্বদা কাজে -কর্মে নিজেকে বাটপার, প্রতারক, ধান্দাবাজ প্রমাণ করি। এই বইটি পড়লে চরিত্র সংশোধন করে উজ্জ্বল এবং আদর্শ চরিত্রের অধিকারী হওয়া সম্ভব। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
‘স্টোরি অব বিগিনিং’ বইটা অসাধারণ একটি বই। পৃথিবী সৃষ্টির আগে গোটা জগত কেমন ছিল? এর সূচনা কীভাবে হলো? সৃষ্টির শুরুতে আমরা কোথায় ছিলাম? আদম আ.-এর সৃষ্টির আগে পৃথিবীটাই-বা কেমন ছিল? ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে জনপ্রিয় দা’ঈ ইলাল্লাহ ওমর সুলেইমান ‘The Beginning and The Ending’ শিরোনামে ৭০ পর্বের একটি সিরিজ বক্তব্য প্রদান করেন। ইবনে কাসিরের বিখ্যাত ‘আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া’ গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে এই সিরিজ বক্তব্য তিনি এক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে উপস্থাপন করেছেন। প্রাথমিকভাবে সৃষ্টির ইতিহাস প্রসঙ্গে আমরা যা জানি এবং এর বাইরে আরও যেসব বার্তা আছে, সেগুলোও ধারবাহিকভাবে আলোচনায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিশেষ করে হাশরের দিন, হাশরের দিন সম্পর্কিত বিজ্ঞান, জান্নাত, জাহান্নামের বিষয়গুলো খুবই চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। কীভাবে মানুষ, বিশাল পৃথিবী, ভূমণ্ডল, নভোমণ্ডল, ফেরেশতা, জিন, প্রাণিকুল সৃষ্টি হলো, সে প্রসঙ্গে অত্যন্ত প্রাণবন্ত আলোচনা করা হয়েছে। রাসূল ﷺ-এর জীবনের নানা অধ্যায় তুলে ধরা হয়েছে অনুপম ভঙ্গিতে। রাসূল ﷺ-এর ওফাতপরবর্তী শতাব্দীগুলোতে ঘটে যাওয়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা; বিশেষত সেই শতাব্দীতে উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহের সাথে ইসলামের ইতিহাস কীভাবে আবর্তিত হলো, তাও আলোচিত হয়েছে। তার সাথে যোগসূত্র স্থাপন করে খুবই সাবলীল ভাষায় বর্তমান সময়টাকেও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামে কি বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ অবশ্যই আছে। তবে কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিগত কামনার চরিতার্থে বিনোদনকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিশেষ করে বর্তমান আধুনিক এ যুগে বিনোদন শিল্প এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। বিনোদনের এত এত সব উপকরণ ছড়িয়ে আছে যে, কেউ চাইলে সারাজীবন শুধু বিনোদনের মধ্যে থেকেই কাটিয়ে দিতে পারবে। দিন দিন মানুষ সেদিকেই যাচ্ছে। মানুষ আজ টাকা আর বিনোদনকে তার উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে পূজা করছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না-হয়, ফোটানো না-হয়, তাহলেই সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতি। এই বইতে একটা ফিল্টার দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে আপনি ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন নিজেই। পরিশেষে, মুসলিম হিসেবে বিনোদনই আমাদের শেষ কথা নয়। এটা আল্লাহর দেওয়া একটা অনুগ্রহ মাত্র। জীবনের অর্থ আরও ব্যাপক, উদ্দেশ্য আরও মহৎ। আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থেকে মানুষ তার চাহিদা বৈধভাবে পূরণ করতে পারে। বিনোদন তেমনই একটি চাহিদা। তাই আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে। আর এটার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই “হালাল বিনোদন” বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কুরআনুল কারিমের অন্যতম একটি সূরা, কালজয়ী উপাখ্যান, সর্বশ্রেষ্ঠ গল্প- সূরা ইউসুফের সহজ-সরল মর্মবাণী, সংক্ষিপ্ত তাফসির ও জীবনঘনিষ্ঠ শিক্ষা নিয়ে লেখক মিজানুর রহমান আজহারি রচনা করেছেন “রিফ্লেকশন ফ্রম সূরা ইউসুফ” নামক বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আরিফ আজাদ যিনি একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা। তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন। আরিফ আজাদ এতটাই জনপ্রিয় একজন লেখক যে, তার বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের মধ্যে আরিফ আজাদ একজন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদের বইসমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ প্রকাশিত হয় এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদের বই সমগ্রতে আছে আরও কিছু তুমুল জনপ্রিয় বই। পাঠক যেন তার লেখা সকল বই সূলভমূল্যে আর খুব সহজেই পেতে পারেন এই লক্ষ্যে হাটবাজার৩৬৫.কম নিয়ে এসেছে আরিফ আজাদের সকল বইয়ের এই প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১২টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (২২৫+৩৯০+৩৩৫+৩৪০+৩৫০+২৬০+২৭৫+২৪৫+২৬০+৩৩০+৩১৫+৩৫০) = ৩৬৭৫ টাকা। কিন্তু ১২টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৭০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৯৭৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
সিলসিলা ছহীহা (সিলসিলাতুল আহাদীছিছ ছহীহা) এটি একটি খুবই উপকারী হাদীস গ্রন্থ। যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন ইবনু নূহ আননাজাতি আল-আলবানী রহিমাহুল্লাহ এই গ্রন্থটি রচনা করেছেন। আর এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কাউকে অহেতুক কাফের, মুনাফিক, খারেজী ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করার আগে সতর্ক হওন। একবার আলী রাদিঃ-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, খারেজীরা কি কাফের? তিনি বললেন, তারা তো কুফর থেকে পলায়ন করতে গিয়েই এই দশা হয়েছে। বলা হলো, তবে কি তারা মুনাফেক? তিনি বললেন, মুনাফেকরা তো আল্লাহকে অতি অল্প বৈ স্মরণ করে না। বলা হলো, তাহলে তারা কী? তিনি বললেন, তারা ঐ সম্প্রদায়, যারা ফেতনায় নিপতিত হয়ে অন্ধ ও বধির হয়ে গেছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধ করেছে। তাই আমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি’ (আত-তামহীদ, ১৫/২৮৬; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৩৭৯৪২; হাদীছ ছহীহ)। ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’ (তিরমিযী, হা/৩০০০) হওয়া সত্ত্বেও আলী রাদিঃ যেখানে তাদেরকে কাফের কিংবা মুনাফেক পর্যন্ত অ্যাখ্যা দিতে ভয় পাচ্ছেন; সেখানে আমাদের অবস্থান কোথায়! আমাদের বর্তমান অবস্থা এমন যে কারও ফতওয়ায় সামান্য ভুল হলে কিংবা নিজের মতের বিপরীতে গেলেই, তাকে নানাভাবে আমরা গালিগালাজ করি। এমনকি তাকে বয়কট করার আহ্বান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংযত সমালোচনা করতেই থাকি। এই শিক্ষা আমরা কোথায় পেলাম! বাতিলপন্থীদের উপর নিক্ষিপ্ত তীর আমরা সঠিক আকীদা ও আদর্শের অনুসারীদের উপর কেন ছুড়ছি? উক্ত বিষয়গুলো থেকে জাতিকে সতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ব্যথিত হৃদয়ের অশ্রু দিয়ে পুস্তিকাটি সাজিয়েছেন বর্তমান যুগের সালাফদের অবশিষ্ট চিহ্ন শায়খ আব্দুল মুহসিন আল আব্বাদ। পুস্তকটি পড়ি! হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করি! নিজের লাগামহীন আত্মাকে সংযত করি! আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে জামাআতবদ্ধ জীবনযাপনের আলোচনা- যেখানে ইসলাম জামাআতবদ্ধ জীবনযাপনের তাকীদ দিয়েছে। পক্ষান্তরে, জামআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোরতা আরোপ করেছে। কোথাও ‘জামাআতুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলিম জামাআত’ এর সাথে থাকতে বলা হয়েছে। আবার কোথাও ‘মুসলিম জামাআত’ ত্যাগ করার ইহকালীন কুফল ও পরকালীন আযাবের কথা বিবৃত হয়েছে। কিন্তু ‘জামাআত’, ‘জামাআতুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলিম জামাআত’ বলতে কোন পথ, কোন মত, কোন দল, কোন মাযহাব বা সংগঠনের কথা বলা হয়েছে, তা অধিকাংশ মানুষের কাছে রয়ে গেছে অজানা; বরং ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসকল বিষয়ের বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে লেখক আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী রচিত “ইসলামে জামাআত বলতে কোন দলকে বুঝায়” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত পাঠক! আক্বীদা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একজন মুসলিম জীবনে জার প্রয়োজন সদা-সর্বদা। একজন মানুষের জীবনে নিঃশ্বাস গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা যেমন, আক্বীদার প্রয়োজনীয়তা তার চেয়ে কম নয়। সকল আমলের অশুদ্ধতা-বিশুদ্ধতা আক্বীদার উপরই নির্ভর করে। আক্বীদার শিক্ষা একজন মানুষকে সর্বাপেক্ষা বড় পাপ শিরক থেকে বাঁচাতে পারে। পক্ষান্তরে, এর মৌলিক বিষয়াবলি বিশুদ্ধ না হলে একজন মানুষের অন্যান্য আমল নষ্ট হয়ে যায়। বিশুদ্ধ আক্বীদাই হচ্ছে একজন মুসলিমের মূলধন। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আজ বিশুদ্ধ আক্বীদা থেকে বহু দূরে। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা তো বটেই, এমনকি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার কোন বন্দোবস্ত রাখা হয় নাই। এদিকে হানাফী ক্বওমী শিক্ষা ব্যবস্থায় আক্বীদা শিক্ষার নামে অনেক ক্ষেত্রে আশ’আরী-মাতুরীদী আক্বীদা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। কারণ আমাদের হানাফী ভাইয়েরা ইমাম আবু হানীফা (রহিঃ) এর প্রতি অতিভক্তি দেখালেও তার আক্বীদা তারা গ্রহণ করতে পারেনি। বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার এত বেশি গুরুত্ব থাকার সত্ত্বেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলা ভাষায় এবিষয়ের উপর সার্বজনীন তেমন কোন বই প্রকাশিত হয়নি। এ লক্ষ্যেই সম্মানিত লেখক আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী রচনা করেছেন “প্রশ্নোত্তরে সহজ আক্বীদা শিক্ষা” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে একদিকে যেমন আক্বীদার মৌলিক বিশয়াবলি তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি বিষয়গুলোকে প্রশ্নোত্তর আকারে খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটির প্রত্যেকটি বক্তব্য কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ দারা প্রমানিত এবং সলফে ছলেহীন কর্তৃক সমর্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে হলে আকীদা সম্পর্কে জানতেই হবে। আর তার জন্য “প্রশ্নোত্তরে সহজ আক্বীদা শিক্ষা” চমৎকার একটি সহায়িকা। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
অবরোধবাসিনী বেগম রোকেয়ার লিখিত একটি বইয়ের নাম। যেখানে তিনি অবরোধবাসিনী নামে প্রায় ৪৭টি গল্প লিখেছিলেন। যে গল্পগুলোর কিছু হাস্যরসাত্মক, কিছু বেদনাদায়ক ও কিছু অবিশ্বাস্যও বটে। এই গল্পগুলোর মাধ্যমে তিনি তৎকালীন বাংলার নারীদের পর্দাপ্রথাকে অবরোধের সাথে তুলনা করেছেন এবং যারা এই পর্দা পালন করত সেই সমস্ত নারীদেরকে তিনি অবরোধবাসিনী বলে অভিহিত করেছেন। তার প্রতিটি গল্পের মূল ভাবার্থ হচ্ছে পর্দা রক্ষা করতে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিড়ম্বনা ও কষ্ট স্বীকার করার কাহিনী। অবরোধবাসিনী গল্পে মূলত নারীসমাজকেই বুঝানো হয়েছে যে তারা তাদের পিতা, স্বামী, ভাই ও সমাজের নিকট থেকে ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত। কিন্তু মুসলিম নারীগণ কি আসলেই অবরোধবাসিনী? বেগম রোকেয়ার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি পর্দার বিধান ফরয করায় তারা হলো বন্দিনী। আসলে কি তাই? না, তা কখনোই না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমানের রচিত “কেন হব অবরোধবাসিনী” বইটি। যেখানে লেখিকা খুব চমৎকারভাবে বেগম রোকেয়ার লিখিত অবরোধবাসিনী বইয়ের চমৎকারভাবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জবাব দিয়েছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নানী, দাদীরা জানত না যে, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এগুলো কি? কারন তারা কখনো বাড়ির বাহিরে যেতেন না। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে পালকি, সাওয়ারী ও গরুর গাড়িতে কাপড় দ্বারা ঘিরে যেতেন। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরও বড় বড় ঘোমটা থাকত। কিন্তু সমঅধিকারের নামে বর্তমানে নারী সমাজের যে করুন অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। যারা সমঅধিকারের দিকে তাদেরকে ডাক দিয়েছে, তারা নারীদের কতটুকু মর্যাদা ও অধিকার দিতে পেরেছে? পেরেছে শুধু নগ্ন করতে। সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস ও কুলষিত করতে। আর নারীদের নগ্ন করে ঈমানদারের ঈনান হরন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল হয়েছে। সমঅধিকারের নামে তারা নারীদেরকে ঘর থেকে টেনে বের করে পুরুষদের বানিয়েছে উন্মাদ, ইভটিজার, আর নারীদের বানিয়েছে বাজারের পন্য, বিজ্ঞাপনের মডেল, ভোগের সামগ্রী। অথচ তারা যদি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতো, তার সংসার গুছিয়ে রাখত, মা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনে ব্যাপৃত থাকত, তাহলে তারা মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন থাকতো। কিন্তু আজ তারা সেই ইযযত-সম্মান, আদর স্নেহের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার। আর পুরুষদের জন্য হয়েছে পাপের দিশারি। মনে রাখতে হবে নারী হলো ঘরের রানী। আল্লাহর বিধাননের উপর কোনোকিছু টিকতে পারে না। তেমনি আল্লাহ যে মর্যাদা দেন তার চেয়ে বেশি অধিকার-মর্যাদা কেউ দিতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামকে উল্টিয়ে কেউ টিকতে পারেনা, যার দৃষ্টান্ত বর্তমানের নারীবাদীদের দিকে তাকালেই দেখতে পারি। নারীবাদীদের নাস্তিকতা মূলক সকল যুক্তি খন্ডন করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে “সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই” বইটিতে। আমি মনে করি এই বইটি নারী পুরুষ সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়লে সবাই তাদের মূর্খতা গুলো বুজতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বই থেকে কিছু উক্তিঃ দেশনেত্রী নয়, স্বামীর সংসারের নেত্রী হতে চাই। যৌতুক নয়, মহর চাই। পতিতা নয়, স্বামীর স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সমস্ত মাখলুককে তাদের অনুগত করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই শ্রেষ্ঠ জাতি আজ অত্যাচার ও নির্যাতনের গভীর সমুদ্রল হাবুডুবু খাচ্ছে। নির্যাতিত মানবতার করুন আর্তনাদ, অত্যাচারিতের হাহাকার, মাযলূমের আর্তচিৎকারে আজ আকাশে বাতাসে ভারী হয়ে উঠেছে। তাই এই নির্যাতনের প্রতিকারের জন্য কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে সমাধান করা প্রয়োজন, যা এই “কেন এই নির্যাতন? কী তার প্রতিকার” বইটিতে অথেনটিক আলোচনা রয়েছে। তাই বইটি মানবকূলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। মূলত বইটিতে সমাজের সকল পর্যায়ের নির্যাতনের প্রতিকার এর লক্ষ্যে, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন ও বিভিন্ন নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এবং এগুলো আল্লাহ তাআলা কিভাবে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন কুরআনুল কারীমে সেই ধাচে সমাধান করার উপায় গুলো চমৎকার ভাবে আলোকপাত করেছেন লেখিকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া সকল মুসলিম নর নারীর জন্য জরূরী। মৃত্যু হতে মানুষ পলায়ন করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যেখানেই থাক না কেন মরণ তোমাদের ধরবেই। (আন নিসাঃ ৭৮)। সুতরাং যার জন্ম আছে তার মৃত্যু নিশ্চিত এটা চিরন্তন সত্য। এ কথাটাকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু কেউ এটাকে মনে প্রনে বিশ্বাস করতে পারে না সে এখনই মারা যেতে পারে। এই কারণে সবাই মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারেনা। কিন্তু আমাদের উচিত সবসময় মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে থাকা। এ লক্ষ্যেই উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান রচনা করেছেন “মুমূর্ষু হতে কবর পর্যন্ত” নামক চমৎকার এই গ্রন্থটি। কিভাবে আমরা মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারবো তার বিস্তারিত আলোচনায় করা হয়েছে বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই যে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল, তা এই বইটিতে কুরআন ও সহি হাদিছের মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ শাফায়াতে কুবরা; সকল নবীর ইমামতি; সালাফে ছালেহীন-এর ঐক্যমত; ইমাম আলবানী (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ)-এর মন্তব্য এবং শায়খ ছালেহ আল-উছাইমীন (রহঃ)-এর মন্তব্য। শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ-এর ফাতওয়া; ইমাম নববী (রহঃ)-এর ফাতওয়া; ইমাম রাযী (রহঃ)-এর বক্তব্য; শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু বায (রহঃ)-এর বক্তব্য ইত্যাদি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মানব জীবনের সকল সমস্যার যুগোপযোগী সমাধানের একমাত্র প্লাটফর্ম হচ্ছে ইসলাম। যার মৌলিক উত্স দুটি। কুরআন ও হাদীছ। যুগে যুগে ইসলাম বিদ্বেষীরা কুরআন-হাদীছের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা ইসলামের শক্তিশালী দূর্গকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। শক্তির দাপটে, বাহুর বলে ইসলামকে দমিয়ে না রাখতে পেরে তারা পিছন থেকে পিঠে ছুরি চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তাদের এই দূরভিসন্ধির নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছে হাদীছ। ইসলামের ২য় উৎস হাদীছের ভাণ্ডারকে অকেজো ও অচল করে প্রকারান্তরে ইসলামকে অকেজো করাই তাদের এই ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তবে আলহামদুলিল্লাহ যখনই হাদীছ শাস্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তখনই মুহাদ্দিছগণ সেই ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। নিকট অতীতে ভারতের মাটিতে মাওলানা ইসমাঈল সালাফী, মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী, হাফেয যুবাইর আলী যাঈ (রহঃ) এবং আরবের মাটিতে আব্দুর রহমান ইয়াহইয়া আল-মুআল্লিমী, আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী, শায়খ আহমাদ শাকির (রহঃ) প্রমুখ মুহাদ্দিছগণ বিভিন্ন অপবাদ, বিভ্রাট, সংশয় ও অভিযোগ থেকে হাদীছের পবিত্র আঁচলকে রক্ষার পিছনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে কোন পূর্ণাঙ্গ কিতাব রচিত হয়নি। এ লক্ষ্যেই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক রচনা করেছেন “আমরা হাদীছ মানতে বাধ্য” নামক অসাধরন এই গ্রন্থটি। যুগের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী এ বইয়ে বিভিন্নভাবে হাদীছ অস্বীকারকারীদের উদ্ভট যুক্তি এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিভ্রাটের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলা ভাষা-ভাষী মুসলিম উম্মাহকে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাদের মুক্তি ও নাজাতের একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম অর্থাৎ কুরআন ও সহি হাদীছ। হাদিস বাদ দিয়ে শুধু কুরআন মানা সম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই হাদীছ মানতে বাধ্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“ছহীহ বুখারী” পবিত্র কুরআন মাজীদের পর পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্ববিশুদ্ধ গ্রন্থ। আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল আল-বুখারী দীর্ঘ ১৬ বছর ক্লান্তিহীন পরিশ্রম করে এই গ্রন্থটি রচনা করেছেন। তার এই গ্রন্থটি ছহীহ হাদিছের ভিত্তিপ্রস্তর ও মাইলফলক। মুসলিম উম্মাহের মুহাদ্দিছগণ যুগে যুগে এই বইয়ের খিদমত করেছেন। কেউ ব্যাখ্যা করেছেন কেউ সংক্ষিপ্ত করেছেন। তাদের খিদমাত এর ফলে ছহীহ হাদিছ বুঝার তার উপর আমল করা মুসলিম উম্মাহর জন্য অত্যন্ত সহজ হয়েছে। আরবী ও উর্দু ভাষায় এই গ্রন্থটির অনেক ব্যাখ্যা গ্রন্থ রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, বাংলা ভাষা-ভাষী মুসলিমদের জন্য বাংলা ভাষায় এর স্বতন্ত্র কোন ব্যাখ্যা গ্রন্থ নাই। ফলত ছহীহ হাদিছ বুঝতে তদনুযায়ী আমল করতে সাধারণ জনগণ অনেক কষ্ট ও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক রচনা করেছেন “মিন্নাতুল বারী” নামক ছহীহ বুখারীর অসাধরন এই ব্যাখ্যা গ্রন্থটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ
মৃত্যু যেভাবে মানুষকে খুঁজে মানুষের রিযিক্ব সেভাবেই মানুষকে খোঁজে। মানুষ তার নির্ধারিত রিযিক্ব ভোগ না করে মারা যাবে না। মৃত্যুর সময় যদি নিকটবর্তী হয় আর রিযিক্ব বাকী থাকে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে সে তুলনামূলক বেশি খাবে। আর যদি রিজিক্ব শেষ হয়ে যায় হায়াত বাকী থাকে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে তার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে। তবে শুধু খাদ্য বা জীবিকার নাম রিযিক্ব নয়। সম্মান মর্যাদা, ভালোবাসা, ইলম, ধন-সম্পদ সবই রিযিক্বের অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয় হালাল পন্থায় অর্থ উপার্জন করা নেকীর কাজ। সেই অর্থ নিজের স্ত্রী পুত্রদের জন্য খরচ করা আরও নেকির কাজ। এমনকি মানুষ তার স্ত্রীর মুখে যে খাবারের লোকমা তুলে দেয় সেটাও তার জন্য ছাদাক্বাহ। শুধু নিয়ত থাকা চাই। পৃথিবীতে কেউ সবসময় দুনিয়ায় পিছনে ছুটে তার রিযিক্বের জন্য আবার কেউ ইসলামের বিধান কে কষ্টকর মনে করে, কেও কেও হতাশ থাকে তার রিযিক্ব নিয়ে। মানুষ মাত্রই রিযিক্ব নিয়ে চিন্তিত। রিযিক্বের চিন্তা মানুষকে এতটাই বিবেকহীন করে দেয় যে, হালাল-হারাম বিবেচনা করার মতো ফুরসতটুকুও সে পায় না। বৈধ-অবৈধ যেভাবেই হোক না কেন, অধিক থেকে অধিক উপার্জনের চেষ্টায় থাকে মুখ্য। এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক রচনা করেছেন “রিযিক্ব” নামক অসাধরন এই বইটি। বইটি পড়লে সবাই হতাাশ দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। এককথায় ভাগ্য ও রিযিক্ব নিয়ে অসাধারণ একটা মোটিভেশনাল বই হলো “রিযিক্ব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান যুগে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মুফাসসির ও বক্তা মিথ্যা তাফসীর ও মিথ্যা বক্তব্যের মাধ্যমে জনসাধারণকে আকৃষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অপরদিকে সরলমনা মুসলমানগণ তাদের মিথ্যা বক্তব্য শ্রবণে বিভ্রান্ত হচ্ছে। ফলে ইসলামের আদি রূপ ক্রমেই তাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিচ্ছে। যার ফলে মানুষ সচেতন হলেও দাওয়াত এর মাধ্যমে উপকারী জ্ঞান অর্জন করতে ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা আমাদের কিভাবে দাওয়াত দিতে বলেছেন এবং রাসুল (সঃ) এর দাওয়াত কেমন ছিলো। আর এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “বক্তা ও শ্রোতার পরিচয়” নামক এই বইটি। বইটিতে লেখক দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি গুলো কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে মিথ্যা বক্তব্য দানকারী আলেমদের পরিণতি ও তাদের সহযোগিতাকারী শ্রোতাদের পরিণাম এবং একজন সত্যিকারের বক্তা ও শ্রোতার পরিচয় কেমন হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলাম নিয়ে বর্তমান যারা বক্তৃতা দিচ্ছেন, লেখা লেখি করেছেন, তাদের কোন কোন বক্তার বক্তৃতা এবং লেখার অনেক অংশই কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ তারা তদন্ত ছাড়াই শরী’আতের বিভিন্ন বিষয় প্রচার করছেন। এ ধরনের প্রচারে বড় ধরনের দু’টি ক্ষতি রয়েছে। (১) এতে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের নামে মিথ্যা প্রচার হচ্ছে, যাতে জনগণ সঠিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। (২) এমন বক্তার পরকাল বড় ভয়াবহ। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি আমার উপর মিথ্যারোপ করে, তার পরিণাম জাহান্নাম’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৮৯)। এ দেশের তাফসীর মাহফিলে যারা তাফসীর করছেন, তাদের শতকরা ৯৮ জনই মুফাসসির নন। কারণ তাফসীর করার জন্য অনেক ধরনের বিদ্যার প্রয়োজন। সাথে সাথে তাহকীক করে তাফসীর করা যরূরী। কারণ তাফসীর গ্রন্থগুলি জাল ও যঈফ হাদীছ এবং বানওরাট কাহিনী দ্বারা পরিপূর্ণ। এ থেকে সকলের সতর্ক থাকা উচিৎ। কেননা এতে যেমন দ্বীনের ক্ষতি হয়, তেমনি বক্তা ও শ্রোতার পরকাল ধ্বংস হয়। এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?” নামক এই বইটি। বইটিতে “তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে মূলত মিথ্যা তাফসীর পেশ করা হয়েছে। যেন জনগণ মিথ্যা তাফসীর সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পোশাক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেক মুসলিম নারী পুরুষই জানেন না যে, ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের পোশাক কেমন হওয়া উচিৎ। শয়তান প্রথম মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বিপথগামী করেছে, এই পাপোশাক খুলেছে এবং পরম সুখের জায়গা জান্নাত থেকে বের করেছে। অনেক নারী পুরুষই আবার অভিশপ্ত শয়তানের দোসর ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য বিধর্মী-নাস্তিক পশ্চিমা পুঁজিবাদী সমাজের বিলাসী ও আয়েশী জীবনের মোহে পড়ে তাদেরকে বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির রোল-মডেল ধরে তাদেরকে অনুকরণ করছে। অথচ তারা কখনো মুসলিমদের অনুকরণীয় হতে পারে না। কারণ ইসলামই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। দুনিয়ার বুকে একমাত্র ইলাহী বিধান ইসলামে মুসলিমদের ড্রেসকোড কী তা সবিস্তারে বর্ণিত আছে। সেগুলো না জানার কারণেই তারা বিজাতীয় অনুকরণে মত্ত। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে জানা প্রয়োজন কোনটি সুন্নতী পোশাক আর কোনটি বিজাতীয় পোশাক? এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের রচনা করেছেন “পোশাক” নামক এই বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। ইতিপূর্বেই “আইনে রাসূল (ছাঃ) দো’আ অধ্যায়” বইটি বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেবের লেখা বিপুল পরিমানে বিক্রি হওয়া বইগুলোর মধ্যে “আইনে রাসূল (ছাঃ) দো’আ অধ্যায়” বইটি অন্যতম একটি বই। সমাজে যখন জাল এবং বিদআতি দুয়া, দরূদ এবং যিকির আজকারে সয়লাব, ঠিক সেই মুহূর্তে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ আমাদের মাঝে প্রকাশ করলেন “আইনে রাসূল (ছাঃ) দো’আ অধ্যায়” নামের চমৎকার এই বইটি। বইটিতে উল্লেখিত কিছু বিষয় এবং দুয়া হচ্ছেঃ দো’আর অর্থ; দোআ কবুলের সময় ও স্থান; দো’আ করার আদব ও বৈশিষ্ট্য সকাল-সন্ধ্যায় পঠিতব্য দো’আ সমূহ; শোয়ার দো’আ; পার্শ্ব পরিবর্তনের দো’আ; নিদ্রাবস্থায় ভয় পেয়ে অস্থির হলে দো’আ; নিদ্রাবস্থায় ভাল বা মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয়; শয্যা ত্যাগের দো’আ সমূহ; মোরগ, গাধা ও কুকুরের ডাক শুনে দোআ; কাপড় পরিধানের দো’আ; নতুন কাপড় পরিধানের দোআ; পায়খানায় প্রবেশের দো’আ; পায়খানা হতে বের হওয়ার দো’আ; ওযূ করার পূর্বের দো’আ; ওযূর পরের দো’আ; বাড়ী থেকে বের হওয়ার দো’আ; মসজিদের দিকে গমনের দো’আ; মসজিদে প্রবেশ করা ও বের হওয়ার দো’আ; আযানের জওয়াব এবং আযান শেষের দো’আ; ইকামতের জবাব; ইমাম ও মুওয়াযযিনের জন্য দো’আ ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দুয়া নিয়ে বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
আমরা সকলেই দুনিয়ার এই জীবনে সফল আর লাভবান হতে চাই। আর এই সফলতা আর লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের প্রচেষ্টার কোন শেষ থাকে না। যদিও দুনিয়ার জীবনের সফলতা আর লাভবান হওয়া আখিরাতের তুলনায় একেবারেই তুচ্ছ। তবুও আখিরাতের জীবনের স্থায়ী সফলতা আর লাভবান হওয়ার প্রবণতা থেকে দুনিয়ার জীবনের এই অস্থায়ী তুচ্ছ সফলতা আর লাভবান হওয়ার প্রবণতা আমাদের অনেক অনেক গুণ বেশি হয়ে থাকে। এটার কারন মূলত আমাদের অজ্ঞতা। আসলে আমরা জানিও না যে প্রকৃত সফলতা আর প্রকৃত লাভাবন বলতে কাদের বুঝায়! দূনিয়ার পিছনে ছুটতে ছুটতে একদিন মালাকূল মাওত ঠিকই চলে আসবে। সেদিন এই দুনিয়ার যশ, খ্যাতি, ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী কিছুই সাথে নিয়ে যাওয়া যাবে না। পরপারের সেই অনন্ত কালের যাত্রায় আমার আপনার সাথে একমাত্র আমাদের সৎ আমলই যেতে পারবে। আর এই পরকালে লাভবান হওয়ার জন্য আমাদের কি কি আমল করা প্রয়োজন তা কুরআন ও ছহীহ হাদিসের আলোকে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “কে বড় লাভবান” বইটিতে চমৎকার ভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য এমন একটি বই অপরিহার্য। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
প্রতিটি মুসলিম পুরুষেরই উচিত নিজেকে ইসলামের আদর্শে একজন আদর্শবান পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলা। এর জন্য প্রয়োজন একটা সঠিক গাইডলাইন। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “আদর্শ পুরুষ” বইটি হতে পারে এমনি একটা চমৎকার গাইডলাইন। একজন পুরুষ কিভাবে তার নিজেকে আদর্শবান পুরুষ হিসেবে গড়ে তুলবে তা শাইখ কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এই বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বইটির শিরোনাম দেখেই বুঝা যাচ্ছে বইটি আসলে কি বিষয়ের উপর লেখা হয়েছে। তবুও কিছু কথা না বল্লেই নয়। আমাদের সকলকেই একদিন মৃত্যুবরন করতে হবে এবং পরকালের দীর্ঘ সফর অতিবাহিত করতে হবে। এই চিরন্তন সত্যটি আমরা সকলেই জানি এবং মনে প্রাণে বিশ্বাসও করি। কিন্তু আমরা কতজন আছি যারা পরকালের এই দীর্ঘ সফরের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করছি! আসলে বলতে গেলে আমরা কোন প্রস্তুতিই গ্রহণ করছি না। অথচ জীবিত থাকতেই আমাদের মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা উচিত, না হলে মৃত্যুর পর আফসোস ছাড়া আর কিছুই থাকবে না। বইটি পড়লে মৃত্যুটাকে খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করা যাবে। বইটিতে কুরআন হাদীস এর আলোকে মৃত্যু নিয়ে এক অথেনটিক আলোচনা করা হয়েছে যা মানুষের হৃদয়কে নাড়া দেবে। যে কোনো কঠিন হৃদয়ের ব্যক্তিও বইটি পড়লে তার গা শিউরে উঠবে। এছাড়া আমাদের বাস্তব জীবন কিরুপ হওয়া উচিত এবং মৃত্যুর জন্য আমাদের কি কি প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। সুতরাং আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “আদর্শ পরিবার” বইটি ইতিপূর্বেই তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। শাইখের লেখা বিপুল পরিমানে বিক্রি হওয়া বইগুলোর মধ্যে “আদর্শ পরিবার” বইটি অন্যতম একটি বই। বইটিতে ইসলামিক আদর্শে একটি পরিবার গঠন করতে বিবাহ থেকে শুরু করে সন্তান প্রতিপালন পর্যন্ত যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হয়েছে। কেউ একজন মানুষের পেট থেকে জন্ম নিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে প্রকৃত মানুষ হয়ে যায় না। তাকে মানুষ করতে হয়, বা মানুষ বানাতে হয়। আদর্শ পরিবারের মাধ্যমে সন্তানকে গড়ে না তুললে তারা মানুষ হতে পারে না। হাত পা চোখ ওয়ালা এক অমানুষে পরিনত হয়। পরিবার হলো সমাজের মূল ভিত্তি। পরিবার ইসলামি ধাচে গড়ে উঠলে সন্তান, সমাজ ও রাষ্ট্রও ইসলামী ভাবধারায় গড়ে উঠবে। কিন্তু বর্তমানে অপসংস্কৃতির ভয়াল ছোবলে পরিবারে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। এ সমস্যা মুক্তির লক্ষ্যে “আদর্শ পরিবার” বইটি বিশেষ ভুমিকা রাখবে। ইনশাআল্লাহ। একটি আদর্শ পরিবার গঠন করার জন্য যে যে জ্ঞান গুলো মানুষের অর্জন করা প্রয়োজন তা অতি সুক্ষভাবে কুরআন ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে সূনিপূন আলোকপাত করা হয়েছে। বইটিতে প্রথমে আছে ভুমিকা তারপর নারী ও পুরুষের আদর্শ আলোচনা করা হয়েছে। একটা আদর্শ পরিবার গঠন এর সূচনায় বিবাহ। বইটিতে বিবাহ এবং তার গুরুত্ব, কনের গুনাবলী, বিবাহের প্রস্তাব অর্থাৎ বিবাহ সম্পর্কিত সকল বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। এরপরে রয়েছে স্বামী- স্ত্রী একান্ত মূহুর্ত এই বিষয়ের ১২ টি পয়েন্ট এর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। অলীমা সক্রান্ত সকল বিষয়ের ১২ টি পয়েন্ট এর বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে। বিবাহে অনৈসলামিক কার্যকলাপ এটা আমাদের সমাজে ব্যাপক চালু রয়েছে এর অপকার এবং এর কর্মফল সম্পর্কে আলোচনা করে এ থেকে বিরত থাাকার কথা বলা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রীর দায়িত্ব কর্তব্য যা একটা পরিবার গঠন করায় ব্যাপক ভুমিকা পালন করে এই বিষয়ে পরিপূর্ণ আলোচনা রয়েছে। আর সর্বশেষ বিষয় হলো পিতা-মাতা ও সন্তানের পরস্পরের দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে। এক কথায় বইটিতে একটি পরিবার কিভাবে রাসুল (সঃ) এর পরিবারের মতো সর্বযুগের পরিবার হতে পারে তার যথাযথ নমুনা পেশ করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।