ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জামাআত ও ঐক্য” বইটিতে তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতিরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী বলতে হয়, “ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি।” তিনি আরও বলেছেন, “ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলোর সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলোর অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়।” তাঁর এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনো ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলোতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাঁদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনো বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন, এমন দৃষ্টান্ত কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহ) ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার তো দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালোবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তাঁর ছাত্র শাফে‘ঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফে‘ঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাঁদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিরাক তথা অনৈক্যের কারণগুলো খুঁজে সেগুলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারি। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা‘আলার কাছে দো‘আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরি করে দেন। আমীন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই যে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল, তা এই বইটিতে কুরআন ও সহি হাদিছের মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ শাফায়াতে কুবরা; সকল নবীর ইমামতি; সালাফে ছালেহীন-এর ঐক্যমত; ইমাম আলবানী (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ)-এর মন্তব্য এবং শায়খ ছালেহ আল-উছাইমীন (রহঃ)-এর মন্তব্য। শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ-এর ফাতওয়া; ইমাম নববী (রহঃ)-এর ফাতওয়া; ইমাম রাযী (রহঃ)-এর বক্তব্য; শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু বায (রহঃ)-এর বক্তব্য ইত্যাদি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নানী, দাদীরা জানত না যে, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এগুলো কি? কারন তারা কখনো বাড়ির বাহিরে যেতেন না। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে পালকি, সাওয়ারী ও গরুর গাড়িতে কাপড় দ্বারা ঘিরে যেতেন। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরও বড় বড় ঘোমটা থাকত। কিন্তু সমঅধিকারের নামে বর্তমানে নারী সমাজের যে করুন অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। যারা সমঅধিকারের দিকে তাদেরকে ডাক দিয়েছে, তারা নারীদের কতটুকু মর্যাদা ও অধিকার দিতে পেরেছে? পেরেছে শুধু নগ্ন করতে। সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস ও কুলষিত করতে। আর নারীদের নগ্ন করে ঈমানদারের ঈনান হরন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল হয়েছে। সমঅধিকারের নামে তারা নারীদেরকে ঘর থেকে টেনে বের করে পুরুষদের বানিয়েছে উন্মাদ, ইভটিজার, আর নারীদের বানিয়েছে বাজারের পন্য, বিজ্ঞাপনের মডেল, ভোগের সামগ্রী। অথচ তারা যদি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতো, তার সংসার গুছিয়ে রাখত, মা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনে ব্যাপৃত থাকত, তাহলে তারা মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন থাকতো। কিন্তু আজ তারা সেই ইযযত-সম্মান, আদর স্নেহের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার। আর পুরুষদের জন্য হয়েছে পাপের দিশারি। মনে রাখতে হবে নারী হলো ঘরের রানী। আল্লাহর বিধাননের উপর কোনোকিছু টিকতে পারে না। তেমনি আল্লাহ যে মর্যাদা দেন তার চেয়ে বেশি অধিকার-মর্যাদা কেউ দিতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামকে উল্টিয়ে কেউ টিকতে পারেনা, যার দৃষ্টান্ত বর্তমানের নারীবাদীদের দিকে তাকালেই দেখতে পারি। নারীবাদীদের নাস্তিকতা মূলক সকল যুক্তি খন্ডন করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে “সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই” বইটিতে। আমি মনে করি এই বইটি নারী পুরুষ সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়লে সবাই তাদের মূর্খতা গুলো বুজতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বই থেকে কিছু উক্তিঃ দেশনেত্রী নয়, স্বামীর সংসারের নেত্রী হতে চাই। যৌতুক নয়, মহর চাই। পতিতা নয়, স্বামীর স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া সকল মুসলিম নর নারীর জন্য জরূরী। মৃত্যু হতে মানুষ পলায়ন করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যেখানেই থাক না কেন মরণ তোমাদের ধরবেই। (আন নিসাঃ ৭৮)। সুতরাং যার জন্ম আছে তার মৃত্যু নিশ্চিত এটা চিরন্তন সত্য। এ কথাটাকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু কেউ এটাকে মনে প্রনে বিশ্বাস করতে পারে না সে এখনই মারা যেতে পারে। এই কারণে সবাই মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারেনা। কিন্তু আমাদের উচিত সবসময় মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে থাকা। এ লক্ষ্যেই উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান রচনা করেছেন “মুমূর্ষু হতে কবর পর্যন্ত” নামক চমৎকার এই গ্রন্থটি। কিভাবে আমরা মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারবো তার বিস্তারিত আলোচনায় করা হয়েছে বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ফার্সী ভাষায় ‘শব’ শব্দটির অর্থ রাত বা রজনী। বরাত শব্দটি আরবী থেকে গৃহীত। বাংলায় ‘বরাত’ শব্দটি ‘ভাগ্য’ বা ‘সৌভাগ্য’ অর্থে ব্যবহৃত হলেও আরবীতে এ শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ ভিন্ন। আরবীতে ‘বারাআত’ শব্দটির অর্থ বিমুক্তি, সম্পর্কচ্ছিন্নতা, মুক্ত হওয়া, নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া ইত্যাদি। ফার্সী ‘শবে বরাত’, আরবী ‘লাইলাতুল বারাআত’ বা ‘বিমুক্তির রজনী’ বলতে আরবী পঞ্জিকার ৮ম মাস, শা‘বান মাসের মধ্যম রজনী বুঝানো হয়। কুরআন ও হাদীসে কোথাও ‘লাইলাতুল বারাআত’ পরিভাষাটি ব্যবহার করা হয়নি। সাহাবী-তাবিয়ীগণের যুগেও এ পরিভাষাটির ব্যবহার জানা যায় না। এ রাতটিকে হাদীস শরীফে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান’ বা ‘মধ্য-শা‘বানের রজনী’ বলা হয়েছে। এই শবে বরাত বা “মধ্য-শা’বানের রাত”-এর মর্যাদা সম্পর্কে অনেক কথাই আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। মুসলিমগণ এ রাতে বিশেষ ইবাদতে মগ্ন হয়ে পড়েন। মীলাদমাহফিল, ওয়ায-নসীহত, বিশেষ মুনাজাত, তাবারুক বিতরণ, কবর যিয়ারত ও বিশেষ সালাতে মুসল্লীরা মগ্ন থাকেন এ রাতে। কিন্তু এ রাতের ফযীলতে কথিত এ সকল বক্তব্য কতটুকু নির্ভরযোগ্য এবং এ রাতের বিশেষ ইবাদত কুরআনসুন্নাহর আলোকে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা গুরুত্বের দাবীদার তা নিয়ে আলিম সমাজে বিভিন্ন বক্তব্য ও মতভেদ রয়েছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে মুসলমানরা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েন এবং অনেক সময় গালাগালি ও শত্রুতায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। এ সকল মতভেদ ও মতপার্থক্যের উর্ধ্বে উঠে কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ রাতের মর্যাদা ও এ রাতের করণীয় নির্ধারণ করা এ পুস্তিকাটি উদ্দেশ্য। পুস্তিকাটিতে মধ্য-শাবানের রাত্রির ফযীলত ও এ রাত্রে বা পরের দিনে পালনীয় বিশেষ ইবাদত সম্পর্কে উদ্ধৃত কুরআনের আয়াত ও মুফসিরগণের বক্তব্য আলোচনা করা হয়েছে। এরপর এ বিষয়ে বর্ণিত ও প্রচলিত সকল হাদীস উদ্ধৃত করে সেগুলির গ্রহণযোগ্যতা, বিশুদ্ধতা বা অশুদ্ধতার বিষয়ে মুহাদ্দিসগণের মতামত পর্যালোচনাও করা হয়েছে। এভাবে বইটি থেকে সামগ্রিক ভাবে এ রাতে মুসলিমের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলির সম্পর্কে সঠিক সীদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যাবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের সমাজে যে সকল বিষয় নিয়ে দ্বন্দ রয়েছে তার মধ্যে ঈদে মিলাদুন্নবী অন্যতম। আর এই দ্বন্দ এত প্রকট হয়েছে যে যার ফলে মুসলমান এখন দলে দলে বিভক্ত হয়ে গেছে। আর উম্মতের এই ক্রান্তিলগ্নে এই রকম একটি বই খুবই জরুরী। আশাকরা যায় বইটি অধ্যয়ন করলে উম্মতের মধ্যে যে দ্বন্দ রয়েছে তা নিরসন হবে। ইনশাআল্লাহ। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জন্ম নিঃসন্দেহে উম্মাতের জন্য মহা আনন্দের বিষয়। তবে এ আনন্দ প্রকাশ যদি রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণের সুন্নাত অনুসারে হয়, তাহলে তাতে আমরা অফুরন্ত সাওয়াব ও বরকত লাভ করতে পারব। মীলাদ পালনের সুন্নাত পদ্ধতি হলো প্রতি সোমবার সিয়াম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর দবরারে শুকরিয়া জানানো। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজে আমাদেরকে এ পদ্ধতি শিখিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মীলাদ বা জন্মে আনন্দ প্রকাশের দ্বিতীয় সুন্নাত পদ্ধতি হলো, সর্বদা তাঁর উপর দরুদ ও সালাম পাঠ করা। তিনি আমাদের জন্য যা করেছেন আমরা জীবন বিলিয়ে দিলেও তার সামান্যতম প্রতিদান দিতে পারব না, কারণ আমরা হয়ত আমাদের পার্থিব সংক্ষিপ্ত জীবনটা বিলিয়ে দিলাম, কিন্তু তিনি তাতে আমাদের পার্থিব ও পারলৌকিক অনন্ত জীবনের সফলতার পথ দেখাতে তাঁর মহান জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন নবী ছিলেন, মানব জাতির সৃষ্টির শুরুতেই যার মর্যাদার কথা লিপিবদ্ধ হয়েছিল মহান রবের দরবারে। ইবরাহীম আলাইহিস সালাম এর দোয়ার বাস্তবায়নে ইসমাঈল আলাইহিস সালাম এর বংশ, আরবে শ্রেষ্ঠতম কুরাইশ বংশে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জন্মগ্রহণ করেন। সহীহ হাদীস থেকে জানা যায় যে, তিনি সোমবার জন্মগ্রহণ করেন। আবু কাতাদা (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে সোমবার দিন রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি বলেন “এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনেই আমি নবুয়্যত পেয়েছি।” রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, এর প্রতি আমাদের নূন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সর্বদা তাঁর জন্য সালাত ও সালাম পাঠ করা। যাইহোক, ঈদে মিলাদুন্নবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
হজ্জ সম্পর্কিত বাজারে বইয়ের কোন অভাব নাই। হজ্জ সম্পর্কিত প্রতিটি বইয়েই প্রায় হজ্জের নিয়ম কানুন অর্থাৎ হজ্জ কীভাবে করতে হবে? হজ্জে কি কি কাজ করতে হবে? কখন কোন দুয়া পড়তে হবে? এসব বিষয় নিয়ে লিখা হয়। কিন্তু ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “হজ্জ্বের আধ্যাত্মিক শিক্ষা” বইটি সম্পূর্ণ ভিন্ন ধাঁচের একটি বই। বইটিতে হজ্জের মূল শিক্ষা, কেন আমরা হজ্জ করব, হজ্জের উপকার কী এবং হজ্জের আধ্যত্মিক শিক্ষা কি কি, এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি কিছু বেসিক পরামর্শ, টিপসও দেয়া আছে বইটিতে, যা অন্য বইতে পাওয়া যায় না। বইটি দুটি ভাগ ভাগ করা হয়েছে। প্রথম ভাগে হজ্জের গুরুত্ব, হজ্জ করার প্রয়োজনীয়তা, হজ্জের প্রয়োজনীয় উপকরন সংগ্রহ, হজ্জের প্রতিদান হিসাবে আল্লাহর পুরস্কার ইত্যাদির ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগে আত্মনিয়ন্ত্রনের বিষয়টা গুরুত্ব পেয়েছে। আলোচিত হয়েছে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুলের নানান উপকারিতা এবং দিক। নিজেকে অহংকারমুক্ত করা, অন্যের ভুল ক্ষমা করা, কষ্ট না দেয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় দুআ করা এবং খুব বেশি কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এত বড় মাপের একজন আলেমের এমন সহজ সরল ভাষায় লেখা বইটি আসলেই প্রশংসার দাবীদার। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
গত আগস্ট-২০১০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম সপ্তাহে কুরবানীর বিশুদ্ধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মামলা করেন বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্ট দেব নারায়ণ মহেশ্বর। তিনি দাবি করেন যে, তাওরাত, যাবূর ও ইঞ্জিল বা “বাইবেলের” বক্তব্যের আলোকে ইসহাকই জাবীহুল্লাহ ছিলেন। কাজেই ইসমাঈলকে জাবীহুল্লাহ বলে যারা প্রচার করেন তারা সকলেই কাফির, জালিম ও ফাসিক। তিনি আইন করে এ বিষয়টিকে সংশোধন করার দাবি করেন। এ বিষয়ে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উপযুক্ত জবাব দিয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যার রচনা করেছেন “কুরবানী ও জাবীহুল্লাহ” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
১৯৭৮ খৃস্টাব্দে আমেরিকার কলরাডো (Colorado) রাষ্ট্রের কলরাডো ¯প্রীংস (Colorado springs) শহরে (north American conference on muslim evangelization): ‘মুসলিমদের খৃস্টান বানানো বিষয়ে উত্তর আমেরিকান সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে মিশনাারিগণ পরবর্তী অর্ধশতকের মধ্যে বাংলাদেশ-সহ এশিয়ার কয়েকটি মুসলিম দেশকে খৃস্টান-প্রধান দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা নেন। তারা প্রচার-পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেন। নিজেদেরকে মুসলমান, ঈসায়ী তরীকার মুসলমান বলে পরিচয় দেওয়া, ধর্মান্তরিতদের নামায-রোযা, ঈদ-মীলাদ বহাল রাখতে বলা.. ইত্যাদি। সেই সম্মেলনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাংলাদেশে খৃষ্টান মিশনারিদের প্রচার পদ্ধতি গতানুগতিক প্রচার পদ্ধতির চেয়ে ভিন্ন। এরা দেখেছে এদেশের বেশিরভাগ মুসলিমই নিজেদের ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ। তাই, এরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলমান দাবি করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মুসলিমদের বিভ্রান্ত করছে এবং খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করছে। এরা নিজেদের বাইবেলকেও দিয়েছে ইসলামি নাম – ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’। এই বইটিকে তারা তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের শিক্ষার সম্মিলিত রুপ দাবি করে ইসলামের ওপর কালিমা লেপন করছে এবং মুসলিমদের করছে বিভ্রান্ত। ৫০ বৎসর আগে বাংলাদেশে কয়েক হাজার খৃস্টান ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় ৫০ লক্ষ মুসলিম খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়। ইসলামের ওপর খ্রিস্টান মিশনারীদের এসব অপতৎপরতার জবাব দিতে এবং মুসলিমদেরকে তথাকথিত ‘ঈসায়ী মুসলমান’দের বিভ্রান্তি থেকে বাঁচাতে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যার রচনা করেছেন “কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে সংক্ষিপ্ত আকারে মোট উনিশটি অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে৷ প্রথমেই স্যার রাহিমাহুল্লাহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ভূমিকা লিখেছেন। এরপর প্রথম অধ্যায়ে আলোচনা করেছেন, ঈসা মাসিহের ধর্মে মিথ্যার অনুপ্রবেশ নিয়ে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এসেছে প্রচলিত ‘কিতাবুল মোকাদ্দস’ এর সাথে তাওরাত-যাবুর-ইঞ্জিলের তূলনামূলক আলোচনা। এরপর ধাপে ধাপে স্যার রাহিমাহুল্লাহ এনেছেন ইঞ্জিলের বিকৃত হওয়ার ইতিহাস, সাধু পলের আবির্ভাব, সাধু পলের প্রচারিত ধর্মের সাথে ঈসা আ. এর ধর্মের বৈপরীত্য, খৃষ্টানদের ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যে পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা ইত্যাদি বিষয়গুলোসহ আরো নানান গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা৷ প্রত্যেক অধ্যায়ে স্যার রাহিমাহুল্লাহ দেখিয়েছেন খৃষ্টান ধর্মের ভিত কতটা নড়বড়ে। ইসলাম নিয়ে তাদের আপত্তিগুলো যে কতটা দুর্বল ও অযৌক্তিক সেটা বোঝা যাবে বইটি পড়লেই। এছাড়া খ্রিস্টান মিশনারীরা ঈসায়ী তরিকার দাওয়াত দিতে আসলে কিভাবে তার জবাব দিতে হবে ও মোকাবেলা করতে হবে এ বিষয়েও বিভিন্ন কৌশল ও উদাহরণ দেখিয়েছেন তিনি। সর্বেশষ অধ্যায়ে স্যার রাহি. মুসলিমদের প্রতি একটি নিবেদন রেখেছেন। সেখানে তিনি মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। নিজেদের মধ্যে কোন্দল থামিয়ে মিশনারিদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন করেছেন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “A Woman From Desert” (মরুভূমি থেকে এক মহিলা) বইটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন সাহাবা উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আনহার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য, সাহসীকতা এবং অগ্রগামীতার বিষয়টি অত্যন্ত বলিষ্ঠ্যভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান (রাদিয়াল্লাহু আনহা) নামের এই বুদ্ধিমতি মহীয়সী নারী সত্যিই খুব অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। যার মনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা ছিলো অসীম। অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন যত্নবান ধৈর্যশীল মা। বইটি আকারে ছোট হলেও এর জ্ঞানের আলো অতুলনীয়। যারা হেদায়াতের পথে চলতে চায় তাদেরকে এই বইটি অনুপ্রাণিত এবং উদ্বুদ্ধ করবে, বিশেষ করে নারীদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“রামাদানের সওগাত” বইটি মূলত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “খুতবাতুল ইসলাম” বই থেকে রমাদানের অধ্যায়গুলোকে আলাদা করে সন্নিবেশ করা একটি বই। “খুতবাতুল ইসলাম” বইটির মাঝে তিনি জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামী গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদী সম্মন্ধে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন। যাতে করে খতিব সাহেবগণ জুমআর সালাতে এখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সবার সম্মুখে উপস্থান করতে পারেন। কিন্তু “খুতবাতুল ইসলাম” বইটি বেশ বড় আর দামের দিক থেকেও একটু বেশি হওয়ায়, শুধুমাত্র রমাদানের অংশগুলোকে বেঁছে নিয়ে ছোট্ট আকারে এই “রামাদানের সওগাত” বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
নামাযের মধ্যে ও নামাযের পরে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে সকল দু‘আ ও মুনাজাত পালন করেছেন এবং করতে শিক্ষা দিয়েছেন সেগুলো নিয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) “মুনাজাত ও নামায” শীর্ষক এই পুস্তিকাটি রচনা করেছেন। দু‘আ ও মুনাজাতের ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাতকে জীবিত করতে পুস্তিকাটি বিশেষ অবদান রাখবে বলে আশা করছি। মুনাজাতের গুরুত্ব আমরা কমবেশি জানি। তবে এক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আচরিত ও শেখানো মুনাজাতগুলি সম্পর্কে আমাদের দেশের অধিকাংশ দ্বীনদার মুসলিম অবগত নন। শুধু তাই নয়, অধিকাংশ ধার্মিক মুসলিম ও আলিম এ বিষয়ে আগ্রহীও নন। বিষয়টি দুঃখজনক। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক শেখানো মুনাজাতগুলি পালনের মধ্যে রয়েছে অসাধারণ সাওয়াব, মর্যাদা, বরকত ও কবুলিয়্যত। এ ব্যাপারে সকলেরই আগ্রহী হওয়া দরকার। এই পুস্তিকাটিতে নামাযের মধ্যে ও নামাযের পরে পালনীয় প্রায় অর্ধ শত মাসনূন মুনাজাত সহীহ হাদীসের আলোকে সংকলন করা হয়েছে। এগুলির মধ্যে কিছু মুনাজাতের নির্ধারিত সময় বা স্থানও হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। আর কোনো কোনো মুনাজাত রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাধারণভাবে শিক্ষা দিয়েছেন, যেগুলিকে আমরা সকল স্থানে ও সময়ে ব্যবহার করতে পারি। যে কোনো মাসনূন মুনাজাত যে কোনো সময়ে পালন করা যেতে পারে। নামাযের পরে পালনের জন্য শেখানো মুনাজাত সাজদার মধ্যে, কুনুতে বা সালামের আগে বলা যাবে, কুনুতের মধ্যে পালনের জন্য শেখানো দু‘আ সাজদায়, সালামের আগে বা সালামের পরে বলা যাবে। তবে এ সকল মুনাজাতের ক্ষেত্রে যে সময় বা স্থান হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলির দিকে লক্ষ্য রাখতে পারলে আরো ভালো। এতে রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হুবহু অনুকরণের অতিরিক্ত সাওয়াব ও ফযীলত অর্জিত হবে। এছাড়া নামাযের বাইরে সকল সময়ে, স্থানে ও অবস্থায় মুমিন সর্বদা আল্লাহর কাছে দু‘আ করবেন এবং সকল দু‘আ-মুনাজাতের ক্ষেত্রেই এ সকল মাসনূন বাক্য ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। মুনাজাতের বাক্য যেমন সুন্নাতসম্মত হওয়া উত্তম, তেমনি মুনাজাত আদায়ের পদ্ধতিও সুন্নাতসম্মত হওয়া উত্তম। এজন্য মুনাজাত আদায়ের মাসনূন পদ্ধতিও বইটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম-এর আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দাওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দাওয়াত, কখনো সৎকার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত্ব, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী এসকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা‘ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দাওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয়েও পুস্তিকাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথাও আলোচনা করা হয়েছে পুস্তিকাটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
এই বইটি রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র মদীনায় মসজিদে নববীর লাইব্রেরীতে বসে লিখা। প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্রসহ যারা উছূলে হাদীছ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করতে চান, এই বইটি তাদের পথপ্রদর্শক ও দিশারীর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বক্ষমান পুস্তিকাটি স্বতন্ত্র কোনো সংকলন নয়। অনেক দ্বীনদার মানুষ চান সংক্ষিপ্তাকারে কিছু মাসনূন যিকির ও দুআর একটি ক্ষুদ্র সংস্করণ, যা সবসময় নিজের সাথে বহন করা যাবে। তাদের আগ্রহ ও চাহিদার দিক বিবেচনা করেই মূলত সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকাটি সঙ্কলন করা হয়েছে। এই পুস্তিকার সকল তথ্য ও ‘রাহে বেলায়াত’ এবং ‘সহীহ মাসনূন ওযীফা’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। উক্ত গ্রন্থগুলোর পাদটীকায় গ্রন্থকার বিস্তারিত তথ্যসূত্র উল্লেখ করেছেন। সংক্ষিপ্ত এ পুস্তিকায় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পরবর্তী এবং সকাল-সন্ধ্যার মাসনূন যিকরসহ একজন মুমিনের ঘুম থেকে উঠা থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত দৈনন্দিন পালনীয় কিছু মাসনূন যিকর ও দুআ সঙ্কলন করা হয়েছে। এছাড়া পুস্তিকার শুরুতে সংক্ষেপে যিকরের পরিচয়, গুরুত্ব ও ফযীলত তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলামের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে ‘তাযকিয়া’ বা আত্মশুদ্ধি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীগণের জীবন থেকে আমরা দেখতে পাই যে, ফরয ইবাদত পালনের পরে সদাসর্বদা নফল ইবাদত পালনে রত থেকে, বিশেষত সদা সর্বদা জিহ্বা ও অন্তরকে আল্লাহর যিকিরে রত রেখে তাঁরা তাযকিয়া ও বেলায়াতের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করেছেন। সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে তাঁদের পালিত এ সকল নফল ইবাদত ও যিকিরের মধ্য থেকে কিছু বেছে নিয়ে এই মাসনূন (সুন্নাত-সম্মত) ‘ওযীফাটি’ রচনা করা হয়েছে। বর্তমান বিভিন্ন তরীকার ওযীফা ছাড়াও অনেক প্রকারের ওযীফার বই বাজারে প্রচলিত। তবে সহীহ হাদীসের ভিত্তিতে মাসনূন বা সুন্নাতি ওযীফার বই তেমন পাওয়া যায় না। এ লক্ষ্যেই স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) রচনা করেছেন “সহীহ মাসনূন ওযীফা” নামক চমৎকার এই বইটি। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান যুগে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মুফাসসির ও বক্তা মিথ্যা তাফসীর ও মিথ্যা বক্তব্যের মাধ্যমে জনসাধারণকে আকৃষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অপরদিকে সরলমনা মুসলমানগণ তাদের মিথ্যা বক্তব্য শ্রবণে বিভ্রান্ত হচ্ছে। ফলে ইসলামের আদি রূপ ক্রমেই তাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিচ্ছে। যার ফলে মানুষ সচেতন হলেও দাওয়াত এর মাধ্যমে উপকারী জ্ঞান অর্জন করতে ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা আমাদের কিভাবে দাওয়াত দিতে বলেছেন এবং রাসুল (সঃ) এর দাওয়াত কেমন ছিলো। আর এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “বক্তা ও শ্রোতার পরিচয়” নামক এই বইটি। বইটিতে লেখক দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি গুলো কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে মিথ্যা বক্তব্য দানকারী আলেমদের পরিণতি ও তাদের সহযোগিতাকারী শ্রোতাদের পরিণাম এবং একজন সত্যিকারের বক্তা ও শ্রোতার পরিচয় কেমন হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
হজ্জ এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যা কষ্টকর দীর্ঘ সফরের মধ্য দিয়ে পালন করতে হয়। হাদিছে এসেছে এই ইবাদত কবুল হলে মানুষ সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। এই ইবাদতে ফযিলতের বহু কাজ থাকা সত্ত্বেও না জানার কারণে মানুষ সেসব ফযিলত হতে বঞ্চিত হচ্ছে। এমনকি অনেকেই আবার দলীল-প্রমাণহীন জাল-যঈফ হাদিছ মিশ্রিত বই পড়ে সহজেই শিরক-বিদআতে জড়িয়ে পড়ছে। অপরদিকে মানুষ মক্কা-মদীনায় যেতে পারবে, এ কারণে মনের ভিতর প্রচণ্ড আবেগ কাজ করে। মানুষের এই আবেগের সুযোগ নিয়ে বর্তমান বাজারে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে হজ্জ-উমরা সম্পর্কে লিখিত বহু দলীল-প্রমাণহীন বই দেখা যায়। এসব বই পড়ে হজ্জ-উমরা পালন করলে তা বিশুদ্ধ পদ্ধতিতে আদায় হবে বলে আশা করা যায় না। এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত মানুষ যেন সঠিক পদ্ধতিতে আদায় করে কাঙ্খিত প্রতিদান লাভ করতে পারে সেই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সম্পূর্ণ কুরআন ও ছহীহ হাদিছের আলোকে রচনা করেছেন “হজ্জ ও উমরা” নামক এই বইটি। বইটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মানব জীবনের সকল সমস্যার যুগোপযোগী সমাধানের একমাত্র প্লাটফর্ম হচ্ছে ইসলাম। যার মৌলিক উত্স দুটি। কুরআন ও হাদীছ। যুগে যুগে ইসলাম বিদ্বেষীরা কুরআন-হাদীছের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা ইসলামের শক্তিশালী দূর্গকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। শক্তির দাপটে, বাহুর বলে ইসলামকে দমিয়ে না রাখতে পেরে তারা পিছন থেকে পিঠে ছুরি চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তাদের এই দূরভিসন্ধির নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছে হাদীছ। ইসলামের ২য় উৎস হাদীছের ভাণ্ডারকে অকেজো ও অচল করে প্রকারান্তরে ইসলামকে অকেজো করাই তাদের এই ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত লক্ষ্য। তবে আলহামদুলিল্লাহ যখনই হাদীছ শাস্ত্র নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে, তখনই মুহাদ্দিছগণ সেই ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন করার জন্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। নিকট অতীতে ভারতের মাটিতে মাওলানা ইসমাঈল সালাফী, মাওলানা ছানাউল্লাহ অমৃতসরী, হাফেয যুবাইর আলী যাঈ (রহঃ) এবং আরবের মাটিতে আব্দুর রহমান ইয়াহইয়া আল-মুআল্লিমী, আল্লামা নাছিরুদ্দীন আলবানী, শায়খ আহমাদ শাকির (রহঃ) প্রমুখ মুহাদ্দিছগণ বিভিন্ন অপবাদ, বিভ্রাট, সংশয় ও অভিযোগ থেকে হাদীছের পবিত্র আঁচলকে রক্ষার পিছনে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাংলা ভাষায় এ বিষয়ে কোন পূর্ণাঙ্গ কিতাব রচিত হয়নি। এ লক্ষ্যেই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক রচনা করেছেন “আমরা হাদীছ মানতে বাধ্য” নামক অসাধরন এই গ্রন্থটি। যুগের চাহিদা ও প্রয়োজন অনুযায়ী এ বইয়ে বিভিন্নভাবে হাদীছ অস্বীকারকারীদের উদ্ভট যুক্তি এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বিভ্রাটের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলা ভাষা-ভাষী মুসলিম উম্মাহকে জানানোর চেষ্টা করা হয়েছে তাদের মুক্তি ও নাজাতের একমাত্র পথ হচ্ছে ইসলাম অর্থাৎ কুরআন ও সহি হাদীছ। হাদিস বাদ দিয়ে শুধু কুরআন মানা সম্ভব নয়। আমরা অবশ্যই হাদীছ মানতে বাধ্য। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সমস্ত মাখলুককে তাদের অনুগত করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই শ্রেষ্ঠ জাতি আজ অত্যাচার ও নির্যাতনের গভীর সমুদ্রল হাবুডুবু খাচ্ছে। নির্যাতিত মানবতার করুন আর্তনাদ, অত্যাচারিতের হাহাকার, মাযলূমের আর্তচিৎকারে আজ আকাশে বাতাসে ভারী হয়ে উঠেছে। তাই এই নির্যাতনের প্রতিকারের জন্য কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে সমাধান করা প্রয়োজন, যা এই “কেন এই নির্যাতন? কী তার প্রতিকার” বইটিতে অথেনটিক আলোচনা রয়েছে। তাই বইটি মানবকূলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। মূলত বইটিতে সমাজের সকল পর্যায়ের নির্যাতনের প্রতিকার এর লক্ষ্যে, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন ও বিভিন্ন নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এবং এগুলো আল্লাহ তাআলা কিভাবে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন কুরআনুল কারীমে সেই ধাচে সমাধান করার উপায় গুলো চমৎকার ভাবে আলোকপাত করেছেন লেখিকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে জামাআতবদ্ধ জীবনযাপনের আলোচনা- যেখানে ইসলাম জামাআতবদ্ধ জীবনযাপনের তাকীদ দিয়েছে। পক্ষান্তরে, জামআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোরতা আরোপ করেছে। কোথাও ‘জামাআতুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলিম জামাআত’ এর সাথে থাকতে বলা হয়েছে। আবার কোথাও ‘মুসলিম জামাআত’ ত্যাগ করার ইহকালীন কুফল ও পরকালীন আযাবের কথা বিবৃত হয়েছে। কিন্তু ‘জামাআত’, ‘জামাআতুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলিম জামাআত’ বলতে কোন পথ, কোন মত, কোন দল, কোন মাযহাব বা সংগঠনের কথা বলা হয়েছে, তা অধিকাংশ মানুষের কাছে রয়ে গেছে অজানা; বরং ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসকল বিষয়ের বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে লেখক আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী রচিত “ইসলামে জামাআত বলতে কোন দলকে বুঝায়” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা” বইটির নাম থেকেই বুঝা যায় যে বইটি কি বিষয়ের উপর লেখা। বর্তমান বাংলাদেশে তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা নিয়ে তর্কাতর্কির কোন শেষ নেই। কেউ বলছে ৮ রাকাত, আবার কেউ বলছে ২০ রাকাত। আসলে কোনটি সহি সুন্নাহ সম্মত? এ বিষয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “কিয়ামুল লাইল ও তারাবীহ সালাতের রাকআত সংখ্যা” নামক ছোট্ট এই পুস্তিকাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুস্তিকাটিতে উক্ত বিষয়ের উপর আলোচনার পাশাপাশি কিয়ামুল লাইল বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত পাঠক! আক্বীদা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একজন মুসলিম জীবনে জার প্রয়োজন সদা-সর্বদা। একজন মানুষের জীবনে নিঃশ্বাস গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা যেমন, আক্বীদার প্রয়োজনীয়তা তার চেয়ে কম নয়। সকল আমলের অশুদ্ধতা-বিশুদ্ধতা আক্বীদার উপরই নির্ভর করে। আক্বীদার শিক্ষা একজন মানুষকে সর্বাপেক্ষা বড় পাপ শিরক থেকে বাঁচাতে পারে। পক্ষান্তরে, এর মৌলিক বিষয়াবলি বিশুদ্ধ না হলে একজন মানুষের অন্যান্য আমল নষ্ট হয়ে যায়। বিশুদ্ধ আক্বীদাই হচ্ছে একজন মুসলিমের মূলধন। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আজ বিশুদ্ধ আক্বীদা থেকে বহু দূরে। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা তো বটেই, এমনকি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার কোন বন্দোবস্ত রাখা হয় নাই। এদিকে হানাফী ক্বওমী শিক্ষা ব্যবস্থায় আক্বীদা শিক্ষার নামে অনেক ক্ষেত্রে আশ’আরী-মাতুরীদী আক্বীদা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। কারণ আমাদের হানাফী ভাইয়েরা ইমাম আবু হানীফা (রহিঃ) এর প্রতি অতিভক্তি দেখালেও তার আক্বীদা তারা গ্রহণ করতে পারেনি। বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার এত বেশি গুরুত্ব থাকার সত্ত্বেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলা ভাষায় এবিষয়ের উপর সার্বজনীন তেমন কোন বই প্রকাশিত হয়নি। এ লক্ষ্যেই সম্মানিত লেখক আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী রচনা করেছেন “প্রশ্নোত্তরে সহজ আক্বীদা শিক্ষা” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে একদিকে যেমন আক্বীদার মৌলিক বিশয়াবলি তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি বিষয়গুলোকে প্রশ্নোত্তর আকারে খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটির প্রত্যেকটি বক্তব্য কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ দারা প্রমানিত এবং সলফে ছলেহীন কর্তৃক সমর্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে হলে আকীদা সম্পর্কে জানতেই হবে। আর তার জন্য “প্রশ্নোত্তরে সহজ আক্বীদা শিক্ষা” চমৎকার একটি সহায়িকা। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আপনারা সালাতুল ঈদের ৬ তাকবীর কোথায় পেয়েছেন? আমরা যে ৬ তাকবীর বলি এর পক্ষে কোনো সহীহ হাদীস আছে কি? সালাতুল ঈদের ১২ তাকবীরের হাদীস নাকি সহীহ? সালাতুল ঈদ ৬ তাকবীর নাকি ১২ তাকবীর? ইত্যাদি ইত্যাদি এ জাতীয় প্রশ্ন বর্তমান সময়ে অনেকেই করে থাকেন। এসকল বিষয়ের উপর কুরআন ও সহি সুন্নাহ ভিত্তিক বিস্তারিত আলোচনা এবং সেই সাথে হাদীসের সনদ বিচার পদ্ধতি এবং এ পদ্ধতিতে সালাতুল ঈদের তাকবীর বিষয়ক হাদীসগুলোর সনদ বিচার বিষয়ে, এই বইটিতে স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) বিস্তারিত তুলে ধরেছেন। আশা করি বইটি আমাদের দেশে হাদীস চর্চার ক্ষেত্রে নতুন ধারার সূচনা করবে। সাথে সাথে সালাতুল ঈদের তাকবীর বিষয়ে আমাদের সমাজে প্রচলিত বিতর্ক, দলাদলি ও বিভক্তি দূর করতে সাহায্য করবে। মুসলিম উম্মাহর জন্য এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হলো খুঁটিনাটি ফিকহী বা ব্যবহারিক মতভেদগুলোকে দলাদলি ও বিভক্তির মাধ্যম না বানিয়ে পরস্পরের মধ্যে ঈমানী ভালবাসা, সৌহার্দ, ও সম্প্রীতির প্রসার ঘটানো এবং ঐক্যবদ্ধভাবে শত্রুদের ষড়যন্ত্রের মুকাবিলা করা। এক্ষেত্রে “সালাতুল ঈদের অতিরিক্ত তাকবীর” বইটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা আশাবাদী। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান বাংলাদেশে সালাতের মধ্যে হাত বুকের উপর নাকি নাভির নিচে বাঁধতে হবে, এনিয়ে তর্কাতর্কির কোন শেষ নেই। কেউ বলছে বুকের উপর, আবার কেউ বলছে নাভির নিচে। আসলে কোনটি সহি সুন্নাহ সম্মত? এ বিষয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান” নামক ছোট্ট এই পুস্তিকাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। পুস্তিকাটি তিনটি পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্বে সালাতের মধ্যে হাত বাঁধার বিধান বিষয়ক হাদীসগুলো ইলমুল হাদীসের মানদণ্ডে অধ্যয়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্বে উম্মাতের প্রথম প্রজন্মগুলোর প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও হাদীসপন্থী ফকীহগণের বক্তব্যের আলোকে সহীহ ও হাসান হাদীসগুলোর নির্দেশনা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা থেকে প্রতিভাত হয়েছে যে, সহীহ হাদীস পালনের বিষয়ে ঐকমত্য সত্ত্বেও সহীহ হাদীস নির্ধারণ, হাদীসের নির্দেশনা নির্ধারণ, একাধিক সহীহ হাদীসের সমন্বয় ও হাদীসের ফিকহী নির্দেশনা নির্ধারণের ক্ষেত্রে উম্মাতের প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস ও ফকীহগণ ব্যাপক মতভেদ করেছেন। এরই আলোকে তৃতীয় পর্বে উম্মাতের মতভেদ, প্রান্তিকতা, কারণ, প্রতিকার ও এ বিষয়ে সালফে সালিহীনের কর্মধারা আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মৃত্যু যেভাবে মানুষকে খুঁজে মানুষের রিযিক্ব সেভাবেই মানুষকে খোঁজে। মানুষ তার নির্ধারিত রিযিক্ব ভোগ না করে মারা যাবে না। মৃত্যুর সময় যদি নিকটবর্তী হয় আর রিযিক্ব বাকী থাকে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে সে তুলনামূলক বেশি খাবে। আর যদি রিজিক্ব শেষ হয়ে যায় হায়াত বাকী থাকে তাহলে মৃত্যুর পূর্বে তার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে, কমে যাবে। তবে শুধু খাদ্য বা জীবিকার নাম রিযিক্ব নয়। সম্মান মর্যাদা, ভালোবাসা, ইলম, ধন-সম্পদ সবই রিযিক্বের অন্তর্ভুক্ত। শুধু তাই নয় হালাল পন্থায় অর্থ উপার্জন করা নেকীর কাজ। সেই অর্থ নিজের স্ত্রী পুত্রদের জন্য খরচ করা আরও নেকির কাজ। এমনকি মানুষ তার স্ত্রীর মুখে যে খাবারের লোকমা তুলে দেয় সেটাও তার জন্য ছাদাক্বাহ। শুধু নিয়ত থাকা চাই। পৃথিবীতে কেউ সবসময় দুনিয়ায় পিছনে ছুটে তার রিযিক্বের জন্য আবার কেউ ইসলামের বিধান কে কষ্টকর মনে করে, কেও কেও হতাশ থাকে তার রিযিক্ব নিয়ে। মানুষ মাত্রই রিযিক্ব নিয়ে চিন্তিত। রিযিক্বের চিন্তা মানুষকে এতটাই বিবেকহীন করে দেয় যে, হালাল-হারাম বিবেচনা করার মতো ফুরসতটুকুও সে পায় না। বৈধ-অবৈধ যেভাবেই হোক না কেন, অধিক থেকে অধিক উপার্জনের চেষ্টায় থাকে মুখ্য। এই সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক রচনা করেছেন “রিযিক্ব” নামক অসাধরন এই বইটি। বইটি পড়লে সবাই হতাাশ দুশ্চিন্তা থেকে রক্ষা পাবে ইনশাআল্লাহ। এককথায় ভাগ্য ও রিযিক্ব নিয়ে অসাধারণ একটা মোটিভেশনাল বই হলো “রিযিক্ব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সঙ্গীর মনের প্রতিটি ভাঁজে বিচরণ ও উপলব্ধি এবং তার হৃদয়-পাতাকে অধ্যয়ন করা দাম্পত্য সুখের অপরিহার্য শর্ত। স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক ও মানসিক বৈশিষ্ট্য ও গঠন সৃষ্টিগতভাবেই ভিন্ন। এই দুই ভিন্ন সত্তা যখন একই ধ্যানের মৃণাল ধরে জীবন সাজাতে সংকল্পবদ্ধ হয়, তখন পরস্পরের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে অবগত হওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে। অন্যথায় দাম্পত্যজীবনের উষ্ণ লেনাদেনাকে যান্ত্রিক ও আরোপিত বলেই মনে হয়। ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পাঠকের চিন্তা ও বোঝাপড়ায় এমন এক বোধ দিতে চায়, যা সঙ্গীর মনের ভাষা পড়তে সহায়ক হবে। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণোচ্ছল করতে ‘দাম্পত্য রসায়ন’ পুস্তিকাটি হতে পারে স্বামী-স্ত্রীর দারুণ এক টোটকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই পোশাক একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু অনেক মুসলিম নারী পুরুষই জানেন না যে, ইসলামের দৃষ্টিতে তাদের পোশাক কেমন হওয়া উচিৎ। শয়তান প্রথম মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে বিপথগামী করেছে, এই পাপোশাক খুলেছে এবং পরম সুখের জায়গা জান্নাত থেকে বের করেছে। অনেক নারী পুরুষই আবার অভিশপ্ত শয়তানের দোসর ইয়াহুদি, খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য বিধর্মী-নাস্তিক পশ্চিমা পুঁজিবাদী সমাজের বিলাসী ও আয়েশী জীবনের মোহে পড়ে তাদেরকে বস্তুগত ও অবস্তুগত সংস্কৃতির রোল-মডেল ধরে তাদেরকে অনুকরণ করছে। অথচ তারা কখনো মুসলিমদের অনুকরণীয় হতে পারে না। কারণ ইসলামই পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। দুনিয়ার বুকে একমাত্র ইলাহী বিধান ইসলামে মুসলিমদের ড্রেসকোড কী তা সবিস্তারে বর্ণিত আছে। সেগুলো না জানার কারণেই তারা বিজাতীয় অনুকরণে মত্ত। এ অবস্থা থেকে মুক্ত হতে জানা প্রয়োজন কোনটি সুন্নতী পোশাক আর কোনটি বিজাতীয় পোশাক? এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের রচনা করেছেন “পোশাক” নামক এই বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
শুধুমাত্র ইসলামের সঠিক জ্ঞান না থাকার কারনে দিনে দিনে ডিভোর্সের সংখ্যা বেড়েই চলছে। অসংখ্য নারী রয়েছে যারা তাদের স্বামীর হক্ব, পরিবারের হক্ব সম্পর্কে একেবারেই গাফেল। এ সমস্ত কারনে প্রতিটি মুসলিম নারীকে অবশ্যই ইসলামের আদর্শে একজন আদর্শবান নারী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা জরুরী প্রয়োজন। এর জন্য প্রয়োজন একটা সঠিক গাইডলাইন। আর গাইডলাইন হিসেবে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা “আদর্শ নারী” বইটি হতে পারে চমৎকার একটি বই। বইটিতে একজন নারীর জান্নাতি হওয়ার গুণাবলীগুলো কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য এমন একটি বই অপরিহার্য। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষার নামে যে ভাবে শির্ক, কুফর, নাস্তিকতা, অশ্লীলতা, অহেতুক কিচ্ছা কাহিনি পড়ানো হচ্ছে সেই চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মুসলিম শিশুদের কিভাবে ইসলাম থেকে দূরে রাখা যায় এবং অসৎ, অপদার্থ, অধর্ম বানানো যায় সেই ষড়যন্ত্রের নীলনকশাগুলোও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে বইটিতে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চির বহাল থাক; শিক্ষার গুরুত্ব; শিক্ষা কি ও কেন? শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য; শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের মধ্যে পার্থক্য; শিক্ষিত বনাম জাহেল; প্রকৃত শিক্ষা কি? এবং কারা শিক্ষিত? এবং বিভিন্ন শিক্ষানীতি সম্পর্কে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ইসলাম নিয়ে বর্তমান যারা বক্তৃতা দিচ্ছেন, লেখা লেখি করেছেন, তাদের কোন কোন বক্তার বক্তৃতা এবং লেখার অনেক অংশই কুরআন ও ছহীহ হাদীছের সাথে সাংঘর্ষিক। কারণ তারা তদন্ত ছাড়াই শরী’আতের বিভিন্ন বিষয় প্রচার করছেন। এ ধরনের প্রচারে বড় ধরনের দু’টি ক্ষতি রয়েছে। (১) এতে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলের নামে মিথ্যা প্রচার হচ্ছে, যাতে জনগণ সঠিক ধর্ম থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। (২) এমন বক্তার পরকাল বড় ভয়াবহ। নবী করীম (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, কোন ব্যক্তি যদি আমার উপর মিথ্যারোপ করে, তার পরিণাম জাহান্নাম’ (বুখারী, মিশকাত হা/১৮৯)। এ দেশের তাফসীর মাহফিলে যারা তাফসীর করছেন, তাদের শতকরা ৯৮ জনই মুফাসসির নন। কারণ তাফসীর করার জন্য অনেক ধরনের বিদ্যার প্রয়োজন। সাথে সাথে তাহকীক করে তাফসীর করা যরূরী। কারণ তাফসীর গ্রন্থগুলি জাল ও যঈফ হাদীছ এবং বানওরাট কাহিনী দ্বারা পরিপূর্ণ। এ থেকে সকলের সতর্ক থাকা উচিৎ। কেননা এতে যেমন দ্বীনের ক্ষতি হয়, তেমনি বক্তা ও শ্রোতার পরকাল ধ্বংস হয়। এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?” নামক এই বইটি। বইটিতে “তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?” এই প্রশ্নের মাধ্যমে মূলত মিথ্যা তাফসীর পেশ করা হয়েছে। যেন জনগণ মিথ্যা তাফসীর সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কাউকে অহেতুক কাফের, মুনাফিক, খারেজী ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করার আগে সতর্ক হওন। একবার আলী রাদিঃ-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, খারেজীরা কি কাফের? তিনি বললেন, তারা তো কুফর থেকে পলায়ন করতে গিয়েই এই দশা হয়েছে। বলা হলো, তবে কি তারা মুনাফেক? তিনি বললেন, মুনাফেকরা তো আল্লাহকে অতি অল্প বৈ স্মরণ করে না। বলা হলো, তাহলে তারা কী? তিনি বললেন, তারা ঐ সম্প্রদায়, যারা ফেতনায় নিপতিত হয়ে অন্ধ ও বধির হয়ে গেছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধ করেছে। তাই আমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি’ (আত-তামহীদ, ১৫/২৮৬; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৩৭৯৪২; হাদীছ ছহীহ)। ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’ (তিরমিযী, হা/৩০০০) হওয়া সত্ত্বেও আলী রাদিঃ যেখানে তাদেরকে কাফের কিংবা মুনাফেক পর্যন্ত অ্যাখ্যা দিতে ভয় পাচ্ছেন; সেখানে আমাদের অবস্থান কোথায়! আমাদের বর্তমান অবস্থা এমন যে কারও ফতওয়ায় সামান্য ভুল হলে কিংবা নিজের মতের বিপরীতে গেলেই, তাকে নানাভাবে আমরা গালিগালাজ করি। এমনকি তাকে বয়কট করার আহ্বান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংযত সমালোচনা করতেই থাকি। এই শিক্ষা আমরা কোথায় পেলাম! বাতিলপন্থীদের উপর নিক্ষিপ্ত তীর আমরা সঠিক আকীদা ও আদর্শের অনুসারীদের উপর কেন ছুড়ছি? উক্ত বিষয়গুলো থেকে জাতিকে সতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ব্যথিত হৃদয়ের অশ্রু দিয়ে পুস্তিকাটি সাজিয়েছেন বর্তমান যুগের সালাফদের অবশিষ্ট চিহ্ন শায়খ আব্দুল মুহসিন আল আব্বাদ। পুস্তকটি পড়ি! হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করি! নিজের লাগামহীন আত্মাকে সংযত করি! আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
উপহার! শব্দটা শুনতেই একটা ভাল লাগা কাজ করে। আর সেই উপহার যদি হয় আরশের অধিপতির দেয়া, তবে সেই অনুভূতি কেমন হতে পারে- তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মহান রব আমাদের জন্য জিলহজের এই ১০টি দিনকে উপহার হিসেবে প্রস্তুত করে রেখেছেন। আর এই ১০টি দিনে কিভাবে আমরা সাফল্য অর্জন করতে পারি, তা নিয়েই ড. খালিদ আবু শাদি রচনা করেছেন “জিলহজের উপহার” নামক এই বইটি। বইটিতে জিলহজ মাসের ফজিলত, গুরুত্ব ও মাহাত্ন্য সম্পর্কে অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি গুনাহগার হৃদয়কে আমলের প্রতি আগ্রহী করারও চেষ্টা করা হয়েছে। জিলহজের শ্রেষ্ঠ দিনগুলোর কর্ম পরিকল্পনাকে ৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি আমলের জন্য নিয়ত ও ইবাদতের মান কেমন হওয়া উচিত সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিদিনের আমল-বিষয়ক “হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ্”-গুলোকে কিভাবে নিজেদের জীবনে প্রতিষ্ঠা করা যায় সে আলোচনাও উঠে এসেছে। আরো আছে হৃদয়গ্রাহী নাসিহা। যেটার শিরোনাম করা হয়েছে নাসিহার চাবুক নামে। সর্বোপরি একজন আমলদার ব্যক্তির জন্য এই বইটি হতে পারে একটি গাইডলাইন। বইটি পড়তে গিয়ে একজন গাফিল বান্দা সংবিৎ ফিরে পাবে। তাই বছরের এই শ্রেষ্ঠ ১০টি দিনকে অবহেলা আর অলসতায় কাটাতে না চাইলে বইটি অবশ্যই পড়া উচিত। কিভাবে এই ১০টি দিনকে প্রোডাক্টিভ করতে পারেন, আমল আর ইবাদতের চাঁদরে মুড়ে কিভাবে অনন্য উচ্চতায় পৌছতে পারেন সে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবেন। জিলহজ মাসের নির্দিষ্ট আমল, রীতিনীতি এবং সাওয়াবগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। পাঠকদের জন্য বইটির পাতায় পাতায় লেখক একরাশ অনুপ্রেরণার বীজ বুনেছেন। মোটকথা, এই মাসটা যে কতোটা গুরুত্বপূর্ণ পাঠকরা এই বইটা পড়ে তা উপলব্ধি করতে পারবে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সহীহ সুন্নাহ বা হাদীস দ্বারা শুদ্ধ আমল ও ইবাদত করতে বাংলার মুসলিম সমাজকে অনুপ্রাণিত করার উদ্দেশ্যে সহীহ দু’আ ঝাড়ফুঁক ও যিকর বইটি রচনা করা হয়েছে। যেহেতু সন্দিগ্ধ দঈফ হাদীসকে ভিত্তি করে কোন আমল করার চেয়ে সহীহ হাদীসকেই ভিত্তি করে নিঃসন্দেহে নিশ্চিতরূপে আমল করাটাই উত্তম। কারণ দঈফ হাদীস দ্বারা আমল বিদআত বলে পরিগণিত। বাংলা ভাষায় হাদীস থেকে দুয়া ও যিকর সংকলিত হয়েছে। যার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রেখে বিশুদ্ধ হাদীস থেকে বিশুদ্ধ দুয়াগুলো অত্র পুস্তিকায় সংকলন করা হয়েছে। যারা প্রতিনিয়ত আল্লাহ তায়ালার স্মরণ চান এবং তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্ভেজাল অনুসরণ চান তারা অত্র পুস্তিকা দ্বারা প্রভূত উপকৃত হবেন, এতে কোন সন্ধেহ নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমরা যদি সালাতের মজা বুঝতাম তাহলে কখনোই সালাত ছেড়ে উঠে আসতে চাইতাম না। সালাতের সাথে মুমিনের রুহের সম্পর্ক জীবের জন্য অক্সিজেনের মত কিংবা তৃষ্ণার্তের জন্য পানির মত। বুলেটের গতির ন্যায় যারা সালাত পড়ে বেসিক্যালি তারা সালাতের কিছুই বুঝেনি। এইধরনের খুশূহীন সালাত মস্তকহীন মানবদেহের ন্যায়। তাছাড়া যে রুহ মদ্যপায়ী সে রুহে সালাতের নিয়ামাহ প্রবেশ করতে পারেনা। বাজনা আর সালাত পরস্পর বিপরীত পিঠ। আল্লাহর প্রশংসা থাকলেই সে বাজনা হালাল হয়ে যায়না। বইটিতে এই বিষয়গুলোকে ইমাম ইবনুল কাইয়ুম আল-জাওযিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) এমন এমন চমৎকার উপমার সাহায্যে বুঝিয়েছেন যা বইটি পড়লেই জানা যাবে। বইটিকে মোট ৫ টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। ১ম অধ্যায়ে সালাতের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষন করে তার মূলভাব, উপকারিতা বোঝানো হয়েছে। যার ফলে সালাতের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। এটাই বইয়ের সবচাইতে আকর্ষনীয় ও ইফেকটিভ পার্ট বলেই মনে হয়। ২য় অধ্যায়ে সালাতে মনোযোগের উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে। ৩ টি ধাপ অবলম্বনের কথা এখানে বর্নিত হয়েছে যা পালন করলে ইন শা আল্লাহ উপকার পাওয়া যাবে। মূলত ১ম ও ২য় অধ্যায়ই বইটির মূল অংশ। ৩য় অধ্যায়টা একটু ব্যতিক্রমী। অনেকে গান বাজনার মধ্যে আকর্ষন পায় কিন্তু সালাতের মধ্যে পায় না। এর কারন ও স্বরূপ উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন লেখক। পরের দুই অধ্যায়ও এই বিষয়টিকে ঘিরেই লেখা হয়েছে। ৪র্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে ভাল মানুষ, সফল মানুষদের রুচিবোধের বিষয়ে। সাধারন অর্থহীন বা অসংলগ্ন অর্থের গান বাজনার চাইতে সালাতের শব্দ, কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ তাদের কাছে গ্রহনীয় ছিল এবং গান বাজনা পরিত্যাজ্য ছিল। ৫ম অধ্যায়ে গান বাজনার অকার্যকারিতা ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে হৃদয় প্রশান্তিকারক হিসাবে সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খুব দক্ষতার সাথে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান সময়ে আমরা অধিকাংশ মানুষ অত্যন্ত কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছি। ইচ্ছা থাকলেও বৃহদাকারের বইপুস্তক কেনা বা পাঠ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। এজন্য সংক্ষিপ্ত আকারে আরকানুল ঈমান, আরকানুল ইসলাম, ইহসান, বেলায়াত, সুনড়বাত ও ইত্তিবায়ে সুন্নাতের বিবরণসহ সাধারণ মুসলিমদের পালনযোগ্য মাসনূন ওযীফার সমন্বয়ে এই বইটি লেখা হয়েছে। ‘ওযীফা’ অর্থ দৈনন্দিন বা নিয়মিত ও নির্ধারিত কর্ম বা কর্মসূচি। এই অর্থে মুমিনের জীবনের ফরয ও নফল সকল নিয়মিত ও নির্ধারিত কর্মই ওযীফা। ঈমান, নামায, রোযা, দান, যাকাত, তিলাওয়াত, দাওয়াত, জনসেবা ইত্যাদি সকল প্রয়োজনীয় কর্ম থেকে মুমিন নিজের জন্য দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক, মাসিক বা বার্ষিক একটি নির্ধারিত কর্মসূচি ও কর্মতালিকা অর্থাৎ ওযীফা তৈরি করে নেবেন। রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শিক্ষা ও কর্মের আলোকে এই সামগ্রিক ওযীফার বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হয়েছে এই বইটিতে। যেন আগ্রহী মুমিন সহজে এর মধ্য থেকে নিজের ‘ওযীফা’ বা নির্ধারিত কর্মসূচি তৈরি করে নিতে পারেন। একদিকে ইসলামের অগণিত অতিপ্রয়োজনীয় বিষয় আলোচনা করা, অপরদিকে ইসলামের নামে অগণিত কুসংস্কার বা ভুলেভরা প্রাণহীন আনুষ্ঠানিকতার অসারতা আলোচনা করা এত সংক্ষিপ্ত পরিসরে কখনোই সম্ভব নয়। পুস্তিকাটি শুধুমাত্র সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের উপর নির্ভর করে রচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ
ইসলামে কি বিনোদন বলে কিছু নেই? হ্যাঁ অবশ্যই আছে। তবে কেউ কেউ তাদের ব্যক্তিগত কামনার চরিতার্থে বিনোদনকে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। বিশেষ করে বর্তমান আধুনিক এ যুগে বিনোদন শিল্প এখন শীর্ষে অবস্থান করছে। বিনোদনের এত এত সব উপকরণ ছড়িয়ে আছে যে, কেউ চাইলে সারাজীবন শুধু বিনোদনের মধ্যে থেকেই কাটিয়ে দিতে পারবে। দিন দিন মানুষ সেদিকেই যাচ্ছে। মানুষ আজ টাকা আর বিনোদনকে তার উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করে পূজা করছে। বিনোদনের শত শত মাধ্যম। বন্যার পানির মতো বিনোদনের হাজারো উপকরণ আসছে। জায়গা করে নিচ্ছে হাতের মুঠোয়। পানি জীবন ধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু সেই পানি যদি বিশুদ্ধ না-হয়, ফোটানো না-হয়, তাহলেই সেটাই হয়ে উঠতে পারে জীবনঘাতি। এই বইতে একটা ফিল্টার দেওয়া হয়েছে যা দিয়ে আপনি ভালো আর খারাপ বিনোদনের উপকরণগুলো আলাদা করতে পারবেন নিজেই। পরিশেষে, মুসলিম হিসেবে বিনোদনই আমাদের শেষ কথা নয়। এটা আল্লাহর দেওয়া একটা অনুগ্রহ মাত্র। জীবনের অর্থ আরও ব্যাপক, উদ্দেশ্য আরও মহৎ। আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখার মধ্যে থেকে মানুষ তার চাহিদা বৈধভাবে পূরণ করতে পারে। বিনোদন তেমনই একটি চাহিদা। তাই আনন্দের পরিশুদ্ধ মাধ্যমগুলো নিয়ে মেতে উঠুন হালাল বিনোদনে। আর এটার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এই “হালাল বিনোদন” বইটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) ছিলেন সত্যিকারের একজন ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ। তিনি ইসলামিক টিভিতে নিয়মিত প্রশ্নোত্তর দিতেন এবং বিভিন্ন সভা-মাহফিলে জীবন জিজ্ঞাসার জবাব দিতেন। তার উত্তরের বৈশিষ্ট্য ছিল এই যে, তিনি সর্বদা কুরআনুল কারীমের আয়াত ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীস দিয়ে উত্তরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করতেন। তিনি উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে কখনোই কাউকে আক্রমণ করতেন না এবং ইমামগণকে সম্মানের সাথে উল্লেখ করতেন। প্রচলিত দাওয়ার কাজে কর্মরত মানুষদের ভুল ধরার চেয়ে তাদের সংশোধনের চেষ্টা বেশি করতেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রেখে যাওয়া প্রশ্নোত্তর, যা এক অমূল্য সম্পদ। এই অমূল্য সম্পদের সংরক্ষণ ও যথাযথ প্রচার ইলম প্রচারেরই নামান্তর। আর “জিজ্ঞাসা ও জবাব” গ্রন্থটি তেমনি একটা সংরক্ষিত গ্রন্থ যাতে রয়েছে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের কাছে জিজ্ঞাসিত জীবনঘনিষ্ঠ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর। যে প্রশ্নের উত্তরগুলো একজন মুসলিম হিসেবে যেনে রাখা অতীব জরুরী প্রয়োজন। গ্রন্থটি সর্বমোট ৫টি খন্ডে বিভক্ত। ১ম খন্ড থেকে কয়েকটি প্রশ্ন এখানে উল্লেখ করা হলোঃ-
নং
১ম খন্ডে উল্লেখিত কিছু প্রশ্ন
১
অমুসলিমদের সন্তান, যারা শৈশবে মারা যায়, তারা কি কাফের?
২
এক্সিডেন্টে মৃত্যুবরণ করলে কি শাহাদাতের মৃত্যু হয়, সে কি বিনা হিসাবে জান্নাতে যায়?
৩
হাফহাতা শার্ট বা টিশার্ট পরে কি নামায হবে?
৪
নামাযের সিজদার মধ্যে মাতৃভাষায় দুয়া করা যাবে কি?
৫
মৃত মানুষের পাশে বসে কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে কি?
৬
বিয়ের পর নাকফুল, চুড়ি বা গলায় কিছু না পরলে কি গোনাহ হবে?
স্ত্রীর নিসাব পরিমাণ স্বর্ণ থাকলে, সেটার যাকাত কি তার স্বামী আদায় করবে নাকি স্ত্রী নিজেই?
৯
ডিপিএস থাকলে তার উপর যাকাত দিতে হবে কিনা?
১০
ঘুষ দিয়ে চাকরি নিলে, সেই চাকরির ইনকাম হালাল নাকি হারাম?
এমন গুরুত্বপূর্ণ সর্বমোট ৪৩৩টি জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্নোত্তর সংরক্ষিত রয়েছে “জিজ্ঞাসা ও জবাব” ১ম খন্ড গ্রন্থটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। টেবিলে উল্লেখিত প্রশ্নগুলোর উত্তর জানতে এবং সেই সাথে আরও ৪৩৩টি জীবনঘনিষ্ঠ প্রশ্নোত্তর জানতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আলহামদুলিল্লাহ। ইতিপূর্বেই “আইনে রাসূল (ছাঃ) দো’আ অধ্যায়” বইটি বাংলাদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ সাহেবের লেখা বিপুল পরিমানে বিক্রি হওয়া বইগুলোর মধ্যে “আইনে রাসূল (ছাঃ) দো’আ অধ্যায়” বইটি অন্যতম একটি বই। সমাজে যখন জাল এবং বিদআতি দুয়া, দরূদ এবং যিকির আজকারে সয়লাব, ঠিক সেই মুহূর্তে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ আমাদের মাঝে প্রকাশ করলেন “আইনে রাসূল (ছাঃ) দো’আ অধ্যায়” নামের চমৎকার এই বইটি। বইটিতে উল্লেখিত কিছু বিষয় এবং দুয়া হচ্ছেঃ দো’আর অর্থ; দোআ কবুলের সময় ও স্থান; দো’আ করার আদব ও বৈশিষ্ট্য সকাল-সন্ধ্যায় পঠিতব্য দো’আ সমূহ; শোয়ার দো’আ; পার্শ্ব পরিবর্তনের দো’আ; নিদ্রাবস্থায় ভয় পেয়ে অস্থির হলে দো’আ; নিদ্রাবস্থায় ভাল বা মন্দ স্বপ্ন দেখলে করণীয়; শয্যা ত্যাগের দো’আ সমূহ; মোরগ, গাধা ও কুকুরের ডাক শুনে দোআ; কাপড় পরিধানের দো’আ; নতুন কাপড় পরিধানের দোআ; পায়খানায় প্রবেশের দো’আ; পায়খানা হতে বের হওয়ার দো’আ; ওযূ করার পূর্বের দো’আ; ওযূর পরের দো’আ; বাড়ী থেকে বের হওয়ার দো’আ; মসজিদের দিকে গমনের দো’আ; মসজিদে প্রবেশ করা ও বের হওয়ার দো’আ; আযানের জওয়াব এবং আযান শেষের দো’আ; ইকামতের জবাব; ইমাম ও মুওয়াযযিনের জন্য দো’আ ইত্যাদি ইত্যাদি। এমন আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ দুয়া নিয়ে বইটিতে আলোকপাত করা হয়েছে। প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে এমন একটি বই থাকা অত্যন্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
সালাতে গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কিত খুবই চমৎকার একটি বই “হাইয়া আলাস সালাহ”। অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বইটি উপস্থাপনা করা হয়েছে। এটি এমন একটি বই, যা পড়ে মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্য মসজিদমুখী হবে, সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।