আমরা যদি সালাতের মজা বুঝতাম তাহলে কখনোই সালাত ছেড়ে উঠে আসতে চাইতাম না। সালাতের সাথে মুমিনের রুহের সম্পর্ক জীবের জন্য অক্সিজেনের মত কিংবা তৃষ্ণার্তের জন্য পানির মত। বুলেটের গতির ন্যায় যারা সালাত পড়ে বেসিক্যালি তারা সালাতের কিছুই বুঝেনি। এইধরনের খুশূহীন সালাত মস্তকহীন মানবদেহের ন্যায়। তাছাড়া যে রুহ মদ্যপায়ী সে রুহে সালাতের নিয়ামাহ প্রবেশ করতে পারেনা। বাজনা আর সালাত পরস্পর বিপরীত পিঠ। আল্লাহর প্রশংসা থাকলেই সে বাজনা হালাল হয়ে যায়না। বইটিতে এই বিষয়গুলোকে ইমাম ইবনুল কাইয়ুম আল-জাওযিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) এমন এমন চমৎকার উপমার সাহায্যে বুঝিয়েছেন যা বইটি পড়লেই জানা যাবে। বইটিকে মোট ৫ টি অধ্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। ১ম অধ্যায়ে সালাতের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষন করে তার মূলভাব, উপকারিতা বোঝানো হয়েছে। যার ফলে সালাতের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। এটাই বইয়ের সবচাইতে আকর্ষনীয় ও ইফেকটিভ পার্ট বলেই মনে হয়। ২য় অধ্যায়ে সালাতে মনোযোগের উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে। ৩ টি ধাপ অবলম্বনের কথা এখানে বর্নিত হয়েছে যা পালন করলে ইন শা আল্লাহ উপকার পাওয়া যাবে। মূলত ১ম ও ২য় অধ্যায়ই বইটির মূল অংশ। ৩য় অধ্যায়টা একটু ব্যতিক্রমী। অনেকে গান বাজনার মধ্যে আকর্ষন পায় কিন্তু সালাতের মধ্যে পায় না। এর কারন ও স্বরূপ উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন লেখক। পরের দুই অধ্যায়ও এই বিষয়টিকে ঘিরেই লেখা হয়েছে। ৪র্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে ভাল মানুষ, সফল মানুষদের রুচিবোধের বিষয়ে। সাধারন অর্থহীন বা অসংলগ্ন অর্থের গান বাজনার চাইতে সালাতের শব্দ, কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ তাদের কাছে গ্রহনীয় ছিল এবং গান বাজনা পরিত্যাজ্য ছিল। ৫ম অধ্যায়ে গান বাজনার অকার্যকারিতা ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে হৃদয় প্রশান্তিকারক হিসাবে সালাতকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খুব দক্ষতার সাথে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সালাতে গুরুত্ব ও উপকারিতা সম্পর্কিত খুবই চমৎকার একটি বই “হাইয়া আলাস সালাহ”। অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী ভাষায় বইটি উপস্থাপনা করা হয়েছে। এটি এমন একটি বই, যা পড়ে মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি সদস্য মসজিদমুখী হবে, সালাতের ব্যাপারে যত্নশীল হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।