আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ যিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, আলেম-ওলামার মাটি দেবী নগরে মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে ১৯৬০ সালে একটি সম্ভ্রান্ত ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদ্রাসায় ১৯৭৫ থেকে ৭৯৮২ ইং পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সেখানে হাদিসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইলমের কেন্দ্র বলে খ্যাত ভারতের উত্তর প্রদেশ গমন করেন এবং উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম মাউনাথভাঞ্জান থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে দাওরা হাদিস শেষ করেন। ২০ আগস্ট ১৯৮৮ ইং সালে আল-মারকাযুল ইসলামী, জান্নাতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ও গাইবান্ধায় মুহাদ্দিস হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি কলকাতা আলিয়া বোর্ড এবং ঢাকা আলিয়া বোর্ড থেকেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বক্তব্যের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজেও অবদান রাখা শুরু করেন। আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাযহাব-মাসলাক নির্বিশেষে আপামর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসিহত মূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে প্রচলিত বিদআত, জান্নাত-জাহান্নাম, আদর্শ পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। তিনি পিস টিভিতেও নিয়মিত আলোচনা করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিশর, ভারত ও নেপালে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইও রচনা করেছেন। যে বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম। যাতে করে একজন পাঠক খুব সহজেই এবং সুলভ মূল্যে এসকল বই সংগ্রহ করতে পারেন এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১৭টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (১৬০ + ৯০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ২৫০ + ২২০ + ১০০ + ১৩০ + ৫০ + ৭৫ + ৯০ + ৩০০ + ২৩০ + ২৫০ + ৫০০) = ৩০৪৫ টাকা। কিন্তু ১৭টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৮৫০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে আপনার সেভ হবে ১৯৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
সিলসিলা ছহীহা (সিলসিলাতুল আহাদীছিছ ছহীহা) এটি একটি খুবই উপকারী হাদীস গ্রন্থ। যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস মুহাম্মাদ নাসিরুদ্দীন ইবনু নূহ আননাজাতি আল-আলবানী রহিমাহুল্লাহ এই গ্রন্থটি রচনা করেছেন। আর এই গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
কাউকে অহেতুক কাফের, মুনাফিক, খারেজী ইত্যাদি বলে গালিগালাজ করার আগে সতর্ক হওন। একবার আলী রাদিঃ-কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, খারেজীরা কি কাফের? তিনি বললেন, তারা তো কুফর থেকে পলায়ন করতে গিয়েই এই দশা হয়েছে। বলা হলো, তবে কি তারা মুনাফেক? তিনি বললেন, মুনাফেকরা তো আল্লাহকে অতি অল্প বৈ স্মরণ করে না। বলা হলো, তাহলে তারা কী? তিনি বললেন, তারা ঐ সম্প্রদায়, যারা ফেতনায় নিপতিত হয়ে অন্ধ ও বধির হয়ে গেছে এবং আমাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ও যুদ্ধ করেছে। তাই আমরাও তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছি’ (আত-তামহীদ, ১৫/২৮৬; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বা, হা/৩৭৯৪২; হাদীছ ছহীহ)। ‘খারেজীরা জাহান্নামের কুকুর’ (তিরমিযী, হা/৩০০০) হওয়া সত্ত্বেও আলী রাদিঃ যেখানে তাদেরকে কাফের কিংবা মুনাফেক পর্যন্ত অ্যাখ্যা দিতে ভয় পাচ্ছেন; সেখানে আমাদের অবস্থান কোথায়! আমাদের বর্তমান অবস্থা এমন যে কারও ফতওয়ায় সামান্য ভুল হলে কিংবা নিজের মতের বিপরীতে গেলেই, তাকে নানাভাবে আমরা গালিগালাজ করি। এমনকি তাকে বয়কট করার আহ্বান, সোশ্যাল মিডিয়ায় অসংযত সমালোচনা করতেই থাকি। এই শিক্ষা আমরা কোথায় পেলাম! বাতিলপন্থীদের উপর নিক্ষিপ্ত তীর আমরা সঠিক আকীদা ও আদর্শের অনুসারীদের উপর কেন ছুড়ছি? উক্ত বিষয়গুলো থেকে জাতিকে সতর্ক করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ব্যথিত হৃদয়ের অশ্রু দিয়ে পুস্তিকাটি সাজিয়েছেন বর্তমান যুগের সালাফদের অবশিষ্ট চিহ্ন শায়খ আব্দুল মুহসিন আল আব্বাদ। পুস্তকটি পড়ি! হৃদয় দিয়ে অনুধাবন করি! নিজের লাগামহীন আত্মাকে সংযত করি! আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের একটি বড় অংশজুড়ে রয়েছে জামাআতবদ্ধ জীবনযাপনের আলোচনা- যেখানে ইসলাম জামাআতবদ্ধ জীবনযাপনের তাকীদ দিয়েছে। পক্ষান্তরে, জামআত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোরতা আরোপ করেছে। কোথাও ‘জামাআতুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলিম জামাআত’ এর সাথে থাকতে বলা হয়েছে। আবার কোথাও ‘মুসলিম জামাআত’ ত্যাগ করার ইহকালীন কুফল ও পরকালীন আযাবের কথা বিবৃত হয়েছে। কিন্তু ‘জামাআত’, ‘জামাআতুল মুসলিমীন’ বা ‘মুসলিম জামাআত’ বলতে কোন পথ, কোন মত, কোন দল, কোন মাযহাব বা সংগঠনের কথা বলা হয়েছে, তা অধিকাংশ মানুষের কাছে রয়ে গেছে অজানা; বরং ধরাছোঁয়ার বাইরে। এসকল বিষয়ের বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে লেখক আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী রচিত “ইসলামে জামাআত বলতে কোন দলকে বুঝায়” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
সম্মানিত পাঠক! আক্বীদা ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, একজন মুসলিম জীবনে জার প্রয়োজন সদা-সর্বদা। একজন মানুষের জীবনে নিঃশ্বাস গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা যেমন, আক্বীদার প্রয়োজনীয়তা তার চেয়ে কম নয়। সকল আমলের অশুদ্ধতা-বিশুদ্ধতা আক্বীদার উপরই নির্ভর করে। আক্বীদার শিক্ষা একজন মানুষকে সর্বাপেক্ষা বড় পাপ শিরক থেকে বাঁচাতে পারে। পক্ষান্তরে, এর মৌলিক বিষয়াবলি বিশুদ্ধ না হলে একজন মানুষের অন্যান্য আমল নষ্ট হয়ে যায়। বিশুদ্ধ আক্বীদাই হচ্ছে একজন মুসলিমের মূলধন। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ আজ বিশুদ্ধ আক্বীদা থেকে বহু দূরে। সাধারণ শিক্ষা ব্যবস্থা তো বটেই, এমনকি মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়ও বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার কোন বন্দোবস্ত রাখা হয় নাই। এদিকে হানাফী ক্বওমী শিক্ষা ব্যবস্থায় আক্বীদা শিক্ষার নামে অনেক ক্ষেত্রে আশ’আরী-মাতুরীদী আক্বীদা শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। কারণ আমাদের হানাফী ভাইয়েরা ইমাম আবু হানীফা (রহিঃ) এর প্রতি অতিভক্তি দেখালেও তার আক্বীদা তারা গ্রহণ করতে পারেনি। বিশুদ্ধ আক্বীদা শিক্ষার এত বেশি গুরুত্ব থাকার সত্ত্বেও দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলা ভাষায় এবিষয়ের উপর সার্বজনীন তেমন কোন বই প্রকাশিত হয়নি। এ লক্ষ্যেই সম্মানিত লেখক আব্দুল আলীম ইবনে কাওছার মাদানী রচনা করেছেন “প্রশ্নোত্তরে সহজ আক্বীদা শিক্ষা” নামক গুরুত্বপূর্ণ এই বইটি। বইটিতে একদিকে যেমন আক্বীদার মৌলিক বিশয়াবলি তুলে ধরা হয়েছে, অন্যদিকে তেমনি বিষয়গুলোকে প্রশ্নোত্তর আকারে খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। বইটির প্রত্যেকটি বক্তব্য কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ দারা প্রমানিত এবং সলফে ছলেহীন কর্তৃক সমর্থিত। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে হলে আকীদা সম্পর্কে জানতেই হবে। আর তার জন্য “প্রশ্নোত্তরে সহজ আক্বীদা শিক্ষা” চমৎকার একটি সহায়িকা। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
এই বইটি রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র মদীনায় মসজিদে নববীর লাইব্রেরীতে বসে লিখা। প্রাথমিক পর্যায়ের ছাত্রসহ যারা উছূলে হাদীছ সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান লাভ করতে চান, এই বইটি তাদের পথপ্রদর্শক ও দিশারীর ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
অবরোধবাসিনী বেগম রোকেয়ার লিখিত একটি বইয়ের নাম। যেখানে তিনি অবরোধবাসিনী নামে প্রায় ৪৭টি গল্প লিখেছিলেন। যে গল্পগুলোর কিছু হাস্যরসাত্মক, কিছু বেদনাদায়ক ও কিছু অবিশ্বাস্যও বটে। এই গল্পগুলোর মাধ্যমে তিনি তৎকালীন বাংলার নারীদের পর্দাপ্রথাকে অবরোধের সাথে তুলনা করেছেন এবং যারা এই পর্দা পালন করত সেই সমস্ত নারীদেরকে তিনি অবরোধবাসিনী বলে অভিহিত করেছেন। তার প্রতিটি গল্পের মূল ভাবার্থ হচ্ছে পর্দা রক্ষা করতে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিড়ম্বনা ও কষ্ট স্বীকার করার কাহিনী। অবরোধবাসিনী গল্পে মূলত নারীসমাজকেই বুঝানো হয়েছে যে তারা তাদের পিতা, স্বামী, ভাই ও সমাজের নিকট থেকে ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত। কিন্তু মুসলিম নারীগণ কি আসলেই অবরোধবাসিনী? বেগম রোকেয়ার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি পর্দার বিধান ফরয করায় তারা হলো বন্দিনী। আসলে কি তাই? না, তা কখনোই না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমানের রচিত “কেন হব অবরোধবাসিনী” বইটি। যেখানে লেখিকা খুব চমৎকারভাবে বেগম রোকেয়ার লিখিত অবরোধবাসিনী বইয়ের চমৎকারভাবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জবাব দিয়েছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নানী, দাদীরা জানত না যে, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এগুলো কি? কারন তারা কখনো বাড়ির বাহিরে যেতেন না। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে পালকি, সাওয়ারী ও গরুর গাড়িতে কাপড় দ্বারা ঘিরে যেতেন। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরও বড় বড় ঘোমটা থাকত। কিন্তু সমঅধিকারের নামে বর্তমানে নারী সমাজের যে করুন অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। যারা সমঅধিকারের দিকে তাদেরকে ডাক দিয়েছে, তারা নারীদের কতটুকু মর্যাদা ও অধিকার দিতে পেরেছে? পেরেছে শুধু নগ্ন করতে। সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস ও কুলষিত করতে। আর নারীদের নগ্ন করে ঈমানদারের ঈনান হরন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল হয়েছে। সমঅধিকারের নামে তারা নারীদেরকে ঘর থেকে টেনে বের করে পুরুষদের বানিয়েছে উন্মাদ, ইভটিজার, আর নারীদের বানিয়েছে বাজারের পন্য, বিজ্ঞাপনের মডেল, ভোগের সামগ্রী। অথচ তারা যদি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতো, তার সংসার গুছিয়ে রাখত, মা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনে ব্যাপৃত থাকত, তাহলে তারা মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন থাকতো। কিন্তু আজ তারা সেই ইযযত-সম্মান, আদর স্নেহের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার। আর পুরুষদের জন্য হয়েছে পাপের দিশারি। মনে রাখতে হবে নারী হলো ঘরের রানী। আল্লাহর বিধাননের উপর কোনোকিছু টিকতে পারে না। তেমনি আল্লাহ যে মর্যাদা দেন তার চেয়ে বেশি অধিকার-মর্যাদা কেউ দিতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামকে উল্টিয়ে কেউ টিকতে পারেনা, যার দৃষ্টান্ত বর্তমানের নারীবাদীদের দিকে তাকালেই দেখতে পারি। নারীবাদীদের নাস্তিকতা মূলক সকল যুক্তি খন্ডন করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে “সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই” বইটিতে। আমি মনে করি এই বইটি নারী পুরুষ সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়লে সবাই তাদের মূর্খতা গুলো বুজতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বই থেকে কিছু উক্তিঃ দেশনেত্রী নয়, স্বামীর সংসারের নেত্রী হতে চাই। যৌতুক নয়, মহর চাই। পতিতা নয়, স্বামীর স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং সমস্ত মাখলুককে তাদের অনুগত করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই শ্রেষ্ঠ জাতি আজ অত্যাচার ও নির্যাতনের গভীর সমুদ্রল হাবুডুবু খাচ্ছে। নির্যাতিত মানবতার করুন আর্তনাদ, অত্যাচারিতের হাহাকার, মাযলূমের আর্তচিৎকারে আজ আকাশে বাতাসে ভারী হয়ে উঠেছে। তাই এই নির্যাতনের প্রতিকারের জন্য কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে সমাধান করা প্রয়োজন, যা এই “কেন এই নির্যাতন? কী তার প্রতিকার” বইটিতে অথেনটিক আলোচনা রয়েছে। তাই বইটি মানবকূলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। মূলত বইটিতে সমাজের সকল পর্যায়ের নির্যাতনের প্রতিকার এর লক্ষ্যে, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন ও বিভিন্ন নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এবং এগুলো আল্লাহ তাআলা কিভাবে সমাধান করার নির্দেশ দিয়েছেন কুরআনুল কারীমে সেই ধাচে সমাধান করার উপায় গুলো চমৎকার ভাবে আলোকপাত করেছেন লেখিকা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান বাংলাদেশে শিক্ষার নামে যে ভাবে শির্ক, কুফর, নাস্তিকতা, অশ্লীলতা, অহেতুক কিচ্ছা কাহিনি পড়ানো হচ্ছে সেই চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি মুসলিম শিশুদের কিভাবে ইসলাম থেকে দূরে রাখা যায় এবং অসৎ, অপদার্থ, অধর্ম বানানো যায় সেই ষড়যন্ত্রের নীলনকশাগুলোও চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে বইটিতে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম চির বহাল থাক; শিক্ষার গুরুত্ব; শিক্ষা কি ও কেন? শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য; শিক্ষিত ও অশিক্ষিতের মধ্যে পার্থক্য; শিক্ষিত বনাম জাহেল; প্রকৃত শিক্ষা কি? এবং কারা শিক্ষিত? এবং বিভিন্ন শিক্ষানীতি সম্পর্কে বইটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হওয়া সকল মুসলিম নর নারীর জন্য জরূরী। মৃত্যু হতে মানুষ পলায়ন করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমরা যেখানেই থাক না কেন মরণ তোমাদের ধরবেই। (আন নিসাঃ ৭৮)। সুতরাং যার জন্ম আছে তার মৃত্যু নিশ্চিত এটা চিরন্তন সত্য। এ কথাটাকে কেউ অস্বীকার করে না। কিন্তু কেউ এটাকে মনে প্রনে বিশ্বাস করতে পারে না সে এখনই মারা যেতে পারে। এই কারণে সবাই মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারেনা। কিন্তু আমাদের উচিত সবসময় মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়ে থাকা। এ লক্ষ্যেই উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমান রচনা করেছেন “মুমূর্ষু হতে কবর পর্যন্ত” নামক চমৎকার এই গ্রন্থটি। কিভাবে আমরা মৃত্যুর প্রস্তুতি নিতে পারবো তার বিস্তারিত আলোচনায় করা হয়েছে বইটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই যে সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল, তা এই বইটিতে কুরআন ও সহি হাদিছের মাধ্যমে প্রমাণ করা হয়েছে। বইটিতে আলোচিত কিছু বিষয় হচ্ছেঃ শাফায়াতে কুবরা; সকল নবীর ইমামতি; সালাফে ছালেহীন-এর ঐক্যমত; ইমাম আলবানী (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম শাফেঈ (রহঃ)-এর মন্তব্য; ইমাম ইবনু তাইমিয়া (রহঃ)-এর মন্তব্য এবং শায়খ ছালেহ আল-উছাইমীন (রহঃ)-এর মন্তব্য। শায়খ ছালেহ আল-মুনাজ্জিদ-এর ফাতওয়া; ইমাম নববী (রহঃ)-এর ফাতওয়া; ইমাম রাযী (রহঃ)-এর বক্তব্য; শায়খ আবদুল্লাহ ইবনু বায (রহঃ)-এর বক্তব্য ইত্যাদি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।