আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ যিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, আলেম-ওলামার মাটি দেবী নগরে মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে ১৯৬০ সালে একটি সম্ভ্রান্ত ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদ্রাসায় ১৯৭৫ থেকে ৭৯৮২ ইং পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সেখানে হাদিসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইলমের কেন্দ্র বলে খ্যাত ভারতের উত্তর প্রদেশ গমন করেন এবং উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম মাউনাথভাঞ্জান থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে দাওরা হাদিস শেষ করেন। ২০ আগস্ট ১৯৮৮ ইং সালে আল-মারকাযুল ইসলামী, জান্নাতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ও গাইবান্ধায় মুহাদ্দিস হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি কলকাতা আলিয়া বোর্ড এবং ঢাকা আলিয়া বোর্ড থেকেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বক্তব্যের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজেও অবদান রাখা শুরু করেন। আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাযহাব-মাসলাক নির্বিশেষে আপামর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসিহত মূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে প্রচলিত বিদআত, জান্নাত-জাহান্নাম, আদর্শ পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। তিনি পিস টিভিতেও নিয়মিত আলোচনা করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিশর, ভারত ও নেপালে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইও রচনা করেছেন। যে বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম। যাতে করে একজন পাঠক খুব সহজেই এবং সুলভ মূল্যে এসকল বই সংগ্রহ করতে পারেন এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১৭টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (১৬০ + ৯০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ২৫০ + ২২০ + ১০০ + ১৩০ + ৫০ + ৭৫ + ৯০ + ৩০০ + ২৩০ + ২৫০ + ৫০০) = ৩০৪৫ টাকা। কিন্তু ১৭টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৮৫০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে আপনার সেভ হবে ১৯৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “A Woman From Desert” (মরুভূমি থেকে এক মহিলা) বইটিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর একজন সাহাবা উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান রাদিয়াল্লাহু আনহার দৃঢ়তা, প্রজ্ঞা, বুদ্ধিমত্তা, ধৈর্য, সাহসীকতা এবং অগ্রগামীতার বিষয়টি অত্যন্ত বলিষ্ঠ্যভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান (রাদিয়াল্লাহু আনহা) নামের এই বুদ্ধিমতি মহীয়সী নারী সত্যিই খুব অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। যার মনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি আস্থা, ভালোবাসা, সম্মান, শ্রদ্ধা ছিলো অসীম। অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন যত্নবান ধৈর্যশীল মা। বইটি আকারে ছোট হলেও এর জ্ঞানের আলো অতুলনীয়। যারা হেদায়াতের পথে চলতে চায় তাদেরকে এই বইটি অনুপ্রাণিত এবং উদ্বুদ্ধ করবে, বিশেষ করে নারীদের। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
অবরোধবাসিনী বেগম রোকেয়ার লিখিত একটি বইয়ের নাম। যেখানে তিনি অবরোধবাসিনী নামে প্রায় ৪৭টি গল্প লিখেছিলেন। যে গল্পগুলোর কিছু হাস্যরসাত্মক, কিছু বেদনাদায়ক ও কিছু অবিশ্বাস্যও বটে। এই গল্পগুলোর মাধ্যমে তিনি তৎকালীন বাংলার নারীদের পর্দাপ্রথাকে অবরোধের সাথে তুলনা করেছেন এবং যারা এই পর্দা পালন করত সেই সমস্ত নারীদেরকে তিনি অবরোধবাসিনী বলে অভিহিত করেছেন। তার প্রতিটি গল্পের মূল ভাবার্থ হচ্ছে পর্দা রক্ষা করতে গিয়ে সৃষ্টি হওয়া বিড়ম্বনা ও কষ্ট স্বীকার করার কাহিনী। অবরোধবাসিনী গল্পে মূলত নারীসমাজকেই বুঝানো হয়েছে যে তারা তাদের পিতা, স্বামী, ভাই ও সমাজের নিকট থেকে ন্যায্য পাওনা হতে বঞ্চিত। কিন্তু মুসলিম নারীগণ কি আসলেই অবরোধবাসিনী? বেগম রোকেয়ার দাবি অনুযায়ী আল্লাহ তায়ালা তাদের প্রতি পর্দার বিধান ফরয করায় তারা হলো বন্দিনী। আসলে কি তাই? না, তা কখনোই না। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে পড়তে হবে উম্মে মারিয়াম রাযিয়া বিনতে আযীযুর রহমানের রচিত “কেন হব অবরোধবাসিনী” বইটি। যেখানে লেখিকা খুব চমৎকারভাবে বেগম রোকেয়ার লিখিত অবরোধবাসিনী বইয়ের চমৎকারভাবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক জবাব দিয়েছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমাদের নানী, দাদীরা জানত না যে, এসিড নিক্ষেপ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং এগুলো কি? কারন তারা কখনো বাড়ির বাহিরে যেতেন না। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে পালকি, সাওয়ারী ও গরুর গাড়িতে কাপড় দ্বারা ঘিরে যেতেন। এমনকি হিন্দু মহিলাদেরও বড় বড় ঘোমটা থাকত। কিন্তু সমঅধিকারের নামে বর্তমানে নারী সমাজের যে করুন অবস্থা তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। যারা সমঅধিকারের দিকে তাদেরকে ডাক দিয়েছে, তারা নারীদের কতটুকু মর্যাদা ও অধিকার দিতে পেরেছে? পেরেছে শুধু নগ্ন করতে। সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস ও কুলষিত করতে। আর নারীদের নগ্ন করে ঈমানদারের ঈনান হরন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তারা তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে শতভাগ সাফল হয়েছে। সমঅধিকারের নামে তারা নারীদেরকে ঘর থেকে টেনে বের করে পুরুষদের বানিয়েছে উন্মাদ, ইভটিজার, আর নারীদের বানিয়েছে বাজারের পন্য, বিজ্ঞাপনের মডেল, ভোগের সামগ্রী। অথচ তারা যদি স্ত্রী হিসেবে স্বামীর মনোরঞ্জনের চেষ্টা করতো, তার সংসার গুছিয়ে রাখত, মা হিসেবে সন্তান প্রতিপালনে ব্যাপৃত থাকত, তাহলে তারা মা হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে মর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন থাকতো। কিন্তু আজ তারা সেই ইযযত-সম্মান, আদর স্নেহের পরিবর্তে নির্যাতনের শিকার। আর পুরুষদের জন্য হয়েছে পাপের দিশারি। মনে রাখতে হবে নারী হলো ঘরের রানী। আল্লাহর বিধাননের উপর কোনোকিছু টিকতে পারে না। তেমনি আল্লাহ যে মর্যাদা দেন তার চেয়ে বেশি অধিকার-মর্যাদা কেউ দিতে পারেনা। ইসলাম শান্তির ধর্ম ইসলামকে উল্টিয়ে কেউ টিকতে পারেনা, যার দৃষ্টান্ত বর্তমানের নারীবাদীদের দিকে তাকালেই দেখতে পারি। নারীবাদীদের নাস্তিকতা মূলক সকল যুক্তি খন্ডন করে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে “সমঅধিকার নয় মর্যাদা চাই” বইটিতে। আমি মনে করি এই বইটি নারী পুরুষ সকলের জন্যই খুব গুরুত্বপূর্ণ। বইটি পড়লে সবাই তাদের মূর্খতা গুলো বুজতে পারবে ইনশাআল্লাহ। বই থেকে কিছু উক্তিঃ দেশনেত্রী নয়, স্বামীর সংসারের নেত্রী হতে চাই। যৌতুক নয়, মহর চাই। পতিতা নয়, স্বামীর স্ত্রী হিসেবে থাকতে চাই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।