“প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” পার্ট-১ পড়ে পাঠকরা যখন অনেক বেশী আশাবাদী হয়ে “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” পার্ট-২ তে যাবেন তখন কেউ যেন নিরাশ না হন সেইদিকে লেখক খুব ভালই নজর দিয়েছেন। বইটি পড়ার পর অনায়াসেই বলা যায় পার্ট-১ থেকে পার্ট-২ এর প্রেজেন্টেশন এবং রিসার্চ দুটোই অনেক বেশী ডেভেলপ করা হয়েছে। বইটিতে অতিরিক্ত পন্ডিত নাস্তিক গর্ধবগুলোকে আবার আস্তিকে রুপান্তরিত করতে খুবই হাই কোয়ালিটির লজিক এবং রেফারেন্সসহ ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ। অনেক সময় নাস্তিকদের বহু অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা সবাই। নাস্তিকরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ইসলামকে মিথ্যা বানানোর অপচেস্টা করে। আর নাস্তিকদের সেই সকল অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আলোকে গুছিয়ে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” নামক ব্যাপক জনপ্রিয় এই বইটি। কে এই সাজিদ? সাজিদ আরিফ আজাদের অনন্য এক সৃষ্টি। অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার কালো অন্ধকার থেকে যুক্তির আলোয় এক আলোকিত সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে যার জন্ম। যুক্তিতে মুক্তির সন্ধানকারী কিছু মুক্তমনারা এতটাই মুক্তমনার অধিকারী হয়ে যায় যে তাদের সেই মুক্তমনার নামে কালো পর্দা তাদের মনকে ছেয়ে যায়, অসীম এক সত্তার বাণী নিয়েই এই পর্দা ফুঁড়ে আলোকিত করার প্রয়াসেই সাজিদের সৃষ্টি। “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” বইটিতে অমুসলিম, নাস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে তাদের অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে প্রমানিত করা হয়েছে এবং দলিলের ভিত্তিতে সকল প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বইটি পড়লে আপনি যেই মতবাদে বিশ্বাসী হন না কেন, এক ভিন্ন স্বাদ পাবেন। গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে বইটিতে। তাই সকল নাস্তিক, আস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের এই বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
by তানভীর হাসান
মাশাল্লাহ। ভাল একটা বই।