ভ্রান্তির বেড়াজালে ইক্বামতে দ্বীন
-
আল ফিকহুল আকবর
⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
⦿ বিষয়: ঈমান ও আকীদা
⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি
⦿ সংস্করণ: ১ম এডিশন-২০১৪খ্রি.
⦿ পৃষ্ঠা: ৫৪৩ পৃষ্ঠা
ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ রচিত “আল ফিকহুল আকবার” বইটি মূলত আকিদা বিষয়ক একটি মৌলিক গ্রন্থ। যা কিনা ইসলামি আকিদার প্রাচীনতম একটি গ্রন্থ। এই গ্রন্থটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যা করেছেন স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ)। গ্রন্থটি অধ্যয়নের মাধ্যমে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর সাহাবীগণ ও সালাফে সালেহীন ইমাম, মুজতাহিদ ও আলেমদের আকিদা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে অবগত হওয়া যাবে। গ্রন্থটি আমাদেরকে আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা’আতের মূলধারার আকিদার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবে। পাশাপাশি বিভ্রান্ত দলগুলোর বিভ্রান্তির স্বরূপ ও কারণ সম্পর্কেও অবগত হওয়া যাবে। আমরা দেখব আকিদা বিষয়ে বিভ্রান্তির মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে কুরআন ও হাদীসের বিপরীতে আকল তথা জ্ঞানবুদ্ধিকে স্থান দেওয়া, নাবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাহ ও সাহাবীদের মতামতকে অবজ্ঞা করা। যা তাঁরা বুঝতে বা ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করেন নি, তা বুঝতে ও ব্যাখ্যা করতে যাওয়া। আসলে আকিদাই তো ইসলামের মূলভিত্তি। তাই এ সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করার গুরুত্ব অপরিসীম। তাই তো আবু হানীফা (রাহ.) ফকীহ হওয়া সত্ত্বেও ফিকহ নিয়ে নিজে কোনো কিতাব লেখেন নি, কিন্তু আকিদা বিষয়ে লিখেছেন। তিনি আকিদার জ্ঞানকে নামকরণ করেছেন “আল ফিকহুল আকবার” তথা ‘সবচে বড় ফিকহ’ নামে। মূলত তাঁর সময়েই আকিদা বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেগুলো খণ্ডন করতেই তাঁর কলম ধরা। দুঃখজনক বিষয় হলো আমাদের মুসলিম সমাজে এখনো আকিদা বিষয়ে অনেক বিভ্রান্তি দেখা যায়। বরং তা কিছুক্ষেত্রে আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। ফিকহ বিষয়ে কিছু মতভেদ গ্রহণযোগ্য হলেও আকিদা বিষয়ে কোনো মতভেদ গ্রহণযোগ্য নয়। আকিদা প্রত্যেক মুসলিমের জন্যে একরকমই হয়ে থাকে। আকিদা বিষয়ে বিভ্রান্তিমুক্ত সঠিক জ্ঞান লাভ করতে হলে আমাদেরকে ফিরে যেতে হবে নবী ও সাহাবী যুগে। আমরা দেখব আকিদা বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের সহজ-সরল ও সামঞ্জস্যপূর্ণ অর্থগ্রহণই ছিল সাহাবী ও তাবেয়ীদের রীতি। আর এ বইটির অনুবাদ ও ব্যাখ্যা আমাদের কাছে তুলে ধরার উদ্দেশ্যও এটাই। আমরা যেন জীবনের সব ক্ষেত্রর মতো ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ আকিদার ক্ষেত্রেও হুবহু রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসারী হতে পারি। আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ কর্তৃক লিখিত এই বইটির ব্যাখ্যাগ্রন্থটি দুইভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগে ইমাম আবু হানীফা রাহিমাহুল্লাহ-এর জীবনী ও সমালোচনার ব্যাপারে দালীলিক পর্যালোচনা পেশ করা হয়েছে। আর দ্বিতীয় ভাগে মূল গ্রন্থটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দয়াময় আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে সিরাতে মুস্তাকীমে পরিচালিত করেন, আমীন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
৳ 320.00৳ 480.00আল ফিকহুল আকবর
৳ 320.00৳ 480.00 -
হাদীসের নামে জালিয়াতি
⦿ লেখক: ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
⦿ প্রকাশনী: আস-সুন্নাহ পাবলিকেশন্স
⦿ বিষয়: প্রচলিত বানোয়াট হাদীস
⦿ ভাষা: বাংলা এবং আরবি
⦿ সংস্করণ: ৫ম এডিশন-২০১৭খ্রি.
⦿ পৃষ্ঠা: ৬৫৬ পৃষ্ঠা
আমাদের সমাজে এমন কিছু হাদিস এবং কথা প্রচলিত রয়েছে যা আসলে হাদিস নয়। এগুলো মূলত প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা। কিন্তু সেগুলোকে আমরা শুধু হাদিসই মনে করি না বরং সেগুলোর উপর আমরা আমলও করে থাকি। এমনকি অনেক ইসলামিক বক্তা সেগুলোকে খুব ভক্তি আর গুরুত্বের সাথে জনসাধারণের কাছে প্রচার প্রসারও করে থাকেন। মহান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক। এভাবে আমরা জেনে না জেনে নিজেকে চরম ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত করছি। কারণ এটি এমন একটি মহা অপরাধ, যার চূড়ান্ত পরিণতি হলো জাহান্নাম। স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ প্রসঙ্গে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি স্বেচ্ছায় মিথ্যারোপ করে, সে যেন নিজেই জাহান্নামে তার স্থান বানিয়ে নেয়। (সহিহ বোখারি: ১/৩১৭)। অতএব, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নামে মিথ্যা ও বানোয়াট হাদিস বানিয়ে প্রচার-প্রসার করা সম্পূর্ণ হারাম। সুতরাং একজন মুলসিম হিসেবে আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং সমাজে প্রচলিত এই সকল মিথ্যা জাল হাদিসগুলো যেনে সেগুলো বর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্যেই স্যার ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) রচনা করেন, “হাদীসের নামে জালিয়াতি”। বইটি থেকে বহুল প্রচলিত কয়েকটি জাল হাদিসের পরিচয় তুলে ধরা হলো:-
নং সমাজে বহুল প্রচলিত জাল হাদিসসমূহ ১ জ্ঞান অর্জনের জন্য সুদূর চীনে যেতে হলেও যাও। ২ জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে বেশি পবিত্র। ৩ সবুজ গাছপালা ও শস্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। ৪ আল্লাহ ওই বান্দাকে ভালবাসেন, যে তার ইবাদতে ক্লান্ত, নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ৫ আজানের মধ্যে আঙ্গুল চুম্বন করে চোখে মোছা ফজিলতের কাজ। ৬ এক ঘণ্টা গভীরভাবে চিন্তা করা ৬০ বছর ইবাদতের সমান। ৭ পাগড়ী পরিধান করে নামাজ আদায় করেল ১৫টি পাগড়ী ছাড়া নামাজ আদায়ের সমান সওয়াব। ৮ যদি নারী জাতি না থাকতো, তাহলে আল্লাহর যথাযথ ইবাদত হতো। ৯ নারীর উপদেশ মেনে চললে অনুশোচনায় ভুগবে। ১০ আমার উম্মতের আলেমরা বনি ইসরাইলিদের নবীদের সমান। সমাজে প্রচলিত এমন আরও বহু ভিত্তিহীন কথা এবং মিথ্যা ও জাল হাদীস সম্পর্কে জানা যাবে এই বইটি থেকে। সুতরাং আমরা আশা করি বইটি অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম এবিষয়ে তার নিজকে সতর্ক করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
৳ 350.00৳ 540.00হাদীসের নামে জালিয়াতি
৳ 350.00৳ 540.00