ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) যিনি ছিলেন একাধারে একজন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, টিভি আলোচক, অনুবাদক, ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ। তিনি ইসলামিক টিভি, এনটিভি, পিস টিভি, এটিএন বাংলা, চ্যানেল নাইন ইত্যাদি টিভি চ্যানেলে ও অন্যান্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এমনকি তিনি আইটিভি ইউএস (মার্কিন ইসলামি টেলিভিশন চ্যানেল)-এর উপদেষ্টা এবং কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন তার অধীনে ১২ জন পিএইচডি এবং ৩০ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল পাশ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া থেকে হাদিস বিভাগে কেন্দ্রীয় কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশের মধ্যে ৮ম স্থান অর্জন করেন। মাদ্রাসায় অধ্যয়নের পাশাপাশি ১৯৮০ সালে মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে যশোর বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং পুরস্কারস্বরূপ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে নৌভ্রমণের সুযোগ পান। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে আরবি বিভাগে অনার্স এবং ১৯৯২ সালে উসুলে হাদিস বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে কাওয়ায়েদুল লুগাতিল কোরআন বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমান বিন আব্দুল আজিজের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৯৬% নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের মধ্যে আরবি ব্যাকরণ বিষয়ে তিনিই প্রথম ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। তিনি সৌদি আরবের কুল্লিয়াতুল লুগাতিল আরাবিয়া -তে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উত্তর রিয়াদ ইসলামিক সেন্টারে দাঈ, অনুবাদক ও দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের পাশাপাশি কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০১৬ সালের ১১ মে, ৫৮ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঝিনাইদহ হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে একটি মালবাহী ভ্যানের সাথে তার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুণ। আমিন। যাইহোক সমাজ সংস্কার, শিক্ষা, আল ফিকহ, আল হাদিস, তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা, ইসলামি ঐক্য প্রভৃতি বিষয়ের উপর প্রচুর গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে তার লেখা বইয়ের কোন বিকল্প হয় না। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে তার লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ যিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল, আলেম-ওলামার মাটি দেবী নগরে মাওলা বক্স হাজীরটলা গ্রামে ১৯৬০ সালে একটি সম্ভ্রান্ত ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদ্রাসায় ১৯৭৫ থেকে ৭৯৮২ ইং পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সেখানে হাদিসের অন্যতম কিতাব মিশকাত শরীফ পর্যন্ত পড়াশোনা করে উচ্চশিক্ষার জন্য ইলমের কেন্দ্র বলে খ্যাত ভারতের উত্তর প্রদেশ গমন করেন এবং উত্তরপ্রদেশের দারুল উলুম মাউনাথভাঞ্জান থেকে অত্যন্ত সুনামের সাথে দাওরা হাদিস শেষ করেন। ২০ আগস্ট ১৯৮৮ ইং সালে আল-মারকাযুল ইসলামী, জান্নাতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, ও গাইবান্ধায় মুহাদ্দিস হিসেবে নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি কলকাতা আলিয়া বোর্ড এবং ঢাকা আলিয়া বোর্ড থেকেও তার পড়াশোনা চালিয়ে যান। কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি বক্তব্যের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজেও অবদান রাখা শুরু করেন। আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি মাযহাব-মাসলাক নির্বিশেষে আপামর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নসিহত মূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে প্রচলিত বিদআত, জান্নাত-জাহান্নাম, আদর্শ পরিবার ইত্যাদি বিষয়ে তাঁর বক্তব্য সকল মুসলমানের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। তিনি পিস টিভিতেও নিয়মিত আলোচনা করেছেন। এছাড়া দেশের বাইরে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিশর, ভারত ও নেপালে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বইও রচনা করেছেন। যে বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে সক্ষম। যাতে করে একজন পাঠক খুব সহজেই এবং সুলভ মূল্যে এসকল বই সংগ্রহ করতে পারেন এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১৭টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (১৬০ + ৯০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ১৫০ + ২৫০ + ২২০ + ১০০ + ১৩০ + ৫০ + ৭৫ + ৯০ + ৩০০ + ২৩০ + ২৫০ + ৫০০) = ৩০৪৫ টাকা। কিন্তু ১৭টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৮৫০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে আপনার সেভ হবে ১৯৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিল ও দ্বীনি প্রোগ্রামে ওয়াজ-নসীহতের পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে আমৃত্যু ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমুআর খুতবা প্রদান করেছেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড হত। সেখান থেকে আটটি জীবনঘনিষ্ট বিষয় অনুলিখন করে সংকলন করা হয়েছে। জুমুআর সালাতপূর্ব তাঁর আলোচনার এ সংকলন উম্মাহর জন্য উপকারী হবে বলে আমরা মনে করি। কেননা বক্তৃতায় তিনি এমন অনেক সমাজ-সংলগ্ন ও জীবনঘনিষ্ট বিষয় আলোচনা করেছেন, সঙ্গত কারণেই যা লেখনীতে আসেনি। তিনি খুতবার আগে প্রায় এক ঘন্টা দ্বীনি আলোচনা করতেন এবং সালাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে চলত কুরআনের তাফসীর ও প্রশ্নোত্তর। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসতেন তাঁর আলোচনা শোনার জন্য। তিনি আযানের আগেই মসজিদে চলে যেতেন। আযান শেষ হলে আলোচনা শুরু করতেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে তিনি আলোচনা করতেন ইসলামের মৌলিক বিষয় ও জীবনঘনিষ্ঠ দিকগুলো নিয়ে। তাওহীদ, শিরক, সুন্নাত, বিদআত, সৎকর্মে উৎসাহ, অসৎকর্মে অনুৎসাহ, হুকুকুল্লাহ, হুকুকুল ইবাদত ইত্যাদি ছিল তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। এর পাশাপাশি তিনি তাঁর আলোচনায় সামাজিক অবক্ষয়, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা ও যুবসমস্যা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে নসিহত করতেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড করা হত। বর্তমান জটিল জীবনধারায় জুমুআর খুতবায় তাঁর প্রদত্ত জীবনমুখী আলোচনাগুলো মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলোর পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। এলক্ষ্যেই তাঁর এই অডিও খুতবাগুলো সংকলন করে ‘মিম্বারের আহবান-২’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ। সিরিজ-২ এর খুতবার বিষয়: সীরাতের আলোকে জীবন গঠন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবদ্দশায় বিভিন্ন মাহফিল ও দ্বীনি প্রোগ্রামে ওয়াজ-নসীহতের পাশাপাশি ২০০৩ সাল থেকে আমৃত্যু ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমুআর খুতবা প্রদান করেছেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড হত। সেখান থেকে আটটি জীবনঘনিষ্ট বিষয় অনুলিখন করে সংকলন করা হয়েছে। জুমুআর সালাতপূর্ব তাঁর আলোচনার এ সংকলন উম্মাহর জন্য উপকারী হবে বলে আমরা মনে করি। কেননা বক্তৃতায় তিনি এমন অনেক সমাজ-সংলগ্ন ও জীবনঘনিষ্ট বিষয় আলোচনা করেছেন, সঙ্গত কারণেই যা লেখনীতে আসেনি। তিনি খুতবার আগে প্রায় এক ঘন্টা দ্বীনি আলোচনা করতেন এবং সালাতের পরে দীর্ঘ সময় ধরে চলত কুরআনের তাফসীর ও প্রশ্নোত্তর। দূর-দূরান্ত থেকে বহু মানুষ ছুটে আসতেন তাঁর আলোচনা শোনার জন্য। তিনি আযানের আগেই মসজিদে চলে যেতেন। আযান শেষ হলে আলোচনা শুরু করতেন। গতানুগতিক ধারার বাইরে তিনি আলোচনা করতেন ইসলামের মৌলিক বিষয় ও জীবনঘনিষ্ঠ দিকগুলো নিয়ে। তাওহীদ, শিরক, সুন্নাত, বিদআত, সৎকর্মে উৎসাহ, অসৎকর্মে অনুৎসাহ, হুকুকুল্লাহ, হুকুকুল ইবাদত ইত্যাদি ছিল তাঁর আলোচনার মূল বিষয়বস্তু। এর পাশাপাশি তিনি তাঁর আলোচনায় সামাজিক অবক্ষয়, অনৈতিকতা, অশ্লীলতা ও যুবসমস্যা প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরে নসিহত করতেন। তাঁর সে সকল আলোচনা অডিও রেকর্ড করা হত। বর্তমান জটিল জীবনধারায় জুমুআর খুতবায় তাঁর প্রদত্ত জীবনমুখী আলোচনাগুলো মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ইসলামের আলোর পথ দেখাবে বলে আমরা আশা রাখি। এলক্ষ্যেই তাঁর এই অডিও খুতবাগুলো সংকলন করে ‘মিম্বারের আহবান-১’ শীর্ষক বইটি প্রকাশ করা হয়েছে। বইটি সিরিজ আকারে প্রকাশ করা হবে। ইনশাআল্লাহ। সিরিজ-১ এর খুতবার বিষয়: সমাজ সংস্কারের দিক নির্দেশনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত “কুরআন-সুন্নাহর আলোকে জামাআত ও ঐক্য” বইটিতে তিনি কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে উম্মতের ঐক্যের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, অনৈক্যের বিধান ও এর বিবিধ অপকারিতা তুলে ধরেছেন। ইখতিলাফ ও ইফতিরাকের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরার মাধ্যমে উম্মতের ঐক্যের সূত্র দেখিয়ে দিয়েছেন। তাঁর কথা অনুযায়ী বলতে হয়, “ইখতিলাফের ভিত্তি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ইলম বা জ্ঞান ও দলিল। আর ইফতিরাকের ভিত্তি সর্বদাই ব্যক্তিগত পছন্দ বা প্রবৃত্তির অনুসরণ, জিদ এবং ইখলাসের অনুপস্থিতি।” তিনি আরও বলেছেন, “ইলম, ইখলাস, ইসলামী ভ্রাতৃত্ববোধ ও ভালোবাসার সাথে ইখতিলাফ থাকতে পারে কিন্তু এগুলোর সাথে ইফতিরাক থাকতে পারে না। এগুলোর অনুপস্থিতিতেই ইফতিরাক জন্ম নেয়।” তাঁর এ কথা অনুযায়ী আমরা বলতে পারি, উম্মতের ইমামগণের মাঝে অনুষ্ঠিত মাসআলা-মাসায়েলজনিত মতভেদের কারণে আমাদেরকে ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকতে হবে সেটা কখনো ঠিক নয়। সাহাবায়ে কিরামের মাঝে আমলী মাসআলাগুলোতে প্রচুর মতভেদ ছিল, যারা সালাফে সালেহীনের ফিকহ অধ্যয়ন করবে তাদের কাছে সেটা দিবালোকের মত স্পষ্ট হয়ে দেখা দিবে। ইমামগণের মধ্যে প্রচুর আমলী মাসআলায় মতান্তর ছিল কিন্তু তাঁদের মনে পরস্পরের প্রতি কোনো বিদ্বেষ ছিল বলে কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। তাঁরা ইলমী মতভেদ করেছেন কিন্তু তাঁদের মধ্যে কেউই একে অপরকে খারাপ বলেছেন, এমন দৃষ্টান্ত কেউ দেখাতে পারবে না। ইমাম আবু হানীফা (রহিমাহুল্লাহ) ও তাঁর ছাত্রদের মাঝে এক তৃতীয়াংশের অধিক মাসআলায় মতভেদ হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের কেউ অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার তো দূরের কথা পরস্পরকে সারা জীবন ভালোবেসেই চলে গেছেন। ইমাম মালেককে তাঁর ছাত্র শাফে‘ঈ সম্মান করতেন, ইমাম শাফে‘ঈকে ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বল কদর করে কথা বলতেন। কিন্তু তাঁদের মাঝে মতভেদপূর্ণ অসংখ্য মাসআলা ছিল। তাই তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আজও আমাদের সমাজে ইলমী মতভেদ থাকার পরেও আমরা মৌলিক আকীদা ও মানহাজের ক্ষেত্রে এক হতে পারি। ইফতিরাক তথা অনৈক্যের কারণগুলো খুঁজে সেগুলো থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে পারি। বর্তমান কালে আমাদের ঐক্যের পথপ্রদর্শক আমাদের জন্য এ গ্রন্থটি লিখে যেন আমাদেরকে সে পথেরই দিশা দিলেন। আল্লাহ তা‘আলার কাছে দো‘আ করি তিনি যেন তাঁর এ আমলকে কবুল করেন এবং তাঁর নাজাতের ওসীলা বানিয়ে দেন। আর উম্মতে মুসলিমাহ বিশেষ করে বাংলা ভাষাভাষি মুসলিমদের মাঝে সঠিক পথে ঐক্য তৈরি করে দেন। আমীন। অল্প পৃষ্ঠার একটি বই হলেও, বইটির ভিতরে রয়েছে অনেক উপকারী, দূর্লভ জ্ঞানের ভান্ডার। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহর পথে আহ্বান করতেই নবী-রাসূলগণ আলাইহিমুস সালাম-এর আগমন। মুমিনের জীবনের অন্যতম দায়িত্ব এই দাওয়াত। কুরআন কারীমে এ দায়িত্বকে কখনো দাওয়াত, কখনো সৎকার্যে আদেশ ও অসৎকার্যে নিষেধ, কখনো প্রচার, কখনো নসীহত ও কখনো দীন প্রতিষ্ঠা বলে অভিহিত করা হয়েছে। কুরআন ও হাদীসের আলোকে এ কাজের গুরুত্ব, এর বিধান, পুরস্কার, এ দায়িত্ব পালনে অবহেলার শাস্তি, এ কর্মে অংশগ্রহণের শর্তাবলী ও এর জন্য আবশ্যকীয় গুণাবলী এসকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই পুস্তিকাটিতে। এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তি, যেমন বিভিন্ন অজুহাতে এ দায়িত্বে অবহেলা, ফলাফলের ব্যস্ততা বা জাগতিক ফলাফল ভিত্তিক সফলতা বিচার, এ দায়িত্ব পালনে কঠোরতা ও উগ্রতা, আদেশ, নিষেধ বা দা‘ওয়াত এবং বিচার ও শাস্তির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়, আদেশ, নিষেধ বা দাওয়াত এবং গীবত ও দোষ অনুসন্ধানের মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয়েও পুস্তিকাটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সবশেষে এ ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে সুন্নাতে নববী এবং এ বিষয়ক কিছু ভুলভ্রান্তির কথাও আলোচনা করা হয়েছে পুস্তিকাটিতে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বর্তমান অনারব দেশের মানুষেরা বিশেষ করে আমাদের দেশে জুমআর খুতবা আরবি নাকি বাংলাতে দিতে হবে, এটা নিয়ে তুমুল ঝগড়ায় লিপ্ত। অর্থাৎ খুতবার ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সুন্নাত হুবহু অনুসরণ করার ক্ষেত্রে বড় সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। কেউ বলছে খুতবা বাংলায় দিতে হবে, কেউ বলছে আরবিতে। আবার অনেকেই আরবি খুতবা বই দেখে পড়ার আগে বাংলায় আলোচনা করছে। অর্থাৎ বই দেখে আবেগহীন সুরে খুতবা পড়ছে। অথচ এরূপ পড়া সুন্নাহ নয়। তাহলে কোন পদ্ধতিতে খুতবা দেয়া সুন্নাহ? এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পড়তে পারেন ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) স্যারের রচিত, “খুতবাতুল ইসলাম” নামক চমৎকার এই বইটি। বইটিতে উক্ত সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি রয়েছে কুরআন ও সহি সুন্নাহ ভিত্তিক প্রতি সাপ্তাহের খুতবার সংকলন। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। ভ্রান্তি এবং অজ্ঞতা থেকে নিজের ঈমাণকে সুরক্ষা দিতে আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
আমরা মুসলিম তথাপিও আমরা আমাদের আখিরাতকে ভুলে গিয়ে দুনিয়ার মিছে সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছি। আমরা পাপকে পাপই মনে করি না। জেনে না জেনে ছোট বড় কতই না পাপ করে ফেলছি। এমনকি এমন অনেক পাপই আমরা করছি যে গুলোকে আমরা পাপ বলে মনেই করি না। অর্থাৎ সওয়াবের আশায় বিদআত করে আমরা ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত হচ্ছি। হাশরের মাঠে দেখা যাবে যেগুলোকে আমরা নেকির কাজ ভেবে করে আসছি সেগুলোই আজ আমাদের জাহান্নামের যাওয়ার কারন হচ্ছে। মূলত এগুলো আমাদের জ্ঞানের অভাবে হয়ে থাকে। এজন্য একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করা অপরিহার্য। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফের লেখা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১৩টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (১৬০+৯০+১৫০+১৫০+১৫০+১৫০+২৫০+২২০+১০০+১৩০+৫০+৭৫+৯০) = ১৭৬৫ টাকা। কিন্তু ১৩টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ১৬০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ১৬৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
বর্তমান যুগে আমাদের সমাজে অধিকাংশ মুফাসসির ও বক্তা মিথ্যা তাফসীর ও মিথ্যা বক্তব্যের মাধ্যমে জনসাধারণকে আকৃষ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। অপরদিকে সরলমনা মুসলমানগণ তাদের মিথ্যা বক্তব্য শ্রবণে বিভ্রান্ত হচ্ছে। ফলে ইসলামের আদি রূপ ক্রমেই তাদের কাছ থেকে চির বিদায় নিচ্ছে। যার ফলে মানুষ সচেতন হলেও দাওয়াত এর মাধ্যমে উপকারী জ্ঞান অর্জন করতে ব্যাহত হচ্ছে। তাই আমাদের জানতে হবে আল্লাহ তাআলা আমাদের কিভাবে দাওয়াত দিতে বলেছেন এবং রাসুল (সঃ) এর দাওয়াত কেমন ছিলো। আর এই লক্ষ্যেই শাইখ আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ রচনা করেছেন “বক্তা ও শ্রোতার পরিচয়” নামক এই বইটি। বইটিতে লেখক দাওয়াত দেওয়ার পদ্ধতি গুলো কোরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। সেই সাথে মিথ্যা বক্তব্য দানকারী আলেমদের পরিণতি ও তাদের সহযোগিতাকারী শ্রোতাদের পরিণাম এবং একজন সত্যিকারের বক্তা ও শ্রোতার পরিচয় কেমন হওয়া উচিৎ সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। বইটি পাঠক সমাজে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই সংগ্রহে রাখা এদেশের সকল মুসলিমের জন্য ভীষণ জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।