কুরআন-সুন্নাহর আলোকে পোশাক, পর্দা ও দেহ | সজ্জা-ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
170.00৳ 280.00৳ (-39%)
- ইসলামী পোশাকের সাধারণ বৈশিষ্ট্য
- পাতলা ও আঁটিসাট পোশাক বর্জন
- নারী ও পুরুষের পোশাকের স্বাতন্ত্র্য
- অহঙ্কার ও প্রসিদ্ধির পোশাক বর্জন
- পুরুষের জন্য রেশম নিষিদ্ধ
- পুরুষের পোশাক গোড়ালীর উপরে রাখার নির্দেশ
- মহিলাদের পোশাক পদযুগল আবৃত করবে
পাশ্চাত্য অশ্লীল ও খোদাদ্রোহী সংস্কৃতি ও তার অনুসারীদের প্রকৃতি বিরোধী প্রবণতার একটি দিক এই যে, তারা পুরুষের ক্ষেত্রে পোশাক দিয়ে পুরো শরীর আবৃত করতে উৎসাহ দেন কিন্তু মহিলাদের শরীর যথাসম্ভব অনাবৃত রাখতে উৎসাহ প্রদান করেন। একজন পুরুষ টাখনু অনাবৃত রেখে প্যান্ট, পাজামা, লুঙ্গি বা জামা পরিধান করলে তাদের দৃষ্টিতে ‘খারাপ’ দেখায় ও ‘স্মার্টনেস’ ভূলুণ্ঠিত হয়। পক্ষান্তরে একজন মহিলা টাখুনর উপরে বা ‘নিসফ সাক’ প্যান্ট, পাজামা, পেটিকোট, স্কার্ট ইত্যাদি পরিধান করলে মোটেও খারাপ দেখায় না, বরং ভাল দেখায় এবং ‘স্মার্টনেস’ সংরক্ষিত হয়।
তাদের দৃষ্টিতে মহিলাদের ক্ষেত্রে শরীর অনাবৃত করাই নারী- স্বাধীনতার প্রকাশ, তবে পুরষ-স্বাধীনতার প্রকাশ তার দেহ পুরোপুরি আবৃত করা। এজন্য আমরা দেখতে পাই যে, গরম কালেও একজন পুরুষ পরিপূর্ণ স্মার্ট ও ভদ্রলোক হওয়ার জন্য মাথা থেকে পায়ের পাতার নিম্ন পর্যন্ত পুরো শরীর একাধিক কাপড়ে আবৃত করে রাখেন। অপরদিকে শীতকালেও একজন মহিলা মাথা, গলা, কাঁধ, পা, হাঁটু ইত্যাদি সহ যথাসম্ভব পুরো দেহ অনাবৃত করে রাখেন। একমাত্র বেহায়া পুরুষদের অশ্লীল দৃষ্টির আনন্দদান ছাড়া এভাবে দেহ অনাবৃত করে মহিলারা আর কোনো বৈজ্ঞানিক, জৈবিক বা প্রাকৃতিক উপকার লাভ করেন বলে আমরা জানি না।
ইসলামের দৃষ্টিতে মানব সভ্যতার সংরক্ষণের জন্য প্রধান ধাপ পারিবারিক জীবনের পবিত্রতা ও সন্তানদের জন্য পরিপূর্ণ পিতৃ ও মাতৃস্নেহ নিশ্চিত করা। এক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের পবিত্রতা রক্ষা, বিবাহেতর সম্পর্ক রোধ ও নারীদের উপর দৈহিক অত্যাচার রোধ অতীব প্রয়োজনীয়। এজন্য মহিলাদের শালীন পোশাকে দেহ আবৃত করা ছাড়া কোনো পথ নেই। এই দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতেই মহিলাদেরকে ‘টাখনু’ আবৃত করে পোশাক পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন রাসূলুল্লাহ সা.। উম্মু সালামাহ (রা) বলেন:
إِنَّ رَسُولَ اللهِ لَـمَّا قَالَ فِي الذَّيْـلِ مَا قَالَ قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ كَيْـفَ بِنَا قَالَ تَـجُـرُّوْنَ شِبْـرًا قَالَتْ إِذًا تَـنْـكَـشِفُ الْـقَـدَمَانِ قَالَ تَـجُـرُّوْنَ ذِرَاعًا
“যখন রাসূলুল্লাহ সা. কাপড়ের ঝুল সম্পর্কে (টাখনুর উপরে বা নিসফ সাক পর্যন্ত রাখা সম্পর্কে) কথা বললেন তখন উম্মু সালামাহ বলেন: আমদের পোশাকের কী হবে? তিনি বলেন: তোমরা (পুরুষদের ঝূল থেকে, নিসফ সাক থেকে বা টাখনু থেকে) এক বিঘত বেশি ঝুলিয়ে রাখবে। তিনি বলেন: তাহলে তো (হাঁটার সময়) পদযুগল অনাবৃত হয়ে যাবে। তিনি বলেন: তাহলে এক হাত বেশি ঝুলাবে।” হাদীসটি সহীহ।
অর্থাৎ নিসফ সাক বা টাখনু থেকে এক বিঘত ঝুলিয়ে কাপড় পরিধান করলে চলাচল বা কর্মের সময় বা সালাতের মধ্যে সাজদার সময় পায়ের পাতা অনাবৃত হয়ে পড়ার ভয় থাকে। এজন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একহাত ঝুলিয়ে রাখতে নির্দেশ দিলেন। মূল উদ্দেশ্য পায়ের নলা ও পায়ের পাতার উপরিভাগসহ পুরো পা আবৃত রাখা।
আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতা মানুষের জৈবিক বা পাশবিক জীবনকেই একমাত্র উদ্দেশ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে। এজন্য পাশ্চাত্য সভ্যতার দৃষ্টিতে ‘স্মার্টনেস’ বা ‘ব্যক্তিত্বে’-র অন্যতম বৈশিষ্ট্য ‘অহঙ্কার’। যাকে দেখলে যত ‘অহঙ্কারী’ বা ‘কঠিন’ মনে হবে সে তত বেশি ‘ব্যক্তিত্বসম্পন্ন’ বা ‘স্মার্ট’। পাশ্চাত্য পোশাক পরিচ্ছদে এই বৈশিষ্ট্য রক্ষার জন্য সদা চেষ্টা করা হয়।
রাসূলুল্লাহ (সা.) এর নির্দেশ মত টাখনু পর্যন্ত পোশাক পরিধান করলে দেখতে খারাপ দেখায়, সেকেলে মনে হয় বা স্মার্টনেস পরিপূর্ণ হয় না সেজন্য টাখনুর নিচে নামিয়ে পোশাক পরতে হয়। আর এই অনুভুতিটির নামই অহমিকা, অহংকার, গর্ব ও গৌরব। স্মার্ট দেখানোর উদ্দেশ্যে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করাকেই হাদীসের ভাষায় গৌরব বা গর্বভরে পোশাক ভূলুণ্ঠিত করা বলা হয়েছে। মনের গভীরে এই অহমিকা, “স্মার্ট দেখানোর” আগ্রহ ছাড়া কেউই ইচ্ছাকৃতভাবে পায়ের গিরা আবৃত করে পোশাক তৈরি করেন না বা পরেন না। সর্বোপরি উপরের হাদীসগুলি জানার পরে কেউ ভাবতে পারেন না যে ইচ্ছাকৃতভাবে পোশাক নামিয়ে পরা কোনোভাবে জায়েয হতে পারে। …..বিস্তারিত জানতে বইটি পড়ুন
Vendor Information
- No ratings found yet!
-
888.00৳
898.00৳Phantom (A Harry Holy Thriller) | thriller book
888.00৳898.00৳ -
1,112.00৳
1,132.00৳Renewable Energy Systems (Paperback) | Engineering books
1,112.00৳1,132.00৳ -
-
Reviews
There are no reviews yet.