ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) যিনি ছিলেন একাধারে একজন বাংলাদেশি ইসলামি ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক, গবেষক, লেখক, টিভি আলোচক, অনুবাদক, ভাষাবিদ, দাঈ ইলাল্লাহ, মুহাদ্দিস, মুফাসসির ও ফকীহ। তিনি ইসলামিক টিভি, এনটিভি, পিস টিভি, এটিএন বাংলা, চ্যানেল নাইন ইত্যাদি টিভি চ্যানেলে ও অন্যান্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইসলামের সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। এমনকি তিনি আইটিভি ইউএস (মার্কিন ইসলামি টেলিভিশন চ্যানেল)-এর উপদেষ্টা এবং কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল হাদিস ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপকও ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাকালীন তার অধীনে ১২ জন পিএইচডি এবং ৩০ জন এমফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ সিদ্দিকীয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, ১৯৭৫ সালে আলিম এবং ১৯৭৭ সালে ফাজিল পাশ করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়া থেকে হাদিস বিভাগে কেন্দ্রীয় কামিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সারা দেশের মধ্যে ৮ম স্থান অর্জন করেন। মাদ্রাসায় অধ্যয়নের পাশাপাশি ১৯৮০ সালে মাগুরার সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে যশোর বোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করেন এবং পুরস্কারস্বরূপ তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে নৌভ্রমণের সুযোগ পান। তিনি সৌদি আরবের রিয়াদ শহরের ইমাম মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে আরবি বিভাগে অনার্স এবং ১৯৯২ সালে উসুলে হাদিস বিভাগে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালে কাওয়ায়েদুল লুগাতিল কোরআন বিষয়ের উপর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। সেখানে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি বর্তমান সৌদি বাদশা ও তৎকালীন রিয়াদের গভর্নর সালমান বিন আব্দুল আজিজের হাত থেকে পর পর দু’বার সেরা ছাত্রের পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৯৬% নাম্বার পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। সৌদি আরবে বাংলাদেশীদের মধ্যে আরবি ব্যাকরণ বিষয়ে তিনিই প্রথম ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। তিনি সৌদি আরবের কুল্লিয়াতুল লুগাতিল আরাবিয়া -তে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত উত্তর রিয়াদ ইসলামিক সেন্টারে দাঈ, অনুবাদক ও দোভাষী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়াও রিয়াদে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি মুহাম্মদ বিন সউদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের পাশাপাশি কুরআন হিফজ সম্পন্ন করেন। ২০১৬ সালের ১১ মে, ৫৮ বছর বয়সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঝিনাইদহ হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে একটি মালবাহী ভ্যানের সাথে তার গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়ে সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুণ। আমিন। যাইহোক সমাজ সংস্কার, শিক্ষা, আল ফিকহ, আল হাদিস, তুলনামূলক ধর্মীয় আলোচনা, ইসলামি ঐক্য প্রভৃতি বিষয়ের উপর প্রচুর গ্রন্থ তিনি রচনা করেছেন। একজন মুসলিম হিসেবে কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক দ্বীনের সহি জ্ঞান অর্জন করতে তার লেখা বইয়ের কোন বিকল্প হয় না। এই লক্ষ্যেই হাটবাজার৩৬৫.কম আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছে তার লেখা সকল বইয়ের এক্সক্লুসিভ কম্বো প্যাকেজ। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
আরিফ আজাদ যিনি একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা। তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন। আরিফ আজাদ এতটাই জনপ্রিয় একজন লেখক যে, তার বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের মধ্যে আরিফ আজাদ একজন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদের বইসমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ প্রকাশিত হয় এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদের বই সমগ্রতে আছে আরও কিছু তুমুল জনপ্রিয় বই। পাঠক যেন তার লেখা সকল বই সূলভমূল্যে আর খুব সহজেই পেতে পারেন এই লক্ষ্যে হাটবাজার৩৬৫.কম নিয়ে এসেছে আরিফ আজাদের সকল বইয়ের এই প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১২টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (২২৫+৩৯০+৩৩৫+৩৪০+৩৫০+২৬০+২৭৫+২৪৫+২৬০+৩৩০+৩১৫+৩৫০) = ৩৬৭৫ টাকা। কিন্তু ১২টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৭০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৯৭৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
মুসলিম হয়েও কতো হাজার হাজার মুসলিম যুবক-যুবতী আজ নিজেদের পথ ভুলে গেছে। হারানো সেই পথ থেকে কেউ ফিরে আসে, আবার কেউ হারিয়ে যায় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? জাহিলিয়্যাত থেকে দ্বীনের পথে ফিরে আসা সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ তরুণ ভাই-বোনদের গল্প নিয়েই সংকলিত হয়েছে “প্রত্যাবর্তন” বইটি। দেশের শীর্ষ মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আমাদের এক ঝাঁক তরুণ ভাই-বোনদের দ্বীনে ফিরে আসার গল্প রয়েছে এই বইটিতে। এদের কেউই মাদ্রাসায় পড়েন নি। বড় হয়েছেন সেক্যুলার অথবা গতানুগতিক মুসলিম পরিবারে। এরপরেও তাদের এই প্রত্যাবর্তনের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে কোন জিনিসটি? সেসব গল্প নিয়েই “প্রত্যাবর্তন”। বইটিতে শুধু নন-প্র্যাকটিসিং থেকে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়া ভাই-বোনদের গল্পই নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলামে ফিরে আসা কিছু ভাই-বোনদের গল্পও। বইটিতে দ্বীনে ফেরা’র গল্প রয়েছে যাদের, তারা হচ্ছেন: ১। ‘পড়ো’ সিরিজের লেখকের ২। ‘আল কুরআনের ভাষা’ বইয়ের লেখক এবং আল-কুরআনের শব্দসমূহ এর সম্পাদকের। ৩। ‘নট ফর সেল‘, বিয়ে‘, জীবনের সহজ পাঠ‘ ‘ওপারে‘ বইয়ের লেখিকার ৪। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এবং কষ্টিপাথর বইয়ের লেখকের ৫। আর্গুমেন্টস অফ আরজু এবং প্রদীপ্ত কুটির বইয়ের লেখকের ৬। বিশ্বাসের যৌক্তিকতা বইয়ের লেখকের ৭। অন্ধকার থেকে আলোতে বইয়ের লেখকের ৮। অ্যান্টিডোট বইয়ের লেখকের ৯। ‘সংবিৎ‘ এবং ভ্রান্তিবিলাস বইয়ের লেখকের ১০। উমার ইবন আল-খাত্তাব রা. ১ম খণ্ড, মনের ওপর লাগাম বইয়ের অনুবাদক ও সম্পাদকের। এছাড়াও রয়েছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে মলিকুলার বায়োলজি নিয়ে পিএইচডি রত শ্রদ্ধেয় সাইফুর রহমান ভাইয়ের গল্প, আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবদুল্লাহ সাঈদ খান ভাই, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিশাত তামিম আপু, বুয়েটের কবির আনোয়ার ভাই, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের রুহুল আমিন ভাই, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহাব আহমেদ তুহিন ভাই, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী মাহমুদুর রহমান ভাই, আরমান ইবনে সোলায়মান ভাই, বুটেক্সের ফয়সাল বিন ইউসুফ ভাইসহ আরও অনেকের দ্বীনে ফেরা’র গল্প এবং রয়েছে কলকাতার কিছু রিভার্টেড ভাইদের ইসলামে আসার গল্পও। আশা করছি বইটি উঠতি জেনারেশন, যারা দ্বীন থেকে দূরে আছে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইন শা আল্লাহ্। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
বইটি ইমাম আবু হানিফা (রাহি:) জীবন ও কর্ম সম্পর্কে লিখিত। তবে বইটিতে ইমাম আবু হানিফা (রাহি:) সম্পর্কে যেসমস্ত ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, সেগুলোর সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফার রচিত অনেকগুলো গ্রন্থের মধ্যে কিতাবুল আসার ও আল ফিকহুল আকবার প্রধানতম। বইটি অর্ডার করুণ…।
উম্মাহর দরদি অভিভাবক মুহিউস সুন্নাহ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) -এর ইন্তিকালের পাঁচ বছর পর তাঁর এই জীবনী গ্রন্থটি লিখেছেন আবাসে–প্রবাসে তাঁর দীর্ঘদিনের সান্নিধ্য ধন্য জনাব আব্দুর রহমান। যারা দীর্ঘদিন স্যার রাহ.কে খুব নিকট থেকে দেখেছেন জনাব আব্দুর রহমান ছিলেন তাদের অন্যতম। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) সম্পর্কে তার স্মৃতিগুলো, তার বলবার কথাগুলো দুই মলাটের মাঝে সংরক্ষণ করেছেন তিনি। কেননা আমাদের কার কখন দুনিয়ার সফর শেষ হয়ে যায় কারোরই জানা নেই। পরবর্তীতে স্যার রাহ.-এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী রচনায় মূল উৎস হিসাবে বইটি ব্যবহৃত হবে। ইনশাআল্লাহ। মুসলিম উম্মাহর বর্তমান দুর্দিনে আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহ.-এর জীবন চর্চা এবং তাঁর চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির আলোচনা অনেক দরকারী ও উপকারী যা কুয়াশাভরা সন্ধ্যায় আমাদের চলার পথে আলো ফেলবে। ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিমাহুল্লাহ) যিনি কোনো ঘরানায় প্রবেশ না করেও, শুধু বিশুদ্ধ সুন্নাহ আর সমগ্র উম্মাহর পক্ষে থেকেও আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। স্যার রাহ.-এর চিন্তা ও কর্মপদ্ধতির চর্চা অতিশয় প্রাসঙ্গিক। তিনিই দেখিয়েছেন, কীভাবে বিভক্তির পথে না গিয়ে, কেবল সুন্নাহ ও উম্মাহর পক্ষে থেকেও উম্মাহর হৃদয়জয় করে এক প্লাটফর্মে আনা যায়। জনাব আব্দুর রহমান সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ) স্যার রাহ.-এর জীবন চর্চার জানালাটা খুলে দিলেন। এখন অনেকেই হয়ত দরজা খুলে বাইরে আসবেন; তাঁর জীবন চর্চা ব্যাপক আকারে শুরু হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।