আরিফ আজাদ যিনি একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা। তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন। আরিফ আজাদ এতটাই জনপ্রিয় একজন লেখক যে, তার বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের মধ্যে আরিফ আজাদ একজন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদের বইসমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পান তিনি। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২’ প্রকাশিত হয় এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদের বই সমগ্রতে আছে আরও কিছু তুমুল জনপ্রিয় বই। পাঠক যেন তার লেখা সকল বই সূলভমূল্যে আর খুব সহজেই পেতে পারেন এই লক্ষ্যে হাটবাজার৩৬৫.কম নিয়ে এসেছে আরিফ আজাদের সকল বইয়ের এই প্যাকেজটি। প্যাকেজের বিস্তারিত নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলোঃ-
অর্থাৎ ১২টি বইয়ের সাধারন মূল্যঃ (২২৫+৩৯০+৩৩৫+৩৪০+৩৫০+২৬০+২৭৫+২৪৫+২৬০+৩৩০+৩১৫+৩৫০) = ৩৬৭৫ টাকা। কিন্তু ১২টি বইয়ের প্যাকেজ মূল্য মাত্রঃ ২৭০০ টাকা। তার মানে এই প্যাকেজটি কিনলে সেভ হবে ৯৭৫ টাকা। আলহামদুলিল্লাহ। যাইহোক, আমরা আশা করি এই বইগুলো অধ্যয়নের মাধ্যমে একজন মানুষ দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে নিজেকে পরিবর্তন করে নিতে পারবে। এজন্য সকলের উচিত বইগুলো নিজের সংগ্রহে রাখা। স্পেশালি যারা সদ্য দ্বীনে ফেরা বা নিজেকে পরিবর্তন করতে চান তাদের জন্য বইগুলো খুবই উপকারী হবে। ইনশাআল্লাহ। সুতরাং অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই প্যাকেজটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…।
কে এই আরজ আলী? আরজ আলী হচ্ছে বাংলাদেশের নাস্তিকতা-জগতে একটি পরম শ্রদ্ধেয়, উচ্চারিত এবং বহুলপ্রচারিত নাম। যার পূর্ণ নাম “আরজ আলী মাতুব্বর”। যিনি জন্মেছেন বরিশালে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বলতে কোন শিক্ষা তার না থাকলেও নিজে নিজে স্বশিক্ষিত হয়েছেন বলে জানা যায়। লোকমুখে শুনা যায় ধর্মের প্রতি একধরনের বিতৃষ্ণা থেকে উনি কলম ধরেছিলেন ধর্মের বিরুদ্ধে। এই বিতৃষ্ণা থেকে উনি ধর্ম নিয়ে বেশ কিছু আপত্তি, প্রশ্ন এবং সন্দেহ উত্থাপন করেছিলেন, যেগুলো নাস্তিকসমাজেও বহুল ভাবে ব্যবহৃত হয়। উনি প্রশ্ন করেছেন ধর্ম নিয়ে, ঈশ্বর নিয়ে, আত্মা, পরকাল, প্রকৃতি নিয়ে। ধর্মের সাথে দর্শন আর বিজ্ঞানের অসামঞ্জস্য নিয়েও করেছেন বিস্তর আলোচনা। বাংলা নাস্তিকসমাজের পুরোধা এই লোকের লিখিত বইয়ের জবাব হিসেবে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “আরজ আলী সমীপে” বইটি। যেখানে তিনি আরজ আলী মাতুব্বরের প্রশ্নগুলোর জবাব তো দিয়েছেনই, সাথে ছুড়ে দিয়েছেন পাল্টা প্রশ্নও। এই বইয়ের ‘বিবিধ’ অংশটা লেখক আরিফ আজাদ অতি যত্নসহকারে লিখেছেন। বিবর্তনবাদ নিয়ে যে কেউ পড়াশুনা করতে গেলে এই অধ্যায়টা তার জন্য বেশ কাজে দেবে। কত ভুলভাল জল্পনা-কল্পনা আর জগাখিচুরির মিশেলে যে বিজ্ঞানীরা বিবর্তনবাদকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করেছেন, আর করে যাচ্ছেন; আর কত অসৎ উপায় যে অবলম্বন করে চলেছেন – ব্যাপারগুলো সত্যি শিউরে ওঠার মতো। আরজ আলী সাহেব সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার কে মূল ইসলামভেবে প্রশ্ন করেছেন। অথচ অধিকাংশ প্রচলিত কুসংস্কারের সাথে কুরআন হাদিসের কোনো সম্পর্ক নেই। লেখক আরিফ আজাদ আসলে অতি ভদ্র ভাষায় ধবলধোলাই করেছেন আরজ আলীকে। নাস্তিকতার বিপক্ষে, আস্তিকতার পক্ষে বইটি একটি শক্তিশালী দলিল হিসেবেই কাজ করবে। আরজ আলী সাহেব কী ভুল করেছেন, উনার প্রশ্নের সোর্স কতটুকু সত্য? উনি কি আদতে সত্যের সন্ধান করেছেন? তার পুঙ্খানুপুঙ্খ উত্তর মিলবে “আরজ আলী সমীপে” বইটি থেকে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“জবাব” বইটি ইসলাম বিরোধী বিভিন্ন ইস্যুতে মুসলিমদের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিউত্তর। ২০১৫ সালের শেষ দিক থেকেই মুশফিকুর রহমান মিনার ভাই এমন একটি ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা করেন যা হবে নাস্তিক্যবাদী সকল ব্লগের জবাব। এক ওয়েবসাইটের মাঝেই ইসলামবিরোধীদের সকল অপপ্রচারের জবাব থাকবে। ২০১৬ সাল থেকে এই সাইটের জন্য প্রবন্ধ লেখা ও সংগ্রহের কাজ শুরু হয়। সে সময়ে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন ড. খন্দকার আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহর কাছেও এই ওয়েবসাইটের পরিকল্পনা জানানো হয়েছিল। তিনি সব শুনে এ জন্য সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটি নিয়ে কাজের জন্য তার সাথে দেখা করবার মাত্র ২ দিন আগে তিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন। এরপরেও অব্যাহত ছিল ওয়েবসাটের কাজ। অবশেষে ২০১৮ সালে আলোর মুখ দেখতে পায় ইসলামবিরোধীদের জবাব response-to-anti-islam.com ওয়েব সাইটটি। নাস্তিকদের উত্থাপিত যাবতীয় প্রশ্ন, অভিযোগ ও আপত্তির জবাব সংবলিত সবিস্তার প্রবন্ধ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। অনেক লেখক এবং কলা-কুশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে সমৃদ্ধ এই সাইট। ওয়েবসাইট থেকে বাছাইকৃত সেরা লেখাগুলোর একটি সংকলন হচ্ছে “জবাব”। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
যারা সত্য ও সাহসের কথা বলে, আমরা তাদের নিয়ে গল্প লিখি। তারা হয়ে ওঠে আমাদের গল্পের উপজীব্য। তাদের জীবনাচার থেকে ঘটনাগুলো তুলে এনে আমরা গল্পের রূপ দিই। রুপকথার গল্প নয়, তখন সত্যিকারের সুপারস্টারদের গল্পগুলোই হয়ে ওঠে অন্যরকম। এই গল্পগুলো অচেনা, কিন্তু দরকারি। মনে হবে নতুন, কিন্তু ভীষণ ভাবনার উদ্রেককারী। তখন গল্পগুলো নিছক আর গল্প থাকে না, সেগুলো হয়ে ওঠে আমাদের জীবন পরিবর্তনের নিয়ামক। এমনই কিছু অন্যরকম গল্পের সমন্বয়ে সংকলিত হয়েছে “গল্পগুলো অন্যরকম” বইটি। সেই অন্যরকম গল্পগুলো পড়ে পাঠকদের মনে ভাবোদয় ঘটবে, তাদের হৃদয়ে বইবে পরিবর্তনের বাসন্তী-বাতাস, তারাও হয়ে উঠবে এরকম গল্পের উপাদান। “গল্পগুলো অন্যরকম” বইটিতে স্থান পেয়েছে বেশকিছু নবীন-প্রবীণ লেখকদের গল্প। অনেক পরিচিতমুখ আছেন সেই তালিকায়। তাদের গল্পে কখনও তারা হয়েছেন গল্পের উপাদান, কখনও বা গল্প-কথক। তারা লিখেছেন দুঃখ-ব্যথার কথা, সীমাহীন সুখের কথা। গল্পগুলোয় তুলে এনেছেন সমাজের অনিয়ম, অসুন্দর এবং অনাচারের কথা। তাদের এই গল্পগুলো পাঠকদের হৃদয়ে জাগরণ সৃষ্টিতে সক্ষম হবে। ইনশাআল্লাহ। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবনের জাগরণে সিরিজের প্রথম বই ছিলো “বেলা ফুরাবার আগে”। “এবার ভিন্নি কিছু হোক” বইটি মূলত “বেলা ফুরাবার আগে” বইয়ের পরের কিস্তি। দুটো বই-ই প্রায় একই ধাঁচে লেখা। বটিতে রয়েছে অনেক সমস্যার সমাধান এবং আশার আলো। ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের বেলা ফুরাবার আগে টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা। “এবার ভিন্নি কিছু হোক” বইটি মূলত নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমান যে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক বই হতে পারে এটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম হয়েও কতো হাজার হাজার মুসলিম যুবক-যুবতী আজ নিজেদের পথ ভুলে গেছে। হারানো সেই পথ থেকে কেউ ফিরে আসে, আবার কেউ হারিয়ে যায় অন্ধকারের অতল গহ্বরে। যারা ফিরে আসে, কেমন হয় তাদের গল্পগুলো? জাহিলিয়্যাত থেকে দ্বীনের পথে ফিরে আসা সে রকম একঝাঁক পরিশুদ্ধ তরুণ ভাই-বোনদের গল্প নিয়েই সংকলিত হয়েছে “প্রত্যাবর্তন” বইটি। দেশের শীর্ষ মেডিকেল কলেজ, বুয়েট, কুয়েট, রুয়েট, শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড এবং ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত আমাদের এক ঝাঁক তরুণ ভাই-বোনদের দ্বীনে ফিরে আসার গল্প রয়েছে এই বইটিতে। এদের কেউই মাদ্রাসায় পড়েন নি। বড় হয়েছেন সেক্যুলার অথবা গতানুগতিক মুসলিম পরিবারে। এরপরেও তাদের এই প্রত্যাবর্তনের পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে কোন জিনিসটি? সেসব গল্প নিয়েই “প্রত্যাবর্তন”। বইটিতে শুধু নন-প্র্যাকটিসিং থেকে প্র্যাকটিসিং মুসলিম হওয়া ভাই-বোনদের গল্পই নয়, বরং রয়েছে ভিন্ন ধর্ম থেকে ইসলামে ফিরে আসা কিছু ভাই-বোনদের গল্পও। বইটিতে দ্বীনে ফেরা’র গল্প রয়েছে যাদের, তারা হচ্ছেন: ১। ‘পড়ো’ সিরিজের লেখকের ২। ‘আল কুরআনের ভাষা’ বইয়ের লেখক এবং আল-কুরআনের শব্দসমূহ এর সম্পাদকের। ৩। ‘নট ফর সেল‘, বিয়ে‘, জীবনের সহজ পাঠ‘ ‘ওপারে‘ বইয়ের লেখিকার ৪। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এবং কষ্টিপাথর বইয়ের লেখকের ৫। আর্গুমেন্টস অফ আরজু এবং প্রদীপ্ত কুটির বইয়ের লেখকের ৬। বিশ্বাসের যৌক্তিকতা বইয়ের লেখকের ৭। অন্ধকার থেকে আলোতে বইয়ের লেখকের ৮। অ্যান্টিডোট বইয়ের লেখকের ৯। ‘সংবিৎ‘ এবং ভ্রান্তিবিলাস বইয়ের লেখকের ১০। উমার ইবন আল-খাত্তাব রা. ১ম খণ্ড, মনের ওপর লাগাম বইয়ের অনুবাদক ও সম্পাদকের। এছাড়াও রয়েছে ক্যামব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে মলিকুলার বায়োলজি নিয়ে পিএইচডি রত শ্রদ্ধেয় সাইফুর রহমান ভাইয়ের গল্প, আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আবদুল্লাহ সাঈদ খান ভাই, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের নিশাত তামিম আপু, বুয়েটের কবির আনোয়ার ভাই, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের রুহুল আমিন ভাই, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিহাব আহমেদ তুহিন ভাই, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী মাহমুদুর রহমান ভাই, আরমান ইবনে সোলায়মান ভাই, বুটেক্সের ফয়সাল বিন ইউসুফ ভাইসহ আরও অনেকের দ্বীনে ফেরা’র গল্প এবং রয়েছে কলকাতার কিছু রিভার্টেড ভাইদের ইসলামে আসার গল্পও। আশা করছি বইটি উঠতি জেনারেশন, যারা দ্বীন থেকে দূরে আছে, তাদের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে, ইন শা আল্লাহ্। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ঘিরে ফ্রান্স সরকারের দৃষ্টতা এবং নগ্ন আচরণের বিরুদ্ধে পুরো মুসলিম উম্মাহ প্রতিবাদমুখর হয়েছিল। যারা চক্রান্ত করে এই উম্মাহকে নবী-জীবন থেকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়, তাদের জন্য “নবী জীবনের গল্প” বইটি আরিফ আজাদের এক লিখিত প্রতিবাদ। বইটিতে তিনি ২১টি গল্পের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জীবনী তুলে ধরেছেন। নবী জীবনের প্রতিটি পঙক্তি মধুময় হয়ে আছে নানা ঘটনার মাধূর্যে। বড় অমূল্য সেই মুহূর্তগুলো। লেখক আরিফ আজাদ তার নিপুণ গল্পশৈলির মাধ্যমে গল্পে গল্পে তিনি দেখিয়েছেন- ঘরে-বাইরে, মসজিদ-মজলিসে, সাহাবিদের সাথে, মক্কা-মদিনার অলিগলিতে, সাহাবিদের ঘরদোরে, শক্ত চাটাইয়ে, প্রিয়তমা স্ত্রীদের সাথে এবং নিশি জাগরণে রবের সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে কেমন ছিলেন মুসলিম উম্মাহর নয়নের মনি মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বইটিতে জন্ম থেকে শুরু করে শারীরিক গড়ন, জীবন গঠনের দিকনির্দেশনাবলি- সবকিছুই স্বমহিমায় আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন প্রিয় লেখক। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“মা, মা, মা, এবং বাবা” বইটি টুকরো টুকরো কিছু গল্প দিয়ে সাজানো। গল্পগুলো আমাদের সমাজ থেকেই উঠে আসা। গল্পগুলোর উদ্দেশ্য হলো, বাবা মায়ের প্রতি ভালবাসাকে নতুন করে জাগিয়ে তোলা। যেসব সন্তান বাবা মায়ের প্রতি উদাসীন, বয়স্ক বাবা মায়ের প্রতি যাদের অন্তর কঠিন হয়ে পড়েছে, আমার মনে হয় – বইটি যদি তারা একবার পড়ে, তাহলে বাবা মায়ের প্রতি তারা এমন অনুগত হয়ে যাবে, যা তারা কখনো কল্পনাও করেনি। যেসব সন্তানদের অন্তর বাবা মায়ের প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসায় পরিপূর্ন, তাদের বইটি সেই সুসংবাদ ও জানিয়ে দিবে, যা আল্লাহ ও তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের জানিয়েছেন। জন্মের পরপর প্রত্যেকটি মানবশিশু থাকে খুবই অসহায়। সেই অসহায় অবস্থায় আমাদের লালন পালন করে বড় করে তোলেন আমাদের বাবা মা, জীবনের সবটুকু ঢেলে দিয়ে আমাদেরকে আগলে রাখেন তারা। আমাদের জন্ম, শৈশব, কৈশোর এবং যৌবনের গল্পে তারাই থাকেন মূল ভুমিকায়। কিন্তু, বড় হওয়ার সাথে সাথে কিছু সন্তান হয়ে ওঠে অকৃতজ্ঞ, যারা দুনিয়ার লোভে পড়ে বাবা মাকে ভুলে যায়। আবার এমন কিছু সৌভাগ্যবান সন্তান ও আছে, যারা সবকিছুর বিনিময়ে বাবা মাকে আগলে রাখে, ভালবাসে, যেভাবে শৈশবে তাদেরকে আগলে রেখেছিলেন তাদের পিতা মাতা। বইটিতে আছে কিছু সৌভাগ্যবান সন্তানের গল্প, আরো আছে কিছু অবাধ্য সন্তানের গল্প। অবাধ্য সন্তানদের পরিণতি কেমন হয় তাও আছে এই বইতে। বইটির শেষে আছে কুরআন ও হাদীস থেকে নেয়া কিছু ঘটনা। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
জীবন যেখানে যেমন বইটি নিরেট গল্পের একটি বই। তবে কেবল গল্পের বই বলে একে মূল্যায়নের কোন সুযোগ নেই। কারণ গল্পের ফাঁকে ফাঁকে লেখক তার পাঠকদের জন্য রেখে গিয়েছেন চিন্তার কিছু খোরাক। পাঠকের ভাবুক মন যদি সেগুলোয় নিবিষ্ট হয়, তবে আমরা আশা করতে পারি যে, গল্পের পাশাপাশি তারা জীবনের কিছু উপকারী পাঠ কুড়িয়ে নিতে সক্ষম হবে। লেখক আরিফ আজাদ তার লেখনীশক্তির মুন্সিয়ানায় গল্পগুলোকে প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। এ কারণে প্রতিটি গল্পই হয়ে উঠেছে সুখপাঠের এক বিশাল আধার। এ বইতে পাঠকসমাজ নতুন এক আরিফ আজাদকে আবিষ্কার করবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। জীবন যেখানে যেমন বইটি এমন কিছু জীবন ঘনিষ্ঠ গল্প শোনাবে, যা আপনার আমার সবার জীবনের গল্প। কিন্তু অবচেতন মনে সেগুলো আমরা এড়িয়ে চলি। গল্পগুলো আমাদের ভাবাবে। জীবন নিয়ে নতুন করে ভাবতে শেখাবে। উদ্বুদ্ধ করবে জীবন নিয়ে আমাদের স্বপ্নগুলো নতুন করে গড়তে। জাগতিক ব্যস্ততার জাঁতাকলে পিষ্ট হওয়া হৃদয়ে ঘটাবে নতুন জীবনের সঞ্চার। এমন কিছু গল্পও এবার থাকবে, যেগুলো আমরা চাই না কারও জীবনে আসুক। তবে প্রতিটি গল্পই আমাদের বাধ্য করবে থমকে দাঁড়াতে, কতোবার যে চোখযুগল ঝাপসা হয়ে আসবে ইয়াত্তা নেই। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
ভুলোমনা একঝাঁক তারুণ্যের জন্য এই বই। যে ভুলের গহ্বরে তারা জীবনের বসন্তগুলোকে পার করছে, সেই ভুল থেকে তাদের বেলা ফুরাবার আগে টেনে তুলতেই এই বইটার অবতারণা। “বেলা ফুরাবার আগে” বইটি মূলত নিজেকে আবিষ্কারের একটি আয়না। দ্বীন পালন করতে গিয়ে একজন যুবক, অথবা একজন মুসলমান যে বাধার সম্মুখীন হয়, সেই বাঁধাগুলো অতিক্রমের গল্পই বলা যায় এই বইটাকে। যে ভুল আর ভ্রান্তির মোহে, অন্ধকারের যে অলিগলিতে আমাদের এতোদিনকার পদচারণা, তার বিপরীতে জীবনের নতুন অধ্যায়ে নিজের নাম লিখিয়ে নিতে একটি সহায়ক বই হতে পারে এটি। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।
“প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” পার্ট-১ পড়ে পাঠকরা যখন অনেক বেশী আশাবাদী হয়ে “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” পার্ট-২ তে যাবেন তখন কেউ যেন নিরাশ না হন সেইদিকে লেখক খুব ভালই নজর দিয়েছেন। বইটি পড়ার পর অনায়াসেই বলা যায় পার্ট-১ থেকে পার্ট-২ এর প্রেজেন্টেশন এবং রিসার্চ দুটোই অনেক বেশী ডেভেলপ করা হয়েছে। বইটিতে অতিরিক্ত পন্ডিত নাস্তিক গর্ধবগুলোকে আবার আস্তিকে রুপান্তরিত করতে খুবই হাই কোয়ালিটির লজিক এবং রেফারেন্সসহ ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন লেখক আরিফ আজাদ। অনেক সময় নাস্তিকদের বহু অদ্ভুত প্রশ্নের সম্মুখীন হই আমরা সবাই। নাস্তিকরা বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে ইসলামকে মিথ্যা বানানোর অপচেস্টা করে। আর নাস্তিকদের সেই সকল অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের আলোকে গুছিয়ে লেখক আরিফ আজাদ রচনা করেছেন “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” নামক ব্যাপক জনপ্রিয় এই বইটি। কে এই সাজিদ? সাজিদ আরিফ আজাদের অনন্য এক সৃষ্টি। অবিশ্বাস ও নাস্তিকতার কালো অন্ধকার থেকে যুক্তির আলোয় এক আলোকিত সভ্যতা উপহার দেয়ার ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে যার জন্ম। যুক্তিতে মুক্তির সন্ধানকারী কিছু মুক্তমনারা এতটাই মুক্তমনার অধিকারী হয়ে যায় যে তাদের সেই মুক্তমনার নামে কালো পর্দা তাদের মনকে ছেয়ে যায়, অসীম এক সত্তার বাণী নিয়েই এই পর্দা ফুঁড়ে আলোকিত করার প্রয়াসেই সাজিদের সৃষ্টি। “প্যারাডক্সিয়াল সাজিদ” বইটিতে অমুসলিম, নাস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের কুরআন ও ইসলাম সম্পর্কে তাদের অবিশ্বাসকে বিশ্বাসে প্রমানিত করা হয়েছে এবং দলিলের ভিত্তিতে সকল প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে। বইটি পড়লে আপনি যেই মতবাদে বিশ্বাসী হন না কেন, এক ভিন্ন স্বাদ পাবেন। গল্প ও সাহিত্যরস দিয়ে অবিশ্বাসীদের নানান প্রশ্নের জবাব দেয়া হয়েছে বইটিতে। তাই সকল নাস্তিক, আস্তিক, এগনোস্টিক ও অবিশ্বাসীদের এই বইটি পড়ার জন্য অনুরোধ করা হইলো। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বই প্রতিটি মুসলিমের ঘরে ঘরে থাকা একান্ত জরুরী। আপনার কপিটি এক্ষণই অর্ডার করুণ…। ইনশাআল্লাহ।